Logo
শিরোনাম

মিজোরাম ভারতের দুর্গম, আমাদের সুগম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের একটি হলো মিজোরাম। রাজ্যটির উত্তরে আসাম ও মণিপুর, পূর্বে ও দক্ষিণে মিয়ানমার, পশ্চিমে বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরা। এটি একটি স্থল বেষ্টিত রাজ্য। এর আয়তন ২১,০৮৭ বর্গকিলোমিটার। আসামের সাথে এর ১৬৪ কিলোমিটার, ত্রিপুরার সাথে ৯০ কিলোমিটার, মণিপুরের সাথে ৯৫ কিলোমিটার, মিয়ানমারের সাথে ৪০৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের সাথে ৩১৮ কিলোমিটার স্থল সীমানা রয়েছে। ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী মিজোরামের জনসংখ্যা ১০,৯১,০১৪ জন। রাজ্যটির জনসংখ্যার ৮৭ ভাগ খ্রিষ্টান, ৮ ভাগ বৌদ্ধ, ৩ ভাগ হিন্দু ও ২ ভাগ মুসলিম। শিক্ষার হার ৯২ শতাংশ। ব্রিটিশ ভারতে মিশনারিদের তৎপরতায় মিজোরা খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এ সময় থেকে মিজোদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়তে থাকে।

মিজোরাম একসময় দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হিসেবেই বিবেচিত হতো। এ অঞ্চলের মোঙ্গলীয় মহা জাতিসত্তার আদিবাসী মিজো থেকে অঞ্চলের নাম হয়েছে মিজোরাম। ভারতবর্ষে প্রথম যে মিজোরা প্রবেশ করেছিল তাদেরকে কুকি বলা হয়। ভারতে প্রবেশকারী এ জাতি গোষ্ঠীর দ্বিতীয় দলকে নব্য কুকি নামে অভিহিত করা হয়। আর এ জাতিসত্তার সর্বশেষ যে দলটি ভারতে প্রবেশ করেছিল তাদেরকে অভিহিত করা হয় লুসাই নামে। কুকি, নব্য কুকি এবং লুসাইদের সম্মিলিত নাম হলো মিজো।

মিজোরামের তাপমাত্রা শীতকালে ১১-২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি অবধি ওঠে। মিজোরাম রাজ্যটি আটটি জেলায় ও ২৩টি মহকুমায় বিভাজিত। জেলাগুলো হলো মামিত, কোলাশিব, আইজল, চম্ফাই, সেরাছিপ, লুঙ্গলেই, লাওঙ্টলাই এবং সাহা।

মিজোরামের প্রাদেশিক ভাষার নাম মিজো। মিজোরামের অধিকাংশ মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। এ ভাষার সাথে হমার, মারা, লাই, পাইতে, গ্যাঙটে ইত্যাদি আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়। এ ভাষার কোনো বর্ণমালা ছিল না। খ্রিষ্টান মিশনারিরা মিজো বর্ণমালার উদ্ভাবন ঘটিয়েছে। ভাষাটির মূল বর্ণগুলো রোমান বর্ণমালা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এ ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণমালায় মোট ২৫টি বর্ণ রয়েছে। এ ভাষার মানুষ মিজোরাম ছাড়াও মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে রয়েছে। বাংলাদেশের মিজো ভাষার মানুষ বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে।

মিজোরামের রাজধানী আইজল। শহরটি অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। পাহাড়কে অক্ষত রেখে কিভাবে শহর হয় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আইজল। রাতের আইজল যেন এক স্বপ্নপুরী। পাহাড়ের কোলঘেষে গড়ে ওঠা বসতবাড়ির বিদ্যুৎ বাতিগুলোকে দূর থেকে জোনাকীর মতো মনে হয়। আইজলের পাহাড়ের খাজে খাজে রয়েছে সড়ক। সড়কগুলো ২০-২৫ ফুট প্রশস্ত। সড়কের দুধারে ৫-৬ ফুট পরিধির পায়ে হাঁটার পথ রয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সড়ক ও হাঁটার পথে পৃথিবীর উন্নত দেশের ন্যায় ভাঙাচোরা লক্ষ করা যায় না। শহরে বসবাসরত মানুষের অধিকাংশেরই নিজস্ব বাহন রয়েছে। শহরে বসবাসরত লোকজনের বেশভূষা চলনে-বলনে রয়েছে পাশ্চাত্যের ছাপ।

ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীদের অধিক সক্রিয় দেখা যায়। আইজলে বসবাসরত মানুষের ৯০ শতাংশের অধিক খ্রিষ্টান হওয়ায় শহরটির সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসংখ্য গির্জা রয়েছে। আর এ কারণে এ শহরটিকে গির্জার শহরও বলা হয়। আইজলের প্রাণকেন্দ্রে একটি মসজিদও রয়েছে। মসজিদের সন্নিকটে মুসলিম ব্যবসায়ীদের কিছু দোকান রয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বিমানবন্দর। কোলকাতা থেকে সরাসরি বিমানে আইজল যাওয়া যায়। এছাড়া আগরতলা থেকে আইজলের বিমান যোগাযোগ বিদ্যমান রয়েছে।

মিজোরামের যে শহরগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে এর অন্যতম হলো রেইক। রেইক আইজল হতে ৩০ কিলোমিটার দূরে মামিত জেলায় অবস্থিত। রেইকে যাওয়ার পথে পড়ে মিজোরামের প্রধান নদী খোয়াথল্যাংতুইপুই যা কর্ণফুলী নামেও পরিচিত। নদীটির উৎসমুখ মামিত জেলার শৈতা গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সীমান্ত বরাবর দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে তলাবং এর কাছে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আইজল হতে রেইক যাওয়ার পুরো পথটি ঝর্ণাধারার মধ্যে ঘন সবুজ বনাঞ্চল আবৃত। পাহাড়ের ওপর সুউচ্চ নীল আকাশ আর প্রান্তরের সবুজের মিশ্রণে যে অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্যের দেখা মিলে এটি এ ধরায় বিরল। রেইক ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় এপ্রিল মাস। এ মাসটিতে এখানে স্থানীয় প্রিয় ফুলের নামে হয় আন্তরিয়াম উৎসব। এ উৎসবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রস্তুতকৃত সামগ্রীর সমাহার ঘটে। উৎসবকে ঘিরে লোকগীতি ও নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে দেশজ শিল্প সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।

পর্যটনের দিক হতে মুইফাং মিজোরামের জনপ্রিয় একটি পার্বত্য শহর। আইজল হতে মুইফাং এর দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। রেইক থেকে আইজল হয়ে মুইফাং যাওয়া যায়। মুইফাং যাওয়ার পথে পড়ে সবুজ গালিচায় আচ্ছাদিত উঁচু-নিচু প্রান্তর। মুইফাং এর চতুর্দিকে রয়েছে পাহাড়। পাহাড়গুলোর অরণ্যের অনেকাংশেই এখনো মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি। বিক্ষিপ্ত জনবসতির মানুষজন এলাকায় আগত পর্যটকদের সাথে ভাব বিনিময় করতে চাইলেও ভাষা সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয় না।

পর্যটনের দৃষ্টিকোণ হতে অপর গুরুত্বপূর্ণ শহর হলো চম্ফাই। মুইফাং হতে চম্ফাই যাওয়ার পথে মিজো বয়নশিল্পের কেন্দ্র থানজোয়ালের দেখা মিলে। এখানে প্রতিটি ঘরে উজ্জ্বল রং এর মিজো পোশাক, চাদর, ব্যাগ প্রভৃতি প্রস্তুত হয়। চম্ফাই শহরের সন্নিকটে রয়েছে মিজোরামের সর্ববৃহৎ ভেন্টাং জলপ্রপাত। চম্ফাই শহরটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা একটি উপত্যকা। মিজোরামের সর্বাধিক সমতল ভূমি রয়েছে এ উপত্যকায়। মিজোদের প্রধান খাদ্য ভাত। চম্ফাই উপত্যকায় যে ধানের চাষ হয় তা সমগ্র মিজোরামের চালের জোগান দেয়।

আসামের গুয়াহাটি থেকে সড়ক পথে মিজোরাম যাওয়া যায়। আবার মেঘালয়ের জোওয়াই হয়ে শিল চর দিয়েও সড়ক পথে মিজোরাম যাওয়া যায়। বাংলাদেশীরা জাফলং হতে ভারতের ডাউকি হয়ে জোয়াই অতিক্রম করে মিজোরামে যেতে পারেন। মিজোরাম সম্প্রতি রাজ্যটির শিলসুরি এবং বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার সাজেকে একটি বর্ডার হাট স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। মিজোরামের প্রস্তাবে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। বর্ডার হাটটি বাস্তবায়ন করা হলে উভয় দেশের মধ্যে পণ্য বিনিময় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিক ও খাদ্যপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। এর বিনিময়ে বাংলাদেশ মিজোরাম হতে পাথর, হলুদ, আদা, মরিচ, বাঁশ প্রভৃতি আমদানি করতে পারে। লুসাই পাহাড়ের অবস্থান মিজোরামে। কর্ণফুলী নদী লুসাই পাহাড় হতে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে সাগরে পতিত হয়েছে। এ কর্ণফুলী নদীর তীরেই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়েই বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কাপ্তাই এ স্থাপিত হয়েছে।

ব্রিটিশ শাসনামলে মিজোরাম লুসাই পাহাড় নামে অভিহিত ছিল। সে সময় এটি আসামের অংশ ছিল। ১৯৭২ সালে মিজোরাম কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবে আসাম হতে আলাদা হয়। অতঃপর দিল্লি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী এমএনএফের (মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট) মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে মিজোরাম আলাদা রাজ্যের মর্যাদা পায়। এমএনএফ ভারতের বিরুদ্ধে টানা ২০ বছর গেরিলা অভিযান চালিয়েছিল। গেরিলা যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন মিজোদের জাতীয় নেতা লালডেঙ্গা। ভারতের সাথে আপস-রফার পর লালডেঙ্গা মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। আইজল শহরের কেন্দ্রস্থলে লালডেঙ্গার আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।

১৩ লাখ জনগোষ্ঠীর পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামের সাথে ভারতের বাকি অংশের সংযোগ যে মহাসড়কটির মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে তা আসামে অবস্থিত। ভারতের মূল ভূখণ্ড হতে পশ্চিম বাংলা হয়ে আসামের মাধ্যমে মিজোরামের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্গম, ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আর এ কারণেই মূল ভারত হতে পশ্চিম বাংলা ও আসাম হয়ে মিজোরামে যেকোনো পণ্য পরিবহন করতে হলে তা সাধারণ মানুষের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। মিজোরামের রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ এ সমস্যাটি হতে উত্তরণের জন্য রাজ্যটির নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনাগ্রহে তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। মিজোরামের রাজ্য সরকার ও সাধারণ মানুষ মনে করে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করা গেলে রাজ্যটি ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে এবং রাজ্যের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে।

মিজোরামের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারতের মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন রাজ্যে অধ্যয়ন করতে হলে তাদের জন্য যাতায়াত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় তারা তাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় এবং কারিগরি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা তাদের উচ্চশিক্ষার পথকে রুদ্ধ করে দিচ্ছে।

মিজোরামের সাধারণ মানুষ মনে করে তারা ভারতের মূল ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী হতে ধর্ম, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির দিক হতে সম্পূর্ণরূপে স্বতন্ত্র। আর এ কারণেই তারা উপেক্ষিত, অবহেলিত এবং অনগ্রসর। দীর্ঘদিনের উপেক্ষা ও অবহেলার কারণে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তারা এর দ্রুত উপসম চায়। অন্যথায় তারা মনে করে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ তাদের নিজেদেরই বেছে নিতে হবে।

 


আরও খবর



অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের ব্যাংক হিসাব তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের গোয়েন্দা ইউনিট সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে তাদের নিজ নামে বা তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নাম থাকা হিসাবের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সাত কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলেছে।

চিঠিতে বলা হয়, এই চারজনের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো মেয়াদী আমানত হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংসের ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী পাঠাতে বলা হয়। এর আগে একই দিন জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করতে চিঠি দেয় এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল।

অভিনেতা মাহফুজ আহমেদর বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে চয়নিকা চৌধুরীর ‘প্রহেলিকা’ সিনেমায়। দীর্ঘ বিরতির পর এই সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন তিনি। এরপর একই নির্মাতার পরিচালনায় ‘মাতাল হাওয়া’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল। যদিও সিনেমাটি শুটিং ফ্লোরে গড়ায়নি।


আরও খবর



অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে রোহিঙ্গা শিশুরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা মানুষের মধ্যে ৫২ শতাংশই শিশু। আর এদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। আর প্রতিবছর ক্যাম্পে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর জন্ম হয়। শিশুদের অভিভাবকরা বলছেন বাংলাদেশে জন্ম নিলেও তাদের সন্তান মিয়ানমারের নাগরিক। তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ফেরত দেবার দাবি জানান।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে কক্সবাজার আসেন মোহাম্মদুর রহমান। ছোট্ট একটি ঘরে পরিবারের ৫ জনকে নিয়ে থাকেন। কক্সবাজারেই জন্ম হয়, তিন শিশুর। কিন্তু তাদের নেই কোনো নাগরিকত্ব। ১৯৮২ সালে মিয়ানমার এক আইনের মাধ্যমে ১৩৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দিয়ে করে রাষ্ট্রহীন।

মোহাম্মদুর রহমান বলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা এখন ৫ জন। আমার তিন সন্তানের জন্ম বাংলাদেশে। আমার বাচ্চারা কোনো দেশেরই নাগরিক না।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, ২০১৭ সালের পর থেকে ১০ লাখ ৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এরমধ্যে শিশু ৫২ শতাংশ ও প্রাপ্ত বয়স্ক ৪৪ শতাংশ। শিশুদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশন জানায়, প্রতিবছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর।

ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা বলছেন, তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ফেরত দেয়া হোক। এমনকি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা একাধিক শিশুর বলছে তারা নিজের দেশে ফিরে যেতে চায়। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবার কোন সুযোগ নেই বলেও মত গুতেরেসের ।


আরও খবর



টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা কঠিন হয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি)-এর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে দুর্নীতির শিকার হওয়া ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর জন্য সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে অনেক টাকা ছাপানো হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান কমেছে, তাই প্রবাসী আয় বেড়েছে। টাকা পাচার কমেছে, সেটা তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না, কারণ ভবিষ্যতের জন্য রোডম্যাপ করতে হবে। এক বছরের পরিকল্পনায় হবে না।

বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে চাইবে না। তবে এতকিছুর মধ্যেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমেছে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটুকু প্রকাশ করা হবে তত স্বচ্ছতা বাড়বে। আগের সরকার যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল তাতে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো। এতে সরকারও টিকে থাকতে পারতো না। টাকা ছাপানো, টাকা পাচারের ফলে রিজার্ভ থাকতো না। বৈদেশিক লেনদেন ঠিক থাকতো না। ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছিলো। শেষের দিকে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে বন্ধ হয়ে যেতো।

এসময় তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিটিভিতে সরকারের সমালোচনার জন্য টক শো হোক। পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটা প্রকাশ হবে, ততটা স্বচ্ছতা বাড়বে।

ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব।


আরও খবর



গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে আহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবাদ করায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো.মোস্তফাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানায় আহত মো. মোস্তফা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পত্রে দেখা যায় হাসান মোল্লার নেতৃত্বে বড়ইকান্দি ভাটেরচর এলাকার মজিবুর রহমান, আলাউদ্দিন মিয়া, জাহিদ সহ অন্তত ৫-৭ জনে মিলে এ হামলা চালান।

ঘটনাটি শনিবার ৫ এপ্রিল বিকেল ৬ টায় দিকে টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ভাটেরচর এলাকায় ঘটে। আহত ব্যক্তিকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আহত মোস্তফা ও মজিবুর রহমানের মাঝে জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে  বাকবিতণ্ডায় জড়ানোর এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী মজিবুর রহমান মোস্তফা কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন । মোস্তফা এর   প্রতিবাদ করলে মুজিবুর ও তার দলবল মিলে মো মোস্তফাকে  পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন। 

তাছাড়া এদের কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরার ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকায় ভারাটিয়াদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন, টাকা পয়সা ছিনতাই চাঁদা দাবি করার ও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে এলাকায়বাসী প্রশাসনের কাছে দাবি করে বলেন এই ধরনের  সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে মুক্ত চায়।এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন 

তবে বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি তদন্ত শহিদুল ইসলাম জানান, “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায়  লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে গজারিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাছাড়া হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে ন্যায় বিচার করারও দাবি জানান সাংবাদিকরা।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ বইছে দেশের সাত জেলায়

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

দেশের সাত জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি চার বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে রয়েছে। এছাড়া দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। ৫ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানায় জানায় আবহাওয়া অফিস।

পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের বাকি বিভাগগুলোতে অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে এই সময়ে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং রাঙ্গামাটি জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তেঁতুলিয়ায়। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মোংলায়।


আরও খবর