Logo
শিরোনাম

মেট্রোরেলে কোন স্টেশনে নামলে, কোথায় যেতে পারবেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

১) #উত্তরা_উত্তর (Uttara North): দিয়াবাড়ি, খালপাড়, রূপায়ণ সিটি, উত্তরা পশ্চিম থানা, জমজম টাওয়ার, সেক্টর-৭, ১০, ১২, ১৪,১৫,১৬, কামারপাড়া, সুইচগেইট, রানাভোলা, হাউজবিল্ডিং, রাজলক্ষী, জসীমউদ্দীন, এয়ারপোর্ট,  টঙ্গী, কলেজ গেইট, টঙ্গী হয়ে বোর্ড বাজার, গাজীপুর, জয়দেবপুর। উত্তরা উত্তর মতিঝিল থেকে: ১০০ টাকা।

২) #উত্তরা_সেন্টার (Uttara Center): সেক্টর ১৮, রাজউক উত্তরা মডেল টাউন, বউ বাজার, পঞ্চবটি, বোটক্লাব,  বীরুলিয়া ব্রীজ, বীরুলিয়া ব্রীজ থেকে সাভার, আশুলিয়া। উত্তরা উত্তর থেকে সর্বনিম্ন ভাড়া: ২০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৯০ টাকা।

৩) #উত্তরা_দক্ষিণ (Uttara South): ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, শান্তা-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, বিজিএমইএ ভবন, বৃন্দাবন, এয়ারপোর্ট, উত্তরা আজমপুর। উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া: ২০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৯০ টাকা।

৪) #পল্লবী (Pallabi): মিরপুর ১২, মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর সেনানিবাস, ইষ্টার্ন হাউজিং, আফতাব নগর হাউজিং, বিইউপি, কালসী মোড়, ইসিবি চত্বর, বারিধারা ডিওএইচএস। উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৩০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৮০ টাকা।

৫) #মিরপুর ১১ (Mirpur 11): পূরবী সিনেমা হল, কালসী মোড়, ইসিবি চত্বর, বারিধারা ডিওএইচএস, এয়ারপোর্ট, মিরপুর ১১, মিল্কভিটা, মিরপুর-১,৬,৭, চিড়িয়াখানা। উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৩০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৭০ টাকা।

৬) #মিরপুর_১০ (Mirpur 10): বর্তমানে বন্ধ আছে। তারপরও বলে রাখি, মিরপুর গোল চক্কর, সেনপাড়া, মিরপুর-১,২, চিড়িয়াখানা , হার্ট ফাউন্ডেশন, পাকা মসজিদ, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী, আমীনবাজার, সাভার, মিরপুর-১৩, ১৪, পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ভাষাণটেক, কচুক্ষেত, বনানী, বনানী থেকে উত্তরা বা মহাখালী অভিমূখের যেকোনো জায়গা। উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৪০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৬০ টাকা।

৭) #কাজীপাড়া (Kazipara): কাজীপাড়া, বেগম রোকেয়া সরণী, ইটাখোলা বাজার, পূর্ব মনিপুর, বৌবাজার, সাততারা মসজিদ রোড এবং এর আশেপাশে। উত্তরা দিয়া বাড়ি থেকে ভাড়া: ৪০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৬০ টাকা।

৮) #শেওড়াপাড়া (Shewrapara): শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, আগারগাঁও, তালতলা, কচুক্ষেত, মাজার রোড, টেকনিক্যাল, গাবতলী, কল্যাণপুর এবং এর আশেপাশে। ভাড়া: ৫০ টাকা। উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল থেকে: ৫০ টাকা।

৯) #আগারগাঁও (Agergaon) : আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস, বিসিএস কম্পিউটার সিটি, চক্ষু হাসপাতাল, নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, শ্যামলী, জাপান গার্ডেন সিটি, টেকনিক্যাল , গাবতলী, শিশু হাসপাতাল, শিশু মেলা, তালতলা এবং এর আশেপাশে। উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৬০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৫০ টাকা।

(১০) #বিজয়_সরণী (Bijoy Sarani): বিজয় সরণী, জাতীয় সংসদ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, শাহীন স্কুল ও কলেজ, তেজগাঁও এয়ার পোর্ট, শাহীন বাগ, নাখালপাড়া এবং এর আশেপাশে। উওরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৬০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৪০ টাকা।

(১১) #ফার্মগেট (Farmgate) : ফার্মগেট, আসাদগেট, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি -২৭, ২৮, লালমাটিয়া, তেজগাঁও কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, হলিক্রস কলেজ এবং এর আশেপাশে । উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৭০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৩০ টাকা।

(১২) #কাওরান_বাজার ( Kawran Bazar) : কাওরান বাজার, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, বসুন্ধরা সিটি, পান্থপথ, স্কয়ার হাসপাতাল, বিআরবি হাসপাতাল, ধানমন্ডি -৩২, কলাবাগান এবং এর আশেপাশে। উওরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৮০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ৩০ টাকা।

(১৩) #শাহবাগ (Shahbagh) : শাহবাগ, পিজি হাসপাতাল, বারডেম হাসপাতাল, রমনা পার্ক, সাইন্স ল্যাব, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, ল্যাবএইড হাসপাতাল এবং এর আশেপাশে। উওরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৮০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ২০ টাকা।

(১৪) #ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, ঢাকা মেডিকেল, বুয়েট, শহিদ মিনার, শিশু একাডেমী, আজিমপুর, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ, নিউ মার্কেট, চক বাজার। উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া: ৯০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ২০ টাকা।

(১৫) #বাংলাদেশ_সচিবালয় ( Bangladesh Secretariat) : সচিবালয়, প্রেস ক্লাব, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, পল্টন, বিজয়নগর, মিন্টু রোড, বেইলী রোড, ভিকারুননিসা স্কুল, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম এবং এর আশেপাশে । উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া : ৯০ টাকা। মতিঝিল থেকে: ২০ টাকা।

(১৬) #মতিঝিল ( Motijheel) : মতিঝিল, দিলকুশা, কমলাপুর , বঙ্গভবন , বাংলাদেশ ব্যাংক, নটরডেম কলেজ, আরামবাগ, ফকিরাপুল এবং এর আশেপাশে। উত্তরা উত্তর থেকে ভাড়া: ১০০/- টাকা।

বিঃদ্রঃ ২০০ টাকা বিনিময়ে কার্ড করলে, যাতায়াতে সবসময় ১০% ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।

উত্তরা উত্তর থেকে প্রথম ট্রেন: সকাল ৭:১০ মিঃ

      এবং সর্ব শেষ ট্রেন: রাত ৯:০০ ঘটিকায়।

মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন: সকাল ৭:৩০ মিঃ

      এবং সর্ব শেষ ট্রেন: রাত ৯:৪০ মিঃ।

প্রতি শুক্রবার উত্তরা উত্তর থেকে: ৩:৩০ মিঃ শুরু হয়ে সর্ব শেষ ট্রেন ৯:০০ মিঃ। 

এবং মতিঝিল থেকে বিকাল ৩:৫০ মিঃ শুরু হয়ে সর্ব শেষ ট্রেন ৯:৪০ মিঃ।

প্রতি ৮/১০ মিনিট পরপর উত্তরা ও মতিঝিল থেকে মেট্রো রেল ছাড়ে। 


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




চার মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৩৫%

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশের রফতানি বেড়েছে শতাংশের বেশি। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবুও সময়ে অব্যাহত থেকেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয়। সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে প্রায় দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিদেশী হিসাবে (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) ডলার স্থিতি কমেছে প্রায় দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে মোট রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে বিলিয়ন ডলারের বেশি।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রিজার্ভে হাত না দিয়েই সরকার প্রায় বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন ধরনের স্বল্প দীর্ঘমেয়াদি দায় পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে জ্বালানি আমদানির দায়, আদানির বিদ্যুৎ বিল এবং সার খাদ্য আমদানির মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার রিজার্ভে হাত না দেয়ার কথা বললেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার বহির্মুখী অন্তর্মুখী প্রবাহ বিশ্লেষণেই প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। আর বিদেশী ঋণের প্রবাহ কমে এলেও আগের বিভিন্ন দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। আবার দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধি কমে আসার প্রভাবও পড়েছে রিজার্ভের ওপর। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় গত আগস্ট আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ ডিসেম্বর তা নেমে এসেছে ১৮ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে। সে অনুযায়ী চার মাসের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত চার মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভও ক্রমাগত কমে এসেছে। গত জুলাইয়ে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডলার রিজার্ভ ছিল দশমিক শূন্য বিলিয়ন। কিন্তু অক্টোবর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ চার মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট রিজার্ভ হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে।

দেশের সার্বিক অর্থনীতি এখন স্বস্তির পর্যায়ে আছেএমনটা বলা যাবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ . মুস্তফা কে মুজেরী। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে। তাই প্রবৃদ্ধিও শ্লথ হয়ে এসেছে। অর্থনীতি সচল না হলে বৈদেশিক হিসাবের চিন্তা থেকেই যাবে। একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত। তাই সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক অবস্থায় যাবে না।

এদিকে রিজার্ভ পতন অব্যাহত থাকলেও রফতানি রেমিট্যান্স প্রবাহ ক্রমেই বাড়ছে। রেমিট্যান্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। আর গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী, চার মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের তুলনায় এবার রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

একইভাবে রফতানির ক্ষেত্রেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ রফতানি খাতে গত চার মাসে দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যেখানে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক শতাংশ।

রফতানি রেমিট্যান্স বাড়লেও বিদেশী উন্নয়ন সহায়তার গতি কমে আসায় রিজার্ভে টান পড়ছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ . মুস্তফা কে মুজেরী। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি যেসব বাজেট সহায়তা আসার কথা সেগুলোও এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু সরকারকে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের আগের দায় মেটাতে হচ্ছে। তাই রিজার্ভে হাত না দেয়ার কথা বলা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের অন্তর্মুখী বহির্মুখী প্রবাহের হিসাবটাই আসল কথা।

এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে যে পরিমাণ বিদেশী ঋণ এসেছে, পরিশোধ করতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি। অন্যদিকে সময়ে নতুন করে বিদেশী সহায়তার প্রতিশ্রুতিও তেমন একটা মেলেনি বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ইআরডির তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বাংলাদেশের অনুকূলে ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলারের বিদেশী ঋণের অর্থ ছাড় করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম। আবার চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের বিদেশী ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে গত বছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ১১০ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সময়ে বিদেশী ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ অর্থছাড়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি পরিমাণে। চলতি অর্থবছরের পুরো সময়েই ঋণ পরিশোধের চাপ বজায় থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়লেও তা সরাসরি রিজার্ভে যোগ হয় না। ব্যাংকগুলোয় এটা আসে। তারা একটি নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার বিক্রি করে, তখন তা রিজার্ভে যুক্ত হয়। তাই রেমিট্যান্সের ডলার রিজার্ভে যুক্ত হতে সময় লাগে। আর রফতানি আয় থেকেও ব্যাংকের নিজস্ব ডলারের অনেক চাহিদা থাকে, সেগুলো মেটায় তারা।

রিজার্ভ কমার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত দেড় বিলিয়ন ডলারের একটি বড় দায় পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে। সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আগের দায় পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ কিছুটা কমে গেছে। আমরা রিজার্ভ থেকে অন্য কোনো ব্যয় করিনি। তাহলে তা আরো কমত। দায় পরিশোধের পর থেকে রিজার্ভ আর না কমে বরং কিছুটা বাড়ছে।

ডিসেম্বরের পর রিজার্ভ আরো বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা।

প্রতি দুই মাস পর পর আকুর দায় পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দেড় বিলিয়ন ডলারের দায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধ করা হয়েছে। আর নভেম্বর-ডিসেম্বরের দায় পরিশোধ হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নারী-শিশুসহ আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত ১৪ মাসে গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ উপত্যকার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দক্ষিণ গাজা উপত্যকার আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি অস্থায়ী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী, শিশুসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্য উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। হামলায় নারী ও শিশুরা ‘পুড়িয়ে মারা’ গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বসতিগুলোতে নজিরবিহীন হামলায় চালিয়ে অন্তত ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৪ হাজার ৫৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। আর ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার শক্তিশালী হয়, কারণ তাদের পেছনে জনগণ থাকে, তখন সংস্কার কাজ করা সহজ হয়। তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের কথা বলে আসছে। তবে সেটা হতে হবে টেকসই। তাতে জনগণের সমর্থন থাকতে হবে। 

ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত শীর্ষক এক নাগরিক ভাবনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোরে জেলা বিএনপির আয়োজনে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া যশোরের ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। 

আধা ঘন্টা বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সামনে বিরাট ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে হটিয়েছি। সেই ঐক্যকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ করতে হবে। তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবার বিবেধ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভুমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ৭শ’ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে খুন, পঙ্গু করা হয়েছে। গ্রামে গঞ্জে নেতা-কর্মীরা রাতে বাড়িতে থাকতে পারেনি, ধানক্ষেতে, গাছের ওপরে ঘুমিয়েছে। দীর্ঘ এই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শেষে গোলটা ভালোভাবে করতে পেরেছে ছাত্ররা। সেজন্য তিনি ছাত্রদের স্যালুট জানান। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ গনতান্ত্রিক দল না। তারা কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সময়, পরে ও গত ১৬ বছরে তারা সেটা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ স্বাধীনতার পর দেখলাম উল্টোটা। আমাদের দুর্ভাগ্য, ৫৩ বছর পরও সেই গণতন্ত্রের কথাই আমাদের বলে যেতে হচ্ছে। 


আরও খবর



উৎপাদন বাড়লেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বাধীনতার পর থেকে উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ, তবুও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নাকাল অবস্থা মধ্য ও নিম্নবিত্তের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি পুরোপুরি ব্যবহার শুরু করা যায়নি। অন্যদিকে বাজার চলে গেছে সিন্ডিকেটের কবজায়।

দেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমার লক্ষণ থাকে না। বিশ্বের দাম বৃদ্ধির এমন বিরল চিত্রের দেখা মিলবে বাংলাদেশে। এতে বঞ্চনার শিকার কেবল সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, সরকারি কাগজে-কলমে মূল্যস্ফীতি গত কয়েক বছরে যে হিসাব দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তার পরিমাণ অনেক বেশি।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের ধানের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ, ১০ গুণ বেড়েছে গম উৎপাদন। সবজি ও মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ থেকে ৭ গুণ। তারপরও কেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারছে না বাংলাদেশ?

এ বিষয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আমাদের সমসাময়িক দেশগুলো যেভাবে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে।

বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, আমাদের বাজারব্যবস্থা পুরোপুরি সিন্ডিকেটভিত্তিক হওয়ায় এবং তাদের ব্যাপক প্রভাব থাকার কারণে আমরা সুফল পাচ্ছি না। কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। তারা ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে যারা কৃষি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, খাদ্যপণ্যের ব্যবসা যারা করছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন। তারা অর্থ পাচার করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কারসাজিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




নির্বাচনী চাপ বাড়াতে তৎপর বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনী পথে দ্রুত হাঁটাতে তৎপর বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা সভা-সেমিনারে ক্রমাগতভাবে নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি মনে করে, বিপ্লব-পরবর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনী কাজও চলমান রাখুক সরকার। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে সহসাই নির্বাচন না দেওয়ার কিছু ইঙ্গিত বিএনপির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি টেবিল টকের পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপও বাড়াতে চায়। তাতে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও একটা পরিষ্কার বার্তা যাবে।

বিএনপি একটি সূত্র জানায়, নিজেদের পক্ষে জনমত জনমত আছে সেটি শতভাগ প্রমাণ করতে পেরেছে বিএনপি। এবারের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালির জনসমাগম দেখে দলের শীর্ষ নেতারাও বেশ আশাবাদী। সে আশাবাদকে ধরে রেখে দলটি আরো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসতে চায়। চলতি সপ্তাহের একটি স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক আগামী ডিসেম্বর মাসে একই রকম বিজয় র‌্যালি ও ১০ বিভাগে বড় জনসভার পরিকল্পনার নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাস ও ডিসেম্বরজুড়ে এই সমাবেশগুলোর আয়োজন করা হবে। দলটির নেতারা বলছেন, গত সরকারের শেষ দিকে সারা দেশে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জন বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গণপরিবহন বন্ধসহ সরকারের নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সভার জনসমাগম বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু এবারের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে নতুন সমাবেশগুলোতে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ইতিহাস তৈরি করতে চায় বিএনপি। এ ধরনের সমাবেশগুলোর মাধ্যমে বিএনপি দেশে একমাত্র জনবান্ধব দল এটা যেমন প্রমাণ করবে, সেই সঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের দাবিটি আরো জোরালো হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল, পরিবর্তিত সময়ে দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসাটা বেশ চ্যালেঞ্জের। এটা নিয়ে আমাদের দলের সবাই কাজ করছেন। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সামনের নির্বাচনে ভালোভাবেই অংশ নেবে, নির্বাচিত হলে বিএনপি কী করবে এ বিষয়গুলো দেশব্যাপী তুলে ধরতে আমরা আবার তৃণমূলে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে দলের সংশ্লিষ্ট নেতারা কাজ করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসেও নির্বাচনী রোডম্যাপের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি। গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া দুটিই সমান্তরালভাবে চলা উচিত। এজন্য সরকারকে অবিলম্বে একটি রোডম্যাপ দিয়ে সামনে এগোনো দরকার। যত দিন পর্যন্ত এই রোডম্যাপ দেওয়া না হবে, তত দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার যে শঙ্কা’ রয়েছে, সেটা কাটবে না।

নেতারা বলছেন, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারের সব কার্যক্রমের ফোকাস হওয়া উচিত নির্বাচন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে বিভিন্ন সময় যে শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা কাটাতে এই সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা দরকার।

বিএনপি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা- এই দুই ইস্যুতে মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আরেকটি বড় র‌্যালিও করবে দলটি।

বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন যে, এদের মধ্যে দুজনকে নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা আন্দোলন করছে। এই নিয়োগ নিয়ে বিএনপিও বিস্মিত। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও চিন্তাভাবনা করে এদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা। এর আগে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে উপদেষ্টা করায় প্রশ্ন তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছিল বিএনপি।


আরও খবর