Logo
শিরোনাম

মাভাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রকল্পের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  "ডিজিটাল স্কিল ফর স্টুডেন্টস  ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভিশন প্রোগ্রাম" বিশ্বিবদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের হল রুমে ১৫ মে, ২০২৪  সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীনে   কম্পিউটার কাউন্সিলের ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট ইকোনমি ( ইডিজিই) প্রকল্পের   আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী ড.  মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান তালুকদার।  এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষে থেকেও বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের  বর্তমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল  দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য  অন্যান্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান  ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের তত্বাবধানে  গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্পের ট্রেনিং প্রোগ্রামের  ক্লাশ । 

১৮ মাস মেয়াদি  এ প্রকল্পের আওতায়  ২৪ টি ব্যাচে ২৫ জন করে ৬শ শিক্ষার্থীকে ৫টি ল্যাবে হাতে কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। 

প্রশিক্ষণ কোর্সে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এবং টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কলেজের অনার্স এর ৩য় বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত আগ্রহী  শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।

শনি থেকে বুধবার অফিস সময়ের পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের ক্লাশ চলে। প্রতিটি ব্যাচের জন্য ২০ টি করে ক্লাশ নেয়া হয়। ৯ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও আজকে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  করা হয়।  

প্রধান অতিথি বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।  এভাবে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে তাহলে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নেও তরান্বিত করবে।


আরও খবর



দুই পক্ষ একমত, বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণ হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে সাদ ও জোবায়েরপন্থিদের মধ্যে দীর্ঘদিনের মতবিরোধ থাকলেও এবার উভয়পক্ষের সমঝোতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। সম্প্রতি যেসব সংঘর্ষ হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি জানান, আয়োজকদের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের জন্য বিশেষ পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়েছে।

জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান বলেন, এবারের ইজতেমায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ২০টি মোবাইল টিম ও ২০টি চেকপোস্ট থাকবে। পুরো ইজতেমা মাঠ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি ড্রোন ও হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি, ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু হবে, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বেড়েছে শীতের তীব্রতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়ে ফের ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমেছে। তাপমাত্রার এ ওঠানামায় বেড়েছে শীতজনিত রোগ। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় জ্বর, সর্দি, কাঁশিসহ শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ঘরে ঘরেই আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৯৯ ভাগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ।

জানা যায়, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতোই হালকা কুয়াশা ভেদ করে রোদ উঠেছে। শীতের কারণে আয় রোজগার কমেছে নিম্নআয়ের মানুষদের। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এই মেঘলা দিনে রয়েছে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। আবার রোদ উঠলেও সকালে কনকনে শীত হাড় কাঁপাচ্ছে। এমন শীতে পরিবারের কেউ না কেউ জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, দুদিন তাপমাত্রা বাড়ার পর আজকে আবার তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। এ তাপমাত্রায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। গতকাল সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সম্প্রতি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত ৬ জানুয়ারির পর কুঁড়িগ্রাম ও নওগাঁ সীমান্তের ওপারেও কাঁটাতারে বেড়া তৈরির চেষ্টা করে বিএসএফ। মোট পাঁচটি পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অভিযোগ করে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) । তবে বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দেয় বিএসএফ।

উত্তেজনার সময় বাংলাদেশের সীমন্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি বাংলাদেশে সীমান্তে টহল বাড়িয়ে দেয়। বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষও পাহারায় অংশ নেয়। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই এবং পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “সীমান্তে সংঘর্ষ: বাংলাদেশি আহত ১: ভারতের নিহত ১৮ জন”। উক্ত ফটোকার্ড প্রচার করা কিছু পোস্টের ক্যাপশনে দাবিকৃত নিহত ১৮ জন সদস্যকে বিএসএফ সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।

তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোনো সংঘর্ষে ১৮ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করলে প্রচারিত ফটোকার্ডে কোনো গণমাধ্যমের লোগো বা নামের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো গণমাধ্যম কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করে থাকলে, প্রচারিত ফটোকার্ডে গণমাধ্যমটির নাম বা লোগোর সংযুক্তি থাকে৷ তবে, প্রচারিত উক্ত ফটোকার্ডটিতে এমন কোনো গণমাধ্যমের নাম বা লোগোর উল্লেখ পাওয়া যায়নি, যা থেকে বুঝা যায় যে আলোচিত ফটোকার্ডটি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়নি।

তবে, কিছু পোস্টের মন্তব্য সেকশনে দৈনিক নগর বার্তা নামের একটি ওয়েবসাইটে গত ১১ জানুয়ারিতে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করলে কথিত সংবাদটির ফিচারে আলোচিত দাবির ফটোকার্ডটির সংযুক্তি পাওয়া যায় যেখানে লেখা রয়েছে ‘বিস্তারিত কমেন্টে’।

কথিত এই সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‌গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘটিত এক সশস্ত্র সংঘর্ষে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাংলাদেশি এক বিজিবি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন, এবং ভারতের ১৮ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত: সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে কিছুক্ষণ অবস্থান করছিল। বিজিবি এ বিষয়ে আপত্তি জানালে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। বাংলাদেশি পক্ষের বক্তব্য বিজিবি’র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিএসএফের পক্ষ থেকে প্রথমে গুলি চালানো হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে ভারতের পক্ষ থেকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারতের আজাইরা প্রতিক্রিয়া: ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়েছে, তাদের বাহিনীর সদস্যরা নিরস্ত্র অবস্থায় সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ অভিযোগ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।

পরবর্তী অনুসন্ধানে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে, সাম্প্রতিক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও লালমনিরহাটে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুইজন বাংলাদেশি আহত হওয়ার বিষয়ে জানা গেছে। এর সঙ্গে সীমান্তে কোনো সংঘর্ষের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। গত ১১ জানুয়ারিতে দেশের একটি প্রথম সারির সংবাদ পত্রে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন।

গত ১০ জানুয়ারি রাতে উপজেলার আজমতপুর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তরুণের নাম মো. শহিদুল ইসলাম (২২)। ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, শিবগঞ্জের আজমতপুর সীমান্তের ওপার থেকে ফেনসিডিল নিয়ে আসার পথে ভারতের ভেতরে বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

এছাড়া, গত ১৩ জানুয়ারি আরেকটি সংবাদ পত্রে প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শহিদুল ইসলাম (৪২) নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৮৫৯ নম্বরের ৪ নম্বর সাব পিলারের কাছে কাশিরডাঙ্গা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে গরু আনছিলেন ৫-৬ জনের চোরাকারবারি দল। এ সময় সীমান্তে টহলরত ভারতের ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে শহিদুলের পায়ে গুলি লাগে। তার সঙ্গীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং রংপুরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য।

তবে, উক্ত কোনো ঘটনাতেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষ বা ১৮ জন বিএসএফের নিহতের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষে ১৮ জন ভারতীয় বা বিএসএফ সদস্য নিহত হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এভোরেজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসব

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানীর লালমাটিয়ায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষাথীদের উদ্যোগে দিনভর পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার লালমাটিয়া ভয়েজ স্কুল মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

পিঠা উৎসবের আয়োজন নিয়ে এভোরেজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান জানান, বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীরা তাদের আনন্দ উপভোগ করতে নিজেরাই পিঠা উৎসবে পিঠার স্টল দিয়েছে। স্টলে রাখা প্রতিটি পিঠা তারা রাতভর কষ্ট করে তৈরি করে আজকে তা ষ্টলে তুলেছে। আমরা চাই আমাদের মতো প্রতিটি শিক্ষাঙ্গন শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কাজ করবে।

শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন, এভোরেজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক লালমাটিয়া এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর



ইসলামপন্থী দলগুলোর উচিৎ বিএনপির সাথে বিরোধ সৃষ্টি না করা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

বেগম খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন, বিএনপির অবস্থান ডানপন্থীদের ডানে এবং বামপন্থীদের বামে। অর্থাৎ বিএনপি একটি উদার মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ 'ইসলাম' নয়, কিন্তু ইসলামী মূল্যবোধের সাথে বিএনপির সম্পর্ক গভীর। কারণ বাংলাদেশের গণমানুষ ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সংবেদনশীল।

কোনো রাজনৈতিক দলকে জনপ্রিয় করতে হলে সবার আগে জাতীর পার্লস বুঝতে হয়। জাতীর ধর্ম, সভ্যতা, সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। যা বাংলাদেশের বাম ধারার রাজনীতিকরা কখনো বোঝেননি। তারা জাতীর বড় অংশের ধর্ম চেতনার প্রতি উদাসীনতা/তাচ্ছিল্য দেখিয়েছেন। এর ফলাফল আমাদের সামনে পরিস্কার। বাম রাজনীতি বাংলাদেশে সব সময় 'রাজনৈতিক এতিম' থেকে গেছে।

ইতালির রাজনীতিতে বামপন্থীরা বড় দুই শক্তির একটি। অতীতে তারা ক্ষমতায় ছিলো। এখন প্রধান বিরোধী দলে আছে। কই, তারা তো ইতালিয় গণমানুষরে ধর্ম চেতনার প্রতি তাচ্ছিল্যা দেখায় না! গির্জার বিরুদ্ধে, ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে কথা বলে না! মানুষের ধর্ম চর্চা নিয়ে অযাচিত নাক গলায় না!

আমরা সবাই জানি ইতালি ক্যাথলিক অধ্যুষিত দেশ। মোটা দাগে ধর্মকর্ম মানে এরা মূলত উৎসবকেই বোঝে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলকে বলেন তো- ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে, পোপের বিরুদ্ধে বা গির্জা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতে! তাদের কোনো সুযোগ সুবিধায় হস্তক্ষেপ করতে! করবে না। কারণ তারা তাদের জাতীর ধর্ম চেতনার খবর রাখে।

বিএনপির সাথে দেশের ইসলাপন্থী দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছে। এই দূরত্বকে শত্রুতার পরিণত করছেন বিএনপিরই কিছু নেতা। তারা হঠাৎ ইসলামের সংস্কৃতি, প্রবাহমান ধর্মীয় আচার বিধির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। বিএনপিকে ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন বিরোধী দল হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন প্রথম সারির নেতারা। এর ফল কী ভালো হবে? বিএনপিকে তো কেউ ইসলামী দল মনে করে না। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ ইসলাম নয়, এটা সবাই জানে। বিএনপিকে কেনো গলা বাড়িয়ে এসব কথা বলতে হচ্ছে? বিএনপি কী দেশের গণমানুষের ধর্ম চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছে? বিএনপি কী ইসলাম বিদ্ধেষী আওয়ামীলীগের প্রক্সি দেয়ার চেষ্টা করছে? নাকী ভারতকে খুশি করার জন্য এসব বলছে? নাকী বিএনপির কাঁধে বামের ভুত ভর করেছে?

বাংলাদেশের মানুষের ধর্ম চেতনা, ধর্ম সংস্কৃতি বিরোধী আর ভারতের মোসাহেবি বা গোলামির রাজনীতি মানুষ পছন্দ করে না। গণমানুষের চেতনার বাইরে গিয়ে ভারতকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো শেখ ফ্যাসিনা।

একদিকে বিএনপি খেলাফত মসলিসের সাথে মিটিং করছে, অন্যদিকে বিএনপির নেতারা ইসলামী মূল্যবোধে আঘাত করে বক্তৃতা করছেন। এটা ভয়ঙ্কর ক্ষতির লক্ষণ। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের দল। বিএনপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দল। বিএনপি ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দল। বিএনপি ইসলামপন্থীদের আস্থার দল। বিএনপির নেতা তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখেন। এই মুহুর্তে বিএনপির আরো সতর্ক হওয়া দরকার। ভারতনীতিতে পরিস্কার অবস্থান থাকা দরকার। দেশের মানুষের পার্লস বুঝে রাজনীতি করা দরকার। বিএনপির নেতারা যখন প্রবাহমান ইসলামী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু কাঁটাতারের বিষয়ে নিরব থাকেন, তখন সাধারণ মানুষের কাছে ভিন্ন বার্তা যায়। এই বিষয়গুলো বিএনপিকে আমলে নিতে হবে। এগুলো বাইপাস করে বিএনপি রাজনীতি করতে চাইলে ভুল হবে, অনেক বড় ভুল।

দেশের ইসলামপন্থী দলগুলোরও উচিৎ বিএনপির সাথে বিরোধ বৃদ্ধি না করা। দূরত্বের পারদ আপাতত উপরে উঠতে না দেয়া। বিএনপির সাথে রাজনৈতিক বিরোধে জড়ানোর সময় এখনো আসেনি। এখন বিএনপির সাথে বিরোধে জড়ানো মানে ২৪ এর চেতনাকে দূর্বল করে দেয়া। বিএনপিকে বিপথে ঠেলে দেয়া। সুড়ুৎ বাম এবং ভারতকে সুযোগ করে দেয়া।


আরও খবর