Logo
শিরোনাম

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেছেন। এছাড়া অপরাধের সাথে জড়িত হাসিনার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদেরও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মূলত হাসিনা সরকারপ্রধান থাকাকালীন জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদারকি করার পাশাপাশি গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন। বুধবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি।

স্কাই নিউজের সাথে কথা বলার সময় প্রফেসর ইউনূস বলেছেন: “বিচার হবে। শুধু তার (হাসিনা) নয়, তার সাথে জড়িত সকল লোক — তার পরিবারের সদস্য, তার ক্লায়েন্ট বা সহযোগীদেরও।”

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর একে একে বের হয়ে আসছে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ নানা চিত্র।

হাসিনার বিরুদ্ধে গোপন আটক কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কের তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। এসব গোপন আটক কেন্দ্রে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো, নির্যাতনও করা হতো এবং কয়েকজনকে হত্যাও করা হয়েছিল — আর এই সবই করা হয়েছিল “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের” ব্যানারে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশ। অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, (হাসিনাকে ফেরত চেয়ে) তারা “আনুষ্ঠানিক চিঠি” পাঠিয়েছেন কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে এখনও “কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া” পাওয়া যায়নি।

তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন, হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন, আর সেটা সশরীরে বাংলাদেশে উপস্থিত থেকে হোক বা অনুপস্থিতিতে, ভারতে থেকেই হোক।

প্রফেসর ইউনূস সম্প্রতি “হাউস অব মিররস: বা আযনাঘর নামে পরিচিত একটি কুখ্যাত গোপন কারাগার পরিদর্শন করেছেন। “দরিদ্রের ব্যাংকার” হিসেবে পরিচিত অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেছেন, সেখানে তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি হতবাক।

ড. ইউনূস বলেন, এটিই সবচেয়ে কুৎসিত জিনিস যা আপনি দেখতে পারেন, আপনি অনুভব করতে পারেন বা আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

হাসিনার বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত নেতাকর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। হাসিনা, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং প্রায় ৮০০ গোপন কারাগারের নেটওয়ার্ক তদারকি করার দায়ে অভিযুক্তদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অভিযুক্ত অপরাধের সাথে জড়িত লোকের সংখ্যা এবং পরিসর (বেশি হওয়ায়) কাজ করতে “সময় লাগছে”। তিনি বলেন, সবাই এই অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। পুরো সরকার এর সাথে জড়িত ছিল। সুতরাং এটা বের করা কঠিন যে— কারা সত্যিই এবং উৎসাহের সাথে এই অপরাধগুলো করছিল, আর কারা উচ্চপদস্থদের আদেশের অধীনে এসব কাজ করেছিল এবং কারা পুরোপুরি এসব অপরাধের সমর্থনকারী না হলেও এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছিল।

হাসিনা, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশকে গত বছরের জুলাই এবং আগস্টে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নের জন্যও অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘ অনুমান করছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনগুলোতে প্রায় সরকারের সহিংস দমন-পীড়নে ১৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন।

প্রফেসর ইউনূস ভুক্তভোগীদের পরিবার কত দ্রুত ন্যায়বিচার দেখতে পাবে এবং তার চোখের সামনে সেই বিচার হবে কিনা তা নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করে চলেছেন। এমন অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নতুন নির্বাচন হতে পারে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কিছু অপরাধী শাস্তি পাবে, কিছু তখনও প্রক্রিয়াধীন থাকবে, কিছু তখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর তার পরিবারের সদস্যসহ অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ বের হয়ে আসছে এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের একজন ব্রিটিশ লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নী।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলাটি খুবই গুরুতর। দেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এবং সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে।

মূলত বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর গত জানুয়ারি মাসে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এছাড়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমন অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দেশটির দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির পর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু মুসলিমদের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য তারা এখন একটি “নিরাপদ অঞ্চলের” সম্ভাবনা নিয়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে আলোচনা করছেন।

তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজারে বড় সমস্যার কথাও স্বীকার করেছেন। এখানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির রয়েছে এবং সেখানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা আনুমানিক ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে এবং সহিংসতা, মাদক এবং আধাসামরিক কার্যকলাপ ব্যাপকভাবে ছড়িযে পড়েছে। প্রফেসর ইউনূস বলেন, এই উত্তেজনা “হারিয়ে যাবে না।


আরও খবর



পরিশুদ্ধ ক্বলব ব্যতিত্ব আল্লাহর দরবারে কোন ইবাদত কবুল হয়না

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

-শাহসূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী :

ক্বলব সম্পর্কিত কোরআনের ১২৪ টি আয়াত

(১) হেদায়াতের কেন্দ্র হল ক্বলবঃ

যে আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনবে আল্লাহ্‌ তাঁর ক্বলবকে হেদায়াত দান করবেন ।

— সূরা তাগাবুন –আয়াত ১১


(২) ঈমানের নির্ধারিত জায়গা হল ক্বলবঃ

আল্লাহ্‌ তাঁদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ঈমানকে নির্ধারন করে দিয়েছেন ।

— সূরা মুজদালাহ, আয়াত ২২


(৩) ইমানদার হবার জন্য ক্বলবের ভিতরে ঈমানকে প্রবেশ করাতে হয়ঃ

এখনো তোমাদের ক্বলবের মধ্যে ঈমান প্রবেশ করেনি। (সুতরাং তোমরা ইমানদার নও)।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ১৩


(৪) ঈমানকে সুসজ্জিত করার জায়গা হল ক্বলবঃ

কিন্তু আল্লাহ্‌ তোমাদের কাছে ঈমানকে পছন্দনীয় করেছেন এবং একে (ঈমানকে) তোমাদের ক্বলবের মধ্যে সুসজ্জিত করেছেন।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ৭


(৫) ক্বলবই ঈমান আনেঃ

হে রাসূল ! আপনি তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা ঈমান এনেছি, অথচ তাদের ‘ক্বলব’ ঈমান আনেনি

— সূরা মায়েদাহ্‌ আয়াত ৪১


(৬) ‘ক্বলব’কে ঈমানের সাথে অবিচল রাখতে হয়ঃ

কেউ তাঁর ঈমান আনার পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং কুফরীর জন্য উন্মুক্ত রাখলে তাঁর ওপর পতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাঁর জন্য আছে মহাশাস্তি; তবে তাঁর জন্য নয়, যাকে কুফরীর জন্য জবরদস্তি করা হয় কিন্তু তাঁর ‘ক্বলব’ ঈমানে অবিচল থাকে ।

— সূরা নহল, আয়াত ১০৬


(৭) আল্লাহর মাহাত্ন্যের ভয়ে ক্বলবের কেঁপে উঠাই খাঁটি ঈমানের পরিচয়ঃ

(একমাত্র খাঁটি) মুমিন তো তারাই যাদের সামনে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের ‘ক্বলব’সমূহ কেঁপে উঠে; তথা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ২


(৮) আলাহর মাহাত্ন্যের ভয়ে ক্বলব কেঁপে উঠলেই (ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেই) সুসংবাদঃ

(হে নবী !) সুসংবাদ দিয়ে দিন সে সমস্ত বিনয়ী কোমল-প্রাণ লোকদেরকে, যাদের সামনে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের ক্বলব (আল্লাহর মাহাত্ন্যের) ভয়ে কেঁপে উঠে ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৩৪-৩৫


(৯-১০) তাকয়ার কেন্দ্র হল ক্বলবঃ

নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর রাসূলের সামনে নিজেদের কন্ঠস্বর নিচু করে আল্লাহ তাদের ‘ক্বলব’কে তাকওয়ার জন্য পরিক্ষা করেছেন ।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ৩


কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তাঁর ক্বলবের তাকওয়ার লক্ষন ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৩২


(১১) ‘ক্বলব’ই আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি পায়ঃ

যারা ঈমান আনে এবং তাদের ক্বলব আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই ক্বলবসমূহ শান্তি পায় ।

— সূরা রা’দ, আয়াত ২৮


(১২) কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছে রাসূল (সঃ) এর ক্বলবের মধ্যেঃ

অতঃপর নিশ্চয়ই তিনি (জিব্রাঈল ফেরেশতা) আল্লাহর আদেশে এ কালাম (কোরআন শরীফ) আপনার ক্বলবের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৯৭


(১৩) ঈমানদারদের ‘ক্বলব’ আল্লাহর স্মরণে বিগলিত হয়ে যায়ঃ

যারা ঈমানদার তাদের ‘ক্বলব’ আল্লাহর যিকিরে বিগলিত হওয়ার সময় কি আসে নি ?

— সূরা হাদীস, আয়াত ১৬


(১৪) ‘ক্বলব’ই গুনাহগার হয়ঃ

যে কেউ তা গোপন করবে, তাহলে অবশ্যই তাঁর ক্বলব গুনাহ্‌গার হবে ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৩


(১৫) গুনাহ্‌ দ্বারা মরিচা পড়ার জায়গা হলো ক্বলবঃ

কখনও না, বরং তারা যা কিছু (গুনাহ্‌) উপার্জন করে তাই তাদের ক্বলবের উপর মরিচা ধরিয়ে দিচ্ছে ।

— সূরা মুতাফফিফিন, আয়াত ১৩


(১৬) ক্বলবের উপর ছাপ পড়ে যায়ঃ

আল্লাহ এদের ক্বলবসমূহের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন ।

— সূরা মোহাম্মদ, আয়াত ১৬


(১৭) সীমালঙ্ঘনকারীদের ক্বলবের উপর ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেই ।

— সূরা ইউনুস, আয়াত ৭৪


(১৮) অহঙ্কারী-উৎপীড়ক ব্যক্তির ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এমনিভাবে আল্লাহ প্রত্যেক অহঙ্কারী-উৎপীড়ক ব্যক্তির ক্বলবের মধ্যে ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা আরাফ, আয়াত ৩৫


(১৯-২০) কাফেরদের ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আল্লাহ কাফেরদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা আ’রাফ, আয়াত ১০১


কুফরীর কারণে আল্লাহ তাদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন । ফলে তারা ঈমান আনে না কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক ।

— সূরা নিসা, আয়াত ১৫৫


(২১) জ্ঞানহীনদের ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আল্লাহ জ্ঞানহীনদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা রুম, আয়াত ৫৯


(২২) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে অবুঝ হয়ে যায়ঃ

তাদের ক্বলবসমূহের উপর ছাপ পড়ে গেছে । ফলে তারা বুঝে না ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৮৭


(২৩) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে জ্ঞানহীন হয়ে যায়ঃ

আর আল্লাহ তাদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন । ফলে তারা জানে না ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৯৩


(২৪) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে আর শুনতে পায় নাঃ

আমি তাদের ক্বলবসমূহের ওপর ছাপ মেরে দিয়েছে । কাজেই তারা শুনতে পায় না ।

— সূরা আ’রাফ, আয়াত ১০০


(২৫) ক্বলব অন্ধ হয়ে যায়ঃ

বস্তুত চক্ষু তো অন্ধ হয় না, কিন্তু ঐ ক্বলবই অন্ধ হয় যেই ক্বলব হলো বুকের মধ্যে ।

— সূরা হজ্জ, আয়াত ৪৬


(২৬) ক্বলবের মধ্যে তালা লেগে যায়ঃ

তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না, না তাদের ক্বলব তালাবদ্ধ ?

— সূরা মোহাম্মদ, আয়াত ২৪


(২৭-২৯) ক্বলবের মধ্যে আবরণ পড়েঃ

এটা বুঝতে আমি তাদের ক্বলবের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি ।

— সূরা আন’আম, আয়াত ২৫


আমি তাদের ক্বলবের উপর আবরণ রেখে দেই, যাতে তারা একে উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই।

— সূরা বনী ঈসরাঈল, আয়াত ৪৭


আর তারা বলে, আপনি যে বিষয়ের দিকে আমাদেরকে দাওয়াত দেন, সে বিষয়ে আমাদের ক্বলবের উপর আবরন রেখে দিয়েছি ।

— সূরা হা-মীম সেজদাহ্‌, আয়াত ৫


(৩০-৩১) ক্বলব আচ্ছন্ন হয়ে যায়ঃ

এবং তারা বলে, আমাদের ক্বলবসমূহ আচ্ছন্ন; বরং আল্লাহ তাদের কুফরের কারণে অভিসম্পাত করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৮৮


এবং তাদের এই উক্তির দরুন, “আমাদের ক্বলব আচ্ছন্ন” ।

— সূরা নিসা, আয়াত ১৫৫


(৩২-৩৩) ক্বলব দ্বারাই বুঝতে হয়ঃ

আর আমি ছেড়ে দিয়েছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে । তাদের ক্বলব আছে, তাঁর দ্বারা বুঝে না, তাদের চোখ আছে, তাঁর দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান আছে, তার দ্বারা শুনে না । তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো; বরং তাঁর চেয়েও নিকৃষ্ট । তারাই হলো গাফেল ।

— সূরা আরাফ, আয়াত ১৭৯


তারা কি দেশ ভ্রমন করে নি, যাতে তাদের জন্য এমন ক্বলব হয়ে যায়, যার দ্বারা তারা বুঝতে পারে ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৪৬


(৩৪-৩৫) সন্দেহ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

একমাত্র তারাই আপনার কাছে অব্যাহতি চায়, যারা আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে না এবং তাদের ক্বলব সন্দেহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সুতরাং তাদের সন্দেহের আবর্তে তারা ঘুরপাক খেয়ে চলেছে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৪৫


তাদের নির্মিত গৃহটি তাদের ক্বলবে সদা সন্দেহের উদ্রেক করে যাবে যে পর্যন্ত না তাদের ক্বলবগুলো চৌচির হয়ে যায়।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১১০


(৩৬) রাগ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

এবং তাদের ক্বলবের রাগ দূর করবেন ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১৫


(৩৭) মঙ্গল চিন্তার জায়গা হলো ক্বলবঃ

আল্লাহ যদি তোমাদের ক্বলবের মধ্যে কোন রকম মঙ্গলচিন্তা (ঈমান ও নিষ্ঠা) রয়েছে বলে জানেন, তবে তোমাদেরকে তাঁর চেয়ে বহুগুন বেশী দান করবেন, যা তোমাদের কাছ থেকে বিনিয়ময়ে নেয়া হয়েছে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৭০


(৩৮) ক্বলব নরম হয়ে আল্লাহর জিকিরে ঝুঁকে পড়েঃ

অতঃপর তাদের ক্বলব এবং চামড়া নরম হয়ে আল্লাহর জিকিরে ঝুঁকে পড়ে । এটাই আল্লাহর পথনির্দেশ (হেদায়াত); এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন ।

— সূরা যুমার, আয়াত ২৩


(৩৯) অবিশ্বাস থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

এমনিভাবে আমি গুনাহ্‌গারদের ক্বলব ক্বলবের মধ্যে এটা (অবিশ্বাস) সঞ্চার করেছি ।

— সূরা শু’আরা, আয়াত ২০০


(৪০) ঠাট্টা বিদ্রুপ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

ওদের (কাফেরদের) কাছে এমন কোণ রাসূল আসেন নি, যাদের সাথে ওরা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে থাকে নি । এমনিভাবে আমি পাপীদের ক্বলবের মধ্যে একে (ঠাট্টা বিদ্রুপ আচরনকে) সঞ্চার করি ।

— সূরা হিজর, আয়াত ১২


(৪১) মুনাফেকী থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

তারপর এরই পরিনতিতে তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে মুনাফেকী সংযোজিত করলেন সেদিন পর্যন্ত; যেদিন তারা তাঁর সাথে গিয়ে মিলবে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৭৭


(৪২) মুনাফেকী ক্বলবের মধ্যে গোপন থাকেঃ

মুনাফিকেরা এ ব্যাপারে ভয় করে, মুসলমানদের উপর না জানি এমন কোন সূরা নাযিল হয়, যা তাদের ক্বলবসমূহের গোপন বিষয় সংবাদ দিয়ে দিবে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৬৪


(৪৩-৪৪) মুনাফেকী থেকে মুক্ত থাকতে হলে মুখের সাথে ক্বলবকে মিল রাখতে হয়ঃ

তারা (মুনাফিকেরা) নিজেদের মুখে এমন কথা বলে, যা তাদের ক্বলবের মধ্যে নেই ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৬৭


তারা (মুনাফিকেরা) নিজেদের মুখে এমন কথা বলে, যা তাদের ক্বলবের মধ্যে নেই ।

— সূরা ফাতাহ, আয়াত ১১


(৪৫-৪৮) ক্বলবের মধ্যে মোহর মারা হয়ঃ

আল্লাহ তাদের ক্বলবসমূহের উপর মোহর মেরে দিয়েছেন । (অর্থাৎ ক্বলব বন্ধ করে দিয়েছেন) ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৭


আর যদি আল্লাহ তোমাদের ক্বলবের উপর মোহর মেরে দেন তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে এগুলো এনে দিবে ?

— সূরা আন'আম আয়াত ৪৬


তিনি তাঁর ক্বলব এবং শ্রবণশক্তির উপর মোহর মেরে দিয়েছেন । সূরা জাছিয়াহ, আয়াত ২৩


আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে (হে নবী !) আপনার ক্বলবের উপর আপন রহমত ও হিফাযতের মোহর মেরে দিতেন ।

— সূরা শু’আরা, আয়াত ২৪


(৪৯-৫০) প্রশান্তি নাযিল হওয়ার জায়গা হলো ক্বলবঃ

তিনি মুমিনদের ক্বলবসমূহের মধ্যে প্রশান্তি নাযিল করলেন, যাতে তাদের ঈমানের সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায় ।

— সূরা ফাতাহ্‌, আয়াত ৪


আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নিচে আপনার কাছে শপথ করল । আর আল্লাহ জানেন যা কিছু তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে আছে । অতঃপর তিনি তাদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন ।

— সূরা ফাতাহ্‌, আয়াত ১৮


(৫১) মুশরিকদের আচরণ হতে বাঁচতে হলে মুখের সাথে ক্বলবের মিল রাখতে হয়ঃ

তারা (মুশরিকেরা) মুখে তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের ক্বলবসমূহ তা অস্বীকার করে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত 8


(৫২) মানুষের ভিতরে ক্বলব একটিইঃ

আল্লাহ কোন মানুষের ভিতরে দুটি ক্বলব স্থাপন করেন নি ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৪


(৫৩) আল্লাহ তা’আলা ক্বলবের ইচ্ছা ও সংকল্পকেই ধরে থাকেনঃ


এ ব্যাপারে তোমাদের কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গুনাহ নেই, কিন্তু তোমাদের ক্বলব যা ইচ্ছা সংকল্প করবে সে বিষয়ে গুনাহ্‌ হবে ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৫


(৫৪) ক্বলব খেলায় মত্ত হয়ে পড়েঃ


যখনই তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে, তারা তা খেলার ছলে শ্রবণ করে । তাদের ক্বলব থাকে খেলায় মত্ত ।

— সূরা আম্বিয়া, আয়াত ২-৩


(৫৫) ক্বলব বিনয়ী হয়ঃ


এবং এই কারণেও যে, যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, তারা যেন জানতে পারে, এটা আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্য; অতঃপর তারা যেন বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের ক্বলব যেন এর প্রতি বিনয়ী হয় ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৫৪


(৫৬) ক্বলব অগ্রগামী হবার জন্য এবং এবাদত দ্রুত সম্পাদন করার জন্য ভীত-কম্পিত ক্বলব তৈরী করা প্রয়োজনঃ


এবং যা দান করার তা যারা দান করে ভী-কম্পিত ক্বলব নিয়ে, এ কারণে যে, তারা তাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করবে । তারাই সৎ কাজ দ্রুত সম্পাদন করে এবং তাদে তারা অগ্রগামী হয় ।

— সূরা মুমিনুন, আয়াত ৬০-৬১


(৫৭) ক্বলব অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়ঃ

বরং তাদের ক্বলব এ বিষয়ে অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন ।

— সূরা মুমিনুন, আয়াত ৬৩


(৫৮-৬০) ক্বলব বক্র হয়ে যায়ঃ


অতঃপর তারা যখন বক্রতা অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের ক্বলবকে বক্র করে দিলেন ।

— সূরা ছাফ, আয়াত ৫


হে আমাদের পালনকর্তা ! আমাদেরকে হেদায়াত করার পর আমাদের ক্বলবকে বক্র করে দিবেন না ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ৮


আল্লাহ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি যারা তাঁর অনুসরণ করেছিল সঙ্কটকালে, তাদের একদলের ক্বলব বক্র হয়ে যাবার উপক্রম হবার পর । পরে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করলেন ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১১৭


(৬১) বক্রতা থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যাদের ক্বলবের মধ্যে বক্রতা আছে তারা ফিতনা ও অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে যা মুতাশাবেহ্‌ (রুপক) আয়াত সেগুলোর অনুসরণ করে থাকে ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ৭


(৬২) বিদ্বেষ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের ক্বলবের মধ্যে কোণ বিদ্বেষ রেখো না ।

— সূরা হাশর, আয়াত ১০


(৬৩) ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য ক্বলবের মিল থাকতে হয়ঃ


আপনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করেন, অথচ তাদের ক্বলবসমূহ শতধাবিচ্ছিন্ন ।

— সূরা হাশর, আয়াত ১৩


(৬৪) আগের যুগের কাফের এবং পরের যুগের কাফেরদের মিল থাকার মাধ্যম হলো ক্বলবঃ


এমনিভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরুপ কথা বলেছে । তাদের ক্বলবসমূহ একই রকম সাদৃশ্যপূর্ন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ১১৮


(৬৫) ক্বলব সংকোচিত হয়ে যায়ঃ


যখন এক আল্লাহর কথা উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরজীবনে বিশ্বাস করে না, তাদের ক্বলব সংকোচিত হয় যায় ।

— সূরা যুমার, আয়াত ৪৫


(৬৬-৬৭) ক্বলবের মধ্যে ভাল-মন্দ যা কিছু আছে সবই আল্লাহ তা’আলার জানাঃ


ওরা হলো সে সমস্ত লোক যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে যা কিছু (গোপন বিষয়) আছে সবই আল্লাহ জানেন ।

— সূরা নিসা, আয়াত ৫১


তোমাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে যা আহচে তা আল্লাহ জানেন ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৫১


(৬৮) ক্বলবকে পরিষ্কার করার পন্থা অবলম্বণ করা দরকারঃ


এবং যাতে করে তিনি তোমাদের ক্বলবের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা পরিষ্কার করে দিতে পারেন ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫৪


(৬৯) অনুতাপ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যাতে আল্লাহ এক তাদের ক্বলবের মধ্যে অনুতাপে পরিনত করে দিতে পারেন ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫৬


(৭০-৭১) মোহাব্বত থাকার জায়গা হল ক্বলবঃ


অতঃপর আল্লাহ তোমাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে মোহাব্বত সঞ্চার করেছেন । 

--(সূরা আল ইমরান, আয়াত ১০৩


এবং তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন । পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও আপনি তাদের ক্বলবসমূহে মোহাব্বত স্থাপন করতে পারতেন না; কিন্তু আল্লাহই তাদের মধ্যে মোহাব্বাত স্থাপন করেছেন ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৬৩


(৭২) নম্রতা ও দয়া থাকার জায়গা হল ক্বলবঃ

আর আমি তাঁর অনুসারীদের ক্বলবসমূহে নম্রতা ও দয়া স্থাপন করেছি ।

— সূরা হাদীস, আয়াত ১২৭


(৭৩) আল্লাহ তায়ালা (শপথের ব্যাপারে) 

ক্বলবের কাজকেই ধরেনঃ


কিন্তু (শপথের ব্যাপারে) আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন সেসব বিষয়ে যা তোমাদের ক্বলব উপার্জন করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ২২৫


(৭৪) গোবৎস প্রীতি পান করানোর জায়গা হল ক্বলবঃ


তাদের কুফরীর কারণ তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে গোবৎসপ্রীতি পান করানো হয়েছে ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৯৩


(৭৫-৭৮) ক্বলব ভয় পায়ঃ

তোমাদের ক্বলবসমূহ (ভয়ে) কন্ঠাগত হয়ে পড়েছিল ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ১০


আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন ক্বলবসমূহ (ভয়ে) কন্ঠাগত হওয়ার উপক্রম হবে ।

— সূরা মুমিন, আয়াত ১৮


সেদিন ক্বলবসমূহ ভীত-সন্ত্রস্ত হবে ।

— সূরা নাযিআত, আয়াত ৮


তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন ক্বলবসমূহ ও দৃষ্টিসমূহ (ভয়ে) উল্টে যাবে ।

— সূরা নূর, আয়াত ৩৭


(৭৯-৮৩) ভয়-ভীতি থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যার জন্যে অনুমতি দেয়া হয়, তাঁর জন্য ব্যতীত আল্লাহর কাছে কারও সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না । 

যখন তাদের ক্বলবসমূহ থেক ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাবে, তখন তারা পরস্পরে বলবে, তোমাদের পালনকর্তা কি বললেন? তদুত্তরে তারা বলবে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন ।

— সূরা সাবা, আয়াত ২৩


শীঘ্রই আমি কাফেরদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিব ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ১২


খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিব ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫১


তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিলেন ।

— সূরা হাশর, আয়াত ২


তিনি ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিলেন ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ২৬


(৮৪-৯৫) ক্বলবের মধ্যে রোগ থাকেঃ

যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে রোগ আছে, তারা কি মনে করে যে, আল্লহ তাদের অন্তরের বিদ্বেষ প্রকাশ করে দিবেন না ?

— সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ২৯


অতঃপর যখন কোন (মুহ্‌কামাত) দ্ব্যর্থহীন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে যুদ্ধ-জিহাদের উল্লেখ করা হয়, তখন যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, আপনি তাদেরকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছাপ্রাপ্ত মানুষের মত আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখবেন ।

— সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ২০


বস্তুতঃ যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে আপনি তাদেরকে দেখবেন দৌড়ে গিয়ে তাদেরই (কাফেরদের) মধ্যে প্রবেশ করে ।

— সূরা মায়িদাহ্‌, আয়াত ৫২


এবং যাতে যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, তারা এবং কাফেররা বলে যে, আল্লাহ এর দ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেন ।

— সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত ৩১


এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এটি তাদের কলুষের সাথে আরো কলুষ বৃদ্ধি করেছে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১২৫


এবং যখন মুনাফিক ও যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে রোগ আছে তারা বলছিল, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল আমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয় ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ১২


তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে কি রোগ আছে, না তারা সন্দেহ পোষণ করে ?

— সূরা নূর, আয়াত ৫০


মুনাফেকরা এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং নগরে গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে প্রবল করবো ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৬০


হে নবীর স্ত্রীগণ ! তোমরা অন্য স্ত্রীগণের মতো নয়; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে এমনভাবে কথা বলিও না, যাতে যার ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, সে কুবাসনা করে ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৩২


স্মরণ করুন, মুনাফেকরা এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে তারা বলে, এদেরকে তাদের ধর্ম বিভ্রান্ত করেছে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৪৯


এটা এ জন্য যে, শয়তান যা মিশ্রণ করে, তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন, তাদের জন্যে, যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং যাদের ক্বলব পাষাণ ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৫৩

তাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং আল্লাহ তাদের রোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন ।

— সূরা বাকারা, ১০


আরও খবর



গজারিয়ার ফাঁস দিয়ে এক ইলেক্ট্রিশিয়ান শ্রমিকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গজারিয়া থেকে সৈয়দ মোঃ শাকিল: মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের লস্করর্দী গ্রামে এক শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করার খবর পাওয়া গেছে।

 শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় হোসেন্দি ইউনিয়নের লস্করর্দী গ্রামের আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ি থেকে ফাঁসিতে লটকানো ঐ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ। 

স্থানীয় এলাকবাসী সূত্রের খোঁজ নিয়ে জানা যায় ফাঁসিতে নিহত মো.জুয়েল (২৫) তার বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায়।তিনি হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিটি গ্রুপে ইলেক্টিশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন।নিহত জুয়েল লস্করদী গ্রামের মুদি দোকানদার আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।  

এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: আব্দুল্লাহ জানায়, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে লস্করর্দী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জুয়েলকে ব্যাচেলর বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে যেকোনো প্রজাতির মাছ আহরণের ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। এ সময় জেলেদের মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল দেবে সরকার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১) এর দফা (ক)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার। এসব জেলে ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময় তাদের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রপ্তানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রপ্তানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল- জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



ছুটি শেষে কাজে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের পর ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া মানুষ। বুধবার  সকাল থেকেই রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে নগরবাসীর এ ফেরার চিত্র দেখা গেছে। 

বাস মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া নগরবাসী। আগামী কয়েক দিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যাত্রী ফেরা শুরু হওয়ায় কোনো কোনো রুটের বাস অনেকটা খালি অবস্থায় ঢাকা ছাড়ছে বলেও এ সময় জানিয়েছেন তারা।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়তি ভাড়া গোনা ছাড়া রাজধানীতে ফিরতে তাদের তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। মূলত বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ কয়েকটি শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজধানীতে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।

সায়েদাবাদে ঢাকায় ফিরে শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে সপরিবারে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। আমি একটি ভোগ্যপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে কাজ করি। কাল থেকে আমার অফিস খুলছে। তাই আজকেই চলে আসতে হলো।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫