Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবিতে বিদ্যুত চুরির নেপথ্যে কে !!

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর   বিদ্যূৎ (এক্সপ্রেসওয়ে) লাইন থেকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিজের বাড়িতে আলাদা তার দিয়ে বিদ্যূৎ সংযোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার  (ইলেকট্রিক) মো. আব্দুর রহমান। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেইট সংলগ্ন পাওয়ার হাউস থেকে এই  বিদ্যুত তিনি অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন। 

আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, এস্টেট শাখার  অফিস প্রধান, শিক্ষার্থী  কল্যান ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক , জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ঘটনাস্থলে যান এবং এই ঘটনার প্রমান পান। 

বিদ্যূৎ চুরির ঘটনা জানতে চাইলে এস্টেট শাখার  অফিস প্রধান ড. মো. মুছা মিয়া বিডিটুডেসকে জানান, প্রাথমিকভাবে প্রমানসহ তার স্বীকারোক্তি পেয়েছি। অধিকতর তদন্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন চলছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকৌশল অফিসের সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার  (ইলেকট্রিক) মো. আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদপত্রের পরিচয় পেয়ে কথা বোঝ যাচ্ছেনা বলে কেটে দেন। পরবর্তীতে তিনি আর কোন কল রিসিভ করেননি। 

উল্লেখ্য যে,  দীর্ঘদিন তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুত লাইন ব্যবহার করছিলেন, ফলে গ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিং হলেও তার বাসায় বিদ্যুৎ থাকতো।


আরও খবর



রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত (১১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়।

দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।


আরও খবর

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি:

ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী এনডিসি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে সাংবাদিকদের জোরালো সহযোগিতা প্রয়োজন। সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা ছাড়া একা পুলিশের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। 


মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।


মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যে কোন নিউজ প্রচারের আগে অবশ্যই তার সত্যতা যাচাই করে নিবেন। তাতে ভুল তথ্য প্রচারের সম্ভাবনা থাকে না। অবশ্যই সত্য প্রচার করবেন। সত্য প্রচারে ডিএমপির কোন ধরণের আপত্তি নাই। মানুষের মধ্যে ‘সেন্স অব ইনসিকিউরিটি’ (নিরাপত্তাহীনতা বোধ) সৃষ্টি হয় এমন নিউজ করার আগে অবশ্যই তার সত্যতা ভালোভাবে যাচাই করবেন।  

 

তিনি বলেন, ছোটখাটো সব দাবি নিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে রাজপথ দখল করে আন্দোলন করছে যাতে দ্রুত তাদের দাবিগুলো আদায় হয়। ঢাকা মহানগরীতে এমনিতেই যানজট একটি বড় সমস্যা। একটি রাস্তা বন্ধ হলে শহরের অন্য সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে রাজপথ বন্ধের চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোন সভ্য সমাজে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করার প্রবণতা দেখা যায় না। সাংবাদিক সমাজকে এ ধরণের প্রবণতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। 


সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা বলেন, সাংবাদিকরা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সমাজের নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে পারেন। মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের কোন রাজনৈতিক বা দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।


মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। ক্র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা ডিএমপির সাথে এক সাথে কাজ করে আসছি। আমাদের মধ্যকার এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আগের মতো ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ ও সাংবাদিক পাশাপাশি থেকে কাজ করতে চাই। আমরা একে অপরের পরিপূরক। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হই তার ব্যপারে ডিএমপির সহযোগিতা কামনা করছি। 


মতবিনিময় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্সহ নবনির্বাচিত ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।


 



আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে।

তার মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-

১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।

২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।

মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।

৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।

চিনি পরিহারের পর নিচের দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই।

উল্লেখ্য, ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।

সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই তথ্যটি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

তিনি বলেছেন, “আমি আমার কাজটি করেছি। এখন আপনি শেয়ার করে আপনার কাজটি করুন এবং আশেপাশের মানুষকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করুন।” 

সূত্র     :- রেড্ডি


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ইসলামপন্থী দলগুলোর উচিৎ বিএনপির সাথে বিরোধ সৃষ্টি না করা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

বেগম খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন, বিএনপির অবস্থান ডানপন্থীদের ডানে এবং বামপন্থীদের বামে। অর্থাৎ বিএনপি একটি উদার মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ 'ইসলাম' নয়, কিন্তু ইসলামী মূল্যবোধের সাথে বিএনপির সম্পর্ক গভীর। কারণ বাংলাদেশের গণমানুষ ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সংবেদনশীল।

কোনো রাজনৈতিক দলকে জনপ্রিয় করতে হলে সবার আগে জাতীর পার্লস বুঝতে হয়। জাতীর ধর্ম, সভ্যতা, সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। যা বাংলাদেশের বাম ধারার রাজনীতিকরা কখনো বোঝেননি। তারা জাতীর বড় অংশের ধর্ম চেতনার প্রতি উদাসীনতা/তাচ্ছিল্য দেখিয়েছেন। এর ফলাফল আমাদের সামনে পরিস্কার। বাম রাজনীতি বাংলাদেশে সব সময় 'রাজনৈতিক এতিম' থেকে গেছে।

ইতালির রাজনীতিতে বামপন্থীরা বড় দুই শক্তির একটি। অতীতে তারা ক্ষমতায় ছিলো। এখন প্রধান বিরোধী দলে আছে। কই, তারা তো ইতালিয় গণমানুষরে ধর্ম চেতনার প্রতি তাচ্ছিল্যা দেখায় না! গির্জার বিরুদ্ধে, ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে কথা বলে না! মানুষের ধর্ম চর্চা নিয়ে অযাচিত নাক গলায় না!

আমরা সবাই জানি ইতালি ক্যাথলিক অধ্যুষিত দেশ। মোটা দাগে ধর্মকর্ম মানে এরা মূলত উৎসবকেই বোঝে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলকে বলেন তো- ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে, পোপের বিরুদ্ধে বা গির্জা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতে! তাদের কোনো সুযোগ সুবিধায় হস্তক্ষেপ করতে! করবে না। কারণ তারা তাদের জাতীর ধর্ম চেতনার খবর রাখে।

বিএনপির সাথে দেশের ইসলাপন্থী দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছে। এই দূরত্বকে শত্রুতার পরিণত করছেন বিএনপিরই কিছু নেতা। তারা হঠাৎ ইসলামের সংস্কৃতি, প্রবাহমান ধর্মীয় আচার বিধির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। বিএনপিকে ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন বিরোধী দল হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন প্রথম সারির নেতারা। এর ফল কী ভালো হবে? বিএনপিকে তো কেউ ইসলামী দল মনে করে না। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ ইসলাম নয়, এটা সবাই জানে। বিএনপিকে কেনো গলা বাড়িয়ে এসব কথা বলতে হচ্ছে? বিএনপি কী দেশের গণমানুষের ধর্ম চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছে? বিএনপি কী ইসলাম বিদ্ধেষী আওয়ামীলীগের প্রক্সি দেয়ার চেষ্টা করছে? নাকী ভারতকে খুশি করার জন্য এসব বলছে? নাকী বিএনপির কাঁধে বামের ভুত ভর করেছে?

বাংলাদেশের মানুষের ধর্ম চেতনা, ধর্ম সংস্কৃতি বিরোধী আর ভারতের মোসাহেবি বা গোলামির রাজনীতি মানুষ পছন্দ করে না। গণমানুষের চেতনার বাইরে গিয়ে ভারতকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো শেখ ফ্যাসিনা।

একদিকে বিএনপি খেলাফত মসলিসের সাথে মিটিং করছে, অন্যদিকে বিএনপির নেতারা ইসলামী মূল্যবোধে আঘাত করে বক্তৃতা করছেন। এটা ভয়ঙ্কর ক্ষতির লক্ষণ। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের দল। বিএনপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দল। বিএনপি ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দল। বিএনপি ইসলামপন্থীদের আস্থার দল। বিএনপির নেতা তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখেন। এই মুহুর্তে বিএনপির আরো সতর্ক হওয়া দরকার। ভারতনীতিতে পরিস্কার অবস্থান থাকা দরকার। দেশের মানুষের পার্লস বুঝে রাজনীতি করা দরকার। বিএনপির নেতারা যখন প্রবাহমান ইসলামী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু কাঁটাতারের বিষয়ে নিরব থাকেন, তখন সাধারণ মানুষের কাছে ভিন্ন বার্তা যায়। এই বিষয়গুলো বিএনপিকে আমলে নিতে হবে। এগুলো বাইপাস করে বিএনপি রাজনীতি করতে চাইলে ভুল হবে, অনেক বড় ভুল।

দেশের ইসলামপন্থী দলগুলোরও উচিৎ বিএনপির সাথে বিরোধ বৃদ্ধি না করা। দূরত্বের পারদ আপাতত উপরে উঠতে না দেয়া। বিএনপির সাথে রাজনৈতিক বিরোধে জড়ানোর সময় এখনো আসেনি। এখন বিএনপির সাথে বিরোধে জড়ানো মানে ২৪ এর চেতনাকে দূর্বল করে দেয়া। বিএনপিকে বিপথে ঠেলে দেয়া। সুড়ুৎ বাম এবং ভারতকে সুযোগ করে দেয়া।


আরও খবর



শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে মাইজভান্ডারী দর্শন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল আধ্যাত্মিক সাধক, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ও মাইজভান্ডারী তারিকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী, গাউছুল আজম হযরত শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১১৯ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ শুক্রবার বাংলা ১০ই মাঘ (২৪ জানুয়ারি) লাখো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন ধ্বনিতে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর এই মহান অলির ওফাত দিবসের স্মরণে ১০ মাঘ বংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বার্মা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বহু দেশ হতে আগত লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরক্ত আশেকের সমাগমে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শুক্রবার বাদে ফজর রওজা শরীফে গোসল, গিলাফ ছড়ানো, পুষ্পমাল্য অর্পন, খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির আজকার, ভক্তদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, বিকালে হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা, মিলাদ কিয়াম, ছেমা মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও ভোর রাতে আখেরী মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের বর্তমান গদীনশীন পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারীর ইমামতিত্বে লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে পবিত্র জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জুমা পরবর্তী আগত লাখো ভক্ত জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে তিনি বলেন, ১৯ শতকে হযরত গাউসুল আযম শাহ্সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) 'তরিকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া' এর প্রবর্তন করেন, যা বাংলার ভূখণ্ডে প্রবর্তিত একমাত্র তরিকা। আজ এ তরিকা পৃথিবীজুড়ে একটি সমাদৃত তরিকায় পরিণত হয়েছে, যার কোটি কোটি অনুসারী রয়েছেন। মানবপ্রেম, সাম্য, মানবতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বৈষম্যহীনতা এ তরিকার মূলমন্ত্র। এ তরিকা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে গ্রহণ করতে পারে। মানব অন্তরে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জাগ্রত করতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রিয় নবি (দ.)'র প্রকৃত আদর্শের অনুসরণে সুফিবাদের মূলধারা এ দরবার শরীফের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হচ্ছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি সংগ্রামে এ দেশের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, জুলুমের বিরুদ্ধে এ দরবার শরীফ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অবদান রেখে আসছে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বিশ্বে দেশে দেশে যুদ্ধ-সংঘাত, ধর্মবিদ্বেষ, বর্ণবৈষম্য, ইসলামোফোবিয়া, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার চরম আকার ধারণ করেছে। এ অশান্ত পরিস্থিতিতে হুযুর গাউসুল আযম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র মহৎ আদর্শ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা, মানুষে মানুষে ভাতৃত্ববোধ, সমতা সৃষ্টির শিক্ষা  মাইজভাণ্ডার শরীফ দিয়ে আসছে, তাই মাইজভান্ডারী দর্শনই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ার মূল প্রভাবক হতে পারে। ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ওরশে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে থাকা–খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হযরত গাউছুল আজম শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) জীবনী, শান–মান সম্বলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আগত দেশ বিদেশের আশেক-ভক্ত, জায়েরীনদের জন্য থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা, পার্কিং, নিরাপত্তা, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য লাইটিং এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ মেহবুব-এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা আলহাজ্ব হযরত সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আনজুমান-এ রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় মহাসচিব খলিফা আলহাজ্ব আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহ্ আলম অভি, দপ্তর সম্পাদক মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী মোঃ হোসেনসহ অন্যান্যরা। মাহফিলে হযরত বাবাভাণ্ডারীর (ক.) জীবন, কর্ম ওদর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন,  ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী  বিল্লাহ আল আজহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মাওলানা নাজের হোসাইন, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভাণ্ডারী, শায়ের মাওলানা মনছুর আলী মাইজভান্ডারী, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী মাইজভান্ডারী প্রমুখ। সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।


আরও খবর