Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

মাইজভান্ডারী তরিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম ,সিনিয়র সাংবাদিক ,লেখক ও গবেষক :


মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জ্বত তাঁহার কিছু কিছু বান্দাকে পয়গম্বর আ. অথবা অলি আল্লাহর পবিত্র আত্মা হইতে সরাসরি ফয়েজ দান করিয়া এবং তাঁহাদেরকে বেলায়েতের মর্য্যাদায় উন্নীত করিয়া যোগ্যতা সম্পন্ন করেন।
কাদেরিয়া ও চিশতিয়া তরিকার সংমিশ্রণে মাইজভান্ডারি তরিকা। এই তরিকার প্রবর্তন করেন তিনি আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী নামেই বহুল পরিচিত। তার অনুসারীগণ যে সকল প্রচার-প্রকাশনা বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় ছাপিয়ে আসছে, তাতে তার নাম গাউছুল আজম হযরত মৌলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী কেবলা ক্বাবা কাদ্দাছাল্লাহু ছিরহুল আজিজ (কঃ) লিখতে দেখা যায়। তৎপর এই তরিকার উন্নয়ন সাধন করেন তাঁহার জগৎ বিখ্যাত মুরিদ-খলিফা হযরত গোলামুর রহমান (প্রকাশ বাবা ভান্ডারি) রহ.। তাঁহার মতে ইলাহিয়াত বা ঐশী সত্তার বিকাশ ও স্ফূরণ হয় আদমিয়াত বা মানবত্বে। তিনি ইত্তেহাদের ভিত্তি মূলে হযরত আদম আ.কে সর্ব্ব প্রথম আল্লাহর শারীরিক বিকাশ বলিয়া মনে করেন। মানবীয় দৈহিক সত্তায় ঐশী সত্তার প্রকাশই এক চিরন্তন রহস্য। আল্লাহর সকল সিফাত বা গুণ মানুষের মধ্যেই বিকশিত হয়। এই জন্যই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে সৃষ্টি জগতের উপর কর্তৃত্ব করিতেছে। মানুষ ব্যতীত কেহই আল্লাহর রহস্য উদঘাটন করিতে পারে না।

মাইজভান্ডারী তরিকা প্রতিষ্ঠা ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফ - এর গোড়াপত্তনঃ


হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তাঁর পীরে ত্বরিকতের নির্দেশে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন। আধ্যাত্মিক সাধক ও দোয়া প্রত্যাশীদের ভীড়ে এই সাধকের পবিত্র বাসগৃহ বিশ্ব মানবতার কল্যাণধারক এক উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয়। লোকসমাজে পরিচিতি পায় 
মাইজভান্ডার দরবার শরীফ হিসেবে। হযরত কেবলার (কঃ) অসংখ্যা কারামতের ঘটনা বিভিন্ন গ্রন্থে ও লোকমুখে প্রচারিত। যেমনঃ (১) হযরতে আধ্যাত্মিক প্রভাবে মোহছেনিয়া মাদ্‌রাসা প্রতিষ্ঠা ও মোদার্‌রেছ নিযুক্তি। (২) হযরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে এক রাতে মক্কা শরীফ হতে চট্টগ্রাম শহরে হাজীর প্রত্যাগমন। (৩) হযরতের বেলায়তী ক্ষমতায় বাহুতে হাত রেখে জনৈক হাজীর অলৌকিক ভাবে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন (৪) হযরতের আধ্যাত্মিক প্রভাবে বাঘের মুখে লোটা নিক্ষেপে ভক্ত উদ্ধার (৫) হযরতের বেলায়তী প্রভাবে মৃত্যূকালে আজরাইল ফেরত ও ষাট বৎসর আয়ু বৃদ্ধি। (৬) হযরতের আদেশে রেয়াজ উদ্দিন উকিলের ভূ-সম্পত্তি খরিদ ও রেয়াজ উদ্দিন বাজারের পত্তন। (৭) হযরতের আশ্চর্য্য কেরামতে বগলের নীচে কাবা শরীফে মুছল্লির প্রবেশ করতে দেখা -ইত্যাদি। এই ধরনের উচ্চমার্গীয় কেরামত গাউছে আজমিয়তের পরিচয় বহন করে।

১. নূর ও হাকিকত সম্বন্ধে আলোচনা।
২. নূর বিষয়ক শৃঙ্খলা।
৩. নূরুল আনোয়ার, আনোয়ারে কাহিরা, আনোয়ারে মুর্জারাদা সম্পর্কে আলোচনা।
৪. বরজখের প্রকার ভেদ ও নমুনা।
৫. নবুয়াত, মনামত, মাআদ (প্রত্যাবর্তন) বিষয়ক আলোচনা।

উক্ত পাঁচ বিভাগে রমুজ ও ইশারার সংক্ষিপ্ত আলোচনা রহিয়াছে। নূর ও জুলমাত সম্বন্ধে বিস্তারিত ব্যাখ্যা রহিয়াছে। তিনি নূর বলিতে রূহ, জুলমাত বলিতে শরীর এবং আনোয়ার আক্লকে বুদ্ধিবৃত্তি বলিয়া ব্যক্ত করিয়াছেন। আক্ল দ্বারা উকুলে আফলাক - ইহার দ্বারা আনোয়ারে কাহিরা এবং আনোয়ারে মুর্জারাদার সংক্ষিপ্ত আলোচনা পরিবেশিত হইয়াছে। আলমে বরজখ দ্বারা আলমে আজসাম বুঝাইয়াছেন। এই ভাবে: জাতে এলাহী, সিফাতে আফয়াল, লজ্জত (স্বাদ), মারেফাত, হেকমতে ইলমে কালাম, দর্শন ও তাসাউস ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করিয়াছেন।

কুরআন-হাদিসের সূক্ষ্ম রহস্য পূর্ণ আয়াত ও হাদিস শরীফের উপর প্রতিষ্ঠিত দর্শন ও তরিকা। ইরান, ইরাক সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই তরিকার অনুসারী রহিয়াছেন।


আরও খবর



ডিসেম্বরে এলো দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বরে আগের বছরের চেয়ে ৬৪ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে, গত জুন মাসে গড়ে দৈনিক ৮ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ মাসে ব্যাংকগুলো ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

অবশ্য সাড়ে চার বছর আগে একক মাস হিসাবে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডি‌সেম্বর সময়ে অর্থাৎ ৬ মাসে এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি ডলার এবং নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


আরও খবর



ফের একসঙ্গে খেলবেন মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ক্লাব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ত্রয়ী– ‘এমএসএন’। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও লুইস সুয়ারেজের সেই আক্রমণত্রয়ী যেকোনো ক্লাবের জন্য ছিল আতঙ্কের নাম। নানা ঠিকানা বদলের পর মেসি ও সুয়ারেজ ফের একসঙ্গে খেলছেন ইন্টার মায়ামিতে। তবে এখনও বিচ্ছিন্ন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। পুরোনো দুই বন্ধুর সঙ্গে আবারও একত্রে খেলতে পারেন বলে তিনি নতুন করে আভাস দিয়েছেন!

গত বছর আলোচনার কেন্দ্রে ছিল— সৌদি ক্লাব আল-হিলাল ছেড়ে এই সেলেসাও তারকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেবেন। মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে এমএলএসের ক্লাবটিতে তার পুনর্মিলন নিয়ে আগ্রহও দেখিয়েছেন ভক্তরা। তবে সেই আলোচনা চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি। আবারও সেই প্রসঙ্গ উঠেছে নেইমারের সামনে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন স্পোর্ট ফের ‘এমএসএন’-ত্রয়ী দেখা যাবে কি না সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল।

জবাবে নেইমার বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই মেসি এবং সুয়ারেজের সঙ্গে একত্রে খেলতে পারা অবিশ্বাস্য কিছু। তারা আমার বন্ধু। আমরা এখনও পরস্পরের সঙ্গে কথা বলি। সেই ত্রয়ী-আক্রমণ (এমএসএন) আবারও পুনরিজ্জীবিত করা খুবই উপভোগ্য হবে। আমি আল-হিলালে খুশি, সৌদি আরবে ভালো আছি। তবে কে জানে, ফুটবল তো বিষ্ময় ও চমকে পরিপূর্ণ।’

পিএসজি ছেড়ে কেন সৌদি ক্লাবকে বেছে নিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান, ‘যখন আমার পিএসজি ছাড়ার খবর প্রকাশিত হয়, সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রান্সফার (দলবদল) উইন্ডো বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমার হাতে কোনো বিকল্প সুযোগ ছিল না। পরে আমাকে তারা (সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল) যে প্রস্তাবনা দেয়, সেটি খুব ভালো ছিল। শুধুমাত্র আমার জন্য নয়, আমার পরিবারের জন্যও। তাই সৌদি আরবে যাওয়া ছিল সবচেয়ে ভালো বিকল্প।’

মেসি-সুয়ারেজের চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট নেইমার, তবে বেশ কয়েক বছর বার্সায় একত্রে তিনজনের আক্রমণ-ত্রয়ী অন্যরকম বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা গড়ে দিয়েছিল। তবে নেইমার আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার তাদের চেয়েও আরও দীর্ঘায়িত করার সুযোগ পাচ্ছেন। দুই ল্যাটিন আমেরিকান তারকা মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গেও এমএলএসের ক্লাব মায়ামির চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সাল (পুরো বছর) পর্যন্ত। অন্যদিকে, আল-হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে।

প্রসঙ্গত, বয়সে ছোট হলেও, নেইমারের ক্যারিয়ার ইনজুরিতে জরাজীর্ণ। এক বছরেরও বেশি সময় ইনজুরিতে কাটানোর পর গত অক্টোবরের শেষদিকে মাঠে ফিরেছিলেন আল-হিলালের এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে আবারও তিনি চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন। ফলে নতুন বছরের আগে তিনি আর ক্লাবটির জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি। সম্প্রতি আল-হিলালের হয়ে প্রীতি ম্যাচে নেমে অবশ্য গোল পেয়েছেন নেইমার। ক্লাবটিতে তিনি আর কতদিন থাকবেন কিংবা তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে সেটি সময়ই বলে দেবে!


আরও খবর

টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়লেন শান্ত

রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫




২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৪২ কোটি ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশে চলতি ডিসেম্বরের মাসের গত ২৮ দিনে বৈধপথে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে ; দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশে রেকর্ড প‌রিমাণ প্রবাসী আয় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একক মা‌সে এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের ২৮ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডি‌সেম্বর সময়ে (২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত) এক হাজার ৩৫৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি ডলার এবং সবশেষ নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।


আরও খবর



মিউজিক ফেস্ট দিয়ে পর্দা উঠছে বিপিএলের

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। তার এক সপ্তাহ আগেই বিপিএলের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। সোমবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএল মিউজিক ফেস্ট ২০২৫। বিসিবির এই আয়োজন ঘিরে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। নতুন রূপে সেজেছে হোম অব ক্রিকেট।

রাতের এই জমকালো আয়োজনে প্রধান আকর্ষণ কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। সুর ও উন্মাদনার এই রাত হবে নতুন রূপে সাজানো বিপিএলের উদ্বোধন। এটি কেবল সঙ্গীত ও ক্রিকেটের এক মিলনমেলা নয়, বরং বাংলাদেশের কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক বিশেষ আয়োজন।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ রাহাত ফতেহ আলী খানের আবেগময় কণ্ঠে মুগ্ধ হতে প্রস্তুত দর্শকরা। তার পারফরম্যান্সের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গুনছে প্রায় ৩.৪ কোটি টাকা, যা অনুমোদন পেয়েছে গত শনিবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায়।

এ ছাড়া মঞ্চে পারফর্ম করবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী মাইলস, জেফার, অ্যাভয়েডরাফা এবং মুজা। বিপিএলের থিম সং ‘এলো বিপিএল’-এর সহপ্রযোজক মুজা ও অ্যাভয়েডরাফা। তাদের পারফরম্যান্সে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের অপূর্ব মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে, যা বিপিএলের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়াবে।

মিরপুরের পর চট্টগ্রাম ও সিলেটেও আয়োজন করা হবে মিউজিক ফেস্ট। তবে রাহাত ফতেহ আলী খানের পারফরম্যান্স থাকবে একমাত্র মিরপুর মঞ্চেই, যা এই আয়োজনকে করেছে আরো বিশেষ। স্টেডিয়ামের গেট খুলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে, যাতে দর্শকরা আগেভাগেই এসে উপভোগ করতে পারেন পুরো আয়োজন।

বিপিএলের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে মিরপুর স্টেডিয়ামকে। পুরোনো স্থাপনায় রং করানো এবং গেটগুলোর সমানে বিভিন্ন ব্যনার দিয়ে সাজানো হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বাসাবোতে

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ২২২ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। এ সময় ঢাকার বাতাসে পিএম২-এর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের চেয়ে ২৯.৩ গুণ বেশি রয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

এ সময় ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে বাসাবো এলাকায়। ৩৩৯ একিউআই স্কোর নিয়ে এই এলাকার বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় এরপরে রয়েছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা (২৯৮), ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এলাকা (২৫৫), কল্যাণপুর (২৪৬), গুলশান ২-এর রব ভবন এলাকা (২৩০), বেচারাম দেউড়ি (২২২), গুলশান লেক পার্ক (২২২), তেজগাঁওয়ের শান্তা ভবন এলাকা (২১৫), মহাখালীর আইসিডিডিআরবি (২০২) এলাকায় বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

এদিকে আজ সকাল ৯টায় বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তানের কাবুল (২২৮)। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা (২২২), তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (২১৫) ও মিসরের কায়রো (২১৪)। এ সময় শহরগুলোতে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস বিরাজ করছে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান।

সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর