Logo
শিরোনাম

মানুষ এখন পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন... খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে কার্যকর ও শক্তিশালী করেছেন। 

গ্রাম আদালত শক্তিশালী হওয়ায় দেশবাসী হয়রানি মুক্ত সঠিক সেবা পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মুক্তমঞ্চে জাতীয় ''স্থানীয় সরকার দিবস'' উপলক্ষে উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

একই সময় তার নির্বাচনী এলাকার অপর দুটি উপজেলা নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলা উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চূয়ালীতে যুক্ত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মানুষ এখন পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন। শেখ হাসিনার পরবর্তী টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সরকার বহুমুখী উদ্যাগ নিয়েছে। এই পরিকল্পনায় সরকারী দপ্তরগুলোতে স্মার্ট সেবা প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রন জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সম্মানিত করেছেন। তার দূরদর্শি চিন্তার সুফল ভোগ করছে মানুষ। এখন আর কোন মানুষ অবহেলিত নেই। প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছে বর্তমান সরকার।

 তিনি বলেন, ভোটের মালিক জনগণ। দেশের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে উন্নত বিশ্বে রোল মডেল‌ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে থাকবে।

অনুষ্ঠানে সাপাহার উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সকল  ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী উপকারভোগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে দু'জন ব্যাক্তির মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক, ৫০ জন  আইজিএ প্রশিক্ষনার্থীদের ভাতা প্রদানের চেক, ৬টি ইউনিয়নের ১৮০ জন কিশোর কিশোরীকে গেঞ্জি ও ট্রাউজার, ১২০ জন দরিদ্র মায়ের প্রত্যেককে ৯ হাজার ৬০০ টাকা করে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ক্রীড়া সামগ্রী,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা ও মেলায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার তদন্ত দল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


বিডি ডেস্কঃ

 সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার আলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের একটি দল আট দিনের সফরে আজ ঢাকায় এসেছে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়,‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের একটি দল অন্তর্বর্তী সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের সাথে প্রাথমিক আলোচনার জন্য ২২ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট ঢাকা সফর করবে।’
এতে আরো বলা হয়, এ সফরের উদ্দেশ্য হলো মানবাধিকার উন্নয়নে সহায়তায় অগ্রাধিকার অনুধাবন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, এই সফরটি তদন্ত নয় বরং এ সফলকালে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার আলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হবে।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় জানায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ চূড়ান্ত হয়ে গেলে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত পরিচালনা করার জন্য আগামী সপ্তাহগুলোতে একটি পৃথক অনুসন্ধানকারী দল পাঠানো হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশের জনগণকে বিশেষ করে তরুণদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে তাদের প্রশংসা করেছেন ও সমর্থন জানিয়েছেন। কারণ তারা সকলের জন্য মানবাধিকারের অগ্রগতির দিকে কাজ করছে।
দলটি তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের সফরকালে বেশ কয়েকজন সরকারি উপদেষ্টা ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সাথে দেখা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে একটি সাম্প্রতিক   ফোন আলাপকালে এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন।
সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের দলকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সফরকালে জাতিসংঘের দলটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবে না।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




দেশে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বিশ্বে সর্বনিম্ন

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পোশাকশিল্প খাত অন্য অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি বিশ্বে সর্বনিম্ন বলে দাবি করেছে গণতদন্ত কমিটি তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, মজুরি চাইতে হবে কেন? ইনক্রিমেন্ট চাইতে হবে কেন? দ্রব্যমূল্য তো গোপনে বাড়ে না যে কেউ জানে না সবাই বাজারের অবস্থা জানে, মজুরি বোর্ডও ভালোই জানে তবুও মজুরি বকেয়া থাকে, তার যৌক্তিক পুনর্বিন্যাস হয় না শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হয়

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত রিপোর্ট পড়ে শোনান অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। মজুরি আন্দোলনে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা অনুসন্ধানে গত ২২ মার্চ গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল

কিন্তু দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিসহ অনিবার্য বিভিন্ন কারণে আমাদের কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। এর ফলে পুরো রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, শ্রমিকদের যৌক্তিক ন্যূনতম মজুরি চাইতে হয়। বিনিময়ে পাওয়া যায় হামলা, মামলা গুলি। বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামে একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২০০ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। কম্বোডিয়ার অর্থনীতি আমাদের তুলনায় নাজুক হওয়ার পরও তারা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০০ ডলারের বেশি নির্ধারণ করেছে। ভারত পাকিস্তানে তা ১৭০-১৮০ ডলার। চীনে একজন পোশাক শ্রমিক ৩০০ ডলার মজুরি পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হয় ৯৫ ডলার। তারপর বছর বছর তা সমন্বয় করার কথা থাকলেও করা হয়নি। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এবারে দাবি করা হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা, যা ২০০ ডলারের কাছাকাছি, ন্যূনতম মজুরি। মালিকপক্ষ সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে, যা ১১০ ডলারের কাছাকাছি বলে রিপোর্ট তুলে ধরা হয়

শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ যাচাই করার দায়িত্ব ছিল সরকার এবং সরকার গঠিত ওয়েজ বোর্ডের। কিন্তু তারা তা না করে শুধু মালিকদের কথাই শুনেছে। পুলিশ, বিজিবি, সন্ত্রাসী বাহিনীর চাপের মুখে সেই কম মজুরি শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। গুলি করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে একজন ঘুমন্ত শ্রমিকসহ আরো তিনজন শ্রমিককে, জখম হয়েছেন আরো অনেকে। নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত বিচারের উদ্যোগও নেওয়া হয়নি

তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ৮টি সুপারিশ করা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শ্রমিক হত্যার যথাযথ তদন্ত দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। পুলিশ তৎকালীন সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনীর শ্রমিকদের ওপর হামলা, গুলি করে হতাহত করে তারপর আবার সেই শ্রমিকদের নামেই মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে নির্যাতন করেছে। হয়রানি এখনো অব্যাহত রেখেছে। অবিলম্বে সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে

প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে কোনো পুলিশ যদি কাউকে খুন কিংবা জখম করে তাহলে ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও তার দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা বরাবর দেখছি শিল্প পুলিশ তার ঘোষিত অবস্থান অনুযায়ী মালিক পক্ষের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। যা শিল্প পরিবেশ ক্ষুণœ করে এবং শিল্পাঙ্গনে অনাস্থা অনিশ্চয়তা তৈরি করে। সেজন্য শিল্পের স্বার্থেই বাহিনী বিলুপ্ত করতে হবে

মজুরি নির্ধারণ নির্দিষ্ট মেয়াদে তার পুনর্বিন্যাস করার গ্রহণযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মজুরি নিয়ে আন্দোলনে শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে না হয়। মজুরি বকেয়া রাখা, জালিয়াতি, প্রতারণা বন্ধ করতে হবে

বাংলাদেশে কার্যকর শ্রম আদালত নেই। যতটুকু আছে তাতে শ্রমিকদের পক্ষে ন্যায়বিচার পাওয়া অসম্ভব। শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং শ্রমিকদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে হবে। আনু মোহাম্মদ আরো বলেন, সর্বশেষ ছাত্র-জনতার গণঅ্যভুত্থানে কমপক্ষে ১০০ জনের বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিএনপি দখল ও চাঁদাবাজির দায় নেবে না - বেনজির টিটো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

গৌরাঙ্গ বিশ্বাস -বিশেষ প্রতিনিধি::


ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো বলেছেন, ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দখল, চাঁদাবাজি, খুন, গুম ও মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে নির্যাতন করে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে এক ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। 


তিনি আরও বলেন, “আমরা বিএনপিরা যেন সেই ভুলটা না করি। কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের নির্দেশনা হলো- কোনো দখল বা চাঁদাবাজির দায় বিএনপি নেবে না।” তিনি উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মী ও যুবদল ছাত্রদলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “কোনো অবস্থাতেই এই অপকর্মের দায় আমরা নিতে পারি না।”


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পারখি ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এক পর্যায়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় সভাস্থল।


ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন জিন্নাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম মিন্টু ও জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 


সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি শাহিনুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপির নেতা সজল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভিপি রফিক, এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান শফিউর রহমান খান শাফি, সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বালা, সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন, উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান লেলিন প্রমুখ।



আরও খবর



দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ফারুকের

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১


মোস্তফা কামাল: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, দেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে। 
আজ বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হবার পর সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, ‘লক্ষ্য অনেক বড়। দেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের এক সাথে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। যেহেতু অনেক দিন ধরে এ কাজটি চলছে, তাই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আমাদের সেসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা একটি দেশ ও ক্রিকেট প্রিয় জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই। কাজটি সহজ হবে যদি আমরা নিজেদেরকে একটি দল হিসেবে চিন্তা করি এবং আমরা যদি নির্দিষ্ট কাউকে বেশি অগ্রাধিকার না দিয়ে দলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। আমরা যেন অন্য দিকে সরে না যাই।’
আজ জরুরি সভায় নাজমুল হাসান পাপন তার পদ থেকে সরে যাবার পর প্রথম সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক। 
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বোর্ডের আট পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। জালাল ইউনুস এবং আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির পরিবর্তে এনএসসির মনোনীত বিসিবির পরিচালক হন ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদিন ফাহিম। 
সভাপতির পদ থেকে পাপন পদত্যাগ করায় বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ফারুককে সভাপতি নির্বাচিত করতে ভোট প্রদান করেন সভায় উপস্থিত পরিচালকরা। 
১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফারুক। বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসাবে দু’বার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৩-২০০৭ সালে প্রথম মেয়াদে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের দলে সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় কান্ডারি হয়ে উঠেন তারা।
এরপর ২০১৩-২০১৬ সালে আবারও প্রধান নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ফারুক। কিন্তু তৎকালীন বিসিবি সভাপতি পাপন দুই স্তরের নির্বাচন প্যানেল তৈরি করলে পদত্যাগ করেন ফারুক। কারন নির্বাচক প্রক্রিয়ায় অযাচিত ক্ষমতা প্রয়োগ করেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। 
বোর্ডে অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে সকলকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে বদ্ধপরিকর ফারুক। পাশাপাশি তাদের কাজের জবাবদিহিতার সুযোগও থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 
ফারুক বলেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি কারো কাজে হস্তক্ষেপ করবো না। তবে প্রত্যেকের কাজই কঠোর তদারকিতে থাকবে। আমরা সবাইকে বড় সাফল্যের জন্য সময় দিবো। কিন্তু যদি সাফল্য না আসে তাহলে এজন্য আপনাকে দায়ী হতে হবে। সভাপতি হিসেবে আমি কিছু উপদেশ দিতে পারি তবে এমন নয় যে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে তা গুরুত্ব দিতে হবে।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুক ক্রিকেট দল। শুধুমাত্র ছোট-ছোট বিষয় নিয়ে আটকে থাকলে চলবে না। আমাদের আরও বড় লক্ষ্যের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। আমি রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করতে পারি না। এখানে কতক্ষণ থাকবো সেটিও জানি না। তবে ক্রিকেটই হবে সবকিছুর উর্ধ্বে।’
এমন একটি ব্যবস্থা ফারুক গড়ে তুলতে চান যাতে কোন দুর্নীতি করার সুযোগ না থাকে। 
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ প্রক্রিয়ার বিপক্ষে প্রতিবাদ করে আমি বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছি। দুর্নীতির পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। আমাদের একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে যার মাধ্যমে কোন দুর্নীতি করার সুযোগ থাকবে না।’
আইসিসি র‌্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কোথায় দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক বলেন, ‘আগেই বলেছি, আমি ক্রিকেটকে সেরা জায়গায় দাঁড় করাতে চাই। হঠাৎ পাওয়া সাফল্যে আমি খুশি হয়ে যাবো, এমনটা নয়। আমরা যদি পাঁচটি প্রতিদ্বন্দিত্বাপূর্ণ ম্যাচ খেলার পর ষষ্ঠ এবং সপ্তম ম্যাচ জিততে পারি এটিকেই সাফল্য মনে করবো।’ 


আরও খবর



দেশের প্রথম ১ঘন্টার উপজেলা চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

রংপুর প্রতিনিধি :

দেশের ইতিহাসে  প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে।  চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়ে শপথ নিয়ে এলাকায় ফেরার আগেই অপসারণ।  রংপুরের  গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের  বিজয়ী চেয়ারম্যান   বিএনপি নেতা মোকাররম হোসেন সুজন শপথ গ্রহণের একঘণ্টা পরেই অপসারিত হয়েছেন। 

সারাদেশে ৪৯৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের অপসারণে সরকারি প্রজ্ঞাপনে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার নাম ছিল। 


শপথ গ্রহণ করে উপজেলা পরিষদ না পৌঁছাইতে সরকারিভাবে এই ঘোষণা চলে আসে। 


সোমবার সকাল ১১টায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কনফারেন্স রুমে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মোকাররম হোসেন সুজন। 


শপথ গ্রহণ করে এলাকায় ফেরার আগেই  জানতে পারেন স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক সারাদেশে ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে। 


উল্লেখ্য, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ ২৯ মে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৮৩৩ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হন। 


পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন নির্বাচনি ট্রাইবুনালে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ব্যালট পূর্ণ গণনার  মামলা করেন। মোকাররম হোসেন সুজনের চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক। 


পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে শপথ গ্রহণের পক্ষে রায় নিয়ে আসেন। সকাল ১০টায় শপথ নেয়ার পর দুপুরে জানতে পারেন রোববার জারি করা প্রজ্ঞাপনে সারাদেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে তিনিও অপসারিত হয়েছেন।


আরও খবর