Logo
শিরোনাম

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে একান্ত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছানোর পরপরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একান্ত (ওয়ান টু ওয়ান) সংক্ষিপ্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, একান্ত এ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি তার পুরোনো বন্ধু আনোয়ার ইব্রাহিমকে ঢাকায় স্বাগত জানাতে পেরে খুবই খুশি।

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-জনতার বিপ্লব, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এবং আগের সরকারের নৃশংসতার কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তার সহযোগিতা এবং মালয়েশিয়ার নেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

একান্ত বৈঠক শেষে দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু একই গাড়িতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের স্থান হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান। হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে দুই দেশের সরকারপ্রধান যৌথ বিবৃতি দেবেন।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




হাতবদলেই চালের দাম বাড়ে ৩০৭ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তার পাতে ওঠা পর্যন্ত হাতবদলের কারণে শুধু সরু চালের দাম বৃদ্ধি পায় ৩০৭ শতাংশ।

স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত সব ধরনের নিত্যপণ্যেও একই অবস্থা, বিশেষ করে মোটা চাল, পেঁয়াজ, আদা-রসুন, রুই মাছ, ডাল, আলু, কাঁচামরিচ, হলুদ ও শুকনা মরিচের দামের ক্ষেত্রে

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়

২০ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৮টি বিভাগের ৪৯টি জেলায় যেখানে ৬০০ জন উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় ২১টি খাদ্যপণ্যের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১২টি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, ৫টি আমদানিকৃত এবং বাকি ৪টি স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি করা হয়

গবেষণার তথ্যমতে, ভালো মানের এক কেজি মোটা চাল উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ খরচ পড়ে ২৬ টাকা। সেই চাল কৃষক বিক্রি করে ৩২ টাকায়। ভোক্তাদের সেই মোটা চাল কিনতে হয় ৬০ টাকায়। অর্থাৎ শুধু হাত বদলে মোটা চালের দাম ২১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় বা ২৮ টাকা

একইভাবে প্রতি কেজি সরু চালের দাম পার্থক্য প্রায় ৪০ টাকা, পেঁয়াজের ৪০ টাকা, রুই মাছের ১২০ টাকা, ডালে ৩০ টাকা, আলু ২৯ টাকা, কাঁচামরিচ ৭২ টাকা এবং হলুদে ১০০ টাকা


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




একজন মানুষকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছানোর কাজটি অনেক কঠিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শরিফুল হাসান, অভিভাষণ বিশ্লেষক :

এ যেন নাটক-সিনেমার কোন দৃশ্য! দীর্ঘ ২৫ বছর পর বাবার সঙ্গে সন্তানদের দেখা। সন্তানের সঙ্গে বাবার। ওপরওয়ালার কাছে কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা গণমাধ্যমসহ আপনাদের সবার প্রতি। কৃতজ্ঞতা ব্র্যাকে আমাদের সব সহকর্মীকে। দেশে ফেরার পর যে মানুষটি পরিবারই খুঁজে পাচ্ছিলেন না অবশেষে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে আমরা তাঁর পরিবারের সন্ধান পেয়েছি। আজ বিকেলে আবুল কাশেম নামের ওই বৃদ্ধকে তাঁর পুত্র ও কণ্যাসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে আমরা হস্তান্তর করতে পেরেছি। 


আপনারা যারা আমার আগের স্ট্যাটাস দেখেছেন তারা জানেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সৌদি আরব থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছিলেন এই বৃদ্ধ। কিন্তু তিনি নিজের ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। তাঁর কাছে পাসপোর্টও ছিলো না। অনেক কিছু ভুলে গিয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এই বৃদ্ধ সম্ভবত শুক্রবার দিবাগত রাতে জেদ্দা থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছেন। তাঁর কাছে কোন পাসপোর্ট ছিল না। তিনি ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেছেন। 


বিমাবন্দরের এপিবিএনর সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান রনি আমাদের ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যনেজার আল আমিন নয়ন ভাইকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানান। আমাদের সহকর্মী শাকিল বিমানবন্দরে গিয়ে বিমানবন্দরের উল্টো দিকে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসেন। শনিবার থেকে তিনি সেখানেই ছিলেন। 


আমাদের সেন্টারে আসার পর আমাদের সাইকোসোসাল কাউন্সিলর মাহমুদা ও মাশকুরা দীর্ঘক্ষণ তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। আমাদের কাউন্সিলিরা জানান, শারিরীকভাবে সুস্থ মনে হলেও তিনি ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত। এ কারণেই তিনি সঠিকভাবে তাঁর ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। তবে তিনি জানাচ্ছিলেন তাঁর নাম আবুল কাশেম। আমাদের ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যনেজার আল আমিন নয়ন, কেস ম্যানেজার রায়হান, ঢাকা সেন্টারের ম্যানেজার অনোয়ার ভাই, নয়ন ভাই, আখি আপা, নজরুল ভাই, নীলা আপাসহ সবাই লোকটার যত্ন নিতে থাকেন। 


শুনলে অবাক হবেন তাকে যখন পাই তিনি শারীরিকভাবেও অসুস্থ। কয়েকবার তিনি মলমূত্র ত্যাগ করে ভাসিয়েছেন। আমাদের সহকর্মীরা নিজের বাবার মতো করে খেয়াল রেখেছেন। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা আমারও আগেও পেয়েছি। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ, সিভিল এভিয়েশনসহ সবার সহযোগিতায় আমরা অতীতেও এ ধরনের কাজ করেছি। তবে এবার কোনভাবে আগাবো ঠিক নিশ্চিত ছিলাম না। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে লোকটাকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেব। 


আমি চট্টগ্রামে বড় হয়েছি এবং চট্টগ্রামের ভাষা নিজে গিয়ে যখন লোকটার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বললাম। চট্টগ্রামের ভাষা শুনে কাশেম চাচা আমাকে বোধহয় তাঁর আত্মীয় ভেবেছিলেন। তাই তিনি অনেক কথা বলতে থাকলেন। তিনি জানালেন তাঁর বাবার নাম নাম ফজেল আহমেদ। মা সাবানা। স্ত্রীর নাম বলছেন আমেনা। 


তবে নিজের ঠিকানা তিনি কখনো বলছেন চট্টগ্রামের নয়াবাজার। কখনো রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের গরিশংকরহাটের কথাও বলছেন। আবার বলছেন, চট্টগ্রামের নতুন বাজার হালিশহরের কাছে, ঈদগাহের মাঠ বউ বাজার এলাকায় তাঁর ছেলের তরকারির দোকান আছে। আমরা তাঁর বাড়ি কোথায় নিশ্চিত হতে না পারলেও ভাষা শুনে এটুকু বুঝতে পেরেছিলাম তার বাড়ি চট্টগ্রাম অঞ্চলে। 


আবুল কাশেম দাবি করছিলেন, তাঁর ৬ মেয়ে ও ৩ ছেলে রয়েছে। তাঁর তিন ছেলের নাম মান্নান, নূর হাসান, এনামুল হাসান। এর মধ্যে নূর হাসানের তরকারির দোকান আছে। ছোট ছেলে এনামুল হাসান দুবাই থাকেন। মান্নান সৌদি থাকেন বলে দাবি তাঁর। ৮-১০ জন নাতি নাতনি আছেন। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ ২৫ বছর দেশে নেই সঠিকভাবে সব বলতে পারছিলেন না। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। কথা বলেছি পুলিশের বিশেষ শাখায়। কিন্তু তাঁর কোন পরিচয়পত্র না কাগজ পাচ্ছিলাম না যেটি তাঁর ঠিকানা নিশ্চিত করে। 


আমি তখন পুরো ঘটনা জানিয়ে দুদিন অগেই ফেসবুকে পোস্ট দেই। অসংখ্য মানুষ পুরো ঘটনা শেয়ার করেছেন। যেহেতু তিনি চট্টগ্রামের ভাষায় কথা বলছিলেন কাজেই আমরা চট্টগ্রামের পুলিশসহ নানা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা তাঁর পরিবারের সন্ধানে গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা চাই। অনেকেই তাঁর বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। এরপরও আমরা পরিবারের সন্ধান পাচ্ছিলাম না। 


বিকল্প ভাবছিলাম তখন। ওই বৃদ্ধ কখনো চট্টগ্রামের হালিশহর, কখনো হাটহাজারী, নয়াবাজারসহ বেশ কিছু ঠিকানা বলছিলেন। তিনি যখন যেসব এলাকার কথা বলছিলেন আমাদের চট্টগ্রামের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মীরা সেসব এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন। ওই বৃদ্ধ বলছিলেন চট্টগ্রামের নয়াবাজার এলাকায় তাঁর ছেলে তরকারি বিক্রি করে। তখন একটা বিকল্প চিন্তা শুরু করলাম সেই পুরোনো আমলের চিন্তা। আমাদের চট্টগ্রাম টীমকে বললাম পরিবারের সন্ধান চাই শিরোনামে ছবিসহ শত শত পোস্টার বানানা। চট্টগ্রামে বিলি করে বেড়ান। 


আমাদের চট্টগ্রামের সহকর্মী মং, আনিকা, নানজীবাসহ সবাই এরপর চট্টগ্রাম শহরের হালিশহর, নয়াবাজার, বউবাজার, ঈদগাহ, পাহাড়তলী সহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে দেয়ালে দেয়ালে আমরা পোস্টার লাগান। আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম গণমাধ্যমকর্মীসহ সবার সহযোগিতায় আমরা তাঁর পরিবারকে খুঁজে বের করবোই। এসব পোস্টার দেয়ালে লাগানো ও বিতরণ করার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র (২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) আব্দুস সবুর লিটন ও তাঁর সহযোগী মুন্না যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, পোস্টারের ছবির লোকটিকে তিনি চিনতে পেরেছেন। 


এরপর আমাদের চট্টগ্রামের সাইকোসোসাল কাউন্সিলর নানজীবা ও আরেক সহকর্মী মং তাঁর অফিসে যান। তাঁদের সহযোগিতায় আমরা তাঁর ছেলে সবজি ব্যবসায়ী জনাব নূর হাসানের খোঁজ পাই। পরবর্তীতে কাউন্সিলর অফিসে নুর হোসেনকে আসতে বলে বুঝতে পারি জানতে পারি আবুল কাশেম তাঁর বাবা। আমরা এরপর তাঁর বাড়িতে যাই। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র দেখেও আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হই। 


নুর হাসানের কাছ থেকে আমরা পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলি। দুবাইতে থাকা তাঁর এক ছেলের সঙ্গেও কথা বলি। এরপর বৃদ্ধ আবুল কাশেমের ছোট মেয়ে রুমা বেগম ও তার স্ত্রী আমেনা বেগমের সাথে ঢাকা থেকে ভিডিও কলে কথা বলিয়ে দেই। এ সময় যে আবেগঘণ পরিবেশের সৃষ্টি হয় সেটি ভাষায় বলা কঠিন। এরপরই আমাদের লোকজনের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাকে নিতে ঢাকায় রওয়ানা হন। আজকে সকালে তাঁরা ঢাকায় এসে পৌঁছান। 


আজকে উত্তরায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে যখন বাবার সঙ্গে ছেলে-মেয়েদের দেখা হলো যেন স্বর্গ দেখলাম নিজ চোখে।আবুল কাশেমের বড় ছেলে নূর হাসান বাবাকে ফিরে পেয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ব্র্যাকসহ আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা। অনেকদিন ধরে বাবার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ছিল না। আমরা জানতাম না তিনি সৌদি আরবের কোথায় আছেন। তিনি যে দেশে এসেছেন সেটাও আমরা জানতাম না। পোস্টার দেখে ও স্থানীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্র্যাকের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হেয়। আমরা তার পরিবারের সদস্য হয়েও যা করতে পারিনি ব্র্যাক আমার বাবার জন্য তার চেয়ে বেশি কিছু করেছে। 


দীর্ঘদিন পর পরিবারকে পেয়ে আবুল কাশেম তাঁর সন্তানদের বারবার জড়িয়ে ধরছিলেন। তাঁকে নিতে আসা কন্যা পারভীন আক্তার বলেন, আমার বাবা যখন ২৫ বছর আগে সৌদি আরবে যায় অমার ছোট বোন রূমা তখন মায়ের পেটে। বাবার সঙ্গে আমাদের স্মৃতি খুব কম। আমরা এখন বাবাকে ফেরত পেলাম। আমাদের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। 

পরিবারকে হস্তানের সময় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ রাসেল তালুকদার, সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান রনি এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক মোঃ ফখরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা যা করছি আপনাদের সবার সহযোগিতায় করতে পেরেছি। 

আমি এই সুযোগে আমাদের ব্র্যাকের সব সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ গণমাধ্যমকে। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে ঠিকানাহীন একজন মানুষকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছানোর কাজটি কতো কঠিন সেটা আমরা যারা এমন কাজ করি তারাই বুঝতে পারি। কিন্তু আপনাদের সবার সহযোগিতায় অসম্ভব সেই কাজটাও আমরা করতে পেরেছি। 


আরও খবর



ঝুঁকির মুখে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

এম এস সেকিল চৌধুরী :

এগারো কোটির বেশি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশে কর্মরত দেড় কোটির বেশি প্রবাসী, যাদের রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ ও সামাজিক-পারিবারিক অবদান আমাদের দেশটাকে আর্থ-সামাজিকভাবে সবল করে রেখেছে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রেস ব্রিফিং ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবর অনুযায়ী দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিগত তথ্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে উন্মুক্ত হয়ে গেছে কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী মানুষের ব্যক্তিগত অর্থ লালসার কারণে। এ ঘটনা জাতিকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক যাদের এনআইডি কার্ড রয়েছে তারা ভীষণ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। অনেকের এনআইডি কার্ডে ছোটখাটো বানান বিভ্রাট ও তথ্যের ভ্রান্তি থাকার অবকাশ আছে। এ কারণে প্রবাসীদের পাসপোর্ট ও ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থান সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

প্রবাসীদের তথ্যভাণ্ডারের সম্ভাব্য অসঙ্গতির প্রধান কারণ হচ্ছে এ বিষয়ে আমরা প্রথম জেনারেশন এবং সম্যকভাবে অবহিত ছিলাম না সুতরাং ভ্রান্তিগুলো নির্মূল করে আদর্শ অবস্থানে আসতে আমরা এখনো সক্ষম হইনি। দ্বিতীয়ত: অনেকদিন আগে থেকে যারা বিদেশে থাকেন তাদের বিদেশের তথ্যাবলী ও দেশের তথ্যভাণ্ডারে থাকা তথ্যের সমন্বয়ে কিছু ঘাটতি আছে। এমতাবস্থায় দেশে থাকা তথ্য ভাণ্ডারের তথ্য বিদেশি নিয়োগকর্তা ও কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছালে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। 

দেশের অপরাপর জনগোষ্ঠীর তথ্যও অন্যদের কাছে থাকা নিরাপদ নয়। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।  বিশ্ব সম্প্রদায় যখন নিজেদের নাগরিকদের তথ্য ভাণ্ডার সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার জন্য নানা কর্মকৌশল গ্রহণ করছে, প্রতিনিয়ত নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করার জন্য নিয়ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের দেশের কতিপয় লোক নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে দেশ জাতির নিরাপত্তা বিক্রি করে দিচ্ছে এবং এ কাজে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল সহায়তা পাচ্ছে। কি বিভৎস্য ও ভয়ঙ্কর এই ঘটনা!

বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক নানা উপলক্ষে বাংলাদেশের বহু নাগরিকের বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ আছে বহির্বিশ্বের সঙ্গে। এই তথ্যপাচার এসব মানুষকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে। আর্থিক ও বৈষয়িক নানা ক্ষেত্রে এই তথ্য সংশ্লিষ্ট থাকায় মানুষ বিপদে থাকবেন। 

এমনিতেই আমাদের আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার নষ্ট করার জন্য প্রতিযোগী কতিপয় দেশ আমাদের নামে দেশে-বিদেশে নানা অপপ্রচার চালায়। আমরাও নানা রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য নিজ দেশকে জঙ্গিবাদের ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উত্থানের কথা বলে বেড়িয়েছি নিজেদের দলীয় রাজনীতির সুবিধা আদায়ের জন্য। এ সবই আমাদেরকে জাতি হিসেবে ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। 

উপরন্তু কতিপয় মানুষের অতি লোভ ও অসাধুতায় গোটা জাতির নিরাপত্তা আজ ঝুঁকিপূর্ণ, এ অবস্থায় দেশে ও বিদেশে অবস্থানকারী সকল নাগরিকদের ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেয়া যায় এ ব্যাপারে খাত-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই। এ ক্ষেত্রে যেকোনো বিলম্ব নানা বিপদ ডেকে আনতে পারে


আরও খবর



১৮ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স এলো ১৯ দিনে

প্রকাশিত:সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

দেশে বৈধ পথে অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার (১.৫৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ডলার বা ৯৬৮ কোটি টাকা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছেঅক্টোবর মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০ কোটি ডলারবিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮১ লাখ ডলারবেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৫ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার

আলোচিত সময়ে ১১ ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স পাঠাননি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএলবিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংকসিটিজেন্স ব্যাংকআইসিবি ইসলামিক ব্যাংকপদ্মা ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। আর বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংকন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানস্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংক

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারআগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরেতখন এক বছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার এসেছিল


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




নিরব ভূমিকায় স্থানীয় পৌর প্রশাসক ও নাভারণ হাইওয়ে থানা

ঝিকরগাছায় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে মহাসড়ক ও ফুটপাত

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় প্রভাবশালীদের দখলে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ও ফুটপাত। পৌর সদেরর বাজার সংলগ্ন এই মহাসড়কের ওপর ও সড়কের দু'পাশ গড়ে উঠেছে অবৈধ কিছু স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাট ও পাহাড় সমান উঁচু মালামাল নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ গাড়ি। রাস্তায় চলার কোনো অনুমতির নেই। প্রশিক্ষণবিহীন চালকদের অসাবধানতায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অভিভাবক হারিয়ে পথে বসছে একেকটি পরিবার। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটির ফুটপাত দখলে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাতে। এ বিষয়ে আইনগত ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও নিরব ভূমিকায় স্থানীয় পৌর প্রশাসন ও নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর লোক দেখানো এক-দুইদিন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে পৌর সদরের এই বাজারের কথা কর্তৃপক্ষের মনে থাকে না। কিন্তু স্থায়ী ভাবে উচ্ছেদ না করায় কোন লাভ হচ্ছে না। তবে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশি কয়েকবার উচ্ছেদ করার কথা বলা হলেও পরিশেষে সেটা সফল করা হয়। ক্রমাগতই সাধারণ মানুষের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে থানা পুলিশের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝিকরগাছা পৌর সদরের কৃর্তিপুর থেকে শুরু করে হাজেরালী বালিখোলা পর্যন্ত যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে উপর ওয়ান্ডিংওয়ার্কশপ, গাড়ী ধৌত করার স্থান, ফার্ণিচারের মালামাল, স’মিলের বড় বড় কাঠ, ঢেউ টিনের দোকানের টিন, হোটেল-রেস্তরা-ফাস্ট ফুড, বিভিন্ন ফলের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান, চা-পানের দোকান, জুতা-কাপড়ের দোকান সহ প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করেছে। এছাড়াও আরও বড় সমস্যা হল যশোর-বেনাপোলের ভাড়া চালিত বাস মহাসড়কের মাঝে রেখে যানজট সৃষ্টি ও মহাসড়কের উপর অবৈধ যানবহন বা থ্রি-হুইলার সংক্রান্ত গাড়ির স্ট্যান্ড। আর দু'পাশে দোকানপাট ও থ্রি-হুইলার সংক্রান্ত গাড়ির স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক ও মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে সংশ্লিষ্টরা অবৈধভাবে টোল আদায় করছে। ব্যস্থতম এই সড়কে ক্রেতা-বিক্রেতারা দাঁড়িয়ে ক্রয়-বিক্রি করছে বিভিন্ন পণ্য। গাড়ী আসলে অনেক সময় অসাবধনতাবসত তাড়াহুড়ো করে কেউ কেউ সরতেও পারেন না। যার ফলে ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। এত বিপদজনক হওয়া সত্যেও এসব দোকানের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে প্রশাসনের স্থায়ী নজরদারির অভাব রয়েছে।

নাভারণ হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রোকনুজ্জামান বলেন, আমি তো নতুন এসেছি। আমার একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব হবে না। আমি উপজেলা প্রশাসন ও আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি), এক্সক্লুসিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভার প্রশাসক নাভিদ সারওয়ার বলেন, আমি নুতন এসেছি। আমি আগে সেটাফ হয়েনি। তারপর এগুলোর বিষয়ের উপর বক্তব্য দেবো।


আরও খবর