Logo
শিরোনাম

মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত ২রা জুন ভার্জিনিয়ার স্প্রীংফিল্ড হলিডে ইন্ এক্সপ্রেস হোটেলের বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সন্মানিত সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী মোহান্মদ এনাম মিয়া দুলালের উপস্হিতিতে প্রথম বারের মত প্রকাশ্যে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সন্মেলনে মেট্রো ওয়াশিংটন

আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,মহিলা আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে অংশ গ্রহন করে। এছাড়া এলাকার বেশ কিছু বয়োজেষ্ঠ্য আওয়ামী সমর্থকের উপস্হিতি সন্মেলনের শ্রীবৃদ্ধি করে। 

শুরুতেই সন্মেলনকে কেন্দ্র করে আলাপ আলোচনার জন্য সভা শুরু হয় এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন মেট্রো ওয়াশিংটন আঃলীগের উপদেস্টা জনাব মোহান্মদ আলমগীর,প্রধান অতিথি যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগ সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান,প্রধান বক্তা ভারপ্রাপ্ত সাঃসম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, বিশেষ অতিথি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী এনাম মিয়া দুলাল, জনাব মোহান্মদ মুজিবুল হক,জনাব গোলাম মোস্তফা মন্চে আসন গ্রহন করেন। 

যথারীতি জাতীয় সংগীত,কোরআন তেলওয়াত,গীতা ও বাইবেল পাঠ করা হয়।

আলোচনার প্রাভাম্বে সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সূচনা বক্তব্য রাখেন, এছাড়া ভারপ্রাপ্ত সাঃ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী মোহান্মদ এনাম দুলাল যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা সেবুল মিয়া, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মহিলা আঃলীগ নেত্রী মহসিনা জান্নাত রিমি,মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের ফরিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মুসা মৃধা বক্তব্য রাখেন। এই পর্বটি এম নবী বাকী পরিচালনা করেন। 

এরপর দ্বিতীয় পর্বে সন্মেলনের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাঃসম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, তিনি এক গুচ্ছ বেলুন উড়িয়ে পর্বটি শুরু করেন। সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান,তিনি শুরুতেই ২০১২ সালে গঠিত মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী মোহান্মদ এনাম দুলাল সমন্বয়কারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উপস্হিত সকলের মাঝে থেকে চল্লিশ জনকে কাউন্সিলার করা হয় এবং তারা সবাই নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ফর্ম পূরণ করে 

কাউন্সিলার হোন। কাউন্সিলারদের মধ্যে থেকে একজনের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করা হয় এবং তিনজনের নাম আসে 

সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। পরবর্তীতে পরিপূর্ণ সমঝোতা এবং কন্ঠ ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে মাহমুদুন নবী বাকী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোহান্মদ শফিকুল আযম আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া প্রথম সহসভাপতি হিসেবে মোহান্মদ মুজিবুল হক এবং অপর সহসভাপতি হিসেবে দস্তগীর জাহাঙ্গীরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগের সার্টিফাইড প্যাডে সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাঃসম্পাদকের স্বাক্ষরে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। 

সন্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্হিত ছিলেন মেট্রো ওয়াশিংটন আঃলীগের শাহরিয়ার আলমগীর,জাহাঙ্গীর আলম,রিমন সর্দার,মাসুদ তালুকদার,শহিদুল ইসলাম,

মোহান্মদ ফাহিম,যুবলীগের সর্বজিৎ দাস তুর্য,ইমরান আহমেদ,আজহার উদ্দিন আজিম,কামরুল হাসান,শাফায়েত জামিল,রাশেদ জামান, রোকন,মহিলা আওয়ামীলীগের মহসিনা জান্নাত রিমি, ছাত্রলীগের আবু মুসা মৃধা,সুলতান আহমেদ সিয়াম,মোঃআব্দুল কাইয়ূম,মোঃ

আসিফ আহমেদ,খালিদ বিন আইয়ূব,রনক হোসাইন তালুকদার। 

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি উৎসব মুখর পরিবেশে সন্মেলনের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং এই সন্মেলনের মাধ্যমে মেট্রো ওয়াশিংটন এলাকার আওয়ামী নেতাকর্মীদের বহু দিনের চাহিদা পূরণ হয়। যুক্তরাষ্ট্র আঃলীগ নেতৃবৃন্দ তিন সপ্তাহের মধ্যে ৫১সদস্য বিশিস্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন।


আরও খবর

নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলেন টিউলিপ

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




বায়ুতে আয়ু টান : অ্যাকশনের এখনই সময়

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

মোস্তফা কামাল :

বায়ুদূষিত শহরের তালিকায় অবিরাম ঢাকার শীর্ষত্ব অটুট আবারও। এর মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির সংযোগ নেই। একেবারেই অরাজনৈতিক। রোগাক্রান্ত রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দলীয়-অদলীয় সব মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর।

আশপাশের খবরও ভালো নয়। সর্বশেষ শনিবারের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১২৬টি শহরের মাঝে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয়তে উগান্ডার কাম্পালা শহর। শীর্ষ চারে নেমে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি পাঁচে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ। সেই হিসাবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস পরপর দুদিনই খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতির ব্যাপকতা বাড়ছেই। গত বছর থেকে বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত। শীতকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বরাবরই বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষত শীতকালে দূষণের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের নজরে ধরা পড়েছে ঢাকার বাতাসে দূষণের প্রধান কারণ বা উৎস অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম .)

বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি তৈরি করে। এর চেয়ে বড় কথা বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর কত মানুষের মৃত্যু হয়, সংক্রান্ত তথ্য আমাদের নেই। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে গত বছরের নভেম্বরে একটি সমীক্ষা দিয়েছিল ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-বিএমজে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।

রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা বাস্তবতায় ঢাকা বা অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ নিয়ে আমাদের ভাবনার সময় কই! এই বাতাসে যে বুকভরে শ্বাস নিতে পারছি না, এজন্য আমরা নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দায়ী করতে অভ্যস্ত। অনেকে জানিও না শ্বাসের সঙ্গে যেসব দূষিত বায়ু দেহে ঢুকে তা আয়ুতে টান ফেলে কোন গন্তব্যে নিয়ে ঠেকাচ্ছে আমাদের! ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নিতে বলা হয়েছে। নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরনো ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতেও বলা হয়েছে।

বাস্তবে কে শোনে কার কথা! এসব নির্দেশনা বা ডাকদোহাইর খবর আমরা অনেকে জানিও না। বায়ুদূষণ ত্বকের কী ক্ষতি করে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম .)-এর মাত্রা বাড়লে তা ত্বকের রন্ধ্র দিয়ে ঢুকে ত্বকের বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে। বিশেষ করে সোরিয়াসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। বায়ুদূষণ সোরিয়াসিস রোগীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এমনকি করোনাও আমাদের দমাতে পারেনি। ত্বক বা নিঃশ্বাস সমস্যা আর কী করবেÑ এমন একটি মনমানসিকতা অনেকেরই।

সরকারের দিক থেকেও বায়ুদূষণকে মোস্ট প্রায়োরিটিতে নেওয়ার লক্ষণ নেই। মানুষের কাছেও বুকভরে শ্বাস নেওয়ার বাইরে আরও কত বিষয়। পরিবেশকর্মীরা কিছু কর্মসূচি পালন করলেও সেগুলো পত্রিকায় সিঙ্গেল কলাম বা ব্যাক পেজের নিউজ। আর টেলিভিশনে জায়গা সেকেন্ড পার্টে বা খুচরা নিউজের সঙ্গে। ঢাকাকে বায়ুদূষণমুক্ত করতে চাইলে সরকারকে এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। রাজনৈতিক বা দলীয় সরকারের জন্য তা একটু জটিল। তারা সমস্যা স্বীকারই করতে চায় না, যদি না দলীয় কারও ক্ষতি হয়ে যায়! ইটভাটা, যত্রতত্র কল-কারখানা, গ্যারেজগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। যে কারণে পরিবেশ নিয়ে কথা বলা ব্যক্তিরাও ক্ষমতায় গেলে তা চেপে যান। এখন কিন্তু পরিবেশ নিয়ে কাজ করার মহাসুযোগ।

ঢাকার বায়ুদূষণের একটা বড় উৎস নির্মাণকাজ। ইটভাটা, কারখানা, যানবাহন, বর্জ্য পোড়ানো থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দূষিত বায়ুতে থাকার কারণে বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বছর মাস কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে ২০১৯ সালে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির দশমিক শতাংশ ক্ষতি করছে। বায়ুদূষণ দূর করা সময়সাপেক্ষ হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বায়ুমানের দুর্যোগপূর্ণসময়ে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। নিয়ম-কানুনের তদারকি চালু করতে পারে শক্ত হাতে। কারণ বাদ সাধার হোমচোমড়ারা এখন মাঠে নেই।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো এলাকায় পরপর দিন ঘণ্টা বায়ুর মানসূচক ৩০০ বেশি থাকলে ওই এলাকায় বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা উভয়ে মিলে নিতে পারে। এই জরুরি অবস্থার সময়ে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা, দূষণকারী শিল্পকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ, যান চলাচলে কঠোরতা জারি এবং স্বাস্থ্যগত সহায়তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বায়ুমান ৩০০-এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হয়।

আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ পর্যায়ে থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার রীতি আছে। এসব রীতি জরুরি বিবেচনায় প্রচলন শুরুতে দৃশ্যত কোনো বাধা নেই। বলা হয়ে থাকে, ‘উন্নয়নপরিবেশ রক্ষাদুটি বিপরীত শব্দ। উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই। ফলে বিশে^ উন্নত উন্নয়নশীল দেশসমূহে দূষণ বেশি! তবে সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলংকা, লাওস, ভুটান, ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তবে পৃথিবীব্যাপী এখন দূষণকে দেখা হচ্ছেবিপর্যয়হিসেবে।

প্রকৃতির বাইরে মানবসৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশ দূষণের প্রতিকার চাইলে বাংলাদেশে এর চেয়ে জুতসই সময় আর আসবে, সেই আশা নেই। শিল্প-কলকারখানার ময়লা বর্জ্য পদার্থ, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক সারের ব্যবহার, যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের সূচনাটা অন্তত শুরু হোক। ইটভাটার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুসহ গোটা পরিবেশের কী সর্বনাশ করছে তা নতুন করে প্রচারের আর দরকার নেই। তা কমবেশি সবারই জানা। বিষয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কীর্তিমান উপদেষ্টা তো আছেনই।

 বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, বর্জ্যদূষণ তার ভালো করেই জানা। নিয়ে অনেক কাজের স্বাক্ষর রয়েছে তার। তাই নতুন সচেতনতা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে পদক্ষেপ। তার হাত দিয়ে অন্তত মহরতটা হয়ে যাক না। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা পরিবেশ ধ্বংস করতে করতে এমন একটা সময় আসবে যখন থাকবে শুধু অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দূষণ আর রোগগ্রস্ত জীবন। তখন কোনো কিছুর বিনিময়ে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সুস্থ জীবনযাপন করা বাস্তবতা সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক-কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকালে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারকে ধাকা দেয়। এতে পথচারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জেলার শ্রীনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাঁচজন মারা গেছেন।


আরও খবর



ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসচাপা : চালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের চার জনসহ মোট ছয় জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসচালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাস দুর্ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের ব্যাপারী পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে সামনে থাকা গাড়িগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় প্রাইভেটকারের ভেতরে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন একজন। বাকিদের ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে জব্দ করা গেলেও চালক ও সহকারীরা পালিয়ে যান।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে ইউপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ভাংচুর চালালেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ভাংচুর চালালেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। এতে সোমবার সকাল থেকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চন্দ্রগঞ্জ ইউপি সাধারন জনগন ও সেবা প্রত্যাশীরা।

চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন,এ সব ঘটনা তারা করেন নাই। ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদের সালিশ বানিজ্য করে আসছিলো। সেই সুবাধে বৈঠকে পরাজিত ব্যাক্তিরা এ কাজ করতে পারে। তা না হলে তিনি নিজেই পরিষদের হিসাব নয় ছয় করতে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন।  


অভিযোগে জানাযায়, প্রতিদিনের মত সকালে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আসলে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাবেদ হোসেন ও প্রথম যুগ্ন আহবায়ক মনির হোসেন টিপুর নেতৃত্বে কয়েক জন দলীয় নেতাকর্মী চেয়ারম্যান নুরুল আমিনকে কে তার অফিস থেকে লাঞ্চিত করে তাকে জোর পূর্বক বের করে দেয়। এ বিষয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন । তিনি জানান, বিগত  কয়েকদিন থেকে জাবেদ ও মনির তার নিকট থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। তিনি আরো জানান, তাদেরকে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার তারা চন্দ্রগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে এসে তাকে লাঞ্ছিত করে  ইউপি কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং ইউপি কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। 

স্থানীয় সেবা প্রত্যাশী কয়েকজন জানান, ‘ চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ, তিনি ভিন্ন দল করলেও কখনো কাউকে কোন কাজে হয়রানি করেননি। সাধারন মানুষের যাতে স্বাক্ষর পেতে সমস্যা না হয় সেজন্য সারাদিন অফিসে বসে থাকেন। তিনি না থাকায় আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে’ । আরেক সেবা প্রত্যাশী তাহমিনা বলেন, আমরা আগে সব সময় চেয়ারম্যান সাহেবকে অফিসে পেতাম, এখন আজকে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে পারি নাই।  

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মো. কায়সার হামিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা বলেন, খবরটি পেয়েছি। বিস্তারিত তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


আরও খবর



মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, মেডিকেল কলেজে আসন বৃদ্ধি নয়, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অধিক সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের কথা ভাবছে সরকার। প্রয়োজনে সমন্বয় করা হবে কলেজগুলোকে।

শুক্রবার সকালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ কেন্দ্রে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, আমি যদি ভালো শিক্ষক না পাই, তাহলে ভালো ডাক্তার কোত্থেকে তৈরি হবে। এজন্য প্রয়োজননির্ভর ডাক্তার তৈরি করতে হবে।

আজ সকাল ১০টায় দেশের ১৯টি কেন্দ্রের একাধিক স্থানে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে ভর্তি পরীক্ষা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে মেডিকেল কলেজ রয়েছে ১১০টি। এর মধ্যে সরকারি ৩৭টি ও বেসরকারি ৬৭টি। এ ছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ২৬১ জন শিক্ষার্থী। আর কোটাসহ মেডিকেলে মোট আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। এ হিসাবে চলতি বছর আসনপ্রতি লড়ছেন ২৫ শিক্ষার্থী।


আরও খবর