Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
১৩০০ বোতল সোয়াবিন তেল জব্দ, জরিমানা ১ লক্ষ টাকা

মানিকগঞ্জ ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

 মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,

মানিকগঞ্জ শহরে বোতলজাত সয়াবিন তেল অবৈধ মজুদ করে বোতল খুলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে এক তেলের ডিলারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

শুক্রবার শহর বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজারে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল অবৈধভাবে মজুদ রেখেছেন। এসব তেলের বোতল খুলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ শহর বাজারে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়। এ সময় কালীপদ অ্যান্ড সন্স নামের তেলের ডিলারের গুদামে অভিযান চালিয়ে পাঁচ লিটার ও দুই লিটারের এক হাজার ৩০০ লিটার তেল পাওয়া যায়।

গোডাউনে পাওয়া এসব তেলের বোতল গত রমজান মাসে মজুদ করে রাখা হয়েছে। সে সময় পাঁচ লিটার এক বোতল সয়াবিনের মূল্য ৭৯৫ টাকা ছিল। তবে বর্তমানে তেলে দাম বাড়ায় প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ৯৯০ টাকা। তবে বোতলে পূর্বের ওই মূল্য থাকায় ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি না করে বোতল খুলে অতিরিক্ত দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। এতে প্রতি লিটারে ২০ টাকা বেশি লাভ হচ্ছে। এ কারণে কালীপদ অ্যান্ড সন্সের গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিরঞ্জন বণিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মজুদ করা এসব তেল উপস্থিত ক্রেতাদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের বেশ চাহিদা রয়েছে। এরপরও ওই ডিলার বাজারে তেল বিক্রি না করে অবৈধভাবে মজুদ করে খোলাবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে এবং তেলে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।

অভিযানে সদর থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন ।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিন কেন্দ্রে তাণ্ডব চালিয়েছে একদল পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান :ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক পাখা, বাল্ব, শৌচাগারের দরজা, কমোডসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় ২০৩ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩২৪৫৯-২৩২৪৭৩ পর্যন্ত রোল নম্বরধারী ১৫ জন এবং উদ্বোধন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৩২৬০৫-২৩২৬২৯ পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

ওই কক্ষের ৪টি বৈদ্যুতিক পাখা, ৩টি বাল্ব ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া, কক্ষ সংলগ্ন ওয়াশরুমে ৬টি শৌচাগারের দরজা, ফ্লাশ প্যান, কমোড ভাঙচুর করা হয়।

২০৫ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩২৪২৮-২৩২৪৪৩ পর্যন্ত রোল নম্বরধারী ১৬ জন এবং পৌর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪২৫১৪-২৪২৫২৮ পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই কক্ষের ২টি বৈদ্যুতিক পাখা এবং ২টি বাল্ব ভাঙচুর করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের এমন তাণ্ডবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে জানতে চেয়েছেন, কক্ষ পরিদর্শক কি পরীক্ষার্থীদের কক্ষে রেখে উত্তরপত্র নিয়ে বের হয়ে গেছেন

বিদ্যালয়ের কর্মচারী (আয়া) মাকসুদা বেগম বলেন, পরীক্ষা শেষে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি, সব ভাঙাচোরা।

কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা এএসএম মাসুম বিল্লাহ। তবে, ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি নন জানান।

কেন্দ্র সচিব এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে আছি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন মাসুম বিল্লাহ। ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি।


আরও খবর



পশ্চিমাদের পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন পুতিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

মার্কিন বলয়ে থাকা পশ্চিমা বিশ্বকে এবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বললেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠালেই পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকিতে পড়বে পশ্চিমা দেশগুলো। দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্টের বার্ষিক ভাষণে ন্যাটো দেশগুলোকে উদ্দেশ করে এ হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।

রাশিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, কেউ রাশিয়া আক্রমণ করার চেষ্টা করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবে। কারণ দেশটির কাছে এখন এমন অস্ত্র রয়েছে যা শত্রু অঞ্চলের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে যেকোনো সময় আঘাত করতে সক্ষম। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। খবর তাস, আলজাজিরার।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শত্রুদের লক্ষ্য করে পুতিন আরও বলেন, তাদের বোঝা উচিত যে আমাদেরও অস্ত্র আছে। আমাদের কাছে এমন অস্ত্র রয়েছে যা তাদের ভূখণ্ডে আঘাত করতে পারে।

তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে একটি নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতায় টেনে আনার চেষ্টা করছে। বলেছেন, পশ্চিমারা এভাবে সভ্যতার ধ্বংসের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রকৃত হুমকি তৈরি করে।

সম্প্রতি সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদান করায় হুঁশিয়ারি জোরদার করেছেন পুতিন। কারণ ফিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘ স্থলসীমান্ত রয়েছে। ভাষণে এ অঞ্চলে সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন তিনি।

রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তির ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই রুশ সেনাদের কাছে সরমাট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে এবং দেশটি বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়েও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুতিন। তবে রাশিয়ার মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কথিত পরিকল্পনার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রধান ইউরোপীয় মিত্ররা চলতি সপ্তাহে বলেছে, তাদের ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

পুতিন আরও বলেছেন, সেনাবাহিনী তার যুদ্ধের ক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনজুড়ে অগ্রসর হচ্ছে। রাশিয়াকে আরব ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছেও জানিয়েছেন পুতিন।

বলেছেন, এ দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপে হামলা চালাবে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের রটানো আজগুবি প্রচারণার কথাও এ সময় তুলে ধরেন পুতিন। বলেন, রাশিয়ার উন্নয়ন বন্ধ করতে এবং বিশ্বজুড়ে সংঘাতের জন্ম দিতেই এমন উসকানিমূলক অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমারা রাশিয়াকে ভেতর থেকে দুর্বল করার চেষ্টায় হেরে গেছে।

পুতিন তার বক্তৃতায় অভ্যন্তরীণ বিষয়াদিসহ দেশের অর্থনীতির কথাও তুলে ধরেছেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে বিশ্বের চারটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে একটি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার দেশ গত বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সব জি-৭ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।

পুতিন আরও দাবি করেছেন, একটি সার্বভৌম, ক্ষমতাশালী রাশিয়া ছাড়া একটি শক্তিশালী বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা অসম্ভব। বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে রাজনীতিমুক্ত একটি নতুন বৈশ্বিক আর্থিক অবকাঠামো তৈরি করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

পুতিনের বক্তৃতা শুধু টেলিভিশনেই নয়, বড় ডিজিটাল স্ক্রিনেও সম্প্রচার করা হয়। সারা দেশের সিনেমা হলগুলোতেও বিনামূল্যে প্রচার করা হয়।


আরও খবর



দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অন্যথায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগামী ২০ মার্চ (বুধবার) মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে প্রতীকী হিসেবে ১ দিনের জন্য সারা দেশে সব রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান।

সম্প্রতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সকল সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় ব্যবসায়ীদের উপর চাপানো হচ্ছে। ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ সেক্টরটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার কারা হয়েছে। অনেক কাগজ-ডকুমেন্ট থাকার পরও রাজউক অনধিকার চর্চা করছে। স্বাধীন দেশে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। সময় বেধে দিতে হয় কিন্তু বিনা নোটিশে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, এই প্রথম আমরা রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ বিষয়টি শুনেছি। রাজউক যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা সঠিক নয়। রাজউক যে উদ্দেশ্যে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, সেইভাবে যদি ভবনটি ব্যবহার না হয় তাহলেও আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

রেস্তোরাঁ সেক্টরটি ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকারি কোনো প্রণোদনা বা কোনো রকমের সহায়তা আমরা পাইনি। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ব্যবসায়ীকভাবে এই সেক্টরটি পিছিয়ে পরে। অনেক চেষ্টা করে ঘুরে দাড়াতে চাচ্ছে এই সেক্টরটি কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবার ভয়াবহ সঙ্কটে এই সেক্টর। রমজানের মধ্যেও শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ অভিযান বন্ধ হয়নি। এছাড়া নীতিবাচক প্রচার-প্রচারণার প্রেক্ষিতে রেস্তোরাঁয় গ্রাহক আসা কমে গেছে। রাতারাতি এই সেক্টর গড়ে উঠেনি। নানা ধরনের লাইসেন্স বা অনুমতি নিয়ে এবং সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিয়ে এই সেক্টর গড়ে উঠেছে।

প্রায় ১২টি সংস্থা রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজিএমইএ এর আদলে রেস্তোরা সেক্টরকে যুগোপোযুগী ও কর্মমুখী করে এগিয়ে নিতে চাই। এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁয় হয়রানি বন্ধ করে খুলে দেওয়ার। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কিভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতা ও বোনাস প্রদান করবে? আইনি নোটিশ, গ্রেপ্তার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ সেক্টরে যে অবিচার ও জুলুম চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট উত্তরণের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ বন্ধের মাধ্যমে কোনো সুফল বয়ে আসবে না। ফায়ার সেফটি ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে এসওপি প্রদান করা যেতে পারে।

সঙ্কট সমাধানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দিয়ে ইমরান হাসান বলেন, এ সঙ্কট উত্তোরণের রাস্তা বের করতে হবে। মাথা ব্যথা হয়েছে বলে মাথা কাটা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। টাস্কফোর্স এর মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সে অনুযায়ী টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট একটি এসওপি তৈরি করবে। দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স প্রদান করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা একই ব্যবসার জন্য একাধিক সংস্থার নিকট যেতে চাই না, এতে আমাদের খরচ ও হয়রানি দুটাই বৃদ্ধি পায়।

একইসঙ্গে সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশার কথাও বলেন তারা।

এর আগে গত ৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাজধানীতে কয়েকদিনের অভিযানে প্রায় ৪০টির মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তার কার্যালয়ে সংগঠনটি চিঠি পাঠিয়েছে বলেও জানানো হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন।

 


আরও খবর



দাম বেড়েছে অধিকাংশ পণ্যের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আসছে রমজান মাস। রমজান উপলক্ষ্যে অন্যান্য দেশে সব কিছুর দাম তুলনামূলক কমিয়ে দেওয়া হলেও এ দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান আসার আগেই বাজারে মাছ, মাংস, মুরগি ও সবজিসহ বেড়েছে প্রায় সবকিছুর দাম। সব মিলিয়ে বাজারে যেন বাড়তি দামের ছোঁয়া লেগেছে।

 রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি থেকে শুরু করে মাছের অতিরিক্ত বাড়তি দাম যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কিছুদিন রাজধানীতে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হলেও সেটি বেড়ে আবার ৭৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লারসহ সোনালি ও দেশি মুরগির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে।

আজ রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, আর প্রতি মুঠা হিসেবে নিলে প্রতি মুঠা ২০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চাষের পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি রাজধানীতে কিছুদিন গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও আবারও আগের মতো প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সোনালি মুরগি ও কক মুরগিরও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে শুনেছি রমজান এলে সবকিছুর দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ঘটে উল্টোটা... রমজান এলেই বেড়ে যায় সবকিছুর দাম। আজকে বাজারে সবজির দাম থেকে শুরু করে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য প্রায় সবকিছুর দামই বাড়তি দেখলাম।

তিনি বলেন, বয়লার মুরগি আগে ২০০ টাকা কেজি ছিল, আজ সেটি বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। গরুর মাংসও ফিরে গেছে আগের বাড়তি দামে। এছাড়া, সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ঊর্ধ্বগতির বাজারে এখন বাজার করতে এলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নিয়মিত হিমশিম খেতে হয়।

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি বাজারে মাছের দরদাম করতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন আরেক ক্রেতা মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ইদানীং বাজারে মাছের দাম এতোটাই বেড়েছে যে, আমরা সাধারণ ক্রেতারা দুই-এক ধরনের মাছ ছাড়া অন্য কোনো মাছ কিনতে পারি না। মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি।

তিনি বলেন, নিয়মিত পাঙাশ, তেলাপিয়া ও চাষের কই এগুলো কিনতে হয়। কিছুদিন ধরে পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা কেজি কিনলেও আজ দাম বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। একইভাবে চাষের কই, তেলাপিয়া, রুই ও পাবদা মাছের দামও বেড়েছে। এসব মাছ ছাড়া ভালো মানের অন্য কোনো মাছ আমরা কিনতে পারি না অতিরিক্ত দামের কারণে। সামনে রমজান মাস, রমজান আসার আগেই বাজারে সব ধরনের মাছের দামই অতিরিক্ত বাড়তি যাচ্ছে।

সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাওয়ার কথা স্বীকার করে রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, আরও বেশ কিছুদিন যাবত মাছের দাম বাড়তে যাচ্ছে। রমজানের আগে এর দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। মূলত মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে, এরপর আর দাম কমেনি।

তিনি বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মাছ যখন কিনে আনি তখনই আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয়। এরপর পরিবহন খরচ ও শ্রমিক খরচ সব মিলিয়ে কিছুটা দাম পড়ে। আমরা যখন কোনো মাছ পাইকারি বাজারে কম দামে কিনতে পারি, তখন খুচরা বাজারেও আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মাছ চাষের‌ খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। বেশ কিছুদিন ধরেই মাছের দাম বাড়তি। আগামীতেও মাছের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




নওগাঁয় রহস্যজনক ভাবে ৩ সন্তানের জননী নিখোঁজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার পাতাড়ী মাদ্রাসা পাড়া থেকে মোছাঃ আনওয়ারী বেগম(৩৫) নামের এক গৃহবধূ রহস্য জনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। 

নিখোঁজ হওয়া ঐ গৃহবধূর স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজন সম্ভাব্য  সকল স্থানে খোঁজা-খুঁজি করেও কোন সন্ধান না পেয়ে গৃহবধূ আনওয়ারী বেগমের পিতা মাহবুবুর রহমান গত শুক্রবার দুপুরে সাপাহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

উল্লেখ্য যে, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের মাহাবুর রহমানের মেয়ে মোছাঃ আনওয়ারী বেগম এর সাথে একই উপজেলার পাতাড়ী মাদ্রাসা পাড়ার শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের দীর্ঘ দিনের সংসার জীবনে দু' মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। কয়েক দিন পূর্বে গৃহবধূ আনওয়ারী বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর সংসারের কাজ কর্ম যথারীতি এক পর্যায়ে রাত ৮ পর হটাৎ করেই রহস্যজনক ভাবে গৃহবধূ নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হোন। নিখোঁজের পর স্বামী ও তার পিতার পরিবার থেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে অদ্য পর্যন্ত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা  হয়েছে বলে থানার ওসি (তদন্ত)

রায়হান কবির জানিয়েছেন।


আরও খবর