Logo
শিরোনাম

মিঠাপুকুরে জুসে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ৬ লাখ টাকা দুর্ধর্ষ চুরি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 


রংপুরের মিঠাপুকুরে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে  ছয় লাখ টাকা চুরি ও গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার উপজেলার ভাংনী দক্ষিণপাড়া মাটিয়াখোলা গ্রামের শরিফুল ইসলামের বাড়িতে  রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় প্রতিবেশী রুবেল মিয়া ও আলমগীর হোসেন জুস ও জিলাপি নিয়ে এসে খাওয়ার জন্য দেয়। শরিফুলের মা শাহিদা বেগম ও ছেলে আরাফাত ইসলাম(৪)  সরল বিশ্বাসে জুস ও জিলাপি খায়। শরিফুলের স্ত্রী আদুরি আক্তারকে অনেক চেষ্টা করেও জুস খাওয়াইতে ব্যর্থ হয় । পরবর্তীতে শরিফুলের মা ও স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে  শিং দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে রুবেল,আলমগীর ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনসহ ওয়ার ড্রপের ভিতরে থাকা জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত ৬ লাখ টাকা চুরি করে  নেয় । এসময় ড্রয়ারের শব্দে গৃহবধূ আদুরির ঘুম ভেঙে গেলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে দেবর আরিফুল ইসলাম ছুটে আসলে দুষ্কৃতকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।


গৃহবধূ আদুরি আক্তার বলেন, গত কয়েকদিন থেকে রুবেল আমাদের বাড়ি সংলগ্ন দোকানে নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। বাড়ির মধ্যেই দোকান হওয়ার সুবাদে বাড়ির ভিতরে আসা যাওয়া করতো।সেদিন আমাকে জুস খাওয়ার জন্য অনেক জোরাজোরি করে। আমি খাইনি। পরে শ্বাশ্বরিকে খাওয়ানোর পর রাতের বেলা আমার ঘরে প্রবেশ করে ৬ লাখ টাকা চুরি করে। আমি বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমার চিৎকারে দেবর ছুটে না আসলে হয়তো আমি কারো সামনে মুখ দেখাতে পারতাম নাহ। আমি এর বিচার চাই।


মিঠাপুকুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসা শাহিদা বেগম জানান,সেদিন মুই বাবা খাবার চাও নাই।জোর করি জিলাপি আর জুস খিলি দেইল। কিছুক্ষণ পর ঘুমাইছো।আর কিছু কবার পাও নাহ।চেতন পায়া দেখো মুই হাসপাতালত। অল্প আগত হাসপাতাল থাকি বাড়িত আনু। জ্ঞান ফিরি শোনো টাকাও নিয়ে গেইছে মোর ব্যাটার বউটাকো ধর্ষণের চেষ্টা করছে। মুই বাবা ইয়ার বিচার চাও।


এবিষয়ে কথা বলতে রুবেল ও আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে দেখা পাওয়া যায়নি। রুবেল হোসেনের পিতা লালচাঁদ জানান, বাবা কিছু হয়তো হইছে। কিন্তু ওরা যতোটা কইতোছে। ঘটনা ততোটা নোয়ায়। ছেলে নির্দোষ হলে পলাতক কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সকাল বেলায় বাড়িত আছিলো মোর ব্যাটা। তারপর কোনটেবা গেলো।জানো না।


মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এবিষয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫১৭ জন। একই সঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ১৮৬ জন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪২ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ৬৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন, এবং সিলেট বিভাগে ১ জন ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে, একদিনে সারা দেশে ১৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯২ হাজার ২০০ জন।

গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।


আরও খবর

ঢাকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




নান্দাইলে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশে আবারো শুরু হয়েছে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান।

গতকাল সোমবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা পূর্ব এলাকা মুসুল্লি, রাজগাতী, মোয়াজ্জেমপুরেট অবৈধ ৫টা ইটভাটা চুল্লী গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইটভাটা গুলো হলো- মেহেরুনন্নেছার মালিকানা এম. আর. বি. ব্রিকস, আলী উসমানের মালিকানা সেভেন স্টার ব্রিকস (১) ও সেভেন স্টার ব্রিকস (২), মাওলানা মোহাম্মদ মুস্তফা কামালের মালিকানা এম. আর. বি. ব্রিকস, গেনু ভূইয়ার এম. এ. ডি. ব্রিকস সহ মোট ৫টি ভাটায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যরা জানান, ইটভাটার চুল্লী অপসরণসহ আলী উসমানের মালিকানা সেভেন স্টার ব্রিকস (২) কে পাঁচলক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

সহকারী কমিশনার ভূমি মাফুজুর রহমান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মরত লোকজন এই মোবাইল কোট পরিচালনার সময় অংশ নেয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট পাঁচটি ইটভাটা উচ্ছেদ সহ একটি ইউভাটাকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সন্ধা পর্যন্ত এই অবৈধ ইট ভাটার উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।

নান্দাইল উপজেলা সর্বমোট কতগুলো ইটভাটায় এই অভিযান পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে, ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরে নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ সব ইটভাটাতেই অভিযান চালানো হবে। আজ প্রথম দিনে ৫টি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



১০০ দিনে ৮৬২৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে সরকার

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার ১০০ দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রমের অগ্রগতি-সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ তথ্য জানান। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। গত ১০ নভেম্বর আসিফ মাহমুদকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের সরকারি-বেসরকারি কর্মে নিয়োজিত এবং আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮০ জনের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ১০০ দিনে ১৯ হাজার ৪৫২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ৫২ হাজার ১১৫ জন যুব প্রশিক্ষণরত।

তিনি বলেন, বিগত ১০০ দিনে নতুন কর্মসংস্থান হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বিপিএসসি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বমোট রাজস্ব ও প্রকল্প খাতে নতুন ৮৬ হাজার ২৭৭ জনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৬৮ জনের রাজস্ব খাতে ও প্রকল্প খাতে (আত্মকর্মী ও উদ্যোক্তা) ৮৩ হাজার ৮০৯ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে সরকার।

দুই বছরে সরকারিভাবে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান সচিব।

রেজাউল মাকছুদ জাহেদী আরো বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সে সাতটি ব্যাচে ২ হাজার ১০০ জনকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক পুলিশ হিসেবে ২৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অবশিষ্ট নিয়োগ কর্যক্রম চলমান।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের বিকল্প কলা পাতায় লবণ বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী :

বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নজরদারি বা তৎপরতা না থাকার কারণে সরকারের এই আইনকে উপেক্ষা করে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে ক্রেতা এবং ক্রেতারা যত্রতত্র ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার অবাধে করে যাচ্ছে।  


সোমবার ১৮ (নভেম্বর) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ি বাজারে সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায় ব্যতিক্রম একটি দৃশ্যে।পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশ রক্ষার্থে নিজ উদ্যোগে শমসের আলী নামের এক লবণ ব্যাবসায়ী কলা পাতায় ১ কেজি করে লবণ সুন্দর করে প্যাকেট জাত করে বিক্রি করছেন। তার এই মহতী উদ্যোগকে বাজারে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।আবার অনেকে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা সহ তার দোকানের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট ও করছেন।


জানাযায়, লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদাহ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৫ বছর ধরে তিনি খড়িবাড়ি বাজারে খোলা বাজারে লবণ বিক্রি করে আসছেন।


এব্যাপারে লবণ ব্যাবসায়ী শমসের আলী (৬২) বলেন, আমি খবর শুনেছি টেলিভিশনে অনেক জনে পেপার পত্রিকায় পরেছেন তাদের মুখে শুনেছি, সরকার পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সেই কারণে আমি সরকারের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে, পরিবেশ রক্ষার জন্য নিজ উদ্যোগে ১ কেজি লবণ কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো প্যাকেট করে বিক্রি করছি।কলা পাতায় লবণ বিক্রি করার কারণে আপনার বিক্রি কমেছে না কি এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, নানা কমেনি বরং আমার এমন উদ্যোগ দেখে সবাই স্বাগত জানাচ্ছেন। তিনি আরও জানান আসলে পলিথিন খুব ক্ষতিকারক সবাই জেনে ও এখনো ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের লোক যদি একটু তদারকি করতেন তাহলে এর ব্যবহার অনেক টা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।


খড়িবাড়ি বাজারে লবণ ক্রেতা, আনোয়ারা হোসেন, মমিনুল হক, ইলাহী বকস জানান, কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো লবণের পোঁটলা গুলো এমন ভাবে তৈরি করেছে ব্যাগে রাখলে পরার সম্ভাবনা নাই। একদম পরিবেশ বান্ধব প্যাকেট গুলো,সমসের চাচার এই মহতী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।ব্যবসায়ী জাহেদুল হক জানান,বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব উদাহরণ স্বরূপ কলাপাতার প্যাকেটে লবণ বিক্রি করছেন শমসের চাচা।তার এই অসাধারণ পদ্ধতি দেখে আরও একজন লবণ ব্যবসায়ী কলা পাতায় লবণ বিক্রি করছেন,এই পদ্ধতি ধরে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। তিনি আরও জানান,কলার পাতা একদম সহজলভ্য এবং পচনশীল যা পরিবেশ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


রাবাইতারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, রেজাউল হক মনি জানান,একসময় এই কলা পাতায় মোড়ানো প্যাকেটের মাধ্যমে লবণ সহ অন্যান্য দ্রব্যাদি বেচা কেনা হতো প্রায় চল্লিশ পয়চল্লিশ বছর আগের কথা হবে।কিন্তূ যুগের পরিবর্তনে এটা আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে যায় যুগের পরিবর্তনে আসে পলিথিনের ব্যবহার এটাযে পরিবেশের জন্য কত ক্ষতিকারক তা আমরা কখনো ভেবে দেখিনা।আজ অনেকদিন পর কলা পাতায় মোড়ানো লবণের প্যাকেট দেখে সেই সময়ের কথা মনে পড়ে গেল।খুব ভালো লাগলো। এটি অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব আমরা এতদিন জেনেশুনে পলিথিন ব্যবহার করে পরিবেশ বিষাক্ত বানিয়ে ফেলেছি।বর্তমান সরকার যেহেতু পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আমারা সবাই সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। নিজের পরিবেশ নিজেই রক্ষা করি,পলিথিন ব্যবহার না করি। পরিবেশ রক্ষার্থে আসুন আমরা সবাই পুরোনো দিনে ফিরে যাই, পলিথিনের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব কলার পাতা শট্রির পাতা বা পাটজাত পচনশীল পণ্যের ব্যবহারে এগিয়ে আসি।সবাই সুস্থ থাকি।


আরও খবর



জ্বালানি খাতে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশের জ্বালানি খাত নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ব্যর্থতাও রয়েছে ভূরিভূরি। এরই মধ্যে মিলছে সুসংবাদ। শিগগিরিই চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় আসবে ডিজেল।

ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল পরিবহন শুরু হবে। এর মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহনে নতুন একটি মাইলফলক স্পর্শ করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, বন্দর নগরীর পতেঙ্গা থেকে রাজধানীর উপকণ্ঠে ফতুল্লা পর্যন্ত প্রথম ভূগর্ভস্থ এই পাইপলাইন চালু হলে প্রতি বছর জ্বালানি পরিবহনে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে ডিজেলের সরবারাহ বাড়বে দ্রুতগতিতে। কমবে পরিবহন খরচ। সংশ্লিষ্ট সূত্র এমনটাই নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, জানুয়ারি থেকেই পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন পাইপলাইনে তেল সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে ৩০ লাখ টন তেল আসবে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে। এতে বিপুল অঙ্কের পরিবহন ব্যয়ের পাশাপাশি সময়ও সাশ্রয় হবে। তেল চুরিসহ সিস্টেম লসের কবল থেকেও বহুলাংশে মুক্তি মিলবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় ও তেল অপচয় ঠেকানোসহ বছরে অন্তত ২৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে বিপিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জ্বালানি তেল পরিবহনে পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বিপিসি।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল আসে নদী ও সড়কপথে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাঝেমধ্যেই তেল পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া নদী ও সড়কপথে তেল পরিবহনের কারণে খরচ যেমন বেশি, তেমনি তেল চুরির অভিযোগও রয়েছে। একই সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা কমে যাওয়ায় তেল পরিবহন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এসব সংকট নিরসনেই ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ নামের প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বিপিসির পদ্মা অয়েল কম্পানির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়। শুরুতে পাইপলাইন প্রকল্পটির ব্যয় দুই হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ধরা হয়। পরে সংশোধিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। তবে প্রকল্পটির কাজ আরো দুই বছর আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নানা জটিলতায় দেরি হয়েছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আমিন উল আহসান বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন প্রকল্পটি আগামী জানুয়ারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটির মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হলে পরিবহন খরচ ও অপচয় অকেটাই রোধ করা সম্ভব হবে।’ ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক আমিনুল হক বলেন, ‘এরই মধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পুরোপুরিভাবে তেল সরবরাহ শুরু হলে যে পরিমাণ পরিবহন ব্যয় ও অপচয় রোধ হবে, তার মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই প্রকল্পের ব্যয় উঠে আসবে।’

জানা গেছে, দেশের জ্বালানি তেলের ৯০ শতাংশ পরিবাহিত হয় নৌপথে। তেল বিপণন কম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রায় ২০০টি অয়েল ট্যাংকার এসব জ্বালানি তেল পরিবহন করে। নৌপথে জ্বালানি তেল পরিবহনে সিস্টেম লসের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আসিফ মালিক বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে ঢাকায় তেল যেতে অনেক সময় দুদিন লেগে যেত। বিভিন্ন সময় ট্যাংকারে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঘটে। পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি অনেকটাই ঝুঁকিমুক্তভাবে তেল সরবরাহ করা যাবে।’ বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে রেল ও সড়ক ও নৌপথে দেশের অন্যান্য স্থানে ডিজেল পরিবহন করা হয়। পরিবহনের সময় প্রায়ই তেল চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা সংকটের কারণে জ্বালানি পরিবহনে সমস্যা দেখা দেয়। এতে প্রায়ই জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

বিপিসির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এতে খরচ হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেনের মতে, এরই মধ্যে পাইপলাইনে হাইড্রো টেস্ট করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাইপলাইনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সফলভাবে পানি পাঠানো হয়েছে। পাইপলাইনে ৯টি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে এবং এখন স্টেশনগুলোর সরঞ্জাম পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘আশা করছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা পাইপলাইনটি চালু করতে পারব।’

এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে ২ দশমিক ৭ থেকে ৩ মিলিয়ন টন ডিজেল পরিবহন করা যাবে। ধাপে ধাপে এর সক্ষমতা পাঁচ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা যেতে পারে।

বিপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারা দেশে নৌপথে ৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন জ্বালানি পরিবহন করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন তেল পরিবহন করা হয়েছে। বর্তমানে এ রুটে প্রতি মাসে ১১০টি জাহাজ জ্বালানি পরিবহন করে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পাইপলাইনের দুটি অংশ রয়েছে : একটি ২৪১ দশমিক ২৮ কিলোমিটার ১৬-ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। এটি পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর এবং মুন্সীগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত তেল পৌঁছাবে। অন্য অংশটি ৮ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই অংশে ১০-ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন দিয়ে গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত তেল পরিবহন করা হবে। পতেঙ্গা থেকে গোদনাইল পর্যন্ত ২২টি নদী ও খালের তলা দিয়ে এই পাইপলাইন গেছে।


আরও খবর