Logo
শিরোনাম

মেসিকে পেতে মরিয়া বার্সেলোনা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইয়াশফি রহমান :চলতি বছরই ফরাসি ক্লাব পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসির। ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি না করায় গুঞ্জন রয়েছে পুনরায় বার্সেলোনায় যোগ দিতে পারেন মেসি। এদিকে, আর্জেন্টিনার তারকা এই ফুটবলারকে পেতে মরিয়া বার্সাও। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে পেতে বর্তমান দলের তিন ফুটবলারকে ছেড়ে দিতেও রাজি স্প্যানিশ ক্লাবটি।

মেসিকে বার্সায় ফেরাতে রাফিনহা, ফেরান তোরেস ও আনসু ফাতিকে বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটির। একই সঙ্গে জোয়াও কানসালোকে ধারে অন্য ক্লাবে পাঠানোর কথাও ভাবছে বার্সেলোনা। পাশাপাশি তারা নতুন কিছু খেলোয়াড়কেও দলভুক্ত করবে, যেখানে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছেন মেসি। স্প্যানিশ ক্লাবটি অতি দ্রুতই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিবে মেসিকে।

শোনা যাচ্ছে, আনসু ফাতিকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপের একাধিক ক্লাব। বিশেষ করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বার্সেলোনার এই ফুটবলারকে দলে পেতে আগ্রহী। এদিকে, রাফিনহাকে দলে নিতে আগ্রহী চেলসি। গেল মৌসুমেই তাকে দলে পেতে চেয়েছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। তবে সেবার লিডস ইউনাইটেড থেকে রাফিনহা চেলসির পরিবর্তে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। বার্সেলোনার আরেক ফুটবলার ফেরান তোরেসকে দলে নিতে আগ্রহী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বিশ্বকাপজয়ী মেসিকে পুনরায় পেতেই বার্সেলোনার এমন পরিকল্পনা বলে মনে করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। সূত্র: গোল ডটকম


আরও খবর



জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। শুক্রবার হওয়া এ প্রস্তাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ।

প্রস্তাবটির বিষয় ছিল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় করা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

এছাড়া এই প্রস্তাবে ইসরাইলে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। কারণ গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।

সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকা বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এবং ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে ছয়টি দেশ এবং ভোটদানে বিরত ছিল ১৩টি দেশ।

প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, চিলি, চীন, আইভরি কোস্ট, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ফিনল্যান্ড, গাম্বিয়া, ঘানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, কাতার, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম।

প্রস্তাবের বিপক্ষে ও ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, জার্মানি, মালাউই, প্যারাগুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র।

ভোটদানে বিরত ছিল আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ভারত, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়া।

যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এ প্রস্তাবটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সহকারী প্রফেসর মার্ক ওয়েন জোনস। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, বাস্তবে এটির খুব বেশি কার্যকারিতা নেই।

এই প্রফেসর সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, প্রতীকি অর্থে প্রস্তাবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং তাদের অস্ত্র না দেওয়ার প্রস্তাবে ইউরোপের অনেক দেশ সমর্থন জানিয়েছে। অথচ যুদ্ধের শুরুতে বেশিরভাগ ইউরোপীয়ান দেশ ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

যারমধ্যে ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ এবং বেলজিয়াম সরাসরি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে এবং ফ্রান্স ভোটদানে বিরত ছিল। অর্থাৎ প্যারিসও এতে সমর্থন জানিয়েছে।

যেহেতু মানবাধিকার কাউন্সিলের মাত্র ছয়টি দেশ ইসরাইলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সে কারণে গাজার যুদ্ধে ইসরাইল যে কৌশল অবলম্বন করছে। সেটি পরিবর্তন করতে তাদের ওপর চাপ তৈরি হবে।


আরও খবর



ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদ শব্দটি আরবি। যার অর্থ খুশি, আনন্দ, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে সারা বিশ্বের মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

এ বছর ঈদুল ফিতর সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ভিন্ন। টানা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে ভূখণ্ডটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

আছে নারী-শিশুসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, সঙ্গে আছে প্রিয়জন হারানোর বেদনা। তীব্র মানবিক সংকটে অনাহার-দুর্ভিক্ষও এখন আর দূরের কিছু নয়। এই অবস্থার ভেতরেই ফিলিস্তিনে এসেছে ঈদ। আর সব ধ্বংস, কষ্ট, বেদনাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে বরণও করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।

এমনকি ফিলিস্তিনিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুরু উপলক্ষ্যে আনন্দ উদযাপনে রাস্তায়ও নেমে আসেন। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

বুধবার (১০ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রমজান মাসের সমাপ্তি উপলক্ষ্যে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাতে ফিলিস্তিনিরা তাকবীর পাঠ করে এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা করে গাজার রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এবারের ঈদ গাজা উপত্যকায় এমন এক সময়ে এসেছে যখন ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটি ব্যাপক অবরোধের পাশাপাশি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে হামাস। ঈদুল ফিতরের আগে দেওয়া ওই বিবৃতিতে হামাস গাজায় ফিলিস্তিনিদের তাদের শক্তি এবং অবিচলতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।

মূলত কয়েকদিন আগেই গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের আক্রমণের ছয় মাস পূর্ণ করেছে এবং সেই আগ্রাসন এখনও চলছে।

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই দলটি টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম তীরে, জেরুজালেমে, অধিকৃত (ঐতিহাসিক) ফিলিস্তিনের পাশাপাশি সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুত শিবিরে থাকা মানুষ গাজায় আমাদের এবং আমাদের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বলে আমরা আমাদের জনগণকে নিশ্চিত করছি।

হামাস আরও বলেছে, আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমন উপলক্ষ্যে আরব এবং ইসলামিক দেশগুলোকে অভিনন্দন জানাই।

এসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসানের লক্ষ্যে সবার প্রকৃত সমর্থন বাড়তে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করে হামাস।


আরও খবর



নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী তেল আবিব বিক্ষোভ উত্তাল। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। ইহুদিবাদী নেতা নেতানিয়াহুকে চুক্তির পথে বাধা বলে উল্লেখ করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগেও এমন বিক্ষোভ হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।

গাজায় হামলা ঘিরে সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রবল চাপে রয়েছে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জোট। গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সংহতি জানিয়েছে এসব আন্দোলকারী।

গত শনিবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা, বেয়ার শেভা, সিজারিয়া এবং অন্যান্য শহরে। প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা হাজারও বিক্ষোভকারী। তারা গাজায় এখনও বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবি জানান।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জিম্মি লিরি আলবাগের মা শিরা আলবাগ বলেন, আমার ছেলে এবং অন্য জিম্মিরা কী অবস্থায় আছে, সেই চিন্তা ও ভয়ে ১৭৬ দিন ধরে অন্য কিছু ভাবতে পারি না।

তিনি বলেন, জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে যে-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকে ইসরায়েলের জনগণ ক্ষমা করবেন না। এখন আর কোনো অজুহাত চলবে না।

বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ৫৪ দিন আগে মুক্তি পাওয়া জিম্মি রাজ বেন-আমি। বিক্ষোভকারীরা জিম্মি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তারা সবাই বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামব নাবলে স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শর বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

প্রায় ছয় মাসের মতো ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ১৯০ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ,নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরনে গৃহিনীকে (৫০) প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় আবুল

আইচ(৫৫) নামে এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোরেলগঞ্জ থানার মামলা নং ২৩, তারিখ-২৮.৩.২০২৪।

কুমারিয়াজোলা গ্রামের সবুর শেখের ছেলে আবুলাইচ শেখ মহিশচরণী আফতাব আলী খানের বাড়ির জামে মসজিদের ঈমাম ও মহিষচরণী জেন্নাতিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

  এর আগে, বুধবার বিকেলে মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগে ঈমাম আবুল আইচ তার প্রতিবেশি ওই নারীকে পঞ্চকরন ইউনিয়নের কুমারিয়াজোলা গ্রামের পাঁচগাও বাজার ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় লোকজনের সামনেই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে স্বজোরে খাড়া লাথি দিয়ে গুরুতর আহত করে।

তাৎক্ষনিক ঘটনাটি নিকটস্থ ফাড়ি পুলিশকে জানিয়েছেন এবং আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য ওই গৃহিনীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি গোপনে স্থানীয় এক যুবক মোবাইলে ধারণ করলে পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

বিজলী আক্তার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দাবী করে বলেন, অপরাধে প্রকাশ্যে ঘাড়ধরে ধাক্কা  মেরে রাস্তায় ফেলে আমার মাথায়, চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। লাথি মেরে তলপেটে গুরুতর আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে প্রশাসনের কাছে আমার ওপরে এ হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

 এ বিষয়ে পঞ্চকরন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, বিজলি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তার ওপরে এ ধরনের হামলার ঘটনা দূঃখজনক। হামলাকারীদের আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেন তিনি।

এ বিষয়ে  মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মধ্য বয়সী এক নারীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। একমাত্র আসামি আবুল আইচকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়েছে সিলেট নগরী। আবারও সিলেটে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি একই গতিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলেও ঝড়ে আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসের এসব তথ্য জানা যায়।

রোববার (৩১ মার্চ) রাতে সিলেট নগরে তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী ঝড়। এ সময় পড়ে শিলাবৃষ্টিও। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা দমকা হাওয়ায় অনেক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর শিলাবৃষ্টিতে গাড়ির গ্লাস ও টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়।

এদিকে সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

প্রথম দিনের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে-চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতে সামান্য কমবে।

নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে এসব অঞ্চলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দ্বিতীয় দিনে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।

তৃতীয় দিনে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়বে।


আরও খবর