Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবি 'সিআরসি'র উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

মো.হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

 কাম ফর রোড চাইল্ড (সিআরসি) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ২৫ জানুয়ারী (শনিবার) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় একাডেমিক ভবনের সামনে ১০০টি পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের অসহায় মানুষ, বিভিন্ন মেসের খালা ও শহরের রাস্তার পাশে বস্তিতে   থাকা অসহায়দের মাঝে শীতের কোম্বল তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাভাবিপ্রবি সিআরসির সভাপতি মো.আরিফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো.ইমাম হোসেন বলেন, "আজকের এই প্রোগ্রাম আমাদের শিক্ষার্থীদের সুন্দর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করবো সামনের দিনগুলোতে সিআরসি আরও সমাজকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসবে।" পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। 


ক্লাবের উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, "আজকের এই প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে সফল করার জন্য সিআরসি সহ যারা আজকে এখানে এসে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে সফল করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সিআরসি অসহায়,দরিদ্র,এতিম ও পথ শিশুদের  নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।"

সিআরসির সভাপতি মো.আরিফুল ইসলাম বলেন, "আমরা অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় আমরা চেষ্টা করি দুর্যোগ কবলিতদের পাশে থাকার এবারও চেষ্টা করেছি অসহায়দের পাশে থাকার।

সিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাভাবিপ্রবি সিআরসি শাখার প্রধান সমন্বয়ক তোকির আহমেদ বলেন, "ভুপেন হাজারিকার "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য" এই উক্তিকে সামনে নিয়ে আমরা কাজ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি পরবর্তীতে যারা দায়িত্বে আসবে তারাও এভাবে অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করে যাবে।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর আব্দুল হালিম, সহকারী অধ্যাপক শাকিল মাহমুদ শাওন, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিআরসির সভাপতি ফরহাদ হোসেনসহ ক্লাবের সদস্যরা।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: তুষার আহম্মেদ  ও সদস্যসচিব আইসিটি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৃতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী তানভীর ইসলাম তামিম।

গতকাল বুধবার  দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে মুখ্য সংগঠক হিসেবে আছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবিব হাসান ও   মুখপাত্র পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি। 

এ ছাড়া কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ২ জন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ১২ জন, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ২ জন,  যুগ্ম-সদস্য সচিব ১৪  জন,  সংগঠক ১৭ জন,  সদস্য হিসেবে আছেন ৮১ জন।


আরও খবর



ট্রাম্পের হুমকিকে তোয়াক্কা করছে না গাজার মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি দিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার জনগণকে হুমকি দিয়েছেন। গত বুধবার রাতে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যদি জিাম্মদের আটক রাখে, তবে গাজার সব বাসিন্দা মারা যাবে।

তবে ট্রাম্পের এ হুমকিকে কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না গাজাবাসী। তারা বলছেন- আমাদের হারানো আর কিছুই নেই। খবর আল-জাজিরার।

গাজার ৫৯ বছর বয়সি এক ব্যবসায়ী ইয়াসির আল-শারাফা আল জাজিরাকে বলেন, আমি এসব হুমকিকে আর ভয় পাই না। কারণ গাজার অনেক মানুষের মতো আমিও বিশ্বাস করি- আমার হারানোর কিছুই নেই।

তিনি বলেন, আগে পোশাক ব্যবসায়ী ছিলাম। আমার একটি বড় দোকান, ছয়তলা একটি ভবন, একটি গাড়ি এবং গাজা সিটির তেল আল-হাওয়ায় স্টক রাখার জন্য গুদাম ছিল।

বছরের পর বছরের কঠোর পরিশ্রম এসব করেছিলাম। এখন সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, যুদ্ধ সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। যেদিকেই তাকাই, কেবল ধ্বংস, ধ্বংসাবশেষ আর দুর্দশা। আমাদের শোক করার মতো আর কিছু বাকি আছে কি? আমি এখন শিশুদের জন্য ক্যান্ডি ও স্ন্যাকস বিক্রি করি।

যুদ্ধের সময় দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর, আল-শারাফা ও তার পরিবার যুদ্ধবিরতি শুরু হলে উত্তরে ফিরে আসেন, কিন্তু সেখানে এসে দেখেন এক বিধ্বস্ত এলাকা, যেখানে জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব।

তিনি বলেন, যদি আমরা জিম্মিদের হস্তান্তর করি, তবুও কিছুই বদলাবে না। তারা নতুন অজুহাত তৈরি করে যে কোনো সময় যুদ্ধ আবার শুরু করতে পারে। আমরা পুরো বিশ্ব থেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।

৬২ বছর বয়সি জামিলা মাহমুদ ট্রাম্পের কথাগুলো শোনেননি, তবে বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য এ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের হুমকিগুলো একটি মানসিক যুদ্ধের অংশ, যার উদ্দেশ্য গাজার মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, আমরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। না আছে ইন্টারনেট, না বিদ্যুৎ, না কোনো যোগাযোগের মাধ্যম। প্রতিবারই একটা নতুন পরিকল্পনা আসে– কখনো বলে গাজার মানুষকে জোর করে সরিয়ে দেবে, কখনো বলে ইসরায়েল পুরো গাজা দখল নেবে। আর এখন তারা পুরো গাজার জনগণকে জিম্মিদের কারণে হুমকি দিচ্ছে।

জামিলা মাহমুদ জোর দিয়ে বলেন, যা কিছু ঘটুক না কেন, তিনি কখনোই গাজা ছেড়ে যাবেন না। আমার বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও আমাকে সরাতে পারবে না।

পরিবারের জন্য অল্প কিছু খাবার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৬০ বছর বয়সি আইমান আবু দাইয়েহ আল জাজিরাকে বলেন, তিনি শুধু চান 'হামাস এখন জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিক – একটি চুক্তি গ্রহণ করুক, আলোচনা করুক, এবং বন্দিদের হস্তান্তর করুক, যাতে এই অন্তহীন দুঃস্বপ্ন শেষ হয়।'

এটাই একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ... আমাদের অবস্থান দুর্বল, আর কেউ আমাদের পাশে নেই।

তবে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, শুধুমাত্র জিম্মিদের হস্তান্তর করলেই কি ট্রাম্প ও ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধ শেষ হবে? যদিও এটি ভবিষ্যতে যুদ্ধকে কিছুটা কম বিধ্বংসী করতে পারে।

আইমান আবু দাইয়েহ বলেন, আমরা ৫০ হাজার মানুষ হারিয়েছি। আমার দুই ছেলে মারা গেছে– একজন ২০২৩ সালের অক্টোবরে, আরেকজন ডিসেম্বর। তারা দুজনই তরুণ ছিল। আমার বাড়িটিও ধ্বংস হয়েছে। আমরা যথেষ্ট ক্ষতি ও দুর্ভোগ সহ্য করেছি। আমাদের বিষয়ে আরব দেশগুলো নীরব, ইউরোপের দেশগুলোও নীরব।

তিনি বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই। আমার মনে হয়, সে শুধু হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এসব হুমকি দিচ্ছে। তাদের যা করার বাকি, তা হলো আমাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।


আরও খবর



বিস্কুট-কেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিস্কুট ও কেকের ওপর বর্ধিত ভ্যাট কমিয়েছে সরকার। হাতে ও মেশিনে তৈরি বিস্কুট ও কেকের ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে অর্ধেক কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।

বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার। এ তালিকায় রয়েছে বেকারিপণ্যে বিস্কুট ও কেকও।

গত জানুয়ারিতে মেশিনে প্রস্তুত করা বিস্কুটে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার। এছাড়া হাতে তৈরি বিস্কুটের (প্রতিকেজি ২০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে) ভ্যাট ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার।

একইভাবে কেকের (প্রতিকেজি ৩০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। তবে নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেট, ফলের জুস, কলরেটসহ প্রায় শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ায় সরকার।

তবে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে ১০ পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার। এরপর প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক কমাতে এনবিআরে একাধিকবার ধর্ণা দেয় বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। দিনটি নিয়ে গত ১৫টি বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও আজ নেই কোনো আয়োজন।

১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণের মধ‍্য দিয়ে তিনি পরবর্তী দিক নির্দেশনা দেন। এদিন লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।

এই ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধের প্রতীক হয়ে ওঠে সেসময়। হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল। এটি বাঙালির রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি যুদ্ধকালে বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করেছে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত সাহস যুগিয়েছে।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের এই ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। প্রতি বছর ৭ মার্চে এই ভাষণটি সারাদেশে মাইকে বাজানোর ব্যবস্থা করতো আওয়ামী লীগ। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় কোথাও নেই আওয়ামী লীগ। ফলে নেই তাদের কোনো আয়োজনও।


আরও খবর



বাসে তুলে অটোরিকশাচালককে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফের বিরুদ্ধে মো. লিটন মিয়া (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলে এবং তাকওয়া পরিবহন বন্ধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়রা।

৪ মার্চ সকালে ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া নতুন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন কয়েক হাজার মানুষ। দুপুর ১০টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যান। এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাজারে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাদখলা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্ত্রী শারমিন বেগম বলেন, ‍গতকাল বিকেলে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের স্টাফের সঙ্গে আমার স্বামীর কথা কাটাকাটি হয়। এরপর স্বামীকে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফরা জোর করে তুলে নিয়ে যান। দুই ঘণ্টা পর দেড় কিলোমিটার দূরে স্বামীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে স্বামীর হাত-পায়ের রগ কাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।

নিহতের ছোট ভাই মো. আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, ভাইকে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে গড়িমসি শুরু করে। রাতভর থানায় অবস্থান করেও মামলা নেয়নি পুলিশ। আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করল, অথচ মামলা করার পরামর্শ দেন সড়ক দুর্ঘটনা। এ জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর ১২টার দিকে সবাই সড়ক থেকে সরে যান।

অটোরিকশা চালক মহসিন বলেন, তাকওয়া পরিবহনের বাসের স্টাফরা করতে পারে না এমন কোনো অপরাধ নেই। একজনকে খুন এটা তো তাদের জন্য খুবই সামান্য কাজ। ওরা বাসে নারীদের ধর্ষণ করতে পারে। শিশুদের ধর্ষণ করতে পারে। আমাদের একজন চালককে তুলে খুন করল অথচ মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।

ইমাম পরিবহনের চালক মোকলেছুর রহমান বলেন, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা সড়কে আটকে ছিলাম। হাজার-হাজার মানুষ সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা খুবই কষ্ট পেয়েছেন।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা নেওয়া হচ্ছে। তাকওয়া পরিবহন বন্ধ না করলে ওরা সড়ক ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল। দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছিল সড়কে।


আরও খবর