Logo
শিরোনাম

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সুচিত্রা সেন। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তি নায়িকার নাম। এই মহানায়িকার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

১৯৫২ সালে চলচ্চিত্রে প্রথম পা রাখেন তিনি। মহানায়ক উত্তম কুমারের সাথে ১৯৫৩ সালে "সাড়ে চুয়াত্তর" ছবি করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে।আজও স্মরণীয় হয়ে আছে উত্তম-সুচিত্রা জুটি।
২৬ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি অগ্নিপরীক্ষা, সাগরিকা, দেবদাস, হারানো সুর, ইন্দ্রানী, সপ্তপদীর মতো সুপারহিট সব চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। ১৯৭৮ সালে 'প্রণয় পাশা' ছবি করার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান এই মহানায়িকা। এরপর আর কোনোদিন জনসমক্ষে আসেননি। তবু তার আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি।


আরও খবর



অগ্নিনির্বাপন বিধিমালা মানছে না কেউ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

সম্প্রতি ভয়াবহ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের মুখোমুখি হয়েছে দেশবাসী। কোনও ঘটনা থেকেই পরবর্তী দুর্ঘটনা রোধে তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে। সর্বশেষ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সমালোচনার পর নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। যথাযথ অগ্নিপ্রতিরোধব্যবস্থা না রাখায় রাজধানীর অনেক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে এসব সংস্থা। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা পাওয়ায় সিলগালাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে।

কোনও অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক হতাহত হওয়ার পর অভিযানে নামে সিটি করপোরেশন ও রাজউক। কয়েক দিন চলার পর এসব অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন বিভিন্ন ভবনে মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে। অগ্নিকাণ্ড নীতিমালা যারা মানেনি, তাদের সতর্ক করে নোটিশ দিয়েছিল। কয়দিন পর অভিযান বন্ধ করে দেয়।

এবার আবার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুই দিন পর একযোগে আবার অভিযানে নামে বিভিন্ন সংস্থা। তিন দিন অভিযান চালিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর কোনও সাড়াশব্দ নেই। এভাবেই একটা ঘটনা ঘটে আর সংস্থাগুলো তৎপর হয়; তা-ও খুব অল্প সময়ের জন্য।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, বিভিন্ন ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ আমলে নেয় না রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীতে দুর্ঘটনা ঘটলেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন-মার্কেটের অনুমোদন না থাকা বা ঝুঁকিপূর্ণ থাকার বিষয়টি সামনে আনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।

তারা বলছে, ফায়ার সার্ভিস সরেজমিনে অগ্নি-সতর্কতা নোটিশ দিলেও তা আমলে নিতে চান না অধিকাংশ মার্কেট দোকান মালিক প্রতিষ্ঠান ও ভবনের মালিকরা। নানাভাবে ম্যানেজ করে অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ছাড়াই ভবনগুলোয় কার্যক্রম রাখা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

ফায়ার সার্ভিসের সূত্র বলছে, যথাযথ জবাবদিহি ও সতর্কতার অভাবেই ঘটছে ভয়াবহ এসব অগ্নিকাণ্ড। সংস্থাটি জানায়, তাদের কাজ হলো, কোনও ভবনে প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না রাখা হলে নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নোটিশ দেওয়া। এরপরও যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ফের নোটিশ দেয় ফায়ার সার্ভিস।

তবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেউ যদি নীতিমালা অমান্য করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার ফায়ার সার্ভিসের নেই। ফলে সংস্থাটি যেন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে পারে, এ জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিত।

২০২৩ সালে রাজধানীর ৫৮টি বিপণিবিতান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। পরিদর্শন শেষে তাদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সব কটি বিপণিবিতানই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৯টি বিপণিবিতান অগ্নিকাণ্ডের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করে ফায়ার সার্ভিস। বাকি ৪৯টির মধ্যে ৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৪টি মাঝারি মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ।

গত বছরের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লেগে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে যায়। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল পাশের মার্কেট মহানগর কমপ্লেক্স পর্যন্ত। এমন ভয়াবহু অগ্নিকাণ্ডের পরও ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এখনও সতর্ক হননি। টিন আর কাঠ দিয়ে তৈরি করা দ্বিতীয় তলাবিশিষ্ট ওই মার্কেটটিতে অগ্নিঝুঁকি নিয়েই ব্যবসা করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটিতে যেমন রয়েছে সরু পথ, তেমনি নেই কোনও ধরনের অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা। এ ছাড়া বঙ্গবাজারে এনেক্সকো টাওয়ারের বেসমেন্টে দোকান খুলে এখনও দেদার চলছে ব্যবসা।

শুধু মহানগর কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ারই নয়, সরেজমিনে দেখা যায়, অগ্নিঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করছে রাজধানীর আরও কয়েকটি মার্কেট। এর মধ্যে রয়েছে নিউ মার্কেটের নূর ম্যানশন ও গাউছিয়া মার্কেট। দোকান খুলে ব্যবসা করছে নিউ মার্কেটের গ্লোব শপিং সেন্টারের আন্ডারগ্রাউন্ডেও।

জানতে চাইলে এনেক্সকো টাওয়ারে নিচতলার আকসান ফাহিম ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক সোলেমান বাদশা  বলেন, এত বড় অগ্নিকাণ্ডের পরও অগ্নিঝুঁকি বিষয়ে কোনও প্রশিক্ষণ আমাদের দেওয়া হয়নি। অগ্নি প্রতিরোধের তেমন কোনও ব্যবস্থা আমরা পাইনি। আমি প্রতি মাসে সার্ভিস চার্জ দিচ্ছি। তাহলে আমি কেন সুবিধাটা পাচ্ছি না? আমরা সব হারিয়ে এখন নতুন দোকান শুরু করেছি। এসব দায়িত্ব তো মার্কেট সমিতির!

এ বিষয়ে এনেক্সকো টাওয়ারের পরিচালক আল-মামুন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর মার্কেটে অনেক কাজ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। তবে আমাদের এখনও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আরও কী কী সুবিধা বাড়ানো যায়, মার্কেটকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সে জন্য আমরা কাজ করছি। সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আমাদের মার্কেট এসে ভিজিট করে গিয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে গেছে। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। প্রশিক্ষণের বিষয়ে যেটি বলা হচ্ছে, সেটিও আমরা দ্রুত ব্যবস্থা করবো।

শুধু কমিটির দোষ দিলেই হবে না মন্তব্য করে প্রশ্ন রাখেন তিনি, কতজন দোকানদার অগ্নি বিষয়ে সচেতন? কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে, অথচ সামান্য টাকা দিয়ে দোকানে একটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র বসাবে না? সেটির ব্যবস্থা রাখবে না তারা?

রাজধানীর কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীর ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যেও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে আগ্রহ কম। এ বিষয়ে অনেকের জ্ঞান শূন্য। বছর পর বছর ব্যবসা করছে, অথচ অনেক দোকানমালিক ও কর্মচারীর অগ্নি প্রশিক্ষণের বিষয়ে কোনও ধারণাই নেই। এমনই দুজন মহানগর কমপ্লেক্সের রিম গার্মেন্টসের মালিক মো. মামুন ও গাউছিয়া মার্কেটের ফিমা ফ্যাশনের পরিচালক নাসিরু উদ্দিন বাবু।

নাসিরু উদ্দিন বাবু বলেন, সব মার্কেটের একই অবস্থা। কোনও কিছু ঠিক নেই। প্রশিক্ষণ কারা দেবে? আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না। সব তো মার্কেট সমিতির কাজ।

এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাজাহান শিকদার বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কাজ হলো কোনও ভবনে প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না রাখা হলে নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নোটিশ দেওয়া। এরপরও যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ফের নোটিশ দেওয়া হয়। তবে কেউ যদি নীতিমালা না মানে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার নেই সংস্থাটির।

ফলে যেহেতু বাধ্যবাধকতা নেই, সেই সুযোগটাই নিচ্ছেন ভবনমালিকরা মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে অগ্নিনীতিমালা মানার উদাসীনতা রয়েছে। আমরা বারবার ভবন পরিদর্শন যাচ্ছি, নোটিশ দিচ্ছি; যারা না মানছে, তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও ব্যবস্থা চাইলেও নিতে পারছি না। তবে মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেটিও অল্প সময়ের জন্য।

মানবাধিবার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন তাদের ভূমিকা কি কেবল নোটিশ দেওয়া? বেইলি রোডের ভবনটিতে বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রভাবশালী মহলের চাপ ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। যে কারণে ভবনটিকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বাণিজ্যিক ব্যবহার ও রেস্তোরাঁ পরিচালনা দুটি ভিন্ন ব্যবহার। যেখানে মাত্র একটি সিঁড়ি, এমন একটি ভবনে রেস্তোরাঁ চলতে পারার কথা নয়।

ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা প্রভাবশালী, তারা কি এতগুলো মানুষের জীবনের চেয়েও প্রভাবশালী? তারা কীভাবে দিনের পর দিন এগুলোর পুনরাবৃত্তি করছে? এত দুর্ঘটনার পরও কি রাষ্ট্রের টনক নড়বে না?

এদিকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বলছে, ইস্যু করার ক্ষেত্রে যেসব নথিপত্র প্রয়োজন হয়, তার ভিত্তিতেই ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়। পরে ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুবিধামতো ব্যবসার শ্রেণি পরিবর্তন করলেও তা আর জানায় না।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার সময় ব্যবসায়ীরা যে ঠিকানা ও ব্যবসার শ্রেণি উল্লেখ করে, পরে তা পরিবর্তন করে ফেলে। নিয়মিত অভিযান চালালেও সব ক্ষেত্রে তা আমাদের নজরে আসে না।

ফায়ার ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধু ফায়ার সার্ভিস একা তা পারবে না। ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব কোনও আইন নেই। অগ্নিনীতিমালা তাদের সুপারিশ যেন মানতে বাধ্য হয়, সেই ক্ষমতা ফায়ার সার্ভিসকে দিতে হবে। যারা অনিয়ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থা যেমন সিটি করপোরেশন, রাজউক, এফবিসিসিআই, ব্যাংকসবাই যদি তাদের কাজটি যথাযথভাবে পালন করে, ভবন নির্মাণের ছাড়পত্র, ব্যবসার লাইসেন্স ও ব্যাংকঋণ দেওয়ার আগে ভবন বা ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অগ্নিনীতিমালা মানছে কি না, এসব যাচাই-বাছাই করে তারপরই অনুমতি দিতে হবে। এককথায় ভবন মালিকদের নিয়মের জালে আনতে হবে। তাহলেই অগ্নিকাণ্ড কমানো সম্ভব।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ভুলভাবে রাঁধা ভাতে হতে পারে ক্যান্সার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষেরই প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু এই ভাতও ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের বিপদ। রান্নার পদ্ধতিগত ভুলের কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। তেমনই বলছে হালের গবেষণা।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক সারা পৃথিবীর নানা প্রান্তের চালের নমুনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। দেখা গেছে, মোটামুটি বেশির ভাগ জায়গার চালেই নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আর্সেনিক জাতীয় এই কীটনাশক শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই রাসায়নিক শরীরে গেলে কী হতে পারে?

গবেষকরা দেখিয়েছেন, আর্সেনিক জাতীয় এই রাসায়নিক শরীরে গেলে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে খুব অল্প পরিমাণে গেলে, তা সহজে টের পাওয়া যায় না। বহু দিন পরে তার প্রভাব বোঝা যায়। টানা বহু বছর ভাতের মাধ্যমে এই রাসায়নিক শরীরে গেলে তা ক্যান্সারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।

কী পদ্ধতিতে রান্না করলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে?

দেখা গেছে, রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে আর্সেনিক আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে। বেশিরভাগ জায়গাতেই রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু গবেষকদের বক্তব্য, অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে চাল। তার কমে লাভ হবে না। ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত আর্সেনিক চাল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সে ক্ষেত্রে ক্যান্সারজাতীয় অসুখের আশঙ্কা কমবে।

 


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নড়িয়া, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের জাকির খারকান্দি জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ককটেল ফুটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। 

এ ব্যাপারে হাবিব  মাদবর বাদী হয়ে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে সি আর ৯১ /২০২৪ শরীয়তপুরে ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। 

আসামিরা হলেন বাবুল মাতবর,আবুল মাদবর,রাসেল মাদবর,সিয়াম মাদবর,আনোয়ার মৃধা,অনিক মৃধা, ফরিদ মুন্সী,নূর হোসেন মুন্সী,মোজাম্মেল মুন্সী,আজাহার মুন্সী,মেহেরাব মুন্সী,সেলিম চৌধুরী,অনিক চৌধুরী,মোহাম্মদ শাহিন সহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। 

মামলার বিবরণীতে জানা যায় সোমবার  রাত ১১ টার সময় ককটেল ফুটিয়ে আসামিরা আমার দুইটি বসত  ঘর দরজা-জানলা ভাঙ্গিয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া  লুটপাট করে এবং ঘর ভাঙচুর করে আসবার পত্র নিয়ে যায়। আমি ৯৯৯  ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল তদন্ত করে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আমি নড়িয়া থানায় অভিযোগ করলে মামলা আমলে নেয়নি পুলিশ। তাই আমি শরীয়তপুর আদালতে মামলা করি। বর্তমানে আমিও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। আমার বসত বাড়ি  তফসিল বনিত ভুমিতে আমার ছোট ভাই ফজলুর রহমান ও ভাতিজা মাহবুব মাদবর বসবাস করছে। জমির মোজা ১৬ নং জপসা বি আর,এস ১৫৫৫ খতিয়ান ভুক্ত বি আব এস ৫৩২৬ নং দাগে ২২ শতাংশ। 

বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলাটি  শরীয়তপুর ডিবি নির্দেশ প্রদান করেন। 

মামলার বাদী হাবিব বলেন আমার সৎ ভাই বাদশা মাদবর দীর্ঘদিন যাবত এই জমিটি ভোগ করার জন্য হামলা মামলা দিয়ে আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি করছে। 

তার মৃত্যুর পরে তার পরিবারের লোকজন আবার আমাদের মামলা হামলা দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করছে। বর্তমানে কোর্টে মামলা দিয়েও জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি পুরো পরিবারের লোকজন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পদ ফিরে পেতে চাই।


আরও খবর



মেসি নৈপুণ্যে স্বস্তির জয় পেল মায়ামি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না ইন্টার মায়ামির। শেষ পাঁচ ম্যাচের একটাতেও জিততে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচে গোল করেও মেসি জেতাতে পারেননি দলকে। তবে আজ আর ভুল করেননি, গোল করে, করিয়ে মায়ামির ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে দিলেন তিনি।

রোববার সকালে মেজর সকার লিগে কানসাস সিটির বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। দারুণ লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে মায়ামি। ৯ ম্যাচে পয়েন্ট ১৫।


চোটের কারণে টানা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। মন্তেরির বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচ দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরলেও সেদিন পুরোপুরি ছন্দে দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। তবে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি ছিলেন উজ্জ্বল। তাতে আলোর মুখ দেখে মায়ামিও।

তবে কানসাসের মাঠে প্রায় ৭৩ হাজার দর্শকের সামনে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মেসির মায়ামি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই বাঁ প্রান্ত দিয়ে এরিক টমির গোলে এগিয়ে যায় এসকেসি। অবশ্য সমতায় ফিরতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি মায়ামিকে। মেসির সুবাদে দ্রুত ফেরে সমতায়।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে মেসির অসাধারণ অ্যাসিস্টে দলকে সমতায় ফেরান গোমেজ। এরপর আরো বেশকিছু আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মায়ামি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ না হওয়ায় সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল।

 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। ৫১ মিনিটে গোলের দেখা পান বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। ডেভিড রুইজের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে চোখ ধাঁধানো শটে বল জালে জড়ান তিনি। চলতি মৌসুমে মায়ামির হয়ে ৫ ম্যাচে যা মেসির পঞ্চম গোল, সাথে আছে পাঁচ অ্যাসিস্টও।

এগিয়ে যাওয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মায়ামির। ৫৮ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলে কানসাসকে সমতায় ফেরান টমি। ২-২ সমতায় খেলা তখন জমে ক্ষীর। জয়সূচক গোলের জন্যে দুই দলই চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।

তবে সব সংশয় উড়িয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। ৭১ মিনিটে অবশ্য কানসাস সমর্থকদের উল্লাস থামিয়ে মায়ামিকে আবার এগিয়ে দেন


আরও খবর



"মানুষের মাঝে বৈষম্য দূর করাই হোক ঈদের শপথ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী :

১১ এপ্রিল, ২০২৪ মাইজভাণ্ডার শরীফের শাহী ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর এর সালাত আদায় করেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। নামাযের পর তিনি বলেন, "মহান আল্লাহ্ এবং প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের মুসলিম জাতিকে একতাবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন মানবতার মহান দূত। তার কাছে ধনী-গরিব, জাতি-ধর্ম-শ্রেণী নির্বিশেষে সকলে মানুষ হিসেবে সমান মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, এক বিশ্বাসী মুসলমান আরেকজনের জন্য আয়নার মতো। আয়নায় যেমন নিজের রূপটিই প্রতিফলিত হয়, তেমনি যেন আমরা নিজের জন্য যা পছন্দ করি, ভালো মনে করি, তা অন্য ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করি। ইসলামের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবতা, সাম্য ও ভাতৃত্বকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বারবার বলেছেন, আমাদের চারপাশের দুর্বল, অসহায়দের যত্ন নিতে। প্রতিবেশী অনাহারে, অভাবে থাকলে, হাজারো ইবাদাতও কখনো আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। পবিত্র রমজান মাস সংযমের, আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আত্নত্যাগের শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদের আনন্দ  তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন সকলে মিলে আমরা ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে পারবো। অথচ আজ আমরা দেখছি, রমজান ও ঈদকে ঘিরে একতার বিপরীতে সমাজে বৈষম্য বাড়ছে। বিত্তবানরা বিলাসিতার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত ; আর অভাবীদের সংকট, কষ্ট, ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। যাকাত দরিদ্রদের অধিকার হলেও, অনেকে এ হক আদায় করতে উদাসীন। তাই আসুন আমরা ঘুরে দাঁড়াই। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণে, অভাবগ্রস্ত, অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়াই। নতুন প্রজন্মকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ উপহার দেই।

শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, দরবার শরীফের আওলাদ-এ-পাক এবং ভক্তবৃন্দ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

এরপর মাইজভাণ্ডার শরিফের অলি আল্লাহ্দের মাজার শরিফ জিয়ারত শেষে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করেন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর