Logo
শিরোনাম

মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক সেতুর টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মোঃ আশরাফুল ইসলাম - মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি::


রাজধানী ঢাকা থেকে সিংগাইরের প্রবেশদ্বার হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৫২-এর প্রথম ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদের নামে ২০০০ সালের ২৬ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় ‘শহীদ রফিক সেতু’। উদ্বোধনের পর থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর টোল আদায় হলেও তা এখনো বন্ধ না হওয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, পরিবহন চালকসহ সিংগাইরের সাধারণ জনগণ।

বৃহস্পতিবার (১২ই সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভ শেষে টোল প্লাজা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে ছাত্র-জনতা।

শহীদ রফিক সেতুর অন্যায্য টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করে আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিক্ষোভ কর্মসূচির সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার আবু সায়েম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাসুদূর রহমান আইয়ুবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফারুক হোসেন, মো. রুমি এবং ছাত্র-জনতার মধ্যে মো. আসিফ,জয় ইউনুস, মো. আবীর আহমেদ,মো. মিরাজ,মো. রনি,মো.সাইদুর রহমান প্রমূখ।

কৃষিনির্ভর সিংগাইরকে শিল্পাঞ্চলে পরিণত করতে এই টোল বাধা বলে জানান বক্তারা। কর্তৃপক্ষের কাছে ভাষা শহীদ রফিক সেতুর টোল আদায় স্থায়ী বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, মাত্র ৩০৭ মিটার দৈর্ঘ্যর এই ছোট সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মাত্র ২৪ কোটি টাকা। গত ২৪ বছরে এই সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, যা এরকম ১৩টি সেতুর সমান। গত ২৪ বছরে সেতুর রেলিংয়ের ঢালাই খুলে গেছে, সেতুর লোহার সংযোগ পাত ভেঙে গেছে, ঢালাই ভেঙে গর্ত হয়েছে। অথচ টোল নামক অভিশাপ বিদায় নিচ্ছে না।



আরও খবর



গণমাধ্যমকে মুক্তভাবে কথা বলাতে দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গণমাধ্যমকে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। গণমাধ্যমকে কোনভাবেই বৈষম্যের শিকার হতে দেয়া যাবে না। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন এর ফার্মগেট কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের ১ যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সামগ্রিক উন্নয়নের এখনি সময়। এতদিন গণমাধ্যমের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমান সরকারকে গণমাধ্যম বান্ধব হতে হবে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস সহ সকল উপদেষ্টাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিকে নজর দিতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস বিশ্বে অত্যন্ত সমাদৃত ও সম্মানিত একজন ব্যক্তি। আমরা প্রত্যাশা করব তিনি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে জাতি হিসেবে আমাদেরকেও সম্মানিত করবেন। বাংলাদেশের ডিজিটাল গণমাধ্যমের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনে'র ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ডিজিটাল মিডিয়া বিশ্বে সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। এই মিডিয়ার অগ্রগতির এক যুগে বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমি বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সর্বাঙ্গীর মঙ্গল কামনা করি

বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সকল উদ্যোগকে পৃষ্ঠপোষকতার প্রতিশ্রুতিও দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাবীণ এই শিক্ষক। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শরিকুল ইসলাম খান ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত স্বপন

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খান বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধন দেওয়ার নামে তামাশা করা হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী লীগের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ দলীয় পদ পদবী দেখে অনলাইন মিডিয়ার নিবন্ধন দিয়েছে। মন্ত্রী তার নিজের টেবিলে নিবন্ধনের আবেদন পূরণ করে নিয়ে তার খেয়াল খুশিমতো অনলাইন মিডিয়ার নিবন্ধন দিয়েছে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাই। সেই সঙ্গে অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা সংস্কার করার দাবীও জানান তিনি। পরে অনুষ্ঠানে কেক কেটে উৎযাপন করা হয় এক যুগ পূর্তি

এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রাশিদুল হাসান বুলবুল, পলিটিক্স নিউজের সালেহ আহমেদ রশিদ অলক, ইএনবি নিউজ এর মনিরুজ্জামান জুয়েল, নোয়াখালী টিভি'র পরিচালক হামিদ রনি, ফটো নিউজ এর আবু সুফিয়ান রতন, সোনার বাংলা টিভির সাব্বির আহমেদ রনি, চ্যানেল ৯৩ এর জাহাঙ্গীর আলম তুষার, আরএইচ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক আনিসুদ্দিন, প্রাইম নিউজ ডটকম এর রাশেদ বাবু, হাবিবুর রহমান কামাল প্রমুখ


আরও খবর



নওগাঁয় ভারতে পালানোর সময় দু'জন ছাত্রলীগ নেতা শ্রীঘরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ভারতে পালানোর সময় নওগাঁর মহাদেবপুরে আটক আব্দুল্লাহ আল আহসান (২৪) নামের চট্রগ্রামের এক ছাত্রলীগ নেতাসহ মান্দায় মেহরাব হোসেন মিষ্টার (৩২) নামে অপর এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে করেছে থানা পুলিশ। বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুই থানার অফিসার ইনচার্জ। 

আটককৃত আব্দুল্লাহ আল আহসান চট্রগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে ও চান্দগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপিতি ও অপর আটক ছাত্রলীগ নেতা মিস্টার উপজেলার পরানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও পরানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান ওরফে আবুলের ছেলে।


থানা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তার নামে চান্দগাঁও থানায় তার নামে ৩ টি মামলা হয়েছে। মামলার ভয়ে সে নওগাঁর ধামইরহাট থানার সীমান্ত দিয়ে পালানোর জন্য মহাদেবপুর থানার এক এজেন্টের সাথে চুক্তি করে। এই তথ্যটি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা পাওয়ার পর প্রথমে সেই এজেন্টকে জিম্মায় নেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার হাতুর ইউপির দেওপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। অপরদিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের বান্দাইপুর গ্রামে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ফেটগ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডার একপার্যায়ে অভিযুক্ত মিষ্টার গংয়ের মারপিটে ৮ জন গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনায় ভূক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন শাহ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে পরানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ব্যাক্তির নিকট চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।

সত্যতা নিশ্চিত করে তাদের দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসমত আলী ও মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান।


আরও খবর



লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম কুবাইসি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং হিজবুল্লাহ পৃথক বিবৃতিতে বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপি ও টাইমস অব ইসরায়েলের

আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শহরতলী এলাকা দাহিয়েতে হামলায় কুবাইসিসহ হিজবুল্লার অপর দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও নিহত হয়েছেন

অপর দুজনের নাম বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে নিহত দুই কমান্ডার কুবাইসির সহচর ছিলেন

হিজবুল্লাকে দমন করতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কিছু শহর ও গ্রামে হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী

এতে নিহত হন কমপক্ষ্যে ৫৫৮ জন। অতর্কিত এ হামলার জবাব দিতে মঙ্গলবার উত্তর ইসরায়েলের গ্যালিলি অঞ্চলের হাইফা, সাফেদ এবং নাজারেথ অঞ্চলে প্রায় ৩ শতাধিক রকেট ছোড়ে হিজবুল্লা

হিজবুল্লার রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে বৈরুতে ওই হামলা পরিচালিত হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে

এদিকে শুরুর দিকে চুপ থাকলেও পরে কুবাইসির মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছে হিজবুল্লাও। গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইব্রাহিক কুবাইসি এবং তার সহযোগী দুই কমান্ডার জেরুজালেমের জন্য শহীদ হয়েছেন

গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময় হিজবুল্লা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অল্প সময় পরেই গোষ্ঠীটিতে যোগ দেন কুবাইসি। তারপর গত প্রায় ৪০ বছর হিজবুল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক শাখার নেতৃত্ব দেওয়া এই কমান্ডার সংশ্লিষ্ট ছিলেন গোষ্ঠীটির প্রিসিশন-গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের সঙ্গেও। হিজবুল্লার অনেক জেষ্ঠ কমান্ডারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল

২০০০ সালে ইসরায়েলে মাউন্ট ডোভ অভিযান চালিয়েছিল হিজবুল্লা। সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ইব্রাহিম কুবাইসি। মাউন্ড ডোভ অভিযানে তিন জন ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ করেছিল হিজবুল্লা। পরে তাদের হত্যা করা হয়। হিজবুল্লার হাই-প্রোফাইল যত হামলা রয়েছে, তার প্রত্যেকটির সঙ্গেই সংশ্লিষ্টতা ছিল কুবাইসির

১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিজবুল্লাহ। প্রতিষ্ঠান পর থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগে আছে গোষ্ঠীটির। তবে এর উল্লম্ফণ ঘটেছে গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে। ওই হামলার পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েরের উত্তরাঞ্চলে রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলও সমান তালে হামলা অব্যাহত রাখে

গত সপ্তাহে লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় লেবাননে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর অন্তত ১৬ সদস্য রয়েছেন। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি, আবার হিজবুল্লার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেনি

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছিলেন হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল। নিহত আকিল গোষ্ঠীটির এলিট শাখা রাদওয়ান ইউনিটের প্রধান ছিলেন


আরও খবর

মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতি ১৫০০ কোটি টাকা ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি। ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে সদর উপজেলায়। জেলায় নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় তিন লাখ কৃষক। বন্যার এক মাস পার হলেও ২০ ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। 

স্থানীয়রা জানান, গত ২০ বছরে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখেনি লক্ষ্মীপুরের মানুষ। এক মাস পার হলেও অনেক এলাকা থেকে এখনো পানি সরেনি। রাস্তাঘাট বাড়িঘর হাঁটু পর্যন্ত পানি তলিয়ে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় জানায়, গত ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি ও বন্যা। এতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হন ৫ উপজেলাবাসী। ভেসে যায় ৫০ হাজার পুকুর ও ঘেরের ২৫০ কোটি টাকার মাছ। তলিয়ে যায় আমনের বীজতলা, আবাদসহ ৬০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় আরও জানায়, পানির তোড়ে ২০০ ব্রিজ-কালভার্ট এবং কাঁচা–পাকা ২ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার সড়কের ৩৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অপর দিকে ৯ হাজার ৮৭০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন, ১০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৬টি গবাদিপশুসহ বিভিন্নভাবে জেলায় বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। জেলায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে পুঁজিসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব প্রায় তিন লাখ কৃষক। 

জেলার সদর উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের খোকন হোসেন ও মোহাব্বত হোসেন জানান, এক মাস পার হলেও এখনো পানিবন্দী। অর্ধাহারে-অনাহারে খেয়ে–না খেয়ে দিন কাটছে। এরই মধ্যে পানিতে পচে গেছে ঘরের আসবাব। ঘরের ভিটেমাটি ধসে গেছে। কোথাও মাথা গোঁজার আশ্রয় নেই। বন্যার পানিতে সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের। কবে নাগাদ পানি কমবে সে আশায় দিন কাটছে তাদের। 

সদর উপজেলার বালাইশপুর এলাকার আদর্শ খামারের মালিক ফারুকুর রহমান বলেন, ‘চারটি পুকুর ও ঘেরের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। গবাদিপশুর গোখাদ্য নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকার। বন্যায় ক্ষতি ও ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এই এলাকায় আমার মতো কয়েক হাজার খামারি নিঃস্ব হয়েছেন।’ 

৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া। তিনি বলেন, ‘এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ক্ষতির শিকার প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে কৃষকই ৩ লাখ। এ ছাড়া জেলার ২০ ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে মানুষের। কাজ করে যাচ্ছি।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘আমন আবাদসহ মোট শস্যখেত রয়েছে ৯০ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ৫৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির ফসল। যার ক্ষয়ক্ষতি ৬৩৩ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।’ 

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের কাজ চলছে। পাশাপাশি খালগুলোর বাঁধ অপসারণ ও দুপারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন উচ্ছেদ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে। সব মিলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬৯ টন চাল ও ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।’ ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।


আরও খবর



এনজেলো-এইচজেডএস’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ব্রাঞ্চ ওপেনিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য নিয়ে কাজ করা চীন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এনজেলো-এইচজেডএস। শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা শুরুর এই ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল চেয়ারম্যান ড. লিও জিয়াকি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. লিও জিয়াকি বলেন, আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকার বাজারের মতই ব্যবসা বান্ধব বাংলাদেশে বিশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই বহুজাতিক চীনা কোম্পানিটি বিস্তার লাভ করবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যাকার বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক দিন দিন আরো উন্নত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন

প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্টার জুর সভাপতিত্বে এবং কোম্পানির এইচ আর ম্যানেজার ইসফাত খান ইতি ও সাংবাদিক আ ফ ম মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ওভারসিজ মার্কেটের প্রেসিডেন্ট মি. কিন, এডুকেশন ডাইরেক্টর মি. ঝাং, ক্যালকুলেশন ডাইরেক্টর মি. লিউ, জেনারেল ম্যানেজার মি. স্টোন ও মি. ঝাও

অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মার্কেটের কো-ফাউন্ডার আতিকুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম সোহাগ, খন্দকার মোহাম্মদ গোলাম নবী মোহন, মিজানুর রহমান ও তারেকুল ইসলাম খান। তারা প্রত্যেকেই ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কার অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কোম্পানির অ্যাডভাইজার ও কার অ্যাচিভার হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ। অনুষ্ঠানে ১১ জন ব্যক্তিকে কার অ্যাওয়ার্ড, ১১ জন ব্যক্তিকে চায়না ট্রিপ অ্যাওয়ার্ড ও শতাধিক ব্যক্তিকে র‌্যাংক ব্যাজ প্রদান করা হয়। এসময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত কোম্পানির পাঁচ শতাধিক পরিবেশক এতে উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর

লবঙ্গ চা খেলে যেসব উপকার পাবেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪