Logo
শিরোনাম

মানুষ এখন পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন... খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে কার্যকর ও শক্তিশালী করেছেন। 

গ্রাম আদালত শক্তিশালী হওয়ায় দেশবাসী হয়রানি মুক্ত সঠিক সেবা পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মুক্তমঞ্চে জাতীয় ''স্থানীয় সরকার দিবস'' উপলক্ষে উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

একই সময় তার নির্বাচনী এলাকার অপর দুটি উপজেলা নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলা উন্নয়ন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চূয়ালীতে যুক্ত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের মানুষ এখন পূর্নাঙ্গ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন। শেখ হাসিনার পরবর্তী টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য সরকার বহুমুখী উদ্যাগ নিয়েছে। এই পরিকল্পনায় সরকারী দপ্তরগুলোতে স্মার্ট সেবা প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রন জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সম্মানিত করেছেন। তার দূরদর্শি চিন্তার সুফল ভোগ করছে মানুষ। এখন আর কোন মানুষ অবহেলিত নেই। প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছে বর্তমান সরকার।

 তিনি বলেন, ভোটের মালিক জনগণ। দেশের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে উন্নত বিশ্বে রোল মডেল‌ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে থাকবে।

অনুষ্ঠানে সাপাহার উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সকল  ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী উপকারভোগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানে দু'জন ব্যাক্তির মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক, ৫০ জন  আইজিএ প্রশিক্ষনার্থীদের ভাতা প্রদানের চেক, ৬টি ইউনিয়নের ১৮০ জন কিশোর কিশোরীকে গেঞ্জি ও ট্রাউজার, ১২০ জন দরিদ্র মায়ের প্রত্যেককে ৯ হাজার ৬০০ টাকা করে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ক্রীড়া সামগ্রী,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা ও মেলায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।


আরও খবর



ভিসানীতি নিয়ে বিব্রত, বিভ্রান্ত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নাই

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, ভিসা নীতি  নিয়ে বিব্রত, বিভ্রান্ত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নাই। আমেরিকা তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে আর কাকে যেতে দেবে না সেটা একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার। 

তবে আমরা বলতে পারি আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোন ঘাটতি নেই। দুই দেশের সম্পর্ক আগে যা ছিলো এখনো তাই আছে। একটি মহল আমেরিকার এই ভিসা নীতিকে পুঁজি করে বাংলাদেশ এর মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

তিনি বুধবার বিকালে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানাধীন নব-নির্মিত শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, ভিসা নীতিতে কোন বাহিনী, দল কিংবা গোষ্ঠির কথা আমেরিকা উল্লেখ করেনি। তারা নিয়মিত ভাবেই সকলকে ভিসা দেন না। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। 

এ নিয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন ভাবেই উদ্বিগ্ন নয়। বর্তমান সময় ও নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই পরিচালনা করবে। দেশের  নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে আধুনিক এবং কার্যকর পুলিশ বাহিনী  গড়ে তোলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে পুলিশ বাহিনীর স্বপ্ন দেখেছিলেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলেছেন। গুজবে কান না দিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানান তিনি।

নওগাঁ জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ফয়সল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ  ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁ-৬ (আত্রাই- রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মাওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক প্রমুখ।


আরও খবর



উচ্চ সংঘাতপ্রবণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

সংঘাত, সহিংসতা, চরমপন্থার দিক থেকে এগিয়ে থাকা বিশ্বের ৫০ দেশের তালিকায় স্থান উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। তালিকায় ২২ তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। সংঘাতের মাত্রার দিক থেকে অতি উচ্চ, উচ্চ, অশান্ত নিম্ন এই চারটি ভাগে দেশগুলোর অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছে উচ্চ সংঘাতপূর্ণ দেশ হিসেবে। গত ১২ মাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তালিকার ১ নম্বরে মিয়ানমার এবং ৫০ নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের নামও এই তালিকায় আছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি এই তালিকা তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে তারা। এবারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্যের ভিত্তিতে।

সহিংসতায় নিহতের ঘটনা, বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি, সহিংসতাপ্রবণ এলাকার বিস্তার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা এই চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসিএলইডি তাদের বার্ষিক কনফ্লিক্ট ইনডেক্স তৈরি করেছে। এই চার মানদণ্ডে স্কোরের ভিত্তিতে তালিকার দেশগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

তালিকায় অতি উচ্চ বা চরম সংঘাতপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০টি দেশকে। তালিকার ক্রম অনুসারে এগুলো হলো ১. মিয়ানমার, ২. সিরিয়া, ৩. মেক্সিকো, ৪. ইউক্রেন, ৫. নাইজেরিয়া, ৬. ব্রাজিল, ৭. ইয়েমেন, ৮. ইরাক, ৯. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ১০. কলম্বিয়া।

উচ্চমাত্রার সংঘাতপূর্ণ ২০টি দেশের তালিকায় আছে ১১. ফিলিস্তিন, ১২. হাইতি, ১৩. আফগানিস্তান, ১৪. বুরকিনা ফাসো, ১৫. মালি, ১৬. ভারত, ১৭. সুদান, ১৮. গুয়াতেমালা, ১৯. পাকিস্তান, ২০. হন্ডুরাস, ২১. সোমালিয়া, ২২. বাংলাদেশ, ২৩. কেনিয়া, ২৪. ক্যামেরুন, ২৫. ইথিওপিয়া, ২৬. জ্যামাইকা, ২৭. ভেনিজুয়েলা, ২৮. ফিলিপাইন, ২৯. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং ৩০. নাইজার।

অশান্ত বা নিম্ন সংঘাতপূর্ণ ২০টি দেশ ও অঞ্চলের তালিকায় আছে ৩১. দক্ষিণ সুদান, ৩২. তুরস্ক, ৩৩. পুয়ের্তো রিকো, ৩৪. মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ৩৫. বুরুন্ডি, ৩৬. উগান্ডা, ৩৭. মোজাম্বিক, ৩৮. দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩৯. রাশিয়া, ৪০. লেবানন, ৪১. স্বোয়াতিনি, ৪২. ইন্দোনেশিয়া. ৪৩. ইসরায়েল, ৪৪. ইরান, ৪৫. বেনিন, ৪৬. ইকুয়েডর, ৪৭. চাদ, ৪৮. ঘানা, ৪৯. লিবিয়া, ৫০. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এই দেশগুলোর বাইরে অন্যান্য দেশ নিম্ন সংঘাতপূর্ণ এলাকা।

এসিএলইডি বলছে, এ বছর পুরো বিশ্বে সহিংস ঘটনা আগের বছরের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। এসব ঘটনায় ১ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ১৬৭টি দেশে গত এক বছরে একটি হলেও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪১ জনে। এছাড়া নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন। সবমিলিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ২৭২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেনিন্স অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে আগর ২৪ ঘণ্টার তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৯৪৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৬৭ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ৯৭৭ জন। একই সময়ে যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে সাতজন ঢাকার ও চারজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ২৭২ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৮ হাজার ২৬ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৮৩ হাজার ২৪৩ জন ভর্তি হয়েছেন।

বছরের একই সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ৪০ হাজার ৭১৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৩ হাজার ২৯১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭২ হাজার ৪২৪ জন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে কভিড মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর



আত্রাইয়ে আ’লীগ নেতাকে মারপিট, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লাকে মারপিটের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন তোফাসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রাজজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন উপজেলার বিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন তোফা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বিধু ভূষন দাস।অন্যরা হলেন মকবুল শেখ, মিলন হোসেন, সজল, সাদ্দাম হোসেন, বুলু, হাবিবুর রহমান ও লিমন। তাদের সবার বাড়ি আত্রাই উপজেলার বৈঠাখালী,সমাসপাড়া,মোহনঘোষ ও চক্রধর এলাকায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১আগস্ট দুপুরে উপজেলার বিশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা মটরসাইকেল নিয়ে সমাসপাড়া বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিসে যাওয়ার সময় ভাঙ্গা জাঙ্গাল চার মাথার মোড়ে আসামীরা তাকে মারপিট করে খুন জখম করে। এ ঘটনায় ২আগস্ট আব্দুল মান্নানের ভাই চাঁদ মোল্লা বাদী হয়ে আত্রাই থানায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এঘটনায় পুলিশ হারুন,ফরিদ এবং শাহাজাহান নামে ৩ আসামীকে  গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিলেন। আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রাজজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ তাদেরকে  কারাগারে প্রেরণ করেন।

বাদী চাঁদ মোল্লা বলেন,আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

বাদী পক্ষের সরকারী কৌশলী (পিপি) আব্দুল খালেক বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা না মনঞ্জুর করে তাদেরকে ৬সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক আজ আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন


আরও খবর



নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাট, স্বজন প্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না থাকা সহ ডজন খানেক অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম এর বিরুদ্ধে। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

কলেজ এর সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জাারি (ডিএইচএমএস) পেশাজীবী পরিষদের ২৫ সদস্যের স্বাক্ষরিত ঐ লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কলেজের অনুমোদনের পর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৮শ' ৪৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ও মাসিক বেতন বাবদ জমা নেওয়া টাকা থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এছাড়া কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ও প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে ২ লাখ করে টাকা আদায় করা টাকা ও শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নামে সংগ্রহ করা প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেন আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত। কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাটের বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্বেও কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বজন প্রীতির অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াতের বিরুদ্ধে। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অনুমোদিত নিয়োগ পেলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়া বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। তার স্বজন ও পছন্দের শিক্ষক কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেলেও অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ৪৪ থেকে ৫৭ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বেতন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও ঐসব শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুতি করা ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগকারী ও কলেজ সংলগ্ন নওগাঁ পৌর সভার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, স্বজন প্রীতি আর অনিয়ম কাকে বলে তার চূড়ান্ত উদাহরণ হলো নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার বাবা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা হলেও এবং কলেজের নামে এক খন্ড জমি দান না করলেও তাকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া তার শালিকা হাফিজা আক্তার ও ভায়রা রুহুল আমিন কে প্রভাষক হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া তার চাচা শ্বশুরের ছেলে কামরুল ইসলাম কলেজ এর প্রশাসনিক শাখার একটি পদে চাকরি করেন। বলা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। অহিদুজ্জামান নামে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রভাষক অভিযোগ করেন, কলেজ এর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি ঐ কলেজে প্রভাষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কলেজ অনুমোদনের পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৬৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তার। বার বার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেও তা পাননি। উপরোন্তু চলতি মাসের জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে জানান, তাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। তার কলেজে আসার প্রয়োজন নেই। অহিদুজ্জামান বলেন, আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কাগজ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। অথচ আমাকে কলেজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৭ লাখ টাকার উপরে বকেয়া বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না। এ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অহিদুজ্জামানের মতো আরো ৪ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত শামীম  বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কলেজ এর কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় কলেজ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাদের বহিষ্কার করেছেন। 

বহিষ্কৃত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম জাকির হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর