Logo
শিরোনাম

মানসিক চাপে রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

একথা আমাদের প্রায় সবারই জানা যে, রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে সমস্যা আরও বেশি দেখা দেয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছাড়াও সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও রক্তে হঠাৎস সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলার পরও সুগার বেড়েই চলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক কারণে শরীরে সুগারের তারতম্য ঘটতে পারে। কী কারণে এমনটা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক :

পানিশূন্যতা

শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে তাকে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন বলা হয়। শরীরের ভেতরে পানির অভাব দেখা দিলে তখন শরীর আর্দ্রতা হারায়। এর ফলে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের সমস্যা। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পানি পান করতে হবে।

নিয়মিত ওষুধ না খেলে

রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। অনেকে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে ভুলে যান। সেখান থেকেই বাড়ে বিপদ। নিয়মিত সুগারের ওষুধ না খেলেই হঠাৎ সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার পরও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এরকমটা হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করলে

ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় অনেকেরই। সেসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও সুগার বাড়তে পারে। ক্ষতিকারক স্টেরওয়েডযুক্ত ওষুধ সেবন করলে তা ব্লাড সুগার হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।

মানসিক চাপের কারণে

নানা কারণে মানসিক চাপে ভুগে থাকেন অনেকেই। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপের ফলে শরীরে হরমোন ক্ষরণে তারতম্য ঘটে থাকে। গবেষণা আরও বলছে, মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সুগারেরও। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে।

ঘুম কম হলে

অনেকেই রাতে ঠিক সময়ে ঘুমাতে যান না। রাত জেগে থাকার বদ অভ্যাস আছে অনেকের। যে কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সুস্থ থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এদিকে মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণে ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



বাজারে চিনির দাম নিয়ে জটিলতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :  দাম এত বেড়েছে যে চিনি খাওয়া বন্ধই করে দেবো ঠিক করেছি। এমনিই চিনির দাম বাড়ায় গত কয়েকমাসে চিনি ব্যবহার করা অনেক কমিয়ে দিয়েছি, কিছুটা ক্ষোভের সাথেই আমাকে বললেন ঢাকার মহাখালীতে সপ্তাহের বাজার করতে আসা শাহিদা আক্তার।

শাহিদা বলেন, বছর খানেক ধরেই দাম বাড়লে ব্যবহার কমানোর নীতি অনুসরণ করছেন তিনি। অর্থাৎ যখন যেই পণ্যের দাম বাড়ে, সেই পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে দেন তিনি।শাহিদা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন,গত এক বছর ধরে গোশত খাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছি। সয়াবিন তেলের দাম যখন বাড়ল তখন তেল কম ব্যবহার করারও অভ্যাস করেছি। এ দেশে এভাবে অ্যাডজাস্ট না করলে তো সংসার নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব না।

বাংলাদেশে চিনির দাম নিয়ে গত কিছুদিন ধরে বাজারে বেশ শোরগোলই তৈরি হয়েছে বলা যায়। ঈদের পর দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে এপ্রিলের প্রথম দিকে সরকার খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয়ে কেজি প্রতি ১০৪ টাকায়। কিন্তু সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ওইসময় বাজারে চিনি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছিল বলে জানা যায়।

ঈদের আগে খোলা চিনির দাম সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা হলেও এখন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকার নিচে খোলা চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। আর খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি দোকানে পাওয়াই যাচ্ছে না।মহাখালী কাঁচাবাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেল তারা ১৪০ টাকার নিচে খোলা চিনি বিক্রি করছেন না। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানলাম তাদের কাছে প্যাকেটজাত চিনি নেই।

একজন দোকানদার দাবি করলেন ঈদের আগে থেকেই প্যাকেটজোত চিনির সরবরাহ নেই। আর খোলা চিনি ঈদের আগেও ৫০ কেজির বস্তা ৬ হাজার টাকায় কিনেছেন তারা। তবে এখন ওই বস্তা কিনতে হচ্ছে ৬ হাজার ৩০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ টাকায়।

বাংলাদেশের চিনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চায় বিশ্ব বাজারে এক মাসের মধ্যে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় এই বর্ধিত দামে তারা চিনি আমদানি করবে কিনা।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের দামে চিনি আমদানি করলে চিনির আমদানি মূল্যই সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি হয়। এরকম বাস্তবতায় এই দামে তারা চিনি আমদানি করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

অথচ মাস ছয়েক আগেও বাজারে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে খোলা চিনি। প্যাকেটজাত চিনির দাম ছিল কেজিতে ১০০ টাকার নিচে। সেখান থেকে ছয় মাসের মধ্যে চিনি নিয়ে এমন সঙ্কট তৈরি হলো কেনখুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির সরবরাহকারীরা তাদের চিনি দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, কারণ হিসেবে আমদানিকারক ও মিল মালিকরা বলছে যে মিলে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি নেই।

রোজার সময় চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেব্রুয়ারি মাসে চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার। তারপরই বাজারে খোলা চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে ১০৪ টাকা হয় এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম কমে দাঁড়ায় ১০৯ টাকায়। এপ্রিল মাস থেকে এই শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহার করার পর থেকে চিনির দাম বেড়েছে। তবে শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহার করার ফলে চিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা বাড়তে পারে বলে মনে করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান।

ভ্যাট সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে মূলত দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টন প্রতি প্রায় ১৫০ ডলার বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে চিনির দাম ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এই বিষয়ে চিনি আমদানিকারকদের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চিনির দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান শফিকুজ্জামান। এ বিষয়ে চিনি আমদানিকারকদের কারো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বাজারে চিনির সরবরাহে কোনো কমতি নেই। দেশের শীর্ষ চিনি আমদানিকারকদের এমন ব্যাখ্যা গত কয়েকদিনে প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যমে।

পণ্যের বাজারে চাহিদা-যোগান ও সরবরাহের হেরফেরের এরকম সময়ে সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বাজারে অসামঞ্জস্য দীর্ঘায়িত করে বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এরকম সময়ে, যখন স্বাভাবিক সরবরাহ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বড় আমদানিকারকরা বাজারের ওপর প্রভাবটা বাড়িয়ে দেয়।

এরকম সময়ে সরকারের যেই সংস্থাগুলোর তাদের ওপর নজরদারি চালানোর কথা, তারা দুর্বল বা অসহায় ভূমিকা পালন করেন বলে এর আগে দেখেছি আমরা।তবে আমদানিকারকরা কম পরিমাণ আমদানি করার কারণেও বাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন,এই মুহূর্তে যেহেতু ডলারের একটি টানাপোড়েন আছে, তাই আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় পরিমাণ এলসি খুলতে পারছেন না বলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আমদানি কম হচ্ছে বলে আমার ধারণা। এই কারণে বাজারে চিনির সরবরাহ কিছুটা কম থাকতে পারে এবং এমন পরিস্থিতিতে বাজারে কিছুটা ঘাটতি থাকা স্বাভাবিক বলেও মনে করেন তিনি।

এছাড়া শুল্ক কমানোর সুবিধা পুনর্বহাল করা নিয়ে আলোচনার অংশ হিসেবেও বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হতে পারে বলে ধারণা করেন মোয়াজ্জেম।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদ উল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক স্বামী মাহমুদুল আলম বাবু। তিনি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার দুপুরে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কামালের বার্ত্তি বাজারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় ২০১৮ সালে উপজেলার ঘাসিরপাড়া গ্রামের জহুরুল হকের কন্যা সাবিনা ইয়াছমিনকে রেজিষ্টি কাবিন মুলে ২য় বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ভরণপোষন ও বকশীগঞ্জ পৌর শহরে ৫ শতক জমি কিনে বাড়ি এবং ময়মনসিংহ শহরে ৩ শতক জমি কিনে দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে ব্ল্যাক মেইল ও নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করা শুরু করে। কোন কারন ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে সে। আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক ও আমার সকল সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সম্মানের ভয়ে সব কিছু মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকি। গত ছয়মাস আগে তার গর্ভে আমার কন্যা সন্তান হয়। সন্তান হওয়ার পর থেকেই একটি কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় সে আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি,মামলার হুমকি দিতে থাকে এবং আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। তার আচরণে অতিষ্ট হয়ে গত ৮ মে সোমবার আমি তাকে আইনগত ভাবে তালাক দিয়েছি। এরপর সে আমার বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি সাজানো মামলা ও আদালতে একটি মামলা করে। এমনকি বিভিন্ন জনকে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট করে সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় করে আসছে। আপনাদের মাধ্যমে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের আইনে আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। তিনি আরো বলেন,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। আইন মোতাবেক তালাক দিয়েছি। আদালতে মামলা করেছে আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই মেনে নিব। তার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই। তবে শিশু সন্তানটি আমার একমাত্র কন্যা সন্তান। আমার মেয়েকে আমি চাই। তার বিষয়েও আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।  

উল্লেখ্য,গত বুধবার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন। তার দাবি স্বামীর অধিকার চাওয়ায় নির্যাতন করা হয়েছে তাকে।


আরও খবর



ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে পাকিস্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেও ১০২ রানের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দ্য গ্রিন ম্যানরা। একই সঙ্গে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়েও প্রথমবারের মতো তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বাবর আজমের দল।

শুক্রবার (৫ মে) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৩৪ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

আর এই জয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এতদিন ১১৩ দশমিক ২৮৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়া। আর ১১২ রেটিং পয়েন্টে দুইয়ে ছিল ভারত।

কিন্তু কিউইদের সঙ্গে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়ে ১১৩ দশমিক ৪৮৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বাবর-রিজওয়ানরা। যদিও এই সিরিজের আগে তালিকার পাঁচে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাঁচ ম্যাচের সিরিজে চারে চার জয় তুলে নিয়ে ২০০৫ সালে চালু হওয়া র‍্যাঙ্কিং প্রথায় প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে এলো দলটি। তবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ব্ল্যাক ক্যাপসদের সঙ্গে হেরে গেলে আবারও ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনে নেমে যাবে পাকিস্তান।

এদিন করাচিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দ্য ম্যান ইন গ্রিনরা। ওপেনিংয়ে নেমে ১০ চারে ১১৭ বলে ১০৭ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন বাবর। আর এতে ব্যাটার হিসেবে দ্রুততম ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এ ছাড়া ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৬ বলে ৫৮ রান করেন আঘা সালমান।

অন্যদের মধ্যে শান মাসুদ ৪৪, ইফতিখার ২৮, রিজওয়ান ২৪ রান করেন। এ ছাড়া ৭ বলে ২৩ রানের অপরাজিত এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।

কিউইদের হয়ে ১০ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। এ ছাড়া বেন লিস্টার ও ইশ সৌধির শিকার একটি করে উইকেট।

জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক টম লাথামের অনবদ্য এক ইনিংসেও কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন ল্যাথাম। এ ছাড়া মার্ক চ্যাপম্যান ৪৬ ও ড্যারিল মিচেল ৩৪ রান করেন। শেষদিকে মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতায় মাত্র ৪৩ দশমিক ৪ ওভারে ২৩২ রানেই গুটিয়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

পাকিস্তানের হয়ে উসামা মীর চারটি, মোহাম্মদ ওয়াসিম তিনটি, হারিস রউফ দুটি ও শাহীন আফ্রিদি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।


আরও খবর



বাল্য বিয়ের সংখ্যা কমছে : ইউনিসেফ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

জাতিসংঘ শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, বাল্য বিয়ে হ্রাস পাচ্ছে, তবে যে হারে কমছে তাতে আরো ৩০০ বছরেও এই ধারা বন্ধ হবে না। সংকটের একটি প্রবল ঝড় এখনো এই প্রবণতা বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউনিসেফের প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ক্লডিয়া ক্যাপা বলেছেন, আমরা অবশ্যই বাল্য বিয়ের প্রচলন পরিত্যাগে অগ্রগতি অর্জন করেছি, বিশেষকরে গত ১০ বছরে। দুর্ভাগ্যবশত, এই অগ্রগতি যথেষ্ট নয়।

ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ৬৪ কোটি মেয়ে ও নারীর বিয়ে হয়েছে যখন তাদের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। বর্তমানে আনুমানিক প্রতি বছর ১ কোটি ২ লাখ মেয়ে শিশুর বাল্য বিয়ে হচ্ছে। কিন্তু গত ২৫ বছরে এ ধরনের বিয়ের হার হ্রাস পাচ্ছে।

১৯৯৭ সালে, ২০-২৪ বছর বয়সী ২৫ শতাংশ যুবতী ১৮ বছরের আগে বিয়ে করেছিলেন। ২০১২ এই সংখ্যাটি ২৩ শতাংশে নেমে এসেছিল এবং ২০২২ সালের মধ্যে এটি ছিল ১৯ শতাংশে।এরপরও ২০৩০ সালে প্রায় ৯ মিলিয়ন মেয়ের বাল্য বিয়ে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান গতিতে, বাল্য বিয়ে দূর করতে আমাদের হয়তো ৩০০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

কাপ্পা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই বিষয়গুলোতে বেশিরভাগই ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী মেয়েরা জড়িত। এমনকি সেই ভঙ্গুর অগ্রগতিও হুমকির মুখে, ইউনিসেফও আশঙ্কা করছে- কোভিড-১৯ মহামারী, বৈশ্বিক সংঘাত এবং এর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের সংমিশ্রণ জলবায়ু পরিবর্তন এই অগ্রগতি উল্টে দিতে পারে।

২০২০ থেকে ২০৩০ সলের মধ্যে অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ের জন্য শুধুমাত্র কোভিড-১৯ দায়ী হতে পারে।

 সূত্র : বাসস



 


আরও খবর



কিয়েভকে গুঁড়িয়ে দিতে বললেন মেদভেদেভ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ কিয়েভের সরকারব্যবস্থাকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশটির সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা কর্মকর্তাদের ধ্বংস করে দিতে বলেছেন।

রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মেদভেদেভ। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে মেদভেদেভ এমন মন্তব্য করেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইউরোপীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ এসব কথা বলেছেন।

মেদভেদেভের কথায় জেলেনস্কির এ সাক্ষাৎকারের সারমর্ম হচ্ছে, জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছ থেকে আরো অস্ত্র দাবি করেছেন। ক্রিমিয়ায় হামলাসহ সফল পাল্টা হামলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেলেনস্কির এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ কিয়েভ সরকারকেই গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। মেদভেদেভ আরো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এ সহিংসতা কয়েক দশক ধরে চলতে পারে।

মেদভেদেভ আরো হুঁশিয়ারি দেন, সাক্ষাৎকারটি পরস্পরবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর মনে হলেও হালকা করে দেখা উচিত নয়। তিনি বলেন, কারো প্রলাপকেও খাটো করে দেখা উচিত নয়। এটি কিয়েভ শাসনামলের উন্মাদনার সময়। এ সময় কিয়েভ নাৎসি অভিজাতদের সমন্বিত করতে, সেনাদের মনোবল বজায় রাখতে এবং পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সমর্থন পেতে চায়।

কিয়েভের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে রাশিয়াকে অবশ্যই পাল্টা হামলার সময় ইউক্রেনের সেনা ও সেনা সরঞ্জাম ধ্বংস করে দিতে হবে বলে মনে করেন মেদভেদেভ। তিনি চান, কিয়েভের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক পরাজয়। তিনি আরো বলেন, কিয়েভের নাৎসি শাসনব্যবস্থা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ইউক্রেনের সাবেক সব ভূখণ্ড জুড়ে বেসামরিকীকরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।

রাশিয়ার সাবেক এ প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, যারা পালিয়ে গিয়েছে, রাশিয়াকে তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। নাৎসি শাসনের মূল হোতাদের অবস্থান বের করতে হবে এবং কোনো রকম সীমাবদ্ধতা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ পদক্ষেপ না নিতে পারলে নাৎসি শাসনের মূল হোতারা শান্ত হবে না বলে মনে করেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।

 


আরও খবর