Logo
শিরোনাম

মাঙ্কিপক্স নিয়ে বাংলাদেশের ভয় নেই

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মানুষ যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই নতুন ‘আতঙ্ক’ হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছে আফ্রিকান ভাইরাস মাঙ্কিপক্সের। এরইমধ্যে পৃথিবীর ১৮টি দেশে দেড় শতাধিক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে কেউ আক্রান্ত না হলেও সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব বন্দরে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে এখনও বাংলাদেশের ভয়ের কোনো কারণ নেই। তাই এই ভাইরাস নিয়ে এতোটা উদ্বিগ্ন না হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্কতার পরামর্শ তাদের।

যেসব কারণে বাংলাদেশে আসার ঝুঁকি কম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক বে-নজির আহমেদ জানান, বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্স আসবে কি না এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এজন্য আমাদের কিছু বিষয় বুঝতে হবে, এর মধ্যে একটি হলো উৎস। এক্ষেত্রে মাঙ্কিপক্সের প্রধান উৎস হলো মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে এটি এনডেমিক ডিজিজ। আর দ্বিতীয়ত এই রোগের উৎস হলো, ইদানিং ১২/১৪টি দেশে এই রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে সে দেশগুলোতে কিন্তু এখনও প্রমাণিত হয়নি যে রোগটির কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। তার মানে আমাদের দেশে রোগটি আসার ক্ষেত্রে আমরা ধরতে পারি, মূল সোর্স হলো পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকা।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাজধানীতে আকস্মিক বাস সংকট, চরম দুর্ভোগ যাত্রীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানীর কিছু রুটে শৃঙ্খলা ফেরানো ও শতভাগ যাত্রীসেবা নিশ্চিতে টিকিট কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু করায় সড়কে বাস কম ছাড়ছেন মালিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারছেন না অনেকে। সব থেকে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে নারী যাত্রীদের। বাসে উঠতে না পেরে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন। যাদের সামর্থ্য আছে তারা রিকশা, সিএনজি, রাইড শেয়ারে গন্তব্যে ছুটছেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বাড্ডা লিংক রোড থেকে শুরু করে রামপুরা বাজার পর্যন্ত প্রতিটি মোড়ে মোড়েই মানুষের জটলা। এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী রাইদা, তুরাগ, ভিক্টর, আকাশ পরিবহন খুব কম চলছে। মাঝেমধ্যে একটা বাস আসলে ঝাঁপিয়ে পড়ে উঠতে চেষ্টা করছেন যাত্রীরা।

বাড্ডা লিংক রোডে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা জাহিদ নামে একজন যাত্রী বলেন, শুনতেছি কাউন্টারভিত্তিক টিকিট চালু করায় মালিকরা বাস চালাচ্ছে না। এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি কোনো রাইদা গাড়ি নেই। তাদের কাছে আমরা জিম্মি।

আরেক যাত্রী বলেন, গুলিস্তান যামু, অনেকক্ষণ ধইরা দাঁড়াই আছি, যাও দু-একটা ভিক্টর ও আকাশ বাস আসতেছে উঠাই যাচ্ছে না।

পুরুষদের দুএকজন বাঁদর ঝোলা হয়ে যেতে পারলেও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নারীরা। বাড্ডা বাজার রোডের যাত্রী নাসিমা বলেন, অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি, যাত্রাবাড়ী যাওয়ার বাস পাচ্ছি না। একটা রাইদা গাড়িও নেই। সিএনজি অনেক ভাড়া চাচ্ছে। কিভাবে যাব বুঝতেছি না।

বাস চালকরা বলছেন, কাউন্টার ও টিকিট সিস্টেম চালু করার কারণে গাড়ি কম চলছে। ভিক্টর পরিবহনের এক কন্টাকটার বলেন, আমাগোর কিছু করার নাই। সরকার মালিক যেভাবে বলছে আমরাও সেভাবে চালাচ্ছি। কাউন্টার ও টিকিট ছাড়া যাত্রী তুলতাছি না। যে অবস্থা এই সিস্টেম বেশিদিন চালু রাখতে পারবো না।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও শতভাগ যাত্রীসেবা নিশ্চিতে টিকিট কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু করা হয় বৃহস্পতিবার।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা ২১টি কোম্পানির বাস একক কোম্পানির অধীন পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এর আওতায় প্রায় ২ হাজার ৬১০টি বাস চলাচল করবে। বাসগুলোর রং হবে গোলাপি।

সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব বাস চলবে কাউন্টার–পদ্ধতিতে। যাত্রীদের নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে বাসে যাতায়াত করতে হবে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া বাস দাঁড় করানো হবে না। যাত্রী ওঠানামাও করবে নির্দিষ্ট স্থানে। বাসে ওঠানামার জন্য ঢাকার বিভিন্ন অংশে থাকবে প্রায় ১০০টি স্টপেজ। তবে এখনো সব স্টপেজে কাউন্টার বসানোর কাজ এখনো শেষ হয়নি।


আরও খবর

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ওষুধ, পোশাকসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর যে বাড়তি ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তা পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাড়তি ভ্যাটের কারণে বাজারে পণ্যের দামে এরই মধ্যে প্রভাব পড়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ভ্যাটের কারণে সম্পূর্ণ না। দামের প্রভাব কিছু কিছু জায়গায় হয়তো ভ্যাটের কারণে হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে এটা হলো ম্যানুপুলেশন, সাপ্লাই চেনের ওপর।

তিনি বলেন, ভ্যাটের মাধ্যমে আমি দাম বাড়িয়েছি কয়েকটি জিনিসের। ফোন, বিদেশি ফলের জুস কয়টা মানুষ কেনে। অতএব ওটার ওপর পড়েছে (ভ্যাটের কারণে দাম বেড়েছে) তা না। তবু আজ আমরা রিভিউ করছি, কিছু কিছু ম্যাটার। আপনারা পরে জানতে পারবেন।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, অত্যাবশ্যকীয় কিছু কিছু জিনিসের বিষয়ে আমরা বলেছি। তারপর ওষুধ, পোশাকসহ অত্যাবশ্যকীয় যেসব পণ্য সাধারণ লোকজনের ওপর প্রভাব ফেলে সেগুলো রিভিউ করা হচ্ছে। আমদানি করা ফলের জুস- এগুলো আমি কেন কমাবো?


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানী শনিআখড়ায় প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। দীর্ঘ চার ঘন্টা সড়ক অবরোধে সব ধরনের সড়ক পরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়ক জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে  পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাসের পরে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। 

নিহত মিনহাজের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  সাকরাইন উড়াতে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসলে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে ছুরিকাঘাত করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে পথচারীদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। তিনি বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামে। মিনহাজ বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। 

কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। তার বাবা হাফেজ কারী মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জানায়,নিহত মিনহাজ তাদের সহপাঠী ছিলেন। আগষ্টে ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকার পরিবর্তনের পরে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত থেকে চাঁদা নেয় মাহফুজ গংরা। কয়েকদিন আগে চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় হত্যাকারীদের সাথে বিবাধ হয় মিনহাজের। পরে অভিযুক্ত মাহফুজসহ করেকজন তাকে হুমকী দেয়। এর পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।

যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওয়ারী জোনের ডিসিসহ  উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এসময় তারা হত্যা কারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা কথা বলেন। এ হত্যার ঘটনায় বুধবার নিহতর ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০৬।


আরও খবর

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ম্যাটস শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চার দফা দাবি আদায়ের নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এরমধ্যে দাবি আদায় না হলে দুপুর থেকে একযোগে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আজও আমাদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে তিনদিন সময় নিয়েছে। তবে আমাদের অন্য তিনটি দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা দেয়নি। কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাব না। আমরা রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করব এবং আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরা আমরণ অনশনে যাব।

মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটি টিম যখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ডাকে সাড়া দিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে গিয়েছিল, তখন আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাবে অবস্থানের উদ্দেশ্যে শাহবাগ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু শাহবাগের দিকে যাওয়ার সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় আমাদের ৬০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া সবমিলিয়ে ১২০ জনের মতো শিক্ষার্থী হামলায় আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যে পুলিশগুলো আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে, তারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছিল। আমরা এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এর আগে দাবি আদায়ে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। পরে এক ঘণ্টার সময় দিয়ে আল্টিমেটাম দেন। পরে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে লং মার্চ শুরু করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাধা দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লং মার্চ শুরু করেন তারা।

চার দফা দাবিগুলো হলো– বৈষম্যমুক্ত বাংলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩-১৯৭৮ মোতাবেক উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে, অনতিবিলম্বে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্যপদে নিয়োগ প্রধানসহ কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ম্যাটস সংস্কৃত ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন পদ সৃজন করতে হবে, অনতিবিলম্বে চার বছরের অ্যাকাডেমিক কোর্স বহাল রেখে পূর্বের মতো এক বছরের ভাতাসহ ইন্টার্নশিপ চালু করে অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে এবং প্রস্তাবিত অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল শিক্ষা বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন বোর্ড গঠন করতে হবে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আলুচাষীদের মাথায় হাত, লাভের চেয়ে লোকসান বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুমাস আগেই বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম উঠেছিল ৭৫/৮০ টাকা পর্যন্ত। এতে ৩৩ শতক জমিতে আলু চাষ করে ভালো লাভ করেছিলেন ঠাকুরগাঁও সদরের আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা আলুচাষি শমসের আলী। বেশি লাভের আশায় এবার তিনি মাহাজন থেকে টাকা ধার নিয়ে এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু বাজারে এখন আলুর দাম কমছে। ২০ দিন আগে শমসের আলী আড়তে যে আলু প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করেছিলেন সেই আলু গত সপ্তাহে বিক্রি করেন ১৩ টাকা কেজিতে। এতে লাভের আশা তো দূরে, চাষের দেনা পরিশোধ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

শুধু শমসের আলী নন, আগাম আলু চাষ করে জেলার শত শত কৃষক এখন লোকসানের মুখে পড়েছেন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে এই জেলায় ২৬ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। গতবার ভালো লাভ পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।

ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকার আলুচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাভের আশায় এবারও চাষিরা নানা জাতের আগাম আলুর চাষ করেছেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষে আলু রোপণ করে নভেম্বরে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে এবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বৃষ্টির কারণে খেতের বীজ নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের। এ কারণে নতুন বীজ রোপণ করতে হয়েছে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চাষের খরচও বেড়েছে। কিন্তু আগাম জাতের সেই আলু বিক্রি করে এখন লোকসানে পড়েছেন কৃষকেরা।

কৃষকেরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। এখন মাঠে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজিতে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ভাঙাকোয়াটার এলাকার কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু আবাদে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার বেশি। আলু পাওয়া গেছে ২ হাজার ৬০০ কেজি। তাতে প্রতি কেজি আলু চাষে খরচ পড়েছে ২৩ টাকার বেশি। সেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। তাতে কেজিতে ১২ থেকে ১৩ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী বড় পলাশবাড়ি এলাকার আলুচাষি মাজেদূর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে গ্র্যানুলা জাতের আলু আবাদে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার বেশি। আলু পেয়েছেন ১৯৫ মণ। ১২ টাকা দরে সেই আলু বিক্রি করে পান ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা। তাতে তার লোকসান হয়েছে ৮৭ হাজার ৪০০ টাকা।

রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের কৃষক নাজমুল বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এর মধ্যে দুই বিঘার আলুর বিক্রি করেছি। তখন অল্প কিছু লাভ হয়েছে। কিন্তু এখন ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারছি না। প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। আলু যে রেখে দেব, তারও উপায় নেই। কারণ, আগাম আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যায় না।

সদর উপজেলার ছোট বালিয়া এলাকার আলুচাষি মোস্তফা বলেন, বাজারে দাম বাড়লে মানুষ কত কথা বলে। সরকারও দাম বেঁধে দেয়। এখন প্রতিদিনই আলুর দাম কমছে। কিন্তু কারও মুখে কোনো কথা নেই। সরকারেরও কোনো পদক্ষেপ নেই।

কৃষকের মাঠ ঘুরে ঘুরে আলু কেনেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে এক কেজি আলু ৮০ টাকায় কিনেছি। গত সপ্তাহেও মাঠ থেকে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। এখন সেই আলু কিনছি ১৩ থেকে ১৪ টাকায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার কৃষক যখন একটি ফসলে লাভ পান, তখন অন্যরাও সেটাতেই ঝোঁকেন। চলতি বছরে আলুর ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। তবে উৎপাদন খরচটাও একটু বেশি পড়ছে। কিন্তু বাজারে দাম কম। এতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫