Logo
শিরোনাম

মানবাধিকার উন্নয়নে জাতিসংঘে ৩০১ সুপারিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে ৩০১টি সুপারিশ করেছে বিশ্বের ১১০টি দেশ জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদেরইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)’ বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে প্রতিবেদনের খসড়া গৃহীত হয়েছে খসড়ায় অনেকগুলো দেশ থেকে একই বিষয়ে একই ধরনের সুপারিশ আসায় সংখ্যাটি এত বড়, প্রকৃত সুপারিশ এত বেশিসংখ্যক হবে না

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিলেও সুপারিশমালা অনুমোদনের সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। জেনেভায় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমান আইনমন্ত্রীর পরিবর্তে সভায় বক্তব্য দেন

বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে তার সিদ্ধান্ত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার পরিষদের ৫৫তম অধিবেশনের আগেই জানিয়ে দেবে

এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, বহুল আলোচিত গুমবিষয়ক সনদ নির্যাতনবিরোধী সনদের অতিরিক্ত চুক্তি অনুমোদন, গুমের ঘটনাগুলোর স্বাধীন স্বচ্ছ তদন্ত, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত এবং দোষীদের বিচার সাজার ব্যবস্থা করা

সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপ সব ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংশোধন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সভা সংগঠনের অধিকার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা, অবাধ, সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, মানবাধিকাররক্ষী, নাগরিক সমাজ বা এনজিও সদস্যদের হয়রানি ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করা, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ, নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধে আইন সংশোধন

এছাড়াও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা, বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়ন, ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ঘোষণা, শ্রমিকদের আইএলও স্বীকৃত সব অধিকার নিশ্চিত করা ইত্যাদিও রয়েছে সুপারিশে

গত সোমবার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর পর্যালোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে তৃতীয় ইউপিআরে উঠে আসা ১৭৬টি সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। এরপর জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১০টি দেশ তাদের মূল্যায়ন সুপারিশ তুলে ধরে

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নির্বাচন, শ্রম অধিকার, ভিন্নমত দমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি না থাকার বিষয়গুলোতে বেশি জোর দিতে দেখা গেছে

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা :  প্রকৃতিতে শীতের আমেজ ও বছরের শেষ সময় পর্যটন মৌসুমের শুরু হিসেবে ধরা হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আগমন নেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায়। গত মাসের মধ্যবর্তী সময়ও জেলার যেসব পর্যটন কেন্দ্র সকাল-সন্ধ্যা কোলাহল মুখর ছিল, সেসব স্থান এখন নীরব।

গত অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। অলস সময় পার করছেন জেলার দেড় শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস, মোটেল, রিসোর্টের কর্মীরা। এতে প্রতিদিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমেদ। এতে মৌসুমের শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটগুলো হলো কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরী পাড়া, হামহাম জল প্রপাত, ছয়সিঁড়ি দীঘি, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, পদ্মছড়া লেক, বামবুতল লেক, হরিনারায়ন দিঘি, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে সবুজ চা বাগান, রাবার বাগান, বধ্যভূমি একাত্তর চত্বর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মুন ব্যারেজ।

সাধারণত বন্ধের দিন ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি ভিড় থাকে। গতকাল শুক্রবার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট কোনো পর্যটক শূন্য দেখা গেছে। পর্যটন নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান খালি, দেশী- বিদেশি কোনো পর্যটক নেই। অথচ গত এক মাস আগেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত ছিল।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মৌলভীবাজারের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টাহাউসে শতভাগ অগ্রিম বুকিং থাকত। চলতি বছরেও অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। তবে অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে পর্যটনশিল্পে আবারও বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন তারা।

শ্রীমঙ্গল হোটেল প্যারাডাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আবুজার বাবলা জানান, নভেম্বর পর্যটনের ভরা মৌসুম। প্রতি বছর এ সময়ে পর্যটন স্পটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে চলতি মৌসুমের তুলনায় ১০ ভাগ ট্যুরিস্টও নাই।

আবুজার বাবলা বলেন, এখন ক্ষতির মুখে আমরা। এই ক্ষতি কিভাবে পোষাব, বুঝতে পারছি না। কর্মচারী ও বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকের লোন, বাসা ভাড়া সব কিছু দিতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। এভাবে যদি চলে তাহলে হোটেল রিসোর্ট গুটিয়ে নিতে হবে।

কমলগঞ্জ অরণ্য বিলাস ইকো রিসোর্টের মালিক এহসান কবির সবুজ বলেন, করোনাভাইরাস, বন্যাসহ নানা কারণে কয়েক বছরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার অতীতের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলাম। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটক বলতেই নাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে কর্মচারী ছাঁটাই করতে হবে, সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, লাউয়াছড়ায় ডাব বিক্রি করে সংসার চলে। এক মাস ধরে এ উদ্যানে কোনো ট্যুরিস্ট নাই। বেচা-বিকি নাই। দুরবস্থায় আছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। একই ধরনের কথা জানান কসমেটিক ও চা-পাতা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।

পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। সবগুলোই এখন ফাঁকা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই শুরু করেছে। অনেকের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই সমস্যা থাকে, তাহলে ধ্বংসের মুখে পড়বে হোটেল রিসোর্ট।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ম্যানাজার শাহিন আহমেদ বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেশি-বিদেশি পর্যটক বছরের এই সময়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ট্যুরিস্ট আসতেন, তখন টিকিট বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় হত ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এখন গড়ে ৮০-১২০ জন পর্যটক আসছেন সরকারের রাজস্ব আসছে ৩-৫ হাজার টাকা।

লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটক দেখা যেত। বর্তমানে হরতাল ও অবরোধের কারণে দেখা নাই। মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে না, যানবাহন চলে না, তাই ভ্রমণে আসে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো তা এখন হচ্ছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক প্রবাণ সিনহা বলেন, নানা কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সোচ্চার। পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

আবহাওয়া সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে মৌসুমী স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ধামরাইয়ে প্লাস্টিকের হস্তশিল্প দেখাচ্ছে নতুন সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে হস্তশিল্প পণ্য। প্রবা ফটো

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে হস্তশিল্প পণ্য। প্রবা ফটো

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ফেলনা প্লাস্টিক থেকে তৈরি হস্তশিল্প পণ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে স্থানীয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম বেল্ট। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ধান সংরক্ষণের গোলা, ঘরের চাল, বেড়া ও কবুতরের খোপসহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য তৈজস।

ফেলনা প্লাস্টিক দিয়ে হস্তশিল্পের কাজ শুরু করেন তরুণ উদ্যোক্তা বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাস। মনিদাসের দেখাদেখি এমন আরও কয়েকটি পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। 

এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপজেলার বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট কেজিদরে কিনে আনেন। এরপর কারিগররা নিপুণ হাতে তৈরি করেন গৃহস্থালির ব্যবহার্য সামগ্রী। যার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে দূষণের হাত থেকে, অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক। এসব পণ্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ দেশের নানা প্রান্তে।

কথা হয় উদ্যোক্তা বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় ৪ বছর আগে এই কাজ শুরু করি। আগে গরু লালন-পালন করতাম। সেখানে সুবিধা করতে পারিনি। এক দিন গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত এই বেল্টগুলো দেখে ভাবনা আসে এগুলো দিয়েও বাঁশ বা বেতের মতো বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব। সেই থেকেই এ কাজের শুরু। বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী। বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা থেকে এই পরিত্যক্ত বেল্ট কেজিদরে কিনে আনি। বেল্ট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য মান অনুযায়ী ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কেজিদরে বিক্রি করে থাকি।

মনিদাসের মতো এই শিল্পে জড়িত ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন। কথা মনিদাস নামের এমনই একজনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিটা কারিগরকে মজুরি দেওয়া হয় কেজি হিসেবে। প্রতি কেজি পণ্য তৈরির জন্য মজুরি ২৫ টাকা করে দেওয়া হয়। দৈনিক প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি পণ্য বুনতে পারেন একজন কারিগর।

এ কাজে যুক্ত এলাকার বেশ কয়েকজন নারী। বাড়তি আয়ে স্বাবলম্বিতা এসেছে তাদের জীবনে। শিল্পি রানী এমনই এক কারিগর। তিনি জানান, এই কাজে প্রতি মাসে আয় হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি এই বাড়তি আয় দিয়েই চলছে তাদের তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ। আগে বাড়ির কাজ করেই কাটত দিন। ছিল না বাড়তি আয়ের মাধ্যম। ফলে সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। বর্তমানে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী। স্বামীর পাশাপাশি নিজেও মেটাতে পারছেন সংসারের খরচের একটি অংশ।

আশু সরদার নামে আরেক কারিগর বলেন, প্রায় ১৪ বছর ধরে বাঁশ দিয়ে বুননের কাজ করলেও এখন প্লাস্টিকের এই ফিতা দিয়ে পণ্য বানাই। কয়েকদিন পরই শুরু হবে ধান কাটার মৌসুম। তাই ধানের গোলার এখন অনেক চাহিদা। কয়েক মাস এখানকার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করে। দৈনিক আয় হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। বছরের অন্য সময় ঘরের সিলিং, বেড়া, কবুতরের খোপসহ বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি করে থাকি।

প্লাস্টিকের বেড়া বুনে চলেছেন ষাটোর্ধ্ব নির্মল সরকার। তাকে জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, একসময় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। এখন বয়সের কারণে তা আর পারেন না। ছেলেরাও বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছে। এই কাজ করেই স্ত্রীসহ দুজনের আহার জোগাড় করেন তিনি।

মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা থেকে ধানের গোলা কিনতে এসেছেন আসাদুজ্জামান নামের এক কৃষক। তিনি বলেন, মাঝারি আকারের একটি গোলা কিনেছি। ওজন হয়েছে ৩০ কেজি। ১২০ টাকা দরে দাম এসেছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এই গোলা অনেক টেকসই হয়। আগে বাঁশের তৈরি গোলায় ধান রাখতাম। সেগুলো বেশি দিন ব্যবহার করা যায় না, ইঁদুরে কেটে ফেলে। অনেক ধান নষ্টও হতো। কিন্তু প্লাস্টিকের গোলায় ধান রাখলে নষ্ট হয় না, ইঁদুরেও কাটে না। দেখতেও সুন্দর। 

বিশ্বনাথের কারখানার পাশেই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি বেড়ার ঘরে বসবাস মাধবী দাসের। তিনি বলেন, টিন কিংবা ইটের ঘর তৈরিতে অনেক খরচ। সামর্থ্যের অভাবে প্লাস্টিকের বেড়া দিয়ে ঘর বানিয়েছি। এই ঘরে থাকতে কোনো অসুবিধা হয় না।

ফেরার পথে আবারও কথা বলি, বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার দেখাদেখি এই এলাকায় আরও দুজন এ ব্যবসা শুরু করেছেন। আমাদের এখানে অনেক নারী শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। নারী-পুরুষ উভয়ই এসব পণ্য তৈরির কাজ করে সচ্ছলতার দেখা পেয়েছে। পবিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করা হচ্ছে।

সরকার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে বলেও মনে করেন এ উদ্যোক্তা।


আরও খবর



নতি স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে আগের অবস্থান থেকে সরে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, যুদ্ধের পর গাজায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার কোনো পরিকল্পনা নেই ইসরায়েলের।

মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গাজা জয় করতে চাই না, দখল করতে চাইনা এবং শাসনও করতে চাই না। আমরা চাই গাজায় এমন একটি নির্ভরযোগ্য বেসামরিক সরকার আসুক যারা ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করবে না।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের একমাস পূর্তির দিনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজা উপত্যকার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের হাতে থাকবে।

সেই বক্তব্য দেওয়ার ২ দিনের পরই কার্যত আগের অবস্থান থেকে ঘুরে গেলেন তিনি। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণেই আগের অবস্থান থেকে সরেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

তবে ফক্স নিউজকে তিনি বলেছেন, যদি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভবিষ্যতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় তাহলে ফের উপত্যকায় প্রবেশ করবে ইসরায়েলি বাহিনী।

এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কেবল এই নিশ্চয়তা চাই যে ৭ অক্টোবরের মতো ভয়াবহ হামলা আর সেখান থেকে ঘটবে না। যদি ঘটে, সেক্ষেত্রে ফের আমরা গাজায় প্রবেশ করব এবং হামলাকারীকে হত্যা করব। হামাসের মতো আর কোনো গোষ্ঠীকে আমরা সেখানে দেখতে চাই না।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে উপত্যকায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীও।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধার। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। এই নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

এই যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ পর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশিয়া। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানায় চীনও। বর্তমানে জাতিসংঘ, ইসলামি বিশ্ব ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের দেশও গাজায় যুদ্ধবিরতি আহ্বানের সোচ্চার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার আগ পর্যন্ত এই যুদ্ধ তারা থামাবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরায়েলের এই অবস্থানকে সমর্থনও করছে। তবে সমর্থনের পাশাপাশি গাজায় মানবিক বিরতি ঘোষণার জন্য ইসরায়েলকে চাপও দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব।

তবে গাজায় কোনো প্রকার বিরতি ঘোষণায় শুরু থেকেই তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি অবশ্য তিনি বলেছেন, যদি হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয় কেবল তাহলেই মানবিক বিরতি হতে পারে। অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, বিরতি না দিলে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার অবশ্য গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা বিরতি দিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিন বিরতি শুরুর তিন ঘণ্টা আগে সেই বিরতির সময় জানানো হবে।

 সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



সাগরে লঘুচাপ, বৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে, এটি ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আব্হাওয়ার তথ্যে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবারের (১৫ নভেম্বর) আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩