
মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ মে) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের কণ্ঠে শোনা যায়— ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, হ তে হাসিনা তুই খুনি তুই খুনি, ক তে কাদের তুই খুনি তুই খুনি, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘২৪-এর বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ইত্যাদি।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারিয়ে পালিয়ে গেলেও এখনো তাদের বিচারে অগ্রগতি নেই। হাজারো শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”, “আমরা জানতে চাই, আর কত রক্ত ঝরলে বিচার হবে? আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার বিলম্বে আমরা আর শান্ত থাকব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন,অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো ও বিচারপ্রক্রিয়ার রূপরেখা স্পষ্ট হয়। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে এবং ছাত্র জনতা ঘরে ফিরবে না।
বিজিই বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন ,ছাত্রসমাজ আর চুপ করে থাকবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”আমাদের দাবি স্পষ্ট—যে রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রকে হত্যা করে, তার কোনো বৈধতা থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।”এই আন্দোলন কোনো দলের পক্ষে নয়, বরং গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত।