Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

মাইজভান্ডারী তরিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬২৩জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম ,সিনিয়র সাংবাদিক ,লেখক ও গবেষক :


মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জ্বত তাঁহার কিছু কিছু বান্দাকে পয়গম্বর আ. অথবা অলি আল্লাহর পবিত্র আত্মা হইতে সরাসরি ফয়েজ দান করিয়া এবং তাঁহাদেরকে বেলায়েতের মর্য্যাদায় উন্নীত করিয়া যোগ্যতা সম্পন্ন করেন।
কাদেরিয়া ও চিশতিয়া তরিকার সংমিশ্রণে মাইজভান্ডারি তরিকা। এই তরিকার প্রবর্তন করেন তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বহুল পরিচিত। তার অনুসারীগণ যে সকল প্রচার-প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপিয়ে আসছে, তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা ক্বাবা কাদ্দাছাল্লাহু ছিরহুল আজিজ (কঃ) লিখতে দেখা যায়। তৎপর এই তরিকার উন্নয়ন সাধন করেন তাঁহার জগৎ বিখ্যাত মুরিদ-খলিফা হযরত গোলামুর রহমান (প্রকাশ বাবা ভান্ডারি) রহ.। তাঁহার মতে ইলাহিয়াত বা ঐশী সত্তার বিকাশ ও স্ফূরণ হয় আদমিয়াত বা মানবত্বে। তিনি ইত্তেহাদের ভিত্তি মূলে হযরত আদম আ.কে সর্ব্ব প্রথম আল্লাহর শারীরিক বিকাশ বলিয়া মনে করেন। মানবীয় দৈহিক সত্তায় ঐশী সত্তার প্রকাশই এক চিরন্তন রহস্য। আল্লাহর সকল সিফাত বা গুণ মানুষের মধ্যেই বিকশিত হয়। এই জন্যই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে সৃষ্টি জগতের উপর কর্তৃত্ব করিতেছে। মানুষ ব্যতীত কেহই আল্লাহর রহস্য উদঘাটন করিতে পারে না।

মাইজভান্ডারী তরিকা প্রতিষ্ঠা ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফ - এর গোড়াপত্তনঃ


হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তাঁর পীরে ত্বরিকতের নির্দেশে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন। আধ্যাত্মিক সাধক ও দোয়া প্রত্যাশীদের ভীড়ে এই সাধকের পবিত্র বাসগৃহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণধারক এক উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয়। লোকসমাজে পরিচিতি পায় 
মাইজভান্ডার দরবার শরীফ হিসেবে। হযরত কেবলার (কঃ) অসংখ্যা কারামতের ঘটনা বিভিন্ন গ্রন্থে ও লোকমুখে প্রচারিত। যেমনঃ (১) হযরতে আধ্যাত্মিক প্রভাবে মোহছেনিয়া মাদ্‌রাসা প্রতিষ্ঠা ও মোদার্‌রেছ নিযুক্তি। (২) হযরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে এক রাতে মক্কা শরীফ হতে চট্টগ্রাম শহরে হাজীর প্রত্যাগমন। (৩) হযরতের বেলায়তী ক্ষমতায় বাহুতে হাত রেখে জনৈক হাজীর অলৌকিক ভাবে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন (৪) হযরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে বাঘের মুখে লোটা নিক্ষেপে ভক্ত উদ্ধার (৫) হযরতের বেলায়তী প্রভাবে মৃত্যূকালে আজরাইল ফেরত ও ষাট বৎসর আয়ু বৃদ্ধি। (৬) হযরতের আদেশে রেয়াজ উদ্দিন উকিলের ভূ-সম্পত্তি খরিদ ও রেয়াজ উদ্দিন বাজারের পত্তন। (৭) হযরতের আশ্চর্য্য কেরামতে বগলের নীচে কাবা শরীফে মুছল্লির প্রবেশ করতে দেখা -ইত্যাদি। এই ধরনের উচ্চমার্গীয় কেরামত গাউছে আজমিয়তের পরিচয় বহন করে।

১. নূর ও হাকিকত সম্বন্ধে আলোচনা।
২. নূর বিষয়ক শৃঙ্খলা।
৩. নূরুল আনোয়ার, আনোয়ারে কাহিরা, আনোয়ারে মুর্জারাদা সম্পর্কে আলোচনা।
৪. বরজখের প্রকার ভেদ ও নমুনা।
৫. নবুয়াত, মনামত, মাআদ (প্রত্যাবর্তন) বিষয়ক আলোচনা।

উক্ত পাঁচ বিভাগে রমুজ ও ইশারার সংক্ষিপ্ত আলোচনা রহিয়াছে। নূর ও জুলমাত সম্বন্ধে বিস্তারিত ব্যাখ্যা রহিয়াছে। তিনি নূর বলিতে রূহ, জুলমাত বলিতে শরীর এবং আনোয়ার আক্লকে বুদ্ধিবৃত্তি বলিয়া ব্যক্ত করিয়াছেন। আক্ল দ্বারা উকুলে আফলাক - ইহার দ্বারা আনোয়ারে কাহিরা এবং আনোয়ারে মুর্জারাদার সংক্ষিপ্ত আলোচনা পরিবেশিত হইয়াছে। আলমে বরজখ দ্বারা আলমে আজসাম বুঝাইয়াছেন। এই ভাবে: জাতে এলাহী, সিফাতে আফয়াল, লজ্জত (স্বাদ), মারেফাত, হেকমতে ইলমে কালাম, দর্শন ও তাসাউস ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করিয়াছেন।

কুরআন-হাদিসের সূক্ষ্ম রহস্য পূর্ণ আয়াত ও হাদিস শরীফের উপর প্রতিষ্ঠিত দর্শন ও তরিকা। ইরান, ইরাক সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই তরিকার অনুসারী রহিয়াছেন।


আরও খবর

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। রুশ এই হামলার জেরে আহত হওয়ার পাশাপাশি ধ্বংসযজ্ঞের খবর পাওয়া গেছে। মূলত নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয় দিবস পালনের আগে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার এই হামলার খবর সামনে এলো।

নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয় দিবস হিসেবে প্রতিবছর ৯ মে ভিক্টরি ডে রাশিয়ায় ব্যাপকভাবে পালিত হয়। নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের বার্ষিকীকে চিহ্নিতকারী এই দিবসটি রাশিয়ার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই দিবসের প্রাক্কালেই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে হামলার এই ঘটনা ঘটল।

রয়টার্স বলছে, রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার হামলার কারণে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন। এছাড়া রাশিয়ান নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ওডেসা শহরে একটি খাদ্যদ্রব্যের গুদামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং ইউক্রেনের অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

মস্কো মঙ্গলবার তার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের এই বার্ষিকী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কারণে মঙ্গলবারের মধ্যে বাখমুতের দখল নিতে রুশ বাহিনী শহরটির দিকে গোলাবর্ষণ আরও তীব্রতর করেছে বলে অবরুদ্ধ শহরটির প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল বলেছেন।

এদিকে কিয়েভের সোলোমিয়ানস্কি জেলায় বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন এবং সোভিয়াটোশিন জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে অন্য আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছেন। এই দুটি শহরই রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্র থেকে পশ্চিমে অবস্থিত।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসন বলেছে, ইউক্রেনের রাজধানীতে অবস্থিত জুলিয়ানি বিমানবন্দরের রানওয়েতে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে। এতে সেখানে কোনও আগুন লাগেনি, তবে জরুরি পরিষেবাগুলো সেখানে কাজ করছে। কিয়েভে দুটি যাত্রীবাহী বিমানবন্দর রয়েছে এবং জুলিয়ানি বিমানবন্দর তার একটি।

সামরিক প্রশাসন আরও বলেছে, কিয়েভের কেন্দ্রীয় শেভচেনকিভস্কি জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি দ্বিতল ভবনে আঘাত করেছে বলে মনে হচ্ছে এবং এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সম্ভাব্য হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা কিয়েভে অসংখ্য বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আক্রমণ প্রতিহত করছে। অবশ্য কিয়েভের দিকে কতগুলো ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

ওডেসার সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি বিশাল অবকাঠামোর ছবি পোস্ট করেছেন। ওই অবকাঠামোটি সম্পূর্ণরূপে আগুনে নিমজ্জিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই খাদ্য গুদামের পাশাপাশি অন্যান্য স্থাপনাতেও রাশিয়া আক্রমণ চালিয়েছে।

মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশজুড়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমান হামলার সতর্কতা জারি ছিল। এছাড়া খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলে এবং দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া অঞ্চলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

জাপোরিঝিয়াতে রাশিয়ান-নিযুক্ত স্থানীয় কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগভ বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী এই অঞ্চলের ছোট শহর ওরিখিভে একটি গুদাম এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থানে আঘাত করেছে। রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই তথ্য যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

পৃথকভাবে রাশিয়ান বাহিনী রোববার উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে আটটি স্থানে গোলাবর্ষণ করেছে বলে আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে।

গত দুই সপ্তাহে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিশেষ করে ক্রিমিয়াতেও হামলা জোরদার হয়েছে। ইউক্রেন এসব হামলার পেছনে কোনও ভূমিকা রেখেছে কিনা তা নিশ্চিত না করেই বলেছে, শত্রুর অবকাঠামো ধ্বংস করে দীর্ঘ-প্রত্যাশিত স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

ইউক্রেনে রাশিয়ার এই আগ্রাসন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংঘাতের জন্ম দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এছাড়া আরও লাখ লাখ লোককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে এই সংঘাত।

 


আরও খবর



পাটগ্রামে মদখাওয়াকে কেন্দ্র করে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন,গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে ঘুরতে এসে মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুর হাতে অন্য বন্ধু খুন হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ আইয়ুব আলী নামে একজনকে আটক করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা এখনও জানা যায়নি।শুক্রবার (১২ মে) রাত একটার দিকে দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের দক্ষিনে তিস্তা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বন্ধু আইউব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত রফিকুল ইসলাম (২৩) দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার লাটেরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। আটক আইয়ুব আলী (২৬) একই এলাকার ইনসান আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেশা করার জন্য দুই বন্ধু তিস্তার চরে যায়। সেখানে উভয়ে ভারতীয় মদ পান করে এবং উভয়ের মধ্যে নেশা করার বিষয়কে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে আইউব প্লাস্টিক এর রশি দিয়ে রফিকুলকে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যা করার পরে আইউব আলী রফিকুল এর মৃতদেহ তিস্তা নদীর চরে বালুতে পুতে রাখে।

আইউব এর সৎ ভাইয়ের বাড়ি দহগ্রাম গুচ্ছগ্রাম বাজারে। সে দহগ্রামে বিবাহ করেছিলেন এবং মাঝে মধ্যে শ্বশুর বাড়ি আসে। ঘটনার ৬ ঘন্টা আগে আইউব দিনাজপুর হতে দহগ্রামে আসে এবং তার সৎ ভাই জুলফিকার আলি ভূট্টুর বাড়িতে অবস্থান করে।

তারা দু'জনেই দিনাজপুর বীরগঞ্জ হতে নিজের অটো ইজিবাইক নিয়ে দুপুর বেলায় দহগ্রামে আসে। নিহত রফিকুল ইসলাম তার অটোটি এক পরিচিত বাড়িতে চার্জ দেয়। দহগ্রামে আসার পরে তারা হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে নদীর চরে মদ নিয়ে যায় সেখানেই পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঘাতক আইউব আলী।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রফিকুলের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘মোখা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ (শুক্রবার) ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে।

এ ছাড়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



খালি পেটে গ্রিন টি নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

গ্রিন টি শরীরের জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। গ্রিন টির গুণের শেষ নেই। ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া গ্রিন টি নানাভাবে শরীরের যত্ন নেয়। ইদানীং গ্রিন টি খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। গ্রিন টি খেলে শরীরের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু গ্রিন টি খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় একটু মেনে চলতে হবে। অন্যথায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

পরিমাণ মতো গ্রিন টি খান গ্রিন টি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর মানেই ঘন ঘন সেটি খাবেন, সেটা ঠিক নয়। অতিরিক্ত খেলেই যে বেশি উপকার পাবেন, তা কিন্তু নয়। বরং গ্রিন টি যদি বেশি পরিমাণে খান, তা হলে সমস্যা আরও বেশি। অতিরিক্ত গ্রিন টি খেলে অনিদ্রা, হজমজনিত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সঠিক সময়ে খান গ্রিন টি শুধু কফি নয়, গ্রিন টিতেও ক্যাফিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। ফলে ভুলেও রাতে গ্রিন টি খাবেন না। এর ফলে পেট গরম থেকে অনিদ্রাসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। একই কারণে রাতে কফি খেতেও বারণ করা হয়।

খালি পেটে গ্রিন টি নয় সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্রিন টির কাপে চুমুক দেন অনেকেই। এই অভ্যাস কিন্তু আদতে ভুল। কারণ খালি পেটে কখনো গ্রিন টি খেতে নেই। গ্রিন টিতে ট্যানিন থাকে, যা পেটে এসিড তৈরি করে। ফলে গ্যাস, বদহজমের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই খালি পেটে ভুলেও গ্রিন টি নয়।

তথ্য সূত্র : রিমিস ড্রিম


আরও খবর



নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অ-ব্যাস্থাপনায় আমি লজ্জিত...জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকীর উৎসব এর উদ্বোধনী দিনে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নানা নাটকীয়তার পর তিনি এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি অ-ব্যবস্থপনার কথা স্বীকার করেন। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার প্রতিশ্রুতি দেন।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন, নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল নয়নসহ বিভিন্ন উপজেলা প্রেস ক্লাব ও উপজেলার সাংবাদিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। এসময়  জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা পতিসরের সাংবাদিকদের অ-সস্মানিত করার তীব্র প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে ব্যখ্যা চান। 

রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অ-সম্মান করার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আয়োজনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের বসার কোন জায়গা না থাকায় তিনি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছেন। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। আগামীতে কোন আয়োজনে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত, পতিসরে এবার বিশ্বকবির জন্মোৎসবের মূল আয়োজন ছিলো। ৩ দিনের অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে অব্যবস্থাপনার কারনে আগত সাংবাদিকরা অসম্মানিত হোন। এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা প্রতিকার চেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।

এসব ঘটনার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনকে দায়ি করেন তারা। ঘটনার সুষ্ঠ সম্মান জনক সমাধানের দাবি জানিয়ে আন্দোলন কর্মসূচী দেয় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব। তাদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। কয়েক দিন নাটকীয়তার পর জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় বসেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে জড়ো হোন। সেখানে বক্তারা আগামী দিনে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষা ও অধিকার আদায়ে একাত্ন থাকার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর