Logo
শিরোনাম

মানবতার আরেক নাম, ডা. ফেরদৌস খন্দকার

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার।নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে অনেক চিকিৎসক চেম্বার বন্ধ রাখেন। কিন্তু সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন ডা. ফেরদৌস। দুঃসময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. ফেরদৌস। চেম্বার খোলা রেখে করোনা আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। মনস্থির করলেন নিজের মাতৃভূমিতে এসে নিজেকে বিলিয়ে দিবেন দেশের মানুষের স্বার্থে।

শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন (ইউএসএ) ইনক'র সভাপতি মানবিক মানুষ ডা. ফেরদৌস খন্দকার , তার মুল লক্ষ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলকে বিশ্ব বাসির কাছে পরিচিত করে দেওয়া এবং স্কুল কলেজ এর ছাত্র, ছাত্রীদের মাঝে তার মূল্যায়ন গড়ে তোলা তিনি বলেন দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত- একটি পক্ষ স্বাধীনতার পক্ষে আর একটি স্বাধীনতা বিরোধী, তাই এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশ, জন্মভূমি এবং স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে নাকি ভুল সিদ্ধান্ত নিবে। 

শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএসএ শাখার নামে তিনি দেশে বিদেশে নানা রকম মানব কল্যাণ মূলক কাজ করে থাকেন ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার ।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন সফল চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ডা. ফেরদৌস খন্দকার। জন্মগ্রহণ করেছেন কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে। বাবা ফয়েজ আহমেদ খন্দকার বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। মা আনোয়ারা বেগম খন্দকার গৃহিনী। তিন ভাইবোনের মধ্যে ডা. ফেরদৌস বড়।
ডাক্তার ফেরদৌসের মায়ের পরিবার দেবিদ্বারের পাশের মুরাদনগরের কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার নানা সামরিক বাহিনীতে অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন। সহজ-সরল মানুষ। উনার ছয় ছেলে, এক মেয়ে। তার প্রথম ছেলে খুরশিদ আনোয়ার সাহেব, উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ওই সময় সেই এলাকার মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার ছিলেন তিনি। পরে ফার্মাসিস্ট হয়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন। দ্বিতীয় জনও মুক্তিযোদ্ধা, অ্যাকাউন্টেন্ট।
ছোটবেলা থেকেই স্বেচ্ছাসেবী কাজ করতে পছন্দ করতেন ডাক্তার ফেরদৌস। গ্রামে এবং নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা স্বেচ্ছাসেবী কাজের সাথে জড়িত ছিলেন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।  তিনি ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টার্নিশিপসহ মেডিসিনে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপর পরিবার সহ পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার নিউইয়র্ক মেডিকেল কলেজ থেকে প্রশিক্ষণসহ চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ধীরে ধীরে বাংলাদেশিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ডাক্তার ফেরদৌস। পাশাপাশি জীবন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। 

 ডাক্তার ফেরদৌস কোন কাজকেই ছোট মনে করেননি। একসময় আমেরিকায় ট্যাক্সি ক্যাব চালিয়েছেন।   এমনও অনেক দিন গেছে টানা ১৯ ঘন্টা তিনি ট্যাক্সি চালিয়েছেন।  দশজন সাধারণ অভিবাসীর মতই তিনি ঘুরেছিলেন এই শহরে ভাগ্যের অন্বষনে। যুক্তরাষ্ট্রে ডাক্তারী পেশার জন্য প্রাকটিস সনদ পরিক্ষার খরচ যুগিয়েছিলেন এবং শেষ দিকে এসে যখন এই ডাক্তারী অফিসটি ভাড়া নিয়েছিলেন, সেটার ভাড়া আর কর্মচারীদের বেতন তুলে চলতেন।


লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিজের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়কে বেছে নিয়েছেন ডাক্তার ফেরদৌস। নিজের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ডাক্তার ফেরদৌস হয়ে উঠলেন সফলদের একজন। 
তিনি জ্যাকসন হাইটসের ব্যস্ততম ৩৭ স্ট্রিটে ওয়েস্টার্ন কেয়ার মেডিকেল কেয়ার পিসি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সমমনাদের নিয়ে। সেখানে দেশি বিদেশি ৭ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বসেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের মূর্তমান বিশ্বস্ততার প্রতিক হয়ে উঠলেন ডাক্তার ফেরদৌস।

 

একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশী, ভারতীয় এবং পাকিস্থানী নাগরিকদের মধ্যে যথেষ্ট খ্যাতি কুড়িয়েছেন । নিউইয়র্কের অলাভজনক সংস্থা দি অপটিমিস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। রোগিদের আস্থা আর তাদের প্রতি সেবাকে আরো বিস্তৃত করতে নতুন একটি মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন ফেরদৌস খন্দকার। জ্যাকসান হাইটস এর ৭০-৩৮ ব্রডওয়েতে এই চিকিৎসা কেন্দ্রটি অবস্থিত। মানুষজন বিক্ষিপ্তভাবে এদিক সেদিক না গিয়ে যাতে এক ছাদের নিছে সেবা পায় সেজন্যই তার এই প্রচেষ্টা। 

 

ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখার পাশাপাশি, ফেসবুক এবং ইউটিউবে নিয়মিত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন করাই তার প্রধান লক্ষ্য। তিনি চান মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞানের পরিধি বিস্তার হোক।
বিদেশে থাকলেও স্বদেশের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার কথা অকপটে স্বীকার করলেন। মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে সেনাবাহিনীর বৃত্তি পেয়েছিলেন। অর্থ-বিত্তে সাফল্যে পৌঁছার শুরুতেই তিনি সেই বৃত্তি ফেরত দিয়েছেন। নানাভাবে তাঁর দায় পরিশোধের উদ্যোগের কথা জানালেন। নিজের অর্থ ব্যয়ে গ্রামে হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম করছেন। এসব কাজ করতে গিয়ে নানা বাধাবিপত্তির মোকাবিলা করেছেন।

বছরে অন্তত চারবার দেশে আসেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। নিজের এলাকার জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার তাড়না থেকেই আসেন তিনি। অর্থনৈতিকভাবে বেশ সফল হলেও ভ্রমণের সময় বাড়তি ব্যয় করেন না। বেঁচে যাওয়া সেই অর্থ বরং মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন। 


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩




নওগাঁয় ভুটভুটি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর রানীনগর উপজেলার নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কে ভুটভুটি ও মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোটরসাইকেল চালক যুবক হলেন, জয়রুপ দত্ত আপন(২৬)। 

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৮টার দিকে রানীনগর উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের খট্টেশ্বর সরদারপাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত মোটরসাইকেল চালক জয়রুপ দত্ত আপন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের বাদল দত্তের ছেলে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবক জয়রুপ দত্ত আপন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। সে নওগাঁ শহরে একটি প্রিন্টিং প্রেসের দোকানে ডিজাইনার হিসাবে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে দোকানের কাজ শেষে রাণীনগর উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আত্রাই উপজেলায় নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ৮টারদিকে জয়রুপ খট্টেশ্বর সরদারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আত্রাইয়ের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ভুটভিটির সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল চালক সিটকে সড়কের উপর পড়ে গুরুতর আহত হোন। আর ভুটভুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাণীনগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আতাউর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মোটরসাইকেল চালক কে হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়।

সত্যতা নিশ্চিত করে,রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, দূর্ঘটনায় ভুটভুটি টি গভীর খাদে পড়ে যাওয়ায় এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর ভুটভুটির ড্রাইভারকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। ভুটভুটি উদ্ধার সহ চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



দশমিনায় নবাগত ইউএনও'র সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) :

পচুয়াখালীতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা’র সাথে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দশমিনা ইউএনও'র কার্যালয় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসা. মোর্শেদা বেগম, সহ-সভাপতি তহমিনা সুলতানা (মিনা), সাধারন সম্পাদক মো. মোসারেফ হোসেন, সদস্য মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, বিপ্লব দেবনাথ, কেয়া বেগম, মো. জামাল হোসেন ও তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, দশমিনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সব কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান  জানাই। সবাই পাশে থাকলে সব ভালো কাজ করা সম্ভব।


আরও খবর



মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে মির্জাগঞ্জ চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন টিভিতে অসত্য ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১নং মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মিজানুর রহমান (লাভলু)। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় মাধবখালী ইউপি কার্য্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মিজানুর রহমান (লাভলু)।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মিজানুর রহমান (লাভলু) বলেন, গত ১২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন টিভিতে আমাকে জড়িয়ে “মির্জাগঞ্জে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর হতদরিদ্রদের চাল নিয়ে চালবাজিচ্ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় দরিদ্র মানুষকে যে তালিকা অনুসারে চাল বিতরন করা হচ্ছে সেই তালিকা আমার প্রদত্ত তালিকা নয়, বিগত ২০১৬ সালে তৎকালীন চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তালুকদারের প্রদত্ত তালিকা। এ ছাড়া প্রকাশিত সংবাদে নির্মানাধীন দোতলা পাকা বাড়ীর ছবি ও মালিক সুমন রেজার নাম ব্যবহার করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মনগড়া ও কাল্পনিক। সুমন রেজা পেশায় একজন জেলে, পার্শ্ববতর্ী পায়রা নদীতে মাছ শিকার করে স্ত্রী ও ২সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, নির্মানাধীন বাড়ীর মালিক তার বড় ভাই  মোঃ মামুন মোল্লা ঢাকায় একটি বেসরকারী কোম্পানিতে উচ্চ পদে চাকুরীরত। প্রকাশিত সংবাদটি  সম্পূর্ণ অসত্য. বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও  মনগড়া। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মিজানুর রহমান (লাভলু) আরো বলেন, সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রাথর্ী ও তার অনুসারীসহ একটি কুচক্রী মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে স্থাণীয় কয়েকজন সংবাদকমর্ীর নিকট মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে অসত্য.বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আঃ মতিন হাওলাদার,মোঃ উজ্জল মৃধা,সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম , ফিরোজ আলম,স্থাণীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁর তালতলিতে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান নওগাঁর তালতলিতে বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ কমিটির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ কমিটির নেতা খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ কমিটির আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শরীফ, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোকারম হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু, দলিল উদ্দিন দুলু, আজিজুল হক, একরামুল হক ঝন্টু, চাল ব্যবসায়ী নেতা মেকবুল হোসেনসহ প্রমুখ।

মাবববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার শ্রষ্ঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নওগাঁ জেলায় একমাত্র স্মৃতি বিজরিত স্থান এই তালতলী বিল। এখানে ১৯৭৩ সালে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই স্থানটিই বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সবচেয়ে যৌত্তিক স্থান। নওগাঁ জেলা সদর শহরের কাছাকাছি হওয়ায় যোগাযোগ, আবাসন, চিকিৎসা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ কমিটির আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্তারঞ্চলের মধ্যে প্রথম নওগাঁয় আসেন। এ সময় তিনি তালতলিতে জনসভায় ভাষন দেন। আজ যখন জাতির পিতার নামেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তখন তার এই স্মৃতি বিজড়িত স্থান তালতলিতেই হওয়া দরকার।

তিনি আরো বলেন, জেলা সদর থেকে ৪০-৫০ কিলোমিটার দুরের কোন স্থানে বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। যে কোন ভাবেই এমন উদ্যোগ প্রতিরোধ করা হবে। এ জন্য নওগাঁ’র সকল মানুষকে একতাবদ্ধ থাকার আহবান জানান। উল্লেখ্য  -মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নওগাঁতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষনা দেওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় টি স্থাপনের জন্য ছাতড়া বিল, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া নওহাটামোড় বাজার ও বদলগাছীর পাহারপুর সহ নওগাঁ সদরের তালতলি বিল নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের দাবি তোলেন নিজ নিজ এলাকার সংগঠন সহ সচেতন মহল এবং স্থানিয়রা। ইতি পূর্বেও একাধীক বার এদাবিতে কর্মসূচিও পালন করেন তারা। জাতীয় সংসদে ''বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়'' বিল পাস হওয়ার পরই আবারো স্থান নির্ধারন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা - সমালোচনা। নওগাঁর জেলার মধ্যমনি বা মধ্যবর্তী স্থান নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া নওহাটামোড় বাজার এলাকাটি জেলার মধ্যে সর্বদিক বিবেচনায় যৌক্তিক স্থান বলে মনে করেন নওগাঁর কয়েকটি উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ। 

কারন এস্থানটি নওগাঁ শহর থেকে ১৪-১৫ কিঃ মিঃ দূরে এবং নওগাঁ জেলা সদর সহ জেলার প্রতিটি উপজেলা সহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি জেলার সাথে বিভাগীয় শহর রাজশাহীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা সহ সর্বদিক বিবেচনায়  এস্থানটি এখন পর্যন্ত সচেতন মহলের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্ব বহন করে জানিয়ে বলিহার সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর পিন্সিপাল (অবঃ) আবু নাছের বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যায় মানে বিশাল একটি বিষয়, এর সাথে হাজারো শিক্ষার্থী, শিক্ষক সহ কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিষয় জড়ীত। এজন্য 

''বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টি'' স্থাপনের একমাত্র যৌক্তিক স্থান হবে জেলার মধ্যেমুনি ও জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া নওহাটামোড় বাজার। এবাজারে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ প্রশাসনিক, ফায়ার সার্ভিস সহ সবদিক থেকে জেলার মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বরাখে বলেও তিনি দাবি করেন। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি সার্বিক বিবেচনা সহ যৌক্তিক স্থানে স্থাপন করেন। তাহলে সবার আগে চৌমাশিয়া নওহাটামোড় বাজার স্থানটি নির্ধারণ বা সঠিক বলেই চয়েচ করবেন এমন মন্তব্যও প্রকাশ করেন তিনি। 


আরও খবর



আত্রাই-রাণীনগর মানবতা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মত বিনিময় সভা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

কাজী আনিছুর রহমান.রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর আত্রাই-রাণীনগর মানবতা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পূর্তি ও অনলাইন থেকে অফলাইনে আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাণীনগর উপজেলার শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অব:) এসএম আবু হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রুবাল এ্যাসোসিয়েশন ফর নিউট্রিশন ইমপ্রুভমেন্ট (রানি) এর প্রধান নির্বাহী ফজলুল হক খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,আত্রাই উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম। অন্যদের মধ্যে সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এসএম মমতাজুর রহমান,রেজাবুল হক,বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ মৃধা,কোষাধক্ষ্য রাজিব ইসলাম,আইন বিষয়ক সম্পাদক সুমন প্রামানিক,স্বাস্থ্য ও চিকি’সাসেবা বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ রেজা,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের নওগাঁ জেলা শাখার সহ-সভাপতি আসমা আক্তার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। মত বিনিময় সভা উপলক্ষে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয় করা হয়। 


আরও খবর