Logo
শিরোনাম

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

সাক্ষাতে অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রেখেছিলাম এবং স্বৈরাচার পতনের পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে আনন্দ উদযাপন করেছে তা প্রত্যক্ষ করেছি।

গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী জনমানুষের প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক আশাবাদ ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, চ্যালেঞ্জ বিশাল। মানুষের প্রত্যাশা মেটানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। তবে দেশবাসী ধৈর্য ধরেছে। দেশকে পুননির্মাণ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশ পুনর্গঠন একটি বৃহৎ কাজ। কারণ, স্বৈরাচারী শাসন সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে এবং অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে।

এ সময় অধ্যাপক ইউনূস দেশের সংকটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ সফর এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকম পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করায় অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তার সরকার ঢাকায় আবারও ভিসাকেন্দ্র চালু এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে আলোচনা চালাতে আগ্রহী।

আলোচনার সময় বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, বিশেষ করে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া ড. ইউনূস তার সরকার গঠিত বিভিন্ন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচ সদস্যের গুম তদন্ত কমিশন, যারা স্বৈরাচারী শাসনের সময়ের শত শত গুমের ঘটনা তদন্ত করছে।

অধ্যাপক ইউনূস অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীকে গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের শহর ও গ্রামের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরালের সংকলন আর্ট অব ট্রায়াম্ফ নামক একটি বই উপহার দেন।

অস্ট্রেলীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপহারটির প্রশংসা করেন এবং নগরীর কিছু এলাকায় গিয়ে সেসব শিল্পকর্ম নিজ চোখে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।


আরও খবর



দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, একাট্টা দলগুলো

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদে না রাখার বিধান যুক্ত করে তা বাস্তবায়ন, নির্বাচনে বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহার বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা পুনঃপ্রবর্তনের দাবিসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সুপারিশ জানিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত সংবলিত প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে।

দলগুলোর প্রস্তাবনার মধ্যে আরো রয়েছে, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ গ্রহণ, তৃণমূলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্প্রতি ও সৌহার্দ সমুন্নত রাখতে বিদ্যমান দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রথা বাতিল করা, ভোটার তালিকা থেকে মৃত ও বিতর্কিত ভোটারদের বাদ দিয়ে নির্ভুল তালিকা প্রণয়ন এবং কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যোগ্যদের বাছাই করে নির্বাচন পরিচালনা অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগদান।

গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংস্কার কমিশনের কাছে নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও কমিশনকে জবাবদিহিতার আওয়তায় আনতে ২২টি প্রস্তাবনা দিয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত এই প্রস্তাবনাটি নির্বাচন ভবনে জমা দিয়েছে। দলটি প্রস্তাবনায় বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুর্নবহাল করতে হবে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংশ্লিষ্ট সবার ঐকমত্য ও সমন্বিত উদ্যোগের ভিত্তিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে আইনী বৈধতা দিয়ে সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সৎ, দক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়াতে হবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতার প্রশ্নে জনগণের আস্থা বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ও বহুল বিতর্কিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।

জাতীয় সংসদে অধিকতর দল ও মতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ সংসদকে অধিকতর প্রতিনিধিত্বমূলক করার উদ্দেশ্যে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (প্রোপোশনাল রিপ্রেজন্টেশন-পিআর) প্রথা চালু করতে হবে। নতুন নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত বা ত্বরান্বিত করতে দুই বারের বেশি কোন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রাখা যাবে না। তৃণমুল পর্যায়ে আবহমানকাল ধরে চলে আসা সামাজিক ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে বিদ্যমান দলীয় প্রতীকের বিধান বিলুপ্ত করতে হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বাতিল করতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শগ্রহণের বাধ্যবাধকতা না রাখা এবং নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। নির্বাচনে অনিয়ম হলে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ নির্বাচন বাতিল করার সংক্রান্ত আরপিওর ৯১(ক) অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করতে হবে।

এদিকে ইসলামী আন্দোলনের ১৪টি প্রস্তাবের মধ্যে নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, ভোটগ্রহণের পূর্বে ভোটকেন্দ্রের মোট ব্যালট পেপার, তার ক্রমিক নম্বর, শূন্য ব্যালট বাক্স সব দলের পোলিং এজেন্ট এবং সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করা, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টকারী, জালভোট প্রদানকারী এবং নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিত কেউ পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আইন করা, যাতে ভবিষৎতে আর কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার সাহস না পায়। এছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষক রাখা এবং ইসিকে এমন ক্ষমতা দেওয়া, যাতে কোনো দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মানবতাবাদী অপরাধে লিপ্ত হলে কমিশন তাদের দলীয় নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে, আরপিওতে এমন শক্ত বিধান যুক্ত করা।

বাংলাদেশ সমমনা জোটের ২১ প্রস্তাবনার মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনিদিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা, অর্থপাচার রোধ ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ করা, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত করা ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তজার্তিক সীমান্ত আইন বাস্তবায়ন করা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পরও যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন এ সংক্রান্ত আইনের কঠোর বিধান যুক্ত এবং বেআইনি ঘোষণা করা।

আর খেলাফত মজলিশও বেশকিছু সুপারিশ করেছে নির্বাচনী কমিশন ব্যবস্থা ও সংস্কার কমিশনের কাছে। তাদের প্রস্তাবনার মধ্যে নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালোটাকার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা, ব্যয়ের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম পেলে প্রার্থিতা বাতিল এবং এমনকি নির্বাচিত হলেও তার পদ বাতিল ঘোষণা করার বিধান আইনে সন্নিবেশ করা। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং চাকুরিজীবীদের জন্য পোস্টার ব্যালট প্রথা সচল রাখা।

এদিকে, প্রত্যেকটি দলই কয়েকটি বিষয় অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে এর মধ্যে সংখ্যানুপাতে সংসদ গঠন (পিআর প্রথা চালু), তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে না থাকা এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ গ্রহণ এবং নির্বাচনে তাদের বিচারিত ক্ষমতা প্রদান করা।


আরও খবর



রাজাপুরে স্কুলে ঝুলছে তালা, দুই স্কুলের শিক্ষকদের শোকজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান 

ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা দেখতে পেলেন দুই স্কুলে তালা ঝুলছে। এ ঘটনায় দুই স্কুলের শিক্ষকদের ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও রাহুল চন্দ। অভিযোগে জানা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ইচ্ছেমত স্কুলে আসা-যাওয়া করেন ও দুপুরের পর কিছু কিছু স্কুলে ক্লাস না করিয়ে ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সত্যতা পান এবং দুই স্কুলে তালা ঝুলতে দেখে হতবাক হন। কারন দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ বুধবার দুপুর সাড়ে ৩ টার সময় গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, কর্মচারী ও কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি এবং সকল শ্রেণীকক্ষ তালাবদ্ধ ছিল। যা সরকারী বিধি ভঙ্গের সামিল। কর্তব্যকর্মে অবহেলার কারনে কেন আপনার এবং আপনার অধীনস্থ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না তার কারন আগামী ৩ তিন কার্য দিবস (১৮ নভেম্বর) মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। জানা গেছে, গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারি মাসে ৩ লাখ ৮০ হাজার  টাকা বেতন উত্তোলন করেন এবং ওই স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে ২০৯ জন। এ বিষয়ে গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম রিয়াদুল আলম জানান, স্কুলের ফলাফল প্রকাশ দিবস থাকায় একটানা স্ক¬াস করিয়ে ৩ টার দিকে ছুটি দেয়া হয়েছে। যথাযথভাবে শোকজের জবাব দেয়া হয়েছে। ৪৫ নং গালুয়া দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুহাম্মদ ইশা জানান, শিক্ষক কম ছিল, তারা ক্লান্ত হয়ে গেছিলো। তাছাড়া বিদ্যালয়ে নারিকেল গাছ রোপনের জন্য কিছুটা আগে ছুটি দেয়া হয়েছিলো। শোকজের জবাব দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউএনও রাহুল চন্দ জানান, দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে, জবাব যুক্তিযুক্তভাবে না দিতে পাররে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রিতে, আরও কমবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সামনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এই জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল হাওয়ায় শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছেন মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল ১০টার পর কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও বিকেল চারটার পর আবার হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বাড়ছে। গরম কাপড়ের অভাবে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করছেন। শীতের কারণে কাজে যেতে না পারায় অনেকের সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে। অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।

সকালে সদর উপজেলার সামনে কথা হয় রিকশা চালক কুরবান আলীর সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সারাদিন যতক্ষণ গরম থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।

এদিকে শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।


আরও খবর



দেয়াল গাথুনী এবং প্লাস্টারের হিসাব

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

১০” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে।

০৫” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে।

গাথুনী এর প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়।

নিচের ছলিং এ প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে।পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়।

০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়।সিএফটি অর্থাৎ ঘনফুট।

এসএফটি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে।কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়।

ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০” ÷ ১২ = ০.৮৩৩)এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।* ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ওজন ১৯২০ কেজি।

* ১ ব্যাগ সিমেন্টে পানি লাগে ২১ লিটার।

* ১০০ এস,এফ,টি প্লাষ্টারে ১:৪ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।

* গাথুনীর প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়। সিলিং প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়।

* প্রতি এস,এফ,টি নিট ফিনিশিং করতে = ০.০২৩৫ কেজি সিমেন্ট লাগে।

* মসলা ছাড়া ১ টি ইটের মাপ = (৯ ১/২”*৪ ১/২”*২ ৩/৪”)

মসলাসহ = (১০”*৫”৩”)10 mm =1 cm

100 cm = 1 m (মিটার)Convert

1″ = 25.4 mm

1″ = 2.54 cm

39.37″ = 1 m

12″ = 1′ Fit

3′ = 1 Yard (গজ)

1 Yard = 36″

72 Fit = 1 bandil.

রডের পরিমান নির্ণয় করার পদ্ধতি

10 mm = 0.616 kg/m = 3 suta

12 mm = 0.888 kg/m = 4 suta

16 mm = 1.579 kg/m = 5 suta

20 mm = 2.466 kg/m = 6 suta

22 mm = 2.983 kg/m = 7 suta

25 mm = 3.854 kg/m = 8 suta

রডের ওজন

৮ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১২০ কেজি।

১০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১৮৮ কেজি।

১২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.২৭০৬ কেজি।

১৬ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৪৮১২ কেজি।

২০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৭৫১৮ কেজি।

২২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৯০৯৭ কেজি।

২৫ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন =১.১৭৪৭ কেজি।

উপরে যে কনভার্ট সিস্টেম দেয়া হয়েছে, এর প্রতিটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে বাস্তবে কাজ করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমে রডের আন্তর্জাতিক হিসাব করা হয় kg/m এ।আবার বাংলাদেশে সাধারন লেবারদের সাথে কাজ করার সময় এই হিসাব জানা একান্তই জরুরী এছাড়া ও নিম্নোক্ত বিষয় টিও জেনে রাখুন . . . .

8 mm -7 feet -1 kg

10 mm -5 feet -1 kg

12 mm -3.75 feet – 1 kg

16 mm -2.15feet -1kg

20 mm -1.8


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




জনস্বার্থে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করার নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশ ও জনগণের স্বার্থে বন্ধ থাকা সব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

এ সময় আদালত বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে বন্ধ থাকা সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দ্রুত যেন উৎপাদনে যেতে পারে, সে বিষয়ে পক্ষে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কুইক রেন্টাল-সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ।

গত ২ সেপ্টেম্বর কুইক রেন্টাল-সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে, কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি এবং ক্রয় সংক্রান্ত ৬(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে। আইনের ৬(২) এবং ৯ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।


আরও খবর