Logo
শিরোনাম

মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত ২রা জুন ভার্জিনিয়ার স্প্রীংফিল্ড হলিডে ইন্ এক্সপ্রেস হোটেলের বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সন্মানিত সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী মোহান্মদ এনাম মিয়া দুলালের উপস্হিতিতে প্রথম বারের মত প্রকাশ্যে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সন্মেলনে মেট্রো ওয়াশিংটন

আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,মহিলা আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে অংশ গ্রহন করে। এছাড়া এলাকার বেশ কিছু বয়োজেষ্ঠ্য আওয়ামী সমর্থকের উপস্হিতি সন্মেলনের শ্রীবৃদ্ধি করে। 

শুরুতেই সন্মেলনকে কেন্দ্র করে আলাপ আলোচনার জন্য সভা শুরু হয় এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন মেট্রো ওয়াশিংটন আঃলীগের উপদেস্টা জনাব মোহান্মদ আলমগীর,প্রধান অতিথি যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগ সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান,প্রধান বক্তা ভারপ্রাপ্ত সাঃসম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, বিশেষ অতিথি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী এনাম মিয়া দুলাল, জনাব মোহান্মদ মুজিবুল হক,জনাব গোলাম মোস্তফা মন্চে আসন গ্রহন করেন। 

যথারীতি জাতীয় সংগীত,কোরআন তেলওয়াত,গীতা ও বাইবেল পাঠ করা হয়।

আলোচনার প্রাভাম্বে সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সূচনা বক্তব্য রাখেন, এছাড়া ভারপ্রাপ্ত সাঃ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী মোহান্মদ এনাম দুলাল যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মহিলা আঃলীগ নেত্রী মহসিনা জান্নাত রিমি,মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের ফরিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মুসা মৃধা বক্তব্য রাখেন। এই পর্বটি এম নবী বাকী পরিচালনা করেন। 

এরপর দ্বিতীয় পর্বে সন্মেলনের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাঃসম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, তিনি এক গুচ্ছ বেলুন উড়িয়ে পর্বটি শুরু করেন। সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান,তিনি শুরুতেই ২০১২ সালে গঠিত মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী মোহান্মদ এনাম দুলাল সমন্বয়কারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উপস্হিত সকলের মাঝে থেকে চল্লিশ জনকে কাউন্সিলার করা হয় এবং তারা সবাই নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ফর্ম পূরণ করে 

কাউন্সিলার হোন। কাউন্সিলারদের মধ্যে থেকে একজনের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করা হয় এবং তিনজনের নাম আসে 

সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। পরবর্তীতে পরিপূর্ণ সমঝোতা এবং কন্ঠ ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে মাহমুদুন নবী বাকী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোহান্মদ শফিকুল আযম আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া প্রথম সহসভাপতি হিসেবে মোহান্মদ মুজিবুল হক এবং অপর সহসভাপতি হিসেবে দস্তগীর জাহাঙ্গীরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগের সার্টিফাইড প্যাডে সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাঃসম্পাদকের স্বাক্ষরে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। 

সন্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্হিত ছিলেন মেট্রো ওয়াশিংটন আঃলীগের শাহরিয়ার আলমগীর,জাহাঙ্গীর আলম,রিমন সর্দার,মাসুদ তালুকদার,শহিদুল ইসলাম,

মোহান্মদ ফাহিম,যুবলীগের সর্বজিৎ দাস তুর্য,ইমরান আহমেদ,আজহার উদ্দিন আজিম,কামরুল হাসান,শাফায়েত জামিল,রাশেদ জামান, রোকন,মহিলা আওয়ামীলীগের মহসিনা জান্নাত রিমি, ছাত্রলীগের আবু মুসা মৃধা,সুলতান আহমেদ সিয়াম,মোঃআব্দুল কাইয়ূম,মোঃ

আসিফ আহমেদ,খালিদ বিন আইয়ূব,রনক হোসাইন তালুকদার। 

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি উৎসব মুখর পরিবেশে সন্মেলনের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং এই সন্মেলনের মাধ্যমে মেট্রো ওয়াশিংটন এলাকার আওয়ামী নেতাকর্মীদের বহু দিনের চাহিদা পূরণ হয়। যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগ নেতৃবৃন্দ তিন সপ্তাহের মধ্যে ৫১সদস্য বিশিস্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে সিকিউরিটি গার্ডকে মারপিট

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের সাবেক সিকিউরিটি ম্যানকে আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন শেখকে মারপিট করেছে একই প্রশিক্ষনের ফিসারী কর্মী সোহাগ মোল্লা। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আহত নিজাম উদ্দিন মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লের্ক্সে ভতি করা হয়েছে।  

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, আমি প্রাইড সিকিউরিটি কোম্পানির গার্ড হিসেবে ৪ বছর চাকুরি করি। চাকুরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে “গফফার সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি আমাকে দুই মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট থেকে আমি চলে আসার ৮ মাস পরে গত ১৯ মার্চ একটি কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করে সংস্থার ৪ হর্স ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বৈদ্যিুতিক মটর টুরি হয়ে গেছে। মটরটি চুরির বিষয় আমি কিছুই জানি না মর্মে ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় নোটিশের লিখিতভাবে জবাব দিতে দিতে গেটে গিয়ে আমি আমার জবারের নোটিশখানা বিবাদীদ্বয়ের হাতে দিলে খামটি খুলে জবাব পড়ার পরে বিবাদীগন আমাকে অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, তুই যে এ ধরনের কথাবার্তা কেন লিখে এনেছ সোহাগ মোল্লা ও জিয়াউর মোল্লা উত্তেজিত হয়ে চর ছাপ্পর, বুকে পিঠে মাথায় শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল ঘুষি মারে। আমি এ ঘটনার প্রশাসনের প্রতি ন্যায় বিচার দাবি করছি।


আরও খবর



বাগেরহাটের রামপালে লোকালয়ে ঘুরছে দুটি হনুমান

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই গাববুনিয়া গ্রামে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুটি হনুমান।  হনুমান দুটিকে দেখতে এলাকার ছোট বড় সবাই ভিড় জমাচ্ছে।

শনিবার(৩০ মার্চ) ভোররাত থেকে গাববুনিয়া গ্রামের আতিয়ার তালুকদারের বাড়িতে হনুমান দুটিকে দেখা যায়। 

আতিয়ার তালুকদারের বাড়িতে দুটি হনুমানের আগমন ঘটেছে খবরটি মুহূর্তে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে এলাকার ছোট বড় অনেকেই হনুমান দুটিকে দেখতে ভিড় জমায়। উৎসুক জনতা হনুমান কলা, রুটি, বাদাম,  বিস্কুট,  পাকা টমেটোসহ নানান খাদ্য খাবার খেতে দিচ্ছে। হনুমান দুটি নির্ভয়ে মানুষের সে খাদ্য খাবার খাচ্ছে। 

এ ঘটনা জানতে পেরে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে উপস্থিত হয় এবং হনুমানের উপস্থিতর ঘটনার সত্যতা দেখতে পায়। হনুমান দুটি সকালে বেলা আতিয়ার তালুকদারের বাড়িতে অবস্থান করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাদের চলাফেরার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফেরদৌস ফকির জানান, সকাল বেলা জানতে পারি আমাদের গ্রামে দুটি হনুমান এসেছে৷ আমরা খবর পেয়ে আতিয়ারের বাড়িতে দেখতে যাই। অনেকে অনেক খাদ্য খাবার খেতে দিচ্ছে এবং সে হনুমান সেই খাবার খাচ্ছে। 

আরেক স্থায়ী বাসিন্দা কুলছুম বেগম জানান, হনুমান গ্রামে এসেছে শুনতে পেয়েই আমাদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয় এবং আমরা দ্রুত হনুমান দুটিকে দেখতে ছুটে যাই। 

হনুমান দুটি কোথা থেকে লোকালয়ে এসেছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। হনুমানকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমানোর ফলে মাঝে মধ্যে হনুমান দুটি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক হাওলাদার আজাদ কবিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হনুমান সাধারনত যশোরের কেশবপুর এলাকা থেকে কলা বা কাঁঠাল বোঝাই ট্রাকে করে বিভিন্ন চলে যায়। 

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মোঃ মফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে তার ব্যবহৃত ০১৭২১-০৮৮৮৪৪ নম্বরে একাধিক বার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। রাজধানী ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৬, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৩ আর ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



ঈদে সেমাই খাওয়ার প্রচলন শুরুর অজানা তথ্য!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দেশে সেমাই ছাড়া ঈদ উদযাপন কল্পনা করা যায় না তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ঈদের সাথে সেমাইয়ের এই যোগসূত্র কিন্তু খুব পুরনো নয় তবে ইতিহাস বলে সেমাইয়ের প্রচল নিয়ে আছে ভিন্ন রকম মত

ঈদুল ফিতরের সঙ্গে সেমাইয়ের সম্পর্কটা কীভাবে তৈরি হলো তার হদিস পাওয়াটাও একটু কঠিন বাঙালির সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গ্রন্থে যেটুকু পাওয়া যায় তার মধ্যে সেমাইয়ের কথা কোথাও উল্লেখ নেই তবে ফিরনির কথা আছে নবাব আলিবর্দী খাঁর খাদ্য তালিকায় খিচুড়ির উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল সেমাইয়ের বিষয়ে উল্লেখ পাওয়া যায় না মোগল রসুইঘরেও সুতরাং সেমাই মোগলাই খাবারের মধ্যে পড়ে না 

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যেও বেশ কিছু খাবারের নাম পাওয়া যায় কিন্তু সেমাইয়ের কথা কোথাও নেই হিন্দু কবিদের রচনাতে তো নেই মুসলমান কবির রচনাতেও নেই সেমাইয়ের দেখা পাওয়া যায় না মোগলদের রন্ধনশালাতেও অর্থাৎ সেমাই মোগলাই খানার মধ্যে পড়ে না অথচ সম্রাট বাবর এসেছিলেন যে আফগানিস্তান থেকে সেই আফগানিস্তানে এখনো সেমাই চলে তবে ভিন্ন নামে আগেও নিশ্চয় চলতো সেখানে সেমাইকে বলেসেমিরা

ভারতের অনেক অঞ্চলে অবশ্য সেমাই রান্নার প্রকরণ দুই রকম এক হলো নামকিন সেমিয়া অর্থাৎ তা নোনতা স্বাদের অন্যটা হলো সেভিয়া ক্ষির বা দুধ সেমাই নামকিন সেমিয়া নিয়ে আমার কোনো কথা নেই কথা বলতে গেলে নুডল্, স্প্যাগেটি, চাওমিন ইত্যাদি খাদ্য চলে আসবে আমার কথার বিষয় খাওয়া শেষে মুখ মিষ্টি করার মিষ্টান্ন নিয়ে মিষ্টান্ন হিসেবে সেমাইয়ের ব্যাপারটা কিন্তু বহুজাতিক মিষ্টি স্বাদ চেহারার সেমাই পাওয়া যাবে গ্রিসে নাম কাতাইফি বাংলাদেশে ঘি দিয়ে ভেজে যে দমের সেমাই তৈরি হয়, প্রায় সেরকমই সেমাইয়ের দেখা পাওয়া যাবে আফ্রিকার সোমালিয়াতে নাম কাদ্রিয়াদ 

প্রচলিত বাংলা অভিধানে সেমাই শব্দটাকে কোথাও বলা হয়েছে হিন্দি, কোথাও দেশি তবে ভাষাতত্ত্বের পণ্ডিত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন গ্রিক শব্দ সেমিদালিস থেকে বাংলা সেমাই শব্দের উৎপত্তি আমরা যে সেমাই খাই তার রন্ধন-প্রণালী স্বাদ গ্রিস না অন্য কোনো দেশের তার সুলুকসন্ধান কেউ দিতে পারেননি তাই অনেক পণ্ডিত আবার সেমাই শব্দের উৎস সন্ধানে অন্য পথ ধরেছেন

জানার আগ্রহ নিয়ে শব্দের পথ ধরে ইতিহাসের দিকে এগোনো যায় বহু পথ আর শব্দের অর্থ দিয়ে খোলা যায় অতীতের অনেক ইতিহাসের দরজা এদিকে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সেমাই শব্দের বুৎপত্তি নির্দেশ করে দেখিয়ে দিয়েছেন, সেমাই শব্দের গায়ে গ্রিসের গন্ধ থাকলেও সেমাই দ্রব্যটা আসলে ভারতীয় ভারতের অনেক রাজ্যেই সেমাই নানাভাবে খাওয়া হয় এছাড়া উপমহাদেশের মুসলমান-মাত্রই ঈদের দিনে সেমাই খায় অন্যদিকে পাকিস্তানেও সেমাই ছাড়া ঈদ কল্পনা করা যায় না

বাংলাদেশে এখন প্যাকেটজাত সেমাইয়ের ছড়াছড়ি মেশিনে বানানো এই সেমাই বাহারি সব প্যাকেটে পাওয়া যায় মজার কথা হলো, এই যে প্যাকেটজাত কিংবা বোতলজাত ইত্যাদি শব্দের যে (জাত) তার অর্থ হলো রক্ষিত, সঞ্চিত ইত্যাদি প্যাকেটজাত মানে প্যাকেটে রক্ষিত শব্দটা আরবি থেকে আসা শব্দের জাত চেনা সত্যিই মুশকিল কারণ এই জাত শব্দটার আবার বাংলা অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা

৮০ থেকে ৯৫ বছর আগে সুদূর মফঃস্বল বা গ্রামে প্যাকেটজাত রেডিমডে সেমাই পাওয়া যেতো না শহরে পাওয়া যেতো কিনা তা জানা নেই ঈদের বেশ দিন আগে থেকেই গ্রামের নারীদের হাতে তখন তৈরি হতো আদি অকৃত্রিম ঈদের সেমাই বাড়িতে বাড়িতে সেমাই তৈরির ধুম পড়ে যেতো মা-খালা-চাচি-ফুপিরা মাটির কলসি উপুড় করে হাতের অপূর্ব সৃজন ক্ষমতা দক্ষতায় আটা-ময়দার লেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নতুন কেনা কুলোয় নামাতেন নরম সুতো ক্রমাগত সুতো নেমে তৈরি হতো সেমাইয়ের স্তূপ আর এভাবেই তৈরি হতো হাতে বানানো সেমাই তবে বর্তমানে সেমাই দুই প্রকারের খিল সেমাই বা তার সেমাই আরেকটা হলো লাচ্চা বা লাচ্চি সেমাই


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহকে নজরদারিতে রাখতে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের খবরে কোনো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। তবে অভিযান পরিচালনা না হলেও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন পরিস্থিতি উত্তরণে প্রভাব রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইইউ নেভাল ফোর্সের পক্ষ থেকেও কেবল অবস্থান নেয়ার কথাই জানানো হয়েছে, অভিযানের বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি তারা। জাহাজের মালিকপক্ষ বলেছে, কোনো অবস্থাতেই তারা সশস্ত্র অভিযানের পক্ষে নন।

তবে ওই উপকূলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন এই পরিস্থিতিতে কিছু ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী।

যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি যে সুবিধা দেবে
উত্তর-পশ্চিম ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তায় ইউরোপিয়ান নৌবাহিনী পরিচালিত কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত নাম
ইইউ ন্যাভ ফর আটালান্টা

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বাহিনীটি এমভি আব্দুল্লাহর কাছে তাদের অবস্থানের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করে।

ইইউ নেভাল ফোর্সের সদস্যদের নজরদারির পাশাপাশি ওই আকাশসীমায় তাদের হেলিকপ্টারও টহল দিতে দেখা যায় ভিডিওতে। এমন অবস্থান জিম্মি মুক্তিতে প্রভাব রাখতে পারে বলে বিবিসি বাংলাকে জানান মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনাম চৌধুরী।

প্রথমত, এত কাছে ইউরোপিয়ান বাহিনীর মতো শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি দস্যুদের ওপর একটা চাপ তৈরি করবে। যা সমঝোতার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

দ্বিতীয়ত, পূর্ব আফ্রিকার ওই উপকূল থেকে নতুন কোনো দস্যুদল সাগরে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে, দস্যুদের তৎপরতা কমে আসবে।

গত দুদিনে আরো দুটি সম্ভাব্য দস্যুতার ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছে ইইউ ন্যাভ ফর। দুটি জাহাজই লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী।

এ নিয়ে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে গতকাল ২১ মার্চ পর্যন্ত ২৪টি জাহাজ এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যার মধ্যে ১২টিকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

নাবিকদের সর্বশেষ অবস্থা
বুধবার সেহরির পর পর ছেলের ফোন পান শাহনুর বেগম। তার ছেলে এমভি আব্দুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান। 
শাহনুর বেগম জানিয়েছেন কতটা দুঃসহ দিন পার করছেন তার ছেলেসহ অন্য নাবিকরা। ঠিকমতো পানি দেয় না, খাবার দেয় না। হয়তো একবেলা ইফতার করলো, আরেক বেলা খাবার নেই। ডাকাতরা ৯-১০ দিনে প্রায় সব খাবার শেষ করে ফেলেছে বলে ছেলের কাছে শুনেছেন তিনি।

জিম্মি থাকা ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খানের সাথে তার বড় ভাই ওমর ফারুকের সর্বশেষ কথা হয় এই সপ্তাহের শুরুতে।

ওমর ফারুক  জানান, জলদস্যুরা প্রতিদিন খাবার নষ্ট করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বড় সংকটে পড়তে হবে তাদের।

তার ওপর দস্যুদের সংস্পর্শ এবং অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে বলে অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দিয়েছে।এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করেছিল।

আতিকুল্লাহ খান জানিয়েছেন, সেই সময় থেকে তাদের কেবিনের পরিবর্তে এমনকি ঘুমের সময়েও ব্রিজেই (জাহাজ চালানোর কক্ষ) অবস্থান করতে হচ্ছে।

শাহনুর বেগম উল্লেখ করেন, তিন নাতনি বলেছে, বাবা কথা দিয়েছে তাদের সাথে ঈদ করতে আসবে। ঈদের আগেই ছেলের ফিরে আসার অপেক্ষায় তিনি।

দস্যুদের সাথে আলোচনা
দ্রুত নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় জাহাজের মালিক পক্ষও। কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম  বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগের পর প্রাথমিক পর্যায়ের আলাপ শুরু করেছেন তারা। আনুষ্ঠানিক আলোচনা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবেই সশস্ত্র অভিযানের পক্ষে নই। নাবিকদের জীবন সংশয়ে পড়বে এমন কোনোকিছুর প্রতি আমাদের সমর্থন নাই।

তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোকে একই বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। জিম্মি করার আট দিন পর বুধবার দুপুরে প্রথমবারের মতো এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে সোমালি জলদস্যুরা।

জাহাজটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার হাতবদল করা হয়েছে। মালিকপক্ষের ধারণা, এখন অপহরণের মূল হোতাদের দখলে রয়েছে জাহাজটি।

মিজানুল ইসলাম বলেন, শুরুতে যারা অপহরণ করেছিল তারা ছিল মূলত ভাড়াটে। এখন মূল পক্ষের সাথে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে।

তবে নাবিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে দস্যুদের সাথে আলোচনার ব্যাপারে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি মালিকপক্ষ। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ জন নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সোমালি জলদস্যুরা।

এরপর থেকেই জলদস্যুদের সাথে যোগোযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে আসছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ। এ লক্ষ্যে তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তৃতীয় একটি পক্ষের সহায়তাও নিচ্ছিল।

মূলত সেই মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমেই দস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন মিজানুল ইসলাম।

আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীগুলোর তৎপরতা
এমভি আব্দুল্লাহ জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর থেকে সোমালিয়া উপকূলে প্রবেশের আগ পর্যন্ত অনুসরণ করে আসছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ।

গত শুক্রবার বিকেলে ভারতীয় নৌবাহিনীর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে চারজন অস্ত্রসহ টহল দিচ্ছে। তাদের সবার অবস্থানই ছিল জাহাজের মাস্টার কেবিনের ছাদে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জানায়, গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ থেকে সাহায্যের সিগন্যাল পেয়ে তারা একটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট-এলআরএমপি পাঠিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় বিমানটি পরে আর এমভি আব্দুল্লাহর সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারেনি।

পরবর্তী সময়ে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করে। এই জাহাজটি পরের কয়েকদিন এমভি আব্দুল্লাহকে নজরদারি করে।

ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ওরা লং রেঞ্জ সার্ভিলেন্সের জন্য হেলিকপ্টার পাঠিয়ে ছবিটি নিয়েছে। কোনো দেশের পানিসীমায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সে দেশের নৌবাহিনী এসেসমেন্টের জন্য ফ্লাইট পাঠিয়ে এমন ছবি নিয়ে থাকে।

কোনো দেশের দস্যুরা নিজস্ব পানিসীমায় ঢুকে গেলে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই, সশস্ত্র পদক্ষেপ ভালো ফল বয়ে আনে না বলে অভিমত তার।

নিজ দেশের উপকূলে থাকে বলে জলদস্যুরা লজিস্টিক সাপোর্টও বেশি পেয়ে থাকে।

এর আগে সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশে বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভারতীয় কমান্ডোরা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনে অভিযান চালিয়ে ১৭ ক্রুকে উদ্ধারের পর এমভি আব্দুল্লাহতে অভিযানের এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

পান্টল্যান্ড পুলিশও জানায়, তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত। এর আগে এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের সাথে অভিযুক্ত দুজনকে আটকের কথাও জানায় অঞ্চলটির পুলিশ বিভাগ।

 


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪