Logo
শিরোনাম

মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার অর্ধেকের বেশি ভবন ধসে পড়বে: রাজউক

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image


সদরুল আইন:


টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি থেকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৫টি ভবন ধসে বা ভেঙে পড়বে, যা মোট ভবনের ৪০.২৮ থেকে ৬৪.৮৩ শতাংশ। 


এছাড়া যদি সিলেট লাইনমেন্টে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়– তাহলে ঢাকার ৪০ হাজার ৯৩৫টি থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪২টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা মোট ভবন সংখ্যার ১.৯১ থেকে ১৪.৬৬ শতাংশ।


শনিবার (১ জুন) রাজউক আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলা বিষয়ক এক সেমিনারে যা তুলে ধরেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী। রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট এর অধীনে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছিল।  


 

আব্দুল লতিফ জানান, রাজউক এলাকার অধীনে ঢাকায় ২১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৯টি ভবন রয়েছে, যার মধ্যে পাকা ভবন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫০৭টি। ৩ হাজার ২৫২টি (পাকা) ভবনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে অতি-ঝুঁকিতে থাকা ৪২টি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


হেলালী বলেন, ‘টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি থেকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৫টি ভবন ধসে বা ভেঙে পড়বে, যা মোট ভবনের ৪০.২৮ থেকে ৬৪.৮৩ শতাংশ। 



এছাড়া যদি সিলেট লাইনমেন্টে ৭.১ মাত্রার  ভূমিকম্প হয়– তাহলে ঢাকার ৪০ হাজার ৯৩৫টি থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪২টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা মোট ভবন সংখ্যার ১.৯১ থেকে ১৪.৬৬ শতাংশ।



রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী সতর্ক করে বলেন, ‘মধুপুর ফল্টে যদি সকালের দিকে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়– তাহলে ঢাকায় ২ লাখ ১০ হাজার থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার মানুষ নিহত হবে। 


দুপুরে হলে ২ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৪ লাখ, এবং রাতে হলে ৩ লাখ ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ মানুষ নিহত হবে।’


অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘টেকসই অবকাঠামোর ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজউকের সাথে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে শহরে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে।'


সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বর্তমানের পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের ঢাকাকে গড়ে তুলবে। ১২৫ বছর ধরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলেন সহসাই একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। 


তাই এ বিষয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজটি করতে হবে।’


সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল চৌধুরী বলেন, ‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’

 

সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান, সচিবসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা আলোচনা করেন। রাজউকের আয়োজনে চলা দুদিনের এই সেমিনার শেষ হবে আজ (২ জুন)।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




আমেরিকা যে আক্রমণটা করেছে, সেটা হচ্ছে "লিমিটেড স্ট্রাইক

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইয়েস, বি-টু বম্বারে করে নিয়ে আসা বোমা, একেকটার ওজন ১৩.৬ টন করে, সেগুলো ড্রপ করা হয়েছে ইরানের নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিতে - তারপরেও লিমিটেড স্ট্রাইক। 

কারণ আমেরিকা ইরানকে গোপনে বার্তা পাঠিয়েছে, তারা যে হামলা করেছে, ওটুকুই। ইরানের সাথে ফুল স্কেল ওয়ারে যেতে তারা আগ্রহী না।

ইরানের সাথে এবারের যুদ্ধটা শুরু হয়েছে ট্রাম্পের গ্রিন সিগন্যালেই। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের উপর হামলা করার জন্য আমেরিকাকে চাপ দিয়ে আসছিল। কেউ রাজি হয়নি। 

ইভেন ২০০৩ সালেও ইসরায়েল আমেরিকাকে রিকোয়েস্ট করেছিল, ইরাক পরে, আগে ইরানকে ধরো। কিন্তু বুশ ফ্যামিলি এবং তার নিও কন মন্ত্রিসভার সাথে সাদ্দামের অতীত হিস্টরি, তেল বিষয়ক হিসাব-নিকাশ সবকিছুর কারণে আমেরিকা ইরাকেই আক্রমণ করে। 

এরপরেও ইসরায়েল পুশ করে গেছে। কিন্তু পরবর্তী প্রেসিডেন্টরা কেউ রাজি হয়নি অনেকগুলো কারণে। এমনিতেই ইরাক-আফগান যুদ্ধে তারা ফেঁসে গিয়েছিল। তার উপর ইরানের প্রক্সিরা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছিল।

এবারের ইকুয়েশনটা ভিন্ন ছিল এই কারণে যে এবার ইরানের প্রক্সিরা সবাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এবারই ছিল ইসরায়েলের জন্য সর্বশেষ সুযোগ আমেরিকাকে এই যুদ্ধে টেনে আনার। তারা সেই চেষ্টাই করতে থাকে।


এমনিতে ট্রাম্পের নীতি হচ্ছে আমেরিকা ফার্স্ট নীতি। সে সরাসরি কোনো দেশে আমেরিকান সৈন্য মোতায়েনের বিপক্ষে। কিন্তু সৈন্য মোতায়েন না করেই বোমা মেরে সব তামা তামা করে দেওয়ায় তার কোনো আপত্তি নেই। বিশেষ করে সে যদি মনে করে, বোমা মেরে শত্রুর সক্ষমতা হ্রাস করে তার সাথে "ডিল" করা যাবে। 

সুতরাং ট্রাম্প সেই কাজটাই করে। সে ইরানকে ৬০ দিন সময় দেয় তার সাথে ডিল করতে। সেই ডিলের শর্ত প্রথমদিকে একরকম থাকলেও ইসরায়েলের চাপে মাঝপথে গিয়ে সে শর্ত আরও কঠিন করে ফেলে। জিরো এনরিচমেন্টের শর্তে অনড় হয়ে বসে থাকে। ইরান যখন সেটাতে আপত্তি জানায়, তখন ৬১-তম দিনে সে ইসরায়েলকে অনুমতি দেয় - যাও, আক্রমণ করো।


ট্রাম্পের হয়তো আশা ছিল, ইসরায়েলের আক্রমণে ইরানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে, এবং আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ইরান তার কাছে এসে ক্ষমাটমা চেয়ে তার শর্ত অনুযায়ী চুক্তি করতে বসে পড়বে। কিন্তু ইরান যখন সামলে নিয়ে পাল্টা আঘাত করতে শুরু করে, তখন সেই হিসাব পাল্টে যায়। ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য আমেরিকার এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। 


এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের যে মনোভাব, ট্রাম্পের সাপোর্ট বেজের মধ্যেই যুদ্ধের ব্যাপারে যে মনোভাব, তাতে ট্রাম্প সরাসরি সৈন্য পাঠিয়ে যুদ্ধে যোগ দিবে - এই সম্ভাবনা একেবারেই কম। কিন্তু বি-টু বম্বার এবং বাঙ্কার ব্লাস্টার পাঠিয়ে ট্রাম্প যে নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটি ধ্বংস করে দিবে, এটা গত তিন-চার দিন ধরেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।


বিশেষ করে লিজেন্ডারি ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট সাইমুর হার্শ পরিষ্কার জানিয়েছিল, তার সোর্স তাকে জানিয়েছে, ট্রাম্প অলরেডি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়ে দিয়েছে। ফলে মাঝখানে ট্রাম্প যে দুই সপ্তাহের কথা বলেছিল, মোস্ট প্রবাবলি ওটা ছিল ব্লাফ।


বিমান হামলা করলেও এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী না। সেজন্যই সে ইরানকে সরাসরি গোপন বার্তা পাঠিয়েছে। কিন্তু ইরান কি এই হামলার পাল্টা জবাব দিবে? বলা মুশকিল।


ইরানের পক্ষে পাল্টা জবাব দেওয়া কঠিন। কারণ আমেরিকা এই হামলায় মিডল ইস্টের কোনো বেজ ব্যবহার করেনি। তারা সরাসরি আমেরিকা থেকে উড়ে এসেছে। ফলে ইরানের পক্ষে গালফ কান্ট্রিগুলোর বেজে আক্রমণ করা সম্ভব হবে না। ওটা করতে গেলে গালফ কান্ট্রিগুলো সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে।


ইরানের পক্ষে আমেরিকান জাহাজগুলোর উপর আক্রমণ করাও সম্ভব না। সফল হবে কি না, সেই প্রশ্ন যদি বাদও দেই - সফল হলেও ওরকম হামলায় আমেরিকার কয়েক ডজন সৈন্য নিহত হলেই আমেরিকা ইরানকে গাযার মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার লাইসেন্স পেয়ে যাবে। 


ফলে ইরানের হাতে অপশন আছে দুইটা। এক, ইসরায়েলে হামলা আরও তীব্র করা। সেটা তারা অলরেডি শুরু করে দিয়েছে। তেল আবিবের চমত্‍কার কিছু ভিডিও আসা শুরু হয়েছে। 

আর দ্বিতীয় অপশন হচ্ছে, আরও কিছুদিন পরে, ইরাকে বা সিরিয়ায় আমেরিকান ঘাঁটিতে আক্রমণ করা। এর আগে কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পরেও তারা ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ করেছিল। কিন্তু সেটা তারা আমেরিকাকে জানিয়েই করেছিল, যেন ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের সক্ষমতার প্রমাণ মেলে, কিন্তু আমেরিকান প্রাণহানি না ঘটে। 

এবারও সেরকম হামলা করবে কি না, বা করার আগে জানিয়ে করবে কি না, সেটা আসলে নির্ভর করবে আমেরিকার আজকের হামলায় তাদের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটার উপর।

অ্যানিওয়ে, আপাতত যা মনে হচ্ছে, আমেরিকা এখনও গ্রাউন্ড ইনভেশনে যাচ্ছে না, আপাতত আর বেশি হামলা করারও পরিকল্পনা তাদের নাই। কিন্তু ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা এখনও শেষ হয়নি। 

ইসরায়েল আজকের হামলার জবাব দিলে ইরানও পাল্টা জবাব দিবে। এই পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা এবং ফলাফলও আমেরিকার সমীকরণ আবার পাল্টে দিতে পারে। আর ইসরায়েল যদি আমেরিকার এই "মিশন সাকসেকফুল"-কে নিজেরও মিশন সাকসেফুল দাবি করে থেমে যায়, তাহলে এটা একটা এক্সিট স্ট্র্যাটেজি হতে পারে।


আরও খবর



তরুণরা দুষ্টুমি করবে,দুষ্টুমিই তাদের অহংকার, নওগাঁয় ফজলে হুদা বাবুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''ভবিষ্যতে তরুণরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিবিএস ক্যাডার হয়ে সব জায়গায় নেতৃত্ব দিবে। তরুণরা দুষ্টমি করবে নাতো কে করবে। তরুণরাই দুষ্টুমি করবে। যারা দুষ্টুমি করবে তারাই একসময় দেশের জন্য ভালো করবে। দুষ্টুমি তরুণদের অহংকার''। 

বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা কমিউনিটি সেন্টারে তারুণ্য ফাউন্ডেশনের গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি ফজলে হুদা বাবুল বলেন, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ভালো রাখতে তোমাদের মতো তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার মান যেন ভালো হয়, সেই বিষয়ে তোমাদের সচেতন হতে হবে। তোমাদের হাতে দেশটা যেন ভালো থাকে, সারাদেশ তোমাদের নিয়ে যেন প্রশংসা করেন, আর আমরা যেন গর্বিত হই, সেইভাবে তোমরা এগিয়ে যাও। কারণ তোমাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এসময় ভালো হবে। তাই তারুণ্যের জয় হোক, তারুণ্যে ভরপুর হোক আমাদের এই দেশ।

বদলগাছী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমি হাসান ও এস এম মাসুদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী গবেষক ফাবি হুদা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ। তারুণ্য ফাউন্ডেশন প্রাণচাঞ্চল্যের এ আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হলরুম উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এধরণের অনুষ্ঠানে হলে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে মিলিত হওয়া যায়। আমরা চাই এধরণের গেট টুগেদারের আয়োজন প্রায় অনুষ্ঠিত হোক, তাতে আমরা সকলে একসাথে মিলিত হতে পারবো, আনন্দ করতে পারবো। তারুণ্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রিফাত রানা এবং সিনিয়র অফিসার আল রাকিব বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের ৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে কাজ করা হয়েছে। আর আজ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আমরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবে। সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করা হবে। এছাড়া আমরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সবাই একটি করে গাছ লাগাবো।


আরও খবর



ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইসরায়েল ও ইরান সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর আল-জাজিরার। তিনি জানান, এই যুদ্ধবিরতি একপর্যায়ে চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে।

ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে দুই পক্ষের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি।

সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় ট্রাম্প জানান, এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে ছয় ঘণ্টার মধ্যে, যখন ইসরায়েল ও ইরান তাদের চলমান অভিযান শেষ করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে।

তিনি আরো জানান, ১২ ঘণ্টা পার হলে ইসরায়েল তাদের যুদ্ধবিরতি শুরু করবে। ২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হলে ‘১২ দিনের যুদ্ধে’র আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি সারা বিশ্বের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পাবে। যুদ্ধবিরতির প্রতিটি ধাপে দুই পক্ষ শান্তিপূর্ণ এবং শ্রদ্ধাশীল আচরণ করবে।

‘সব কিছু ঠিকঠাক মতো চলবে, এমনটা ধরে নিয়ে আমি ইসরায়েল ও ইরান, দুই দেশকে অভিনন্দন জানাতে চাই। কারণ তারা ধৈর্য, সাহস ও বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে এই যুদ্ধের ইতি টেনেছে। এই যুদ্ধের নাম হওয়া উচিত ১২ দিনের যুদ্ধ।’

ট্রাম্প বলেন, এটি এমন এক যুদ্ধ ছিল, যা বছরের পর বছর চলতে পারত এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, আর কখনো হবেও না।

গত ১৩ জুন প্রথমে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জবাব দেয়। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল।

এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। সর্বশেষ কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১৯(জুন) সকাল দশটায় উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহনাজ লাইজু চৌধুরী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুবক্কর সিদ্দিক, আব্দুল কাদের, ফকরুল ইসলাম, জাকারিয়া ইসলাম সহ-অনেকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান,২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ- ২/২০২৫/২৬ মৌসুমে ১ হাজার ৬৫০ জন প্রান্তিক কৃষক কৃষাণির মাঝে বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



সরকারি বিনিয়োগে সুশাসন জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ আর্থিক পরিষেবার দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সরকারি বিনিয়োগে সুশাসন জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি তিনটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত: জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং নৈতিক সুশাসন। এগুলো কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়, বরং বাস্তব প্রয়োজন। মূল্যায়ন, নিরীক্ষা এবং অনুশীলন হলো সেই সব মাধ্যম, যা এ স্তম্ভগুলো নির্মাণে সহায়তা করে। এগুলো আমাদের নীতিমালা ও প্রকল্পগুলোকে কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে জনগণের জন্য বাস্তব ও দৃশ্যমান উপকারে পরিণত করে।

অর্থ উপদেষ্টা রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের রূপান্তর: মূল্যায়ন, নিরীক্ষা ও নৈতিকতার মাধ্যমে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) স্বাধীন মূল্যায়ন অফিস (আইইও) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ এবং সম্মতি ও তদন্ত বিভাগ যৌথভাবে উচ্চ পর্যায়ের সেমিনারটি আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির অগ্রাধিকার অর্জনের মূল স্তম্ভ হিসেবে উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে জবাবদিহিতা, মূল্যায়ন এবং সততা স্থাপনের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

সেমিনারে এনডিবির টেকসই উন্নয়নের কৌশল হিসেবে মূল্যায়ন, নিরীক্ষা এবং কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থার একীভূত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয়। এতে ১৫০-এর বেশি অংশগ্রহণকারী, যার মধ্যে ছিলেন উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দ। এটি উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে এশিয়া, জেইসি এবং এফএন্ডএফ-এর অতিরিক্ত সচিব ও উইং প্রধান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এনডিবি-র স্বাধীন মূল্যায়ন অফিসের (আইইও) মহাপরিচালক আশ্বিনী কে. মুথু সূচনা বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, এনডিবি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার বিশেষজ্ঞ ও অংশীদারদের উপস্থিতি সংলাপ ও জ্ঞান বিনিময়ের জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, বৈশ্বিক সেরা চর্চাগুলো আমাদের প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করতে হবে। আশ্বিনী কে. মুথু বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে এনডিবি আগ্রহী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ‘জাতীয় প্রকল্প মূল্যায়ন নীতি’ প্রণয়নের পথে রয়েছে। এ নীতিমালা চূড়ান্ত করতে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

একদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে উন্নয়ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দের মূল প্রবন্ধ তুলে ধরা হয়।

সেমিনারটি বাংলাদেশ ও এনডিবির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ ২০২১ সালে এনডিবির সদস্য হয়, যা ছিল প্রথম কোনো নন-ব্রিকস দেশ। অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী উদ্যোগকে সামনে রেখে এ দিনের আলোচনায় সুশাসন, মূল্যায়নযোগ্যতা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে, এনডিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য এবং এসডিজির প্রতিশ্রুতির সহায়তায় অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫