Logo
শিরোনাম

মেঘনায় উপজেলা আ'লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ জন ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজন নারায়ণগঞ্জ এর সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে এবং আশংঙ্কাজনক কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত ব্যক্তি নলচর গ্রামের আক্কাস মেম্বারের ছেলে ও বর্তমান চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুম কবির এর ছোট ভাই নিজাম সরকার (৩৫)। নিজাম সরকার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নস্থ নলচর, ফরাজি কান্দি ও চালিভাঙ্গা এই তিন গ্রামের আ'লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বাগ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন, স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

জানা গেছে, গত দুইদিন ধরেই থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এতে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। গত দুই দিনের জের ধরে স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ এ সময় দুই গ্রুপের লোকেরাই টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে হামলা করে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরও একটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

এ বিষয়ে চালিভঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, বিগত কয়েক মাস ধরেই এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব লেগে আছে। একাধিকবার মিমাংসা করা হলেও জেলা পরিষদের সদস্য কায়ুম গ্রুপ খুব বেশি তৎপর ছিলো। তারই নেতৃত্বে কয়েকজন ছেলে - ফেলে দিয়ে অন্তত ১০ জনকে আহত করে এবং ১ জনকে নিহত করে।

এ ব্যাপারে কায়ুমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুইদিন ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল একটা মামলা দায়ের করেছি আমরা। আমাদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। এরইমধ্যে আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে ১ জন নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।



আরও খবর



কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক এমপি প্রাণ গোপালসহ ২ শতাধিক আ’লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

এ.কে পলাশ - কুমিল্লা প্রতিনিধি ::


কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত সহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অন্তত ১৬০ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগ নোতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ এর গাড়িতে হামলা, হত্যা চেষ্টা ও গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনার ৬ বছর পর চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 
সোমবার (২৬ আগস্ট) এলডিপি মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ বাদী হয়ে কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত সহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অন্তত ১৬০ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগ নোতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক নেতা শামীম হোসেন, চান্দিনা উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মনির খন্দকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার, হুন্ডা শাহজাহান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামিরুল খন্দকার রবি, সাবেক এমপি ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের এপিএস সমীর দাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান টিপু, এতবারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইউসুফ, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম, দিদার আহম্মেদ ভূইয়া মিঠু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান জনি, সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জনি সহ চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়।


মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুলাই চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজের ক্যাম্পাস-২ মমতাজ ভবন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চান্দিনায় এসেছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি’র প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। সভাস্থলে যাওয়ার সময় রাস্তায় তার গাড়ি বহরে হামলা ও ভঙচুর হয়।


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার বাদির লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলাটি প্রাথমিক তদন্ত বিবরণী (এফআইআর) হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



বন্যার্তদের ১০৭০ জন পরিবারের পাশে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

বন্যার্তদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

দেশের পূর্বাঞ্চলে সংগঠিত ভয়াবহ বন্যায় জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দেশের ১২ জেলা।এই সংকটময় পরিস্থিতে মাওলানা  ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(মাভাবিপ্রবি) বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য কাজ করছে।


বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে ২৯শে আগস্ট (বুধবার) দিবাগত রাত ১২ টার পর  প্রায় ১৬ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য ২টি ট্রাক ও ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থী।


রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জানান,আমরা ৪ দলে ভাগ হয়ে ১০৭০ টি পরিবারের জন্য প্যাকেট করা উপহার সামগ্রীর

৪৮০টি ফেনী, ৪০০টি লক্ষীপুর, ১২০টি নোয়াখালী ও ৭০টি কুমিল্লা জেলায় নিয়ে যাবো। একটি বাস ও ট্রাক ফেনী ও কুমিল্লার উদ্দেশ্যে আরেকটি বাস ও ট্রাক নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।


অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইবাদত আলী বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা কবলিত মানুষের সহায়তায় দেশজুড়ে গণত্রাণ সংগ্রহের কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। আর্ত-মানবতার সেবায় আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ছাত্র সামাজিক  সংগঠনসমূহ এগিয়ে এসেছি ।তিনি আরো জানান, আমাদের দেওয়া প্রতিটি প্যাকেজে থাকছে চাল,ডাল, শুকনা খাবার, শুকনা কাপড়, বাচ্চাদের খাবার, প্রয়োজনীয় ঔষধ, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রায় ২৫ প্রকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী।


ক্রিমিনোলোজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আলামিন ফকির জানান মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন, আঞ্চলিক ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠনসমূহের উদ্যোগে ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক,  কর্মকতা, কর্মচারীসহ আমাদের  যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি।


পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বী বলেন, বন্যার পানি কিছুটা কমলেও এখনো বেশকিছু অঞ্চলে বন্যার পানি পুরোপুরি শুকায়নি। ফলে তাদের পক্ষে রান্না করে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য আমরা শুকনা খাবারের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি প্যাকেটে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট ও খেজুর রেখেছি। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, সাবান, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও জরুরী ওষুধপত্র দিয়েছি। আশা করি একটা পরিবারের কয়েকদিনের শুকনো খাবারের যে প্রয়োজনীয়তা, এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও পূরণ হবে।


বিগত ৭ দিন যাবৎ টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, জামা-কাপড় ও প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



বাকৃবির শিক্ষক - কর্মচারীদের চেষ্টায় ভ্যাকসিন সেন্টারের চোর আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
বাকৃবি প্রতিনিধি::

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি এবং হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হুসাইন নাজির এবং লাইভস্টক অ্যান্ড পোলট্রি ভ্যাকসিন রিসার্চ এন্ড প্রোডাকশন সেন্টারের কর্মচারীরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে একজন চোরকে আটক করে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় আটকৃত চোরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। জানা যায়, চোর মো আজাদ মিয়া পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ও সে কেওয়াটখালী মধ্য পাড়া বাসা ভাড়ায় থাকেন। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে আরও তিনজনের নাম উঠে আসে। তার সহযোগী হিসাবে ছিল মো রিয়াদ, মো রমজান আলী ও মো. ফাহাদ।

অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হুসাইন নাজির বলেন, গত ২৫ আগস্ট রাত আড়াই টায় বাকৃবির ভ্যাকসিন সেন্টারে প্রবেশ করে একজন চোর। সেখানে কিছুদিন পূর্বেও নাইট গার্ড ছিলো কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে নিরাপত্তার ঘাটতির জন্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রজেক্টের কর্মচারীরা আমাদের চুরি ঘটনাটি জানালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পাই অভিযুক্ত চোর আজাদ সেখানে প্রবেশ করে। আজাদ ওই রাতে ভ্যাকসিন সেন্টারের মেইন গেইটটি ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর ভেতরের একটি কাঠের গেইটও ভেঙে ফেলে এবং একটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরায় শনাক্ত ওই চোরকে ধরার জন্য আমাদের কিছু লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। চোর পেশায় একজন অটোরিকশাচালক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলমান অটোগুলোকে অনুসরণ করার এক পর্যায়ে ওই চোরকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। আমরা আরও জানতে পেরেছি আটককৃত চোরের সাথে আরো কয়েকজন রয়েছে। তারা নদের পাড়ে মাদকদ্রব্য সেবন করে। যখনই নেশার টাকার ঘাটতি পরে তখন তারা ছিচকে চুরি করে। ওই চোরকে আটক করে মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের নিয়ে আসার পর সে অকপটে সব স্বীকার করে।

তিনি আরও জানায়, ভ্যাকসিন প্রজেক্টে সাধারণত বড় যন্ত্রপাতি থাকে যেগুলো চুরি করা যায় না কিন্তু তারা যদি ভ্যাকসিন চুরি করে ফেলত তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতো। এই ভ্যাক্সিনগুলো আমরা রিসার্চের কাজে ব্যবহার করি এবং দেশের বেশ কয়েক জায়গায় খুবই অল্প দামে সরবরাহ করে থাকি। ভ্যাকসিন যদি কালোবাজারে চলে যেতো সেক্ষেত্রে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি কেবল ক্ষুন্নই হতো না বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতো। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরিকৃত ভ্যাকসিন যদি বাইরে বিক্রি হয় সেক্ষেত্রে সবাই মনে করবে ভ্যাকসিনগুলো চুরি করে বিক্রি হচ্ছে। বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের চাওয়া ওই চোরের পুরো গ্যাং আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের নজরদারি আরো বৃদ্ধি করতে হবে।

এ বিষয়ে বাকৃবির নিরাপত্তা শাখার চীফ সিকিউরিটি অফিসার মো. নজমুল ইসলাম বলেন, চোরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করতে রওয়ানা হয়েছে।

আরও খবর



অর্থনীতিতে চার চ্যালেঞ্জের সামনে ড. ইউনূস সরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



আরও খবর

স্বস্তি ফেরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজশাহীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাথে স্বেচ্ছাসেবকদের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::

রাজশাহীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী বিভাগীয় উপ পরিচালক জনাব মো: নইমুল আহসান ভুইয়াঁ (পি.এফ.এম), স্বেচ্ছাসেবকদের মতবিনিময় করেছেন। 

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর)  সকাল ১০ টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী বিভাগীয় সদর দপ্তরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায়  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন জনাব মো: নইমুল আহসান ভুইয়াঁ (পি.এফ.এম), উপ-পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রাজশাহী বিভাগ, রাজশাহী। 

উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক জনাব এ.কে.এম মুরশেদ, সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা স্যার এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী বিভাগীয় সদর দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এছাড়াও উক্ত মতবিনিময় সভায় স্বেচ্ছাসের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইহতেশামুল আলম, খন্দকার আসমাউল, আবির হোসেন, মিনহাজ ইসলাম রোজ, রাগিব শাহরিয়ার, তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ আল রায়ান সহ রাজশাহীর আরো ৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ।

এই সভায়  প্রধান অতিথি উপ পরিচালক মহোদয় বলেছেন   রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবকরা সেবা করার জন্য যে পরিমাণ আগ্রহ দেখিয়েছে তাতে আমি খুবই খুশি হয়েছি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে তোমরা কোন ট্রেনিং ছাড়া ট্রাফিক এর কাজে যেভাবে সহযোগিতা করেছো তা সত্যি প্রসংশার দাবিদার, আমরা যখন কোন দুর্ঘটনা স্পটে যাই এবং দেখি সেখানে ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিস স্বেচ্ছাসেবকরা আছে তখন আমাদের মনোবল আরও মজবুত হয়, তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি, আমরা টাকা বা বেতনের বিনিময়ে সেবা প্রদান করি কিন্তু তোমরা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে সেবার জন্য যে পরিশ্রম কর তার সঠিক মূল্যায়ন আমরা করতে পারি না, সেবার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য তোমাতের আহ্বান জানাচ্ছি, যখনই কোন দুর্ঘটনার খবর পাবো সাথে সাথে তোমাদের কে জানানো হবে তখন তোমরা ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে স্পটে উপস্থিত হবে।

তিনি আরো বলেন আন্দোলন পরবর্তী সময়ে এবং অন্যান্য যেকোনো প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবকদের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এভাবে মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে উৎসাহিত করেন।

আরও খবর