Logo
শিরোনাম

মধ্যবিত্তের বাজারের হিসাবে কাটছাঁট

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি প্রশাসন। পাইকারি বাজারে সরবরাহ চেইন এখনো সিন্ডিকেটের হাতে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম আরও এক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশে ভোগ্যপণ্যের সিংহভাগই আমদানিনির্ভর। ছোলা, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ প্রধান কয়েকটি পণ্যের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় রমজান মাসে। তবে এলসি সংকটে আমদানি কমে যাওয়ায় আসন্ন রমজান অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠিন হতে যাচ্ছে ভোক্তাদের জন্য। এখনই উদ্যোগ নেওয়া না হলে রোজার আগে পণ্যবাজার নতুন করে অস্থির হয়ে উঠতে পারে। খোদ ব্যবসায়ীরাই এমনটা মনে করছেন। 

এদিকে চট্টগ্রামে বাজারে দফায় দফায় বেড়ে চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। আজ এক পণ্যের দাম বাড়লে কাল বাড়ে আরেক পণ্যের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। কিছু সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে এক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ডিম ও কাঁচামরিচের দাম। পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব নেই। মাছ ও মাংসের দাম বাড়ার ফলে ক্রেতারা এখন ঝুঁকছেন সবজির দিকে। ফলে সবজির দামও এখন লাগামহীন।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের মোট পণ্যের প্রায় অর্ধেকই নিয়ন্ত্রিত হয় এ বাজার থেকে। এসব পণ্য আমদানির সঙ্গে যুক্ত চট্টগ্রামভিত্তিক একাধিক শিল্প গ্রুপ। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকের তারল্য সংকট ছাড়াও ডলার সংকটের কারণে আমদানি ভোগ্যপণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে রোজায় পণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজার থেকে রমজানের নিত্যপণ্য কিনে মজুত করা শুরু করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে আমদানিকারক ও পাইকারি বাজারে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। আমদানিকারকরা সব ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রমজান আসার আগেই চড়া ডাল ও ছোলার বাজার। দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই ডালের দাম বাড়িয়েছেন। পাইকারি বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৭৬ টাকা। আর খুচরা বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫ টাকার বেশি।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডলার সংকটের কারণে আমদানি-পরবর্তী কিছু ভোগ্যপণ্যের খালাস নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও এখন সরকারি নানান সিদ্ধান্তের কারণে তা কেটে গেছে। বড় আমদানিকারকরাও নতুন করে এলসি (ঋণপত্র) খুলেছেন। বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার সংকট হবে না বলে আশা করছেন অনেকে।
পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মনপ্রতি ১শ টাকা বেড়ে সয়াবিন তেল ৬ হাজার ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া মনপ্রতি ১৫০ টাকা কমে পামতেল ৪ হাজার ৮৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সুপার সয়াবিন মনপ্রতি আগের ৫ হাজার ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিলিটার খুচরা তেল ১৯০ থেকে ১৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল খুচরায় ১৮৬ টাকা ও পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পলিব্যাগ লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।

এছাড়া প্রতিকেজি চিনি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা। ভারতীয় গম বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। চিনি প্রতিমন ৩ হাজার ৯৫০ টাকা, ভারতীয় মরিচ কেজি ৪৬৯ টাকা, হলুদ ১১০ টাকা, রসুন ১১০ টাকা। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে শুধু পেঁয়াজের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৮ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে। দেশি পেঁয়াজ আরও ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে চালের। প্রতি বস্তা মোটা সিদ্ধ চালের দাম ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। সিদ্ধ মিনিকেটের দাম আগে ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা। এ সপ্তাহে তা ২ হাজার ৯০০ টাকা। গুটি স্বর্ণার দাম ছিল ২ হাজার ৩০০ টাকা, এখন ২ হাজার ৪০০ টাকা। ভারতীয় স্বর্ণার দাম ২ হাজার ৪০০ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পারি সিদ্ধ জাতের চালের দাম ২ হাজার ৪৫০ থেকে বেড়ে ২ হাজার ৬৫০ টাকা হয়েছে। খুচরা বাজারেও অস্থির চালের বাজার।

খাতুনগঞ্জের নিউ আমানত স্টোরের মালিক কামরুল হাসান রাজু জানান, টানা কয়েক মাস ধরে অস্থির ভোগ্যপণ্যের বাজার। বাজার অস্থিতিশীলকারী সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়। প্রশাসন পণ্যের সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। তাই সিন্ডিকেট রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের বাজার আবারও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। 

বাজারদর : গত দুই-তিন সপ্তাহ রেকর্ড ভেঙে ২৩০-২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা । এ নিয়ে দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকার বেশি। বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা saকেজি। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৫০-৬০ টাকা। লাউ আকারভেদে ৬০-৭০ টাকা। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৫০ টাকা। শিম ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০-১০০ টাকা, পটোল ৮০, করলা ৭০-৯০ টাকা ও আলু ২৭-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫-৭০ টাকা ও ঝিঙ্গা ৭০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 


আরও খবর



দশমিনায় নবাগত ইউএনও'র সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) :

পচুয়াখালীতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা’র সাথে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দশমিনা ইউএনও'র কার্যালয় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসা. মোর্শেদা বেগম, সহ-সভাপতি তহমিনা সুলতানা (মিনা), সাধারন সম্পাদক মো. মোসারেফ হোসেন, সদস্য মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, বিপ্লব দেবনাথ, কেয়া বেগম, মো. জামাল হোসেন ও তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, দশমিনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সব কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান  জানাই। সবাই পাশে থাকলে সব ভালো কাজ করা সম্ভব।


আরও খবর



ধামরাই বিভিন্ন মাদ্রাসা এতিমখানার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ডালি পাড়া আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আমেনা জামান বালিকা মাদ্রাসা মুস্তি বেপারি বালক এতিমখানা ও জহুরুন নেছা বালিকা এতিমখানার উদ্যোগে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া মোহ্তামিম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ নাইমুল ইসলাম 

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আমেনা নূর ফাউন্ডেশন ও সভাপতি, আব্দুল আজিজ জামিয়া ইসলামিয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান ( সি আই পি) বলেন আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, এই স্বাধীনতা এমনিতেই আসেনি এর জন্য অনেক রক্ত দিতে হয়েছে, ৩০ লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে বাংলার এই স্বাধীনতা।যার অবধানে এই দেশ স্বাধীন হন তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভূমিকা ছিল বলেই আজ এই দেশ স্বাধীন হয়েছে তার জন্ম যদি এই বাংলায় না হতো হয়তো এই বাংলাদেশ আজও স্বাধীন হতো না। এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বাঙালি স্বরণ করবে।

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সৈয়দ বেনজির আহমেদ মুকুল, ধামরাই পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান, ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক ধামরাই পৌর সানাউল হক সুজন, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক বাবুল হোসেন, কুশুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ধামরাই সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি ছাত্রলীগ হাবিবুর রহমান হাবিব সহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকেই।


আরও খবর



বিশ্বম্ভরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৯জন দেখেছেন

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার:

যথাযোগ্য মর্যদায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্বম্ভরপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

 ২৬ শে মার্চ রবিবার দিনের শুরুতে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের শুভ সূচনা হয়।সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্মৃতিসৌধে শহীদদের সম্মানে প্রথমেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্বম্ভরপুর  উপজেলা প্রশাসন।পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ, থানা পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন, উপজেলা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,সরকারি দিগেন্দ্র বর্মন ডিগ্রি কলেজ,সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,শিল্পকলা একাডেমী,প্রেসক্লাব, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।পুস্পস্তপক অর্পণের পর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ,প্রতিযোগিতাও খেলাধুলা ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাদি উর রহিম জাদিদ’র সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার'দে’র সঞ্চালনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে অনুষ্ঠিত হয় সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা। এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সফর উদ্দিন,সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিল্পী রানী মোদক,থানার অফিসার ইনর্চাজ সাইফুল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বেনজির আহমদ মানিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আপ্তাব উদ্দিন প্রমূখ।আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ এছাড়াও ধর্মীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোনাজাত, দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাগণ  উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদ সহ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

র‌্যাবের অভিযানে ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও বিদেশী ৩ বোতল মদসহ মাদক কারবারি এক যুবক আটক।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩,জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়,

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকশ অভিযানিক দল কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে রবিবার ১৯ মার্চ পনে ৪টারদিকে জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ বোতল বিদেশী মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ফারুক হোসেন জয়পুরহাট জেলা সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের

মৃত কলম বকস এর ছেলে।

র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবক গঙ্গাদাসপুর এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিলের একটি বড় চালান আসবে এবং রাতেই তা বাসে করে ঢাকায় পাঠানো হবে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাবের একটি চৌকশ অভিযানিক দল গঙ্গাদাসপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মাদক সহ আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। এব্যাপারে নিকটস্থ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।


আরও খবর



২৫ মার্চ ভয়াল গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাঙালীর স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সে আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কীভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল, তাতে বলা হয় : ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর