Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সহজে খাবার গরম করার জন্য সাধারণত আমারা মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করি। কিন্তু কিছু কিছু খাবার ওভেনে গরম করা স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর।


জেনে নিন যেসব খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা ক্ষতিকর

১। সবজি : সবজি গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভিতর ঢোকানো উচিত নয়। বিশেষ করে কাঁচা সবজি মাইক্রোওয়েভের ভিতরে ঢোকালে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২। সেদ্ধ ডিম : আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা ডিম খোসা সমেত কোনও মতেই ওভেনের ভিতর ঢোকানো যাবে না। এতে ডিমের খোসা ফেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে ওভেনের ভিতর। যদি সেদ্ধ ডিম গরম করতেই হয়, তবে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।

৩। পানি : আপেক্ষিক তাপের কারণে পানি ঠান্ডা হতে যেমন বেশি সময় নেয়, তেমনই গরম হতেও বেশি সময় নেয়। এর ফলে যে পাত্রে পানি থাকে, তার এক এক দিকে এক এক রকমের উষ্ণতা তৈরি হতে পারে। ফলে পাত্রটি ফেটে যেতে পারে।

৪। ওয়েফার ও চিপস : ওয়েফার ও চিপস মুচমুচে না হলে খেতে ভাল লাগে না। কিন্তু মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভিতর ঢোকালে এই ধরনের খাবার সরাসরি ঢোকালে উল্টো নেতিয়ে যায়।

৫। ফ্রিজের মাংস : ফ্রিজ থেকে বার করা মাংস সরাসরি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলে মাংসের ভিতরের অংশ কাঁচা থেকে যেতে পারে। তা ছাড়া এতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।


আরও খবর

প্রতিদিন লেবু খাবেন কেন

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

জেনে নিন ডালিমের উপকারিতা

সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩




অবরুদ্ধ বিএসএমএমইউ ভিসি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কর্মচারীদের সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে তার কার্যালয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ কর্মচারী অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীরা

শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে কর্মচারীরা শারফুদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ অবরুদ্ধের কথা অস্বীকার করেছেন

কর্মচারী নেতা দিপু বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে তার রুমে অবরুদ্ধ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমরা একটি কর্মচারী নীতিমালা চাচ্ছি। বর্তমান প্রশাসন গত তিন বছর ধরে টালবাহানা করে সময় পার করছে। বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামী ২৮ মার্চ শেষ হবে। অথচ তিনি এখনও বলছেন তোমরা কাজে যাও আমি দেখব।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা না রাখার অভিযোগ করে তিনি বলেন, বর্তমান উপাচার্যের সময়কালে সর্বশেষ সিন্ডিকেটের সভা আগামী ২০ তারিখ। সেটা সমস্ত অবৈধ কাজের মধ্যে করে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে টালবাহানা।

তবে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ অবরুদ্ধ হয়নি বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ

বিষয়ে জানতে চাইলে জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত সুব্রত বিশ্বাস ঢাকা মেইলকে বলেন, একটা জটলা রয়েছে। কর্মচারীরা কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে স্যারের কাছে এসেছে। তবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্যারসহ আমাদের কার্যালয়ে লোকজন আসা যাওয়া করছে

জনসংযোগ বিভাগের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনরতরা। তারা জানান, উপাচার্য ভেতরে আছেন। আমরা এখানে ৪০০-৫০০ জন কর্মচারী অবস্থান করছি। জনসংযোগ বিভাগ টাকা খেয়ে ভিসির অনৈতিক কাজে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে


আরও খবর



নওগাঁয় চোরাই অটোভ্যান উদ্ধার সহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ জন আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অটোভ্যান চুরির সাথে জড়ীত আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ জন সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই একটি অটোভ্যান উদ্ধার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। শনিবার বিকেল ৩ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন চোর চক্রের সদস্যদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, মহাদেবপুর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত চৌকশ পুলিশ টিম শুক্রবার দিবাগত রাতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা অটোভ্যান চোর দলের সক্রিয় সদস্য বদলগাছী উপজেলা কুশারমুড়ি গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৩), তার ছেলে আশিকুর রহমান (২১) ও পত্নীতলা উপজেলার মধইল বটতলা গ্রামের হাসু মন্ডলের ছেলে, বর্তমানে বদলগাছীর বালুভরা দোনাইল গ্রামের আবুল হোসেন (৪৭) কে আটক করেন। অভিযান কালে আটককৃতদের কাছ থেকে একটি চোরাই অটোভ্যান উদ্ধার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ। উল্লেখ্য যে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ ইউপির বাগডোব বাজার মসজিদের কাছ থেকে অটো চার্জার ভ্যান চুরি হয়। এ বিষয়ে রামচরণপুর গ্রামের মৃত মজিদুর মন্ডলের ছেলে এলিছ মন্ডল আজ্ঞাতনামা আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। 


আরও খবর



চার মাসে মশার ঘনত্ব দ্বিগুণ হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে চলতি অর্থবছরে মশা মারার বাজেট ১৫৩ কোটি টাকা। আর মশা মারতে ড্রোনের ব্যবহারও করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। তারা সিঙ্গাপুর থেকে বিটিআই নামের এক ধনের ব্যাকটেরিয়াও আমদানি করেছে। তারপরও মশার দাপট কমছে না।

এডিস মশার পর মার্চের শুরু থেকেই কিউলেক্স মশার কামড়ে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে রাতে এখন সব সময়ই মশার কামড়।

ঢাকার অন্যান্য এলাকারও একই অবস্থা। তবে যেসব এলাকায় ডোবা, নালা বা খাল বেশি সেখানে মশাও বেশি।

অবশ্য দুই সিটি কর্পোরেশনই দাবি করছে, তারা মশা নিধনে ব্যাপক কাজ করছে এবং মশা আগের চেয়ে কম।

মশার ঘনত্ব দুই গুণ হয়েছে


গবেষণা বলছে, এখন ঢাকায় কিউলেক্স মশার ঘনত্ব ৯৯ ভাগ। এর মানে হলো এক শ
টি মশার মধ্যে ৯৯টি কিউলেক্স মশা। আর গত চার মাসে এই ঘনত্ব বেড়েছে দ্বিগুণ। কিউলেক্স মশা ড্রেন, নর্দমা, ডোবা ও ময়লা পানিতে বংশ বিস্তার করে। এই মশার কামড়ে ফাইলেরিয়া রোগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার।

 

অধ্যাপক কবিরুল বাশারের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক ঢাকার ছয়টি স্পটে ১২টি ফাঁদের মাধ্যমে মশা সংগ্রহ করছে। নভেম্বরে গড়ে প্রতিটি ফাঁদে দুই শ করে মশা ধরা পড়েছে। ডিসেম্বরেও গড় সংখ্যা মোটামুটি একই ছিল। তবে জানুয়ারি থেকে এ সংখ্যা তিন শ হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে ৩৮৮ ও চলতি মার্চে এই সংখ্যা ৪২০টিতে ঠেকেছে। ঘরের ভেতর ও বাইরে আলাদা দুটি ফাঁদে সপ্তাহে একবার করে মাসে চারবার মশা সংগ্রহ করে হিসাব করে গড় বের করা হয়। গবেষণায় গড়ে প্রতি ফাঁদে মিলছে ৪২০টি মশা। সবচেয়ে বেশি উত্তরা ও দক্ষিণখান এলাকায় গড়ে পাঁচ শ মশা ধরা পড়েছে।

কবিরুল বাশার বলেন, গত বছরের তুলনায় এই সময়ে মশা বেড়েছে কী না তা তুলনা করার জন্য কোনো পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ২০ ভাগ মশা বেড়েছে। আর সাধারণভাবে নাগরিকেরা মশা বাড়ার কথা বলছেন।

 

তার কথা, ঢাকার ড্রেন ও নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে মশা বেড়েছে। আর মশা ও মশার লার্ভা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

দক্ষিণ সিটি যা বলছে


কিন্তু এই গবেষণার সাথে একমত নন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির। তিনি বলেন,
গবেষণায় কী পাওয়া গেছে তা গবেষকের ব্যাপার। তার গবেষণার সাথে আমি একমত নই। মার্চ মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় মশক পরিস্থিতি যেকোনো বছরের তুলনায় ভালো এবং পরিস্থিতি আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। বিচ্ছিন্নভাবে আমরা দুই-একটি এলাকা থেকে অভিযোগ পাচ্ছি। সেখানে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আর আমরা কিউলেক্স মশার প্রজনন ক্ষেত্র ড্রেন, নর্দমা, ডোবা, খাল নিয়মিত পরিষ্কার রাখছি। এছাড়া সকালে মশার লার্ভা নিধনের জন্য লার্ভিসাইট, বিকেল বেলা উড়ন্ত মশা নিধনের জন্য নিয়মিত ফগিং করছি, বলেন এই কর্মকর্তা।

আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, কবিরুল বাশার ছাড়া আর কেউ তো মশা নিয়ে গবেষণা করেন না। ফলে তার গবেষণা তো আমাদের তুলনা করার সুযোগ নাই যে মশা বেড়েছে না কমেছে। তবে সাধারণভাবে দেখলে এটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই যে মশা বেড়েছে।

তার কথা, মশা নিধনে আমাদের নানা ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে এর সাথে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও খাল বিলের সম্পর্ক আছে। আমাদের উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তিন হাজার বিঘার মতো জলাশয় আছে। এগুলোর অধিকাংশ রাজউক, পিডিবিসহ আরো কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের। যেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা তাদের দায়িত্ব।

খরচ বাড়ে, মশাও বাড়ে


ঢাকার দুই সিটির চলতি অর্থ বছরে মশা মারার বাজেট ১৫২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে উত্তরের ১২১ কোটি ৮৪ লাখ আর দক্ষিণের ৩১ কোটি এক লাখ টাকা। আর গত ১২ বছরে ঢাকার মশা মারার আয়োজনে খরচ হয়েছে এক হাজার দুই শ
কোটি টাকা। এই বাজেটের টাকা মশা নিবারণের নানা যন্ত্রপাতি, কীটনাশসহ আরো অনেক কাজে ব্যয় হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) ১০টি অঞ্চলে ৭৫টি ওয়ার্ড। মশানিধনে ১৫০ জন মশক সুপারভাইজারসহ এক হাজার ৫০ জনবল কাজ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলে মোট ৫৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ৭৫ জন মশক সুপারভাইজারসহ প্রায় ছয় শ জনবল আছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, কার্যকর মশা নিধনের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি কর্পেরেশনের। তারা যদি যৌথ এবং সমন্বিতভাবে এ কাজটি করতো তাহলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যেত। তাদের কৌশলগত পরিকল্পনা দরকার। পাশাপাশি দরকার নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করা।

তার কথা, ঢাকার জলশয়, খাল ময়লা দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে। ড্রেন, নর্দমা অপরিষ্কার। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। পানির চলাচল রাখতে হবে। আর মশা নিধনে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা ল্যাবরেটরিতে এবং ফিল্ড লেভেলে পরীক্ষা করে ব্যবহার করা দরকার।

অধ্যাপক কবিরুল বাশারের কথা হলো, ড্রেন ও নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে মশা বেড়েছে। অনেক জলাশয়ে প্রচুর কচুরিপানা। এসব কচুরিপানায় মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের উচিত এখনই ড্রেন ও খালের লার্ভা ধ্বংস করতে গাপ্পি মাছ ছেড়ে দেয়া। গাপ্পি মাছ ময়লা পানিতেও ভালো থাকে এবং মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে।

দরকার আগাম প্রস্তুতি


মশার প্রাদুর্ভাব শুরু হলেই সিটি কর্পোরেশনের হাঁকডাক শুরু হয়ে যায়। তারা নানা কথা বলে, পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে। মশা মারতে ড্রোন, রোড শো, পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মীদের শরীরে অত্যাধুনিক বডি ক্যামেরার সংযোজন, হাঁস, পাখি, গাছ ও মাছের ব্যবহার করে চমক দেখায়, কিন্তু মশা কমে না। এখন কিউলেক্স-এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন,
মশার কারণে এখন সারা বছরই ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। তাই মশা নিধনের কাজ সারা বছরই করতে হবে। আমরা কাজ ছাড়া আর কোনো কথা শুনতে চাই না।

তার কথা, মশা নিধনের তিনটি উপায়। পরিবেশগত, রাসায়নিক এবং বায়োলজিক্যাল। এই তিনটি প্রক্রিয়া সব সময় কাজে লাগাতে হবে। আমরা দেখছি, মশা মারার ওষুধে মশা মরে না। তাই ল্যাবরেটরিতে যে রাসায়নিকে মশা মরছে সেটা বাস্তবে ব্যবহার করা হয় কী না তা দেখা দরকার।

এই কিউলেক্স মৌসুম শেষ হলে আবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হবে। গত বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ৷ এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যার মধ্যে ৯৮০ জনই ঢাকায় মারা গেছেন।

ঢাকার দুই সিটির মধ্যে উত্তর সিটিতে সম্প্রতি একজন কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি অবশ্য এখনো মশার ব্যাপারে কিছু জানেন না। সোমবার তার কাছে মশার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানেন। আর দক্ষিণে কোনো কীটতত্ত্ববিদ নাই।

কবিরুল বাশার মনে করেন, তাদের কীটতত্ত্ববিদ থাকা দরকার এবং মশা নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত বলেন, সিটি কর্পোরেশন মাঝে মাঝে সহায়তা চায়। আমরা তখন আমাদের এক্সপার্টদের পাঠাই। তবে মশার ব্যাপারে আমাদের ভালো এক্সপার্ট নেই।


আরও খবর



রেকর্ড ব্যবধানে পুতিনের বিজয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ দশমিক শতাংশ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন স্থানীয় সময় রবিবার বুথ ফেরত জরিপে তথ্য উঠে এসেছে

গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। রবিবার সবশেষ দেশটির সবচেয়ে পশ্চিমে বাল্টিক সাগরের তীরে কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর বুথ ফেরত জরিপের ফল প্রকাশ করে রাশিয়ার সরকারি জরিপ সংস্থা ভিটিএসআইওএম। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার আগে জরিপ করা হয়

এবারের নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার ২০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে যাচ্ছেন পুতিন। ১৯৯৯ সালের প্রথম ক্ষমতায় বসেছিলেন তিনি। এরপর থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন
নির্বাচনে পুতিন যে নিরঙ্কুশ জয় পাবেন, তা নিয়ে অবশ্য কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ, তার বেশির ভাগ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীই হয় মারা গেছেন, না হয় নির্বাসনে বা কারাগারে রয়েছেন। এরপরও পুতিনের বিরুদ্ধে কেউ সোচ্চার হলে, তাকে সরকারের দমনপীড়নের মুখে পড়তে হয়েছে

নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, এই সমর্থনের জন্য এবং আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য আপনাদের সবাইকে, সব নাগরিককে ধন্যবাদ জানাতে চাই

পুতিন বলেন, তারা যতই আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করুক, আমাদের ইচ্ছা-চেতনাকে দমন করার চেষ্টা করুকইতিহাস বলে, কেউই এমন কিছু করে কখনো সফল হয়নি। তাদের প্রচেষ্টা এখনো কাজে দিচ্ছে না, ভবিষ্যতেও দেবে না

এদিকে পুতিনের জয়ের সমালোচনা করেছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। এই নির্বাচনঅবাধ সুষ্ঠুহয়নি বলে মন্তব্য করেছে জার্মানি। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পুতিন তার রাজনৈতিক বিরোধীদের কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন, আর অন্যদের তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়াতে বাধা দিয়েছেন


আরও খবর



রমজানে যুদ্ধবিরতি হলো না গাজায়

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গতকাল রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ার পর সোমবার থেকে রোজা শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে; কিন্তু রমজানের চাঁদ রাতেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন অবধি পেরিয়েছে ৬ মাস। এ ছয় মাসে গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণের পাশাপাশি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্যের সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্য ও চিকিৎসা পণ্যের অভাবে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজায়।

গাজার ভৌগলিক আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। এ উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিমে ইসরায়েল সীমান্ত, দক্ষিণে মিসর সীমান্ত এবং পূর্বদিকে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। ২০০৫ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর থেকে উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিম সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে। এতদিন পর্যন্ত উপত্যকায় খাদ্য-ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার সরবরাহ দক্ষিণে মিসরীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতো; কিন্তু এখন সেই সীমান্তপথটিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ওপেন আর্মস নামের স্পেনভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা ভূমধ্যসাগর পথে সম্প্রতি ২০০ টন খাদ্য ও ওষুধবাহী একটি জাহাজ গাজা উপত্যকার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে ভূমধ্যসাগরীয় দেশ সাইপ্রাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরশহর লারাঙ্কায় রয়েছে, সোমবারের মধ্যে সেটি গাজার উপকূলের কাছাকাছি থাকবে। গাজার উপকূলে পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রাণপণ্য খালাস করা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ওপেন আর্মস।

খাদ্যের অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়া গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, কানাডা ও অন্যান্য দেশ বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা শুরু করেছিল, কিন্তু জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা বিভাগ জানিয়েছে, উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৪ লাখ ফিলিস্তিনি জনগণের সবার কাছে ত্রাণ পৌছানোর জন্য বিমানের চেয়ে সড়ক পথ বেশি উপযোগী।

গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধের শুরু থেকে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। চলতি মার্চের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আসন্ন রমজানে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে গাজায়। এই বিরতির সময় উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহে কোনো বাধা দেবে না ইসরায়েলি বাহিনী এবং তার পরিবর্তে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০০ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

কিন্তু বহু আকাঙিক্ষত সেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আর হয়নি; আর চুক্তি না হওয়ার জন্য ইসরায়েলের এবং হামাস উভয়ই পরস্পরকে দায়ী করছে। হামাসের দাবি ছিল যে যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পুনরায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গতকাল চাঁদরাতে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান অভিযানে গাজার মধ্যাঞ্চল গাজা সিটিতে ১৩ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে গাজা উপত্যকায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির যেসব শর্ত দিয়েছিল, হামাস সেসবের বিপক্ষে। তাই বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে সর্বাত্মক অভিযান চলছে, তা রমজানেও অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে, তবে গাজায় যে হারে বেসমারিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন তাতে দিন দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে অভিযান পরিচালনা করছে, তা ইসরায়েলকে সহায়তার পরিবর্তে ক্ষতি করছে বেশি। গাজার বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি ঠেকাতে ইসরায়েলি বাহিনীর আরও মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও জানান, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে ইসরালের জনগণের সঙ্গে এ ইস্যুতে তিনি সরাসরি মতবিনিময় করতে আগ্রহী।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও সব পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য ইসরায়েল ও হামাসের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহ রয়েছে।

আমরা আশা করছি রমজানের মাঝামাঝি এ ইস্যুতে একটি মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হবে, এএফপিকে বলেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র : এএফপি


আরও খবর