Logo
শিরোনাম

মেজাজ ধরে রাখুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কথায় কথায় চটে যাচ্ছেন। ধমকাচ্ছেন। গালিও দিচ্ছেন যা-তা। শান্ত না হতে পেরে অধঃস্তনের গায়ে হাত পর্যন্ত তুলছেন। দিন শেষে হিসাব কষে কেউ হয়তো অনুশোচনায় ভোগছেন, ছোটকে ডেকে দরদ ঢালছেন অথবা কেউ বড়ত্ব ধরে রাখতে উল্টো মাজলুমের ঘাড়েই পা রাখছেন। এই দৃশ্য বছরে কদাচিৎ হলেও রমজানে ঘটছে প্রায়ই। ক্ষেত্র বিশেষে নিত্যকার ছবি এটি। অফিসের বস থেকে শুরু করে গৃহকর্তাও একই রূপ দেখাচ্ছেন গৃহ সদস্যদের সামনে। কাজের মেয়ে-ছেলে হলে তো কথাই নেই। সীমাহীন নির্যাতন এদের ওপর অনেক গৃহকর্ত্রী বা কর্তা করে থাকেন। খাবার-দাবারের বৈষম্য সে তো আছেই। মাঝে-মধ্যে দু-চারটা ঘটনা মিডিয়ার বদৌলতে ভাইরাল হলেও; হাজারটা থেকে যায় আড়ালে। গাড়িওয়ালা, বাড়িওয়ালা কিংবা ফেরিওয়ালা, সব ওয়ালাই রমজানে মেজাজ হারাচ্ছেন কমবেশি। বাজারে যাবেন, দু’-চার ১০টা ঝগড়া চোখে পড়বেই। গাড়িতে চড়বেন, সেখানেও চিৎকার-চেঁচামেচি, গালাগালি, হাতাহাতি এসব কমন দৃশ্য। কর্মক্ষেত্রে তো আছেই। রসিকরা এসব দেখে বলেন, ‘রোজায় ধরছে’! কথা ঠিক ‘রোজায় ধরছে’। মেডিক্যাল সায়েন্স তা-ই বলে। আমরা যত খাবার গ্রহণ করি হোক সেটি কার্বোহাইড্রেড, প্রোটিন কিংবা ফ্যাট সেগুলো হজম হয়ে রূপান্তরিত হয় গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড ও ফ্যাটি এসিডে। এরপর রক্তে মিশ্রিত হয়ে সেগুলো পৌঁছায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আর টিস্যু-কোষে। যার ফলে দেহে শক্তি সঞ্চার হয় এবং আমরা কাজের সক্ষমতা লাভ করি।

রোজার দিনে যেহেতু খাবারে লম্বা বিরতি পড়ে তাই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায় ফলে শরীর নিস্তেজ হতে শুরু করে। এদিকে আবার শরীরের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিচালক মস্তিষ্ক গ্লুকোজের বেশির ভাগ নিজের দখলে রাখে। কারণ সে কাজ করে সবার চেয়ে বেশি। কিন্তু পেটের খাবারের অভাবে সবার মধ্যে দীনতা শুরু হয়। সেও পর্যাপ্ত খাদ্য পায় না। তাই গণ্ডগোল বাধে সব কিছুতে। মাথা ঠিকমতো কাজ করে না। ভুল বেশি বেশি হয়। হাত-পা অচলের মতো হতে শুরু করে। কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। মেজাজ খিটমিটে হতে থাকে। ক্রমশ মানুষ নিজের নিয়ন্ত্রণ হারায়। কাউকে গালি দেয়। কাউকে ঝাড়ি দেয়। অল্প কথায় চটে যায়। ইত্যাদি ইত্যাদি খারাপ আচরণ তখন প্রকাশ পেতে থাকে।
তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো- রোজার দিনে কাজ কম করা। কষ্টকর কাজ দিনের বেলা না করা। কর্মচারীদেরও কাজ কম দেয়া। বিশেষ করে বিকেল বেলায় ফ্রি থাকা এবং জিকির-আজকারে লেগে থাকা।
এ তো গেল ক্ষুধার কথা। চৈত্রের কাঠফাটা দুপুর আর গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহও কিন্তু এসবের জন্য দায়ী। তাপমাত্রা এরই মধ্য ৩০-৩৭-এ ওঠানামা করছে। এই গরমে মেজাজ হারানো স্বাভাবিক বিষয়। এরপরও আছে লম্বা উপবাস। গরমের তীব্রতাকে হাদিসে জাহান্নামের নিঃশ্বাসের সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং গরমে সর্বাপেক্ষা বড় ইবাদত নামাজকেও বিলম্বে পড়তে তাকিদ দেয়া হয়েছে।

কারণ অতিরিক্ত গরম মননে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তা ছাড়া অবসাদ, বিষণœœতা, চাপা ক্ষোভ, অঘুম ইত্যাদি কারণেও মেজাজ হারানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য পারিপার্শ্বিক সব কারণ দূর করার চেষ্টা করতে হবে। উপবাসের নামই যেহেতু রোজা সেটা তো দূর করা সম্ভব না। তাই রাগ উঠলে শরিয়তের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করা যেতে পারে। ইস্তেগফার করা। অবস্থান পরিবর্তন করা। দাঁড়ানো থাকলে বসে পড়া আর বসে থাকলে শুয়ে পড়া। অজু করা। তারপরও রাগ না থামলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা।
রাগ নিয়ন্ত্রণ মুমিনের একটি বড় প্রশংসনীয় গুণ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রাগ হজমকারী এবং ক্ষমাকারীরা (সৎকর্মশীল) আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান-১৩৪) হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি নবীজী সা:-এর কাছে এসে বলল, ‘আমাকে উপদেশ দিন’। তিনি বললেন, ‘রাগ করো না’। সে ব্যক্তি কয়েকবার এ কথা বলল। রাসূলুল্লাহ সা: প্রত্যেকবার বললেন, ‘রাগ করো না’। (সহিহ বুখারি-৬১১৬) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘সে শক্তিশালী নয়, যে কুস্তিতে লড়ে অপরকে ধরাশায়ী করে; বরং প্রকৃতপক্ষে সে-ই শক্তিশালী, যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করে।

(সহিহ বুখারি-৬৮০৯)
এ তো গেল কুরআন-হাদিসের কথা। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটু গভীরভাবে ভাবা যাক। আমরা সবাই মানুষ। অফিসের বস আর পিয়ন, কর্মচারী আর কর্মকর্তা গৃহকর্ত্রী আর কাজের বুয়া সবাই মানুষ হিসেবে সমান। আল্লাহ আমায় যোগ্যতা দিয়ে পদের অধিকারী করে কর্মকর্তা বানিয়েছেন। চাইলে অধঃস্তন করে কর্মচারীর কাতারে আনতে পারতেন। অফিসের পিয়ন বা দফতরি আমিও হতে পারতাম। কাজের মেয়ে-ছেলে আল্লাহ আমাকেও বানাতে পারতেন। তখন আমার সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে কেমন লাগত। হাত-পা-নাক-কান-চোখ-মুখসহ শারীরিক সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সবারই সমান (প্রতিবন্ধী বাদে) রক্ত-মাংস তো সবারই এক। সাদা-কালো কিংবা ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান থাকলেও দেহাভ্যন্তরে মনোজগতের ব্যবধান সামান্য। একজন মনে করে আমি অযোগ্য গরিব তাই কাজ করে খাই। অন্যজন ভাবে আমি মালিক বা কর্তা যোগ্যতা বা সম্পদের বলে বসে বসে খাই। কিন্তু হৃদয়ের উত্থান-পতন দু’দেহেই সমানভাবে ঘটে। সুখ-দুঃখের অনভূতি দু’জনেরই আছে। আত্মমর্যাদাবোধ সবারই থাকে। সুতরাং কোনো মুমিনকে অন্যায়ভাবে মুখ কিংবা হাত দিয়ে কষ্ট দেয়া কঠিন গোনাহের কাজ।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ (সূরা আহজাব-৮৫) হাদিসে প্রিয় নবী সা: বলেন, ‘আল মুসলিমু মান সালিমাল মুসলিমুনা মিন লিসানিহি ওয়া ইয়াদিহি’-অর্থাৎ সত্যিকারের মুসলিম হলো সে ব্যক্তি যার মুখ ও হাত থেকে অপরাপর মুসলিম নিরাপদ থাকে।’(সহিহ বোখারি-৬৪৮৪)
তাই রোজাদার ভাই-বোনদের নিবেদন করব রাগ দমনের। রাগ দমনকারীর জন্য পুরস্কারও রয়েছে। ১. আল্লাহ তায়ালা তাদের ভালোবাসেন। (সূরা আলে ইমরান-১৩৪) ২. ঈমান দ্বারা তাদের অন্তর ভরপুর করে দেয়া হবে। (মুসনাদে আহমদ প্রথম-৩২৭) ৩. পরকালে আল্লাহর ক্রোধ থেকে মুক্তি মিলবে (সহিহ ইবনে হিব্বান-২৯৬) ৪. হাশরের মাঠে যেকোনো হুরকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাবে। (আবু দাউদ-৪৭৭৭) ও ৫. তারা জান্নাতি হবে (তাবারানি-২৩৫৩)



লেখক : শিক্ষক ও ইসলামী গবেষক





আরও খবর

খরচ কমলো হজ প্যাকেজের

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ঈদের চাল বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বিশেষ ভিজিএফ চাল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। 

রবিবার সকাল থেকে এ সব চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইফুল ইসলাম। ইউপি সচিব মো. সালাহউদ্দিন, ট্যাগ অফিসার মো.রিয়াজুল ইসলাম।

১৭৯৩ জন নারী পুরুষ সুবিধাভোগীরা নিচ্ছেন ১০ কেজি করে চাল।

এ চাল বিতরণকালে অন্যনোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুর রহিম মৃধা, আবু বকর ফরাজী, মো. কাওসার হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পারভীন বেগম।

চাল বিতরণকালে সকল সুবিধাভোগীদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য,  জন্য দোয়া চেয়েছেন।


আরও খবর



৩১ দিন পর মুক্ত জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি।আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ঈদযাত্রায় বাইকারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদ এলেই মহাসড়কে বেড়ে যায় মোটরসাইকেলের চলাচল। দুই চাকার এ মোটরযানে করে বাড়ি ফেরেন অনেকেই। তাই এ সময় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনাও বেড়ে যায় চোখে পড়ার মতন। এবার এ বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ প্রশাসন। মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ব্যবস্থা করা হচ্ছে আলাদা লেনের।

সূত্রমতে, দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন করে দেওয়া হবে এবারের ঈদযাত্রাকে ঘিরে। এক্সপ্রেসওয়ের ৪০ কিলোমিটার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার মুন্সিগঞ্জ জেলার আওতাধীন। এই অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত দুই শতাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবারের ঈদযাত্রায়। মহাসড়কে তিন চাকার যান নিয়ন্ত্রণেও তদারকি করবে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই মোটরসাইকেল চলাচল বহুগুণ বেড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনাও। তাই এবার ঈদের আগে দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।

এর অংশ হিসেবে সড়কের কোথাও যেন পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে না রাখা হয় সেটিও তদারকি করবেন পুলিশ সদস্যরা।

ঈদযাত্রা ঘিরে নিজেদের প্রস্তুতির ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেছেন, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অংশ চলে গেছে এ জেলার ওপর দিয়ে। তাই এবার ঈদে বাড়ি ফেরা নিরাপদ করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে।

তিনি জানান, এবারই প্রথম মোটরসাইকেলের জন্য স্পেশাল লাইন থাকবে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে। তিন চাকার যানবাহন যেন ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করতে না পারে সে ব্যবস্থাও থাকবে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




তাপপ্রবাহ থাকবে এপ্রিল জুড়ে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের চারটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এপ্রিল জুড়ে সারাদেশে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানের আবহাওয়ার এ অবস্থা আরো এক সপ্তাহ বিরাজ করবে।

রবিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা কমবে না। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরো কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এপ্রিলে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও একটি-দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তারা আশঙ্কা করছেন, এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারে হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইল সদরের চৌরাকররা গ্রামে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে  হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার প্রাঙ্গণে পাঠাগারের পাঠকদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৭ জন অংশগ্রহণকারী কোরআন তেলাওয়াত, হামদ, নাত ও গজল পরিবেশন করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে তামীম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মঞ্জুরুল  এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে মোজাম্মেল। বিজয়ীদের মাঝে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে বই উপহার প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সভাপতি মোঃ শাহজাহান। এসময় পাঠাগারের সদস্য শামীম আল মামুন, সুমন খান, মোঃ শাকিল আহমেদ, সুমন চৌধুরী, রিপন মিয়া, হাবিবুর রহমান, হামিদ হাসান, মেহেদী মাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, “এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি” স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।


আরও খবর