Logo
শিরোনাম

মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় ভ্যাট মওকুফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর মূল্য সংযাজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ অব্যাহতি কার্যকর থাকবে।

সম্প্রতি রাজস্ব বোর্ডের এক বিশেষ আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন। মেট্রোরেল যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। মেট্রোরেল চালু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় গণপরিবহনকে অধিক জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এ গণপরিবহনে যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সালের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মেট্রোরেল সেবার ওপর আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এ আদেশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর হতে কার্যকর হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

গত মার্চে যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর কোনো মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে ভ্যাট ছাড় চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এমন অবস্থায় ডিএমটিসিএল থেকে ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব বোর্ডের দিকনির্দেশনা চায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ)।

এনবিআরের আইন অনুযায়ী তাপানুকূল (এসি) ও নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। তবে ডিএমটিসিএলের দাবি ছিল মেট্রোরেল এবং মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় যাত্রীসেবার ওপর কোনো ধরনের মূসক প্রযোজ্য হবে না।


আরও খবর



এমপক্সের প্রথম টিকার অনুমোদন দিলো ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এমপক্সের প্রথম টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

আফ্রিকার গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে চলতি বছর এমপক্সের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। দেশটিতে এমপক্সের প্রথম টিকা এমভিএ-বিএন পৌঁছানোর পর ডব্লিউএইচও এই টিকার অনুমোদন দিলো

বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, এমপক্সের প্রথম টিকার প্রাথমিক অনুমোদন ভাইরাসজনিত রোগটি মোকাবিলার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই রোগের সংক্রমণ, বিস্তার ও প্রাণহানি ঠেকাতে, আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে এমন দেশে সবার আগে টিকা পৌঁছাতে হবে

সংস্থাটির প্রাথমিক অনুমোদন থাকায় এই টিকা জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা সংগ্রহ করতে পারবে

চলতি বছর কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে প্রথম এমপক্স শনাক্ত হয়। গত জানুয়ারি থেকে দেশটিতে প্রায় ২২ হাজার মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। রোগটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭শ ১৬ জন। কঙ্গোর পর আফ্রিকার দেশগুলোতেও এমপক্স শনাক্ত হয়। পরে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এটি

সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও। ভাইরাসটি মোকাবিলায় এবার সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে প্রথম মাঙ্কিপক্স টিকার অনুমোদন দিলো


আরও খবর



পার্বত্য জেলায় সংঘর্ষ নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

তিন পার্বত্য জেলায় সংঘর্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উচ্ছৃঙ্খল জনগণের গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হন। পরবর্তীতে সদর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালা কলেজ হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ইউপিডিএফ (মূল) এর সন্ত্রাসীরা মিছিলের উপর হামলা করে ও ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছড়ে। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালী বাজারের কয়েকটি দোকানে অগ্নি সংযোগ করে

আইএসপিআর আরও জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হলে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফায়ার ব্রিগেড ও স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় আগুন নেভায়

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও আশেপাশের এলাকা সমূহে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ক্রমেই পরিস্থিতিকে আরো উত্তেজনাকর করে তুলে

দ্রুততার সঙ্গে খাগড়াছড়ি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ১০টা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়িসহ সকল উপজেলায় যৌথভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে টহল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সকল পক্ষকে সহিংস কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করতে বলা হয়

একই রাতে (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জোনের একটি টহল দল সাড়ে ১০টায় একজন মুমূর্ষু রোগীকে স্থানান্তরের সময় খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর এলাকায় পৌঁছালে অবস্থানরত উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফ (মূল) এর নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করে। এক সময় ইউপিডিএফ (মূল) এর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যদের উপর গুলি করে এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। এ গোলাগুলির ঘটনায় ৩ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হন বলে জানা যায়

আইএসপিআর জানায়, একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল জনসাধারণ কয়েকজন যুবকের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের উপর হামলা ও লাঠিপেটা করে। সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফ (মূল) এর নেতৃত্বে ফায়ার ব্রিগেড এর অফিসে ভাঙচুর করা হয়

আজ সকালে পিসিজেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সদরে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন এর ব্যানারে স্থানীয় জনসাধারণ রাঙ্গামাটি জিমনেশিয়াম এলাকায় সমবেত হয়। এ সময় ৮০০-১০০০ জন উত্তেজিত জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে বনরুপা এলাকার দিকে অগ্রসর হয় এবং বনরুপা বাজার মসজিদ, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিএনজি- অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং বেশকিছু দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। এতে করে উভয় পক্ষের বেশকিছু লোকজন আহত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে

উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে। অনতিবিলম্বে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। যথাযথ তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের সনাক্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে


আরও খবর



বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সাম্প্রতিক বন্যায় মোট ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫২২ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান

উপদেষ্টা জানানবন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৯ লাখ ৪২ হাজার ৮১১ জন। মৃত্যের সংখ্যা ৭৪ জন। আহত হয়েছেন ৬৮ জন



আরও খবর



যশোরের অভয়নগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত-১ আহত -২

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার - জেলা প্রতিনিধি, যশোর::


যশোর জেলার  অভয়নগরের মশরহাটী গ্রামের ভৈরব ব্রিজের পাশে বসতবাড়িতে রাত সাড়ে ১২ টার সময় একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে রাতের আধারে ৩ জনকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। 

বাড়ির লোকজনের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে অভয়নগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মতিয়ার বিশ্বাস (৪৫) কে কর্ত্বব্যরত ডাক্তার মৃত: ঘোষনা করেন। 

মারাত্মক জখম অবস্থায় অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। আহতরা হলেন, একই গ্রামের আঃ হালিম (৩৪) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৮)।

নিহতের স্ত্রী মিম খাতুন জানায়, হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্বামীকে পাশের বাড়ির হালিম ও মনিরুলকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমার স্বামী মতিয়ার প্রাণ বাচাতে দৌড়ে পালাতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে কোপাতে থাকে। আমার স্বামী  নিস্তেজ হয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চত করে পালিয়ে যায়। তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। অপর দুইজনকে একই ভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মতিয়ারকে মৃত ঘোষনা করে ও অপর দুইজনকে খুলনা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়।


এব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আকিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



তাবাসসুম ঊর্মিকে কেন ওএসডি করা হলো?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি :

মাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মিকে কেন ওএসডি করা হল এমন একটি প্রশ্ন করেছিলাম যা নিয়ে মুল ধারার গন মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে । 

ঊর্মিকে কেবল ওএসডি নয় - ইতিমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ! আমি ঊর্মির পক্ষে কিছুই বলিনি - শুধু কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম ! কেন প্রশ্ন করেছিলাম তা এখন আপনাদেরকে জানাচ্ছি ! 

আমি ২০১২ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার মধ্যে যে গনতান্ত্রিক মনভাব এবং আচরণ দেখেছি তা ২০১৩ সালের পর থেকে ভয়াবহ রূপ নেয় । কিছু আমলার প্ররোচনা এবং তেলবাজদের চক্রান্তের কারনে শেখ হাসিনার যে মানসিক বিবর্তন ঘটে সেখানে তাঁকে নিয়ে বা তার পরিবার নিয়ে কেউ টু শব্দ উচ্চারণ করলে তিনি সমালোচনাকারীকে শায়েস্তা করার জন্য পাগল হয়ে যেতেন । 

ডঃ ইউনুস আমাদের স্বপ্ন-ভালবাসা-ঘাম-শ্রম এবং রক্তের ফসল ! তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করলে বা তার সমালোচনা করলে কেন আমলারা শেখ হাসিনার জমানার মতো আচরণ করবেন । ঊর্মির বক্তব্য নিয়ে তাকে প্রথমত শো কজ করতে হবে । তার উত্তর সন্তোষজনক না হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে । অপরাধ বেশি গুরুতর হলে - ফৌজদারি মামলাও হতে পারে । কিন্তু এসব না করে - এক কথায় ওএসডি করা এবং তারপর সাময়িক বরখাস্ত করার মাধ্যমে যে দৃষ্টান্ত তৈরি হল তার সঙ্গে শেখ হাসিনার জমানার পার্থক্য কতোটুকু !  

ঊর্মি যে বিভাগের কর্মকর্তা সেই বিভাগে ইতিমধ্যে বহু লংকা কাণ্ড ঘটেছে । ডিসি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির খবরে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছে । কাউকে ঊর্মির মতো শাস্তি দেয়া হয়েছে এমন খবর আমি এখনো শুনিনি । 

বাংলাদেশে নতুন করে বিরাজনীতিকরন, মাইনাস টু এবং মব জাস্টিস নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে । এখানে হঠাৎ হুট হাট করে অনেক কিছু ঘটছে যা নিয়ে প্রশ্ন না করলে শেখ হাসিনার চেয়েও জঘন্য ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়ে যাবে । 

গন হারে মামলা, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়োগ বা চাকুরী থেকে বাদ দেয়ার পরের ধাপ হবে - রাজনীতিবীদদের উপর অত্যাচার । আর তখন যদি বিএনপি-জামাতের শীর্ষ নেতাদেরকে ধরা হয় - আদালতে উঠানোর সময় সাবের হোসাইন চৌধুরীর মতো লাথি গুঁতো কিল ঘুষি মারা হয় তখন প্রশ্ন করার মতো সাহস কারোরই থাকবে না ।


আরও খবর