Logo
শিরোনাম

মাহে রমজান: প্রথম তারাবিতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে ফের এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রমজান শুরু। সোমবার (১১ মার্চ) বাদ এশা দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিকতা। ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

রাতে এশার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদে মসজিদে আদায় করা হয় তারাবির নামাজ। প্রথম তারাবির জামাতে নামে মুসল্লিদের ঢল। পাঞ্জাবি-পাজামা পরে জায়নামাজ নিয়ে মুসল্লিরা ছোটেন মসজিদের দিকে।

সিলেটেও ধর্মপ্রাণ মানুষ আদায় করছেন তারাবির নামাজ। হজরত শাহজালাল (র.)-এর দরগাহ মসজিদে তারাবিহ নামাজে অংশ নেন অসংখ্য মুসল্লি। একই সঙ্গে সিলেটের সব মসজিদেও মুসল্লিরা তারাবির জামাতে অংশ নেন।

সন্ধ্যার পর থেকেই খুলনার বিভিন্ন মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের ভিড় বাড়তে থাকে। কোথাও কোথাও দলবেঁধে, কোথাও পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে তারাবিহ নামাজ আদায়ে মসজিদে আসেন। খুলনার সব মসজিদই অল্প সময়ে পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও বাংলাদেশের জন্য দোয়া করেন ইমামরা।

এদিকে পবিত্র রমজানে খতম তারাবি পড়ার সময় সারা দেশে সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আলেমরা জানান, দীর্ঘ ১১ মাসের পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় রমজান। পবিত্র রমজানের আগমনে মুসলিম সমাজ ও ইসলামি জীবন ধারায় এক বিরাট সাফল্যের সৃষ্টি হয়। রমজান হলো ইবাদতের বসন্তকাল। আল্লাহপাক ইবাদতপাগল বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সব আয়োজন করে রাখেন। এ মাসে একটি ফরজ আমলের মূল্য অন্য সময় ৭০টি ফরজ আমলের সমপরিমাণ।


আরও খবর



সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিন ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তীব্র গরমের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মাউশির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ওইদিনের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দাবদাহের মধ্যে না খুলে আগামী সাত দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এমন অবস্থার মধ্যে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় মাউশি।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমির প্রভাব বাংলাদেশে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ। বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে। ফলে একদিকে যেমন তাপমাত্রা কমছে না। অন্যদিকে বৃষ্টির প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবহাওয়ার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও স্থায়ী স্বস্তি পাওয়ার কোনো আভাস নেই।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে চরম ভাবাপন্ন ওয়েদার বিরাজ করছে সিস্টেমে। সেটা আরও ১০ দিন থাকবে। আগামী সাতদিনে বজ্রমেঘ সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা কম। মে মাসের তিন তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম।

ওই মাসের প্রথম সপ্তাহে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে পুরো মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস নেই। এ সময় ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের আভাস রয়েছে। টানা বা স্থায়ী বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাদের গাণিতিক মডেলগুলো অনুযায়ী, তাপমাত্রা এত বাড়বে না। ৪০ কিংবা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকবে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত এটা বলা যায়। এরপর আসলে সঠিকভাবে বলা যায় না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশের মধ্যাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে। তবে ঢাকায় তেমন হবে না। এখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাতাসে বেড়েছে। এতে তাপমাত্রা অতিতীব্র না হলেও গরম অনুভূতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য স্বস্তিদায়ক বৃষ্টি মে মাসে পাওয়া যাবে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলছেন, মে মাস হচ্ছে উষ্ণতম মাস। আমাদের দেশে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা মে মাসেই। মে মাসে ৩ থেকে ৪টি তাপপ্রবাহ থাকে। এক্ষেত্রে টানা বৃষ্টি বা ভারী বৃষ্টিপাতেরে কোনো সম্ভাবনা নেই।

অনেকেই বলছেন তাপমাত্রা বেশি বা গড় তাপমাত্রা বেশি এই কথাটা মোটেই ঠিক নয়। গড় তাপমাত্রাও বাড়েনি। এপ্রিলের ২৩ তারিখ পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাজেই বাড়ল কোথায়। তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি আছে। চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। তাপমাত্রার গড় হিসেব করা হয় ৩০ বছরে। কাজেই ৩০ বছরের গড় তো বাড়েনি। এছাড়া গড় কখনও সঠিক পরিসংখ্যান দেয়ও না।

২০১৪ সালের পর থেকে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি

বর্তমানে এপ্রিল মে মাসের তাপপ্রবাহ সাতদিন, ১৫ দিন, ২৩ দিন এমনভাবে স্থায়ী হয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর থেকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের সময়কাল বা স্থায়িত্ব বেড়ে গেছে। এজন্য তাপমাত্রাটা অসহনীয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। প্যানিক তৈরি হচ্ছে। অনেক গণমাধ্যমও এভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে। ফলে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তাপমাত্রা আগের তুলনায় অস্বাভাবিক নয়।

বৃষ্টিপাত না হাওয়ার তিন কারণ

বাতাসের জলীয়বাষ্পের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকার কারণে বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি নামছে না। জলীয় বাষ্প আসে সাগর থেকে, সেটা হচ্ছে না। এর পেছনে আবার কারণ হচ্ছে এল নিনোর প্রভাব। পেরুর কাছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো সক্রিয় থাকার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প কম আসছে বলেছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

তাপমাত্রা বেশি থাকলে বৃষ্টি হয় না। কারণ বাতাসে যে জলীয় বাষ্প থাকে তা বেশি তাপমাত্রার কারণে ঘনীভূত হতে পারে না। ফলে বজ্রমেঘ তৈরি হয় না। এছাড়া বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়ার একটা বিরাগ আধিপত্য রয়েছে দেশের বাতাসে। সেখানে অতিতীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আর সেখানকার তাপমাত্রা বাড়ার কারণ হলো ভারতের রাজস্থানের থর মরুভূমি। পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমি এটা। থর মরুভূমির তপ্ত বাতাসই বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের আসছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, দেশে বৃষ্টিপাত হয় পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে। সেটা ভূমধ্যসাগরে তৈরি হয়ে উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত হয়ে দেশের সিস্টেমে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে ওইসব দেশের তাপমাত্রা কমলে বাংলাদেশের তাপমাত্রাও কমে। এপ্রিলে ভূমধ্যসাগরে আগের মতো পশ্চিমা লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে না, যেটা এ সময়ে বাংলাদেশের দিকে আসে।

অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরে সৃষ্টি হওয়া পশ্চিমা লঘুচাপ যেটা সৃষ্টি হচ্ছে সেটা পূর্বদিক হয়ে চীনের দিকে সরে গেছে। সেখানে কিন্তু অতিবৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পাকিস্তান থেকে থাইল্যান্ড পর্যন্ত সব দেশেই বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে এবং তাপমাত্রা বেড়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।

তিনি বলেন, বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকের বাতাস উত্তর দিকে মাঝে মধ্যে সরে গেলে এমন হয়। এদিকে তখন পশ্চিমা লঘুচাপ আসতে দেরি হয়। এর পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবকেও দায়ী করছেন তিনি।

এপ্রিলের শুরু থেকেই চলছে তাপপ্রবাহ। তিন তিনটি হিট অ্যালার্টও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এখনও একটি হিট অ্যালার্ট চলছে। অতিতীব্র তাপপ্রবাহ কেটে গেলেও দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করছে সরকার। জনজীবন যখন কাহিল তখন খুব একটা সুখবর নেই দেশবাসীর জন্য।

চলতি মৌসুমে গত ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এখনও যা বিদ্যমান আছে।

২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই রেকর্ড এখনও ভাঙেনি।


আরও খবর



ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে অনীহা বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকায় প্রতি বছর যে পরিমাণ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় তার প্রায় অর্ধেকই পথচারী। সংখ্যার হিসাবে বছর শেষে যা ২৫০ থেকে ২৮০। সড়কে বেপরোয়া বাহনের পাশাপাশি সমানতালে বেপরোয়া পথচারীও। যত্রতত্র পারাপার আর ফুটওভার ব্রিজে অনীহা বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনা। তবে ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়ক আর ফুটপাতের অব্যবস্থাপনা উসকে দেয় এমন দুর্ঘটনা। নগর কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী করছে অসচেতনতাকে।

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩- খবরের এমন শিরোনাম যেন নিত্যদিনের। বলতে গেলে প্রতিদিনই এই নগরের কোথাও না কোথাও ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

তবু থামছে কই। কারণে অকারণে নানা অজুহাতে একটু সময় বাঁচাতে প্রাণ হাতে নিয়েই পাড়ি দিচ্ছে নগরের পথ। যেনো দুই এক মিনিট সময় বাঁচিয়েই করা যাবে বিশ্বজয়। সবই জানা, তবু যেনো মানতে মানা।

পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছর অর্থাৎ প্রতি ৩৬৫ দিনে পাঁচ থেকে সাড়ে ৫০০ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে অবার করার মতো তথ্য হচ্ছে এর ৪৭ থেকে ৪৯ ভাগই পথচারী। অর্থাৎ চলার পথে পেছন থেকে ধাক্কা কিংবা সড়ক পারাপারেই প্রাণ রাজধানীতে ঘটছে অধিকাংশ দুর্ঘটনা। এরপরেই ২৪ ভাগ দুর্ঘটনার কারণ পেছন থেকে ধাক্কা যা বিশৃঙ্খল গণপরিবহনেরই চিত্র তুলে ধরে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, পথচারীদের সঙ্গে দুর্ঘটনার জন্য বেশিরভাব সম্পৃক্ত বাস-ট্রাকের মতো ভারী যানবাহনগুলো। অনুপাত হিসাব করলে ২২ থেকে ২৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেল আরোহী বা মোটরসাইকেল কেন্দ্রিক।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এমন দুর্গটনার অন্যতম কারণ রোড ইঞ্জিনিরয়ারিং। তার মানে গলদ আছে সড়ক ব্যবস্থাপনায়। তাছাড়া বেদল আর পথচারী বান্ধব না হওয়ায় ফুটপাত, পুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহারেও রয়েছে অনীহা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান বলেন, সড়ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলো আমাদের জন্য আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি ফুটপাতগুলোও পথচারী বান্ধব নয়।

তবে নগর কর্তৃপক্ষ সরাসরি দায়ী করছে অসেচতনাকে। বলছে, কাজ করতে হবে সব পক্ষের সচেতনতায়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে হঠাৎ করেই রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড় দেয়। শর্টকাট করলে কিন্তু হবে না। গাড়ির চালক ও পথচারী সবাই নিয়ম মেনে চললে এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে অনেকখানি রক্ষা পাওয়া যাবে। দেশে মোট সড়ক দুর্ঘটনার ২৩ ভাগই হয় শহরে। আর তার ৭৪ ভাগই রাজধানী ঢাকায়।


আরও খবর



গাজীপুরের শ্রীপুরে আদালতের নির্দেশণা উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ নিয়োগের পাঁয়তারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image
সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক ;

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার একমাত্র নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী মিজানুর রহমান খান ডিগ্রী মহিলা কলেজে আদালতের নির্দেশণা উপেক্ষা করে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির হোতা এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিষয় নেই এমন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার বিধানকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করা হবে যদি এ ধরনের শিক্ষককে সত্যিই নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ লিখিত রেজুলেশণ খাতায় লিপিবদ্ধ তথ্যে জানা যায়, উক্ত কলেজের শিক্ষক মাহফুজুল হক ৩১/৯/১১ ইং তারিখেের পূর্বে তার মালিকানাধীন প্রিপেটরী স্কুলের সাবেক ছাত্রিক শ্লীলতাহানী করেন যা দেশের প্রথমশ্রেনীর জাতিয় দৈনিকসমুহে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়।
উক্ত সংবাদসমুহ এবং সেই ছাত্রির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় এবং সেসময়কার পরিচালনা পর্ষদ উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত রেজুলেশণ গ্রহন করেন।তিনি কলেজের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রিদের যৌন হয়রানি করেন বলেও কলেজটির তৎকালিন পরিচালনা পর্ষদের কাছে প্রতিয়মান হয়।
এ ধরনের নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত বিতর্কিত উক্ত শিক্ষককে আদালতের রায় ও নির্দেশণা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে বিশেষ উদ্দেশে আগামিকাল ১৬ এপ্রিল গোপনে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যাপক গুঞ্জণ ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র শ্রীপুরে।
এ ব্যাপারে কলেজটির শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ এবং শ্রীপুরের সচেতন মহল আগামিকাল কি ঘটে এবং সকল আইন বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সত্যিই তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কি না তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।
অনেকেই বলেছেন, আদাৱতের রায় ও নির্দেশণা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের এ সংক্রান্ত আইন উপেক্ষা করে যদি সত্যিই কোন নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কোন শিক্ষককে গায়ের জোরে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে তা আবারও আদালত পর্যন্ত গড়াবে, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে ৩৭ বছর আগে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অন্য দুই বিচারপতি হলেন, কাজী রেজা-উল হক ও মো. আশরাফুল কামাল।

১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি।

২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই দিনই অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের সহায়তাকারী) হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়।

ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মার্চ এই রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেন আদালত। পরে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই রায় সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর