বাংলাদেশ মালয়েশিয়া রুটে বিমান ভাড়া নিয়ে শুরু হয়েছে অরাজকতা। চাহিদা বেশি থাকায় সিন্ডিকেট করে ভাড়া কয়েক গুণ বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রয়োজনে সরকারে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন যাত্রীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা। এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ অবশ্য বলছেন,
ভাড়া ভাড়ানোর বিষয়টি নতুন নয় তবে এবার তা লাগাম ছাড়া ।
ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএসবাংলা ছাড়াও মোট পাঁচটি কোম্পানি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সপ্তাহে অর্ধশতাধিক ফ্লাইট দুই শহরের মধ্যে যাত্রী পরিবহন করে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স ঢাকায় ট্রানজিট দিয়ে এ রুটে যাত্রী পরিবহন করে।
গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী,
জানুয়ারিতে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ইকোনমি ক্লাসে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের গড় ভাড়া ছিল ৯০ হাজার টাকার বেশি। অথচ এই ভাড়াই দুই মাস আগে ছিল ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। ট্রাভেল এজেন্টরা বলছেন,
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীর কাজের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ পাড়ি জমাচ্ছেন। সেই সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো টিকিটের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুধু কর্মী যাবার চাপ নয় ডলার এবং তেলের দাম বৃদ্ধিও টিকেটের দাম বাড়ার কারণ। তবে এমন লাগামহীন বৃদ্ধির ফলে কর্মী যাবার গতি কমেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মন্ত্রণালয়ও।বর্তমানে দৈনিক পাঁচ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যাবার ভিসা হয়। কিন্তু ভাড়া বৃদ্ধির কারণে অনেকেই দেশটিতে যেতে পারছেন না