Logo
শিরোনাম

মিঠাপুকুরে স্বাস্থ্যবান শিশু নির্বাচন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বাবুলাল মার্ডি - মিঠাপুকুর, রংপুর প্রতিনিধি::


ওয়ার্ল্ড ভিশনবাংলাদেশ রংপুরেরমিঠাপুকুরএরিয়া প্রোগ্রামঅফিসেরআয়োজনেউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনেস্বাস্থ্যবানশিশুনির্বাচনপ্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণীঅনুষ্ঠানঅনুষ্ঠিতহয়। 


অনুষ্ঠানেওয়ার্ল্ড ভিশনবাংলাদেশ মিঠাপুকুরএরিয়া প্রোগ্রামঅফিসেরম্যানেজারসুজিতকস্তা‘রসভাপতিত্বেপ্রধানঅতিথি হিসেবেবক্তব্য রাখেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএরমেডিকেলঅফিসারডা: এম এ হালিমলাবলু। বিশেষঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএর স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকওয়ায়েজেদুররহমান ও জেসমিনসুলতানাপ্রমুখ। 


স্বাস্থ্যবানশিশুনির্বাচনপ্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণঅনুষ্ঠানেবয়সভিত্তিক ১৯ বিষয়েরউপরমূল্যায়নপরবর্তীতেনির্বাচিত স্বাস্থ্যবানশিশু ও তারমা/পরিচর্যাকারীদের পুরস্কৃত করাহয়। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবানশিশুনির্বাচনপ্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণঅনুষ্ঠানেমিঠাপুকুরউপজেলার দূর্গাপুরইউনিয়নেরঅর্ন্তগতওয়ার্ল্ড ভিশনবাংলাদেশের কর্ম এলাকার-০-৫, ৬-১২, ১৩-২৪মাসবয়সী মোট ৩০ জনশিশু ও শিশুদের মা-পরিচর্যাকারীঅংশগ্রহণকরেন।




আরও খবর



কোথায় কীভাবে পাবেন জমির এই উল্লেখযোগ্য ডকুমেন্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

★. পর্চা বা খতিয়ান। 

★. দলিল। 

★. ম্যাপ বা নকশা।


★★.এই ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আপনি জমি ক্রায়-বিক্রয় ও হস্তান্তর অথবা ব্যাংক লোন নিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়।

সেকারণে, জমির খতিয়ান, দলিলসহ সকল কাগজ পত্র সরকারি বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে।

★★.আপনার জমির খতিয়ান বা পর্চা কোথায় পাবেন।

জমির পর্চা বা খতিয়ান মূলত তিন/ চারটি অফিসে পাবেন।

১/ইউনিয়ন ভূমি অফিস।

২/উপজেলা ভূমি অফিস।

৩/জেলা ডিসি অফিস।

৪/সেটেলমেন্ট অফিস।


★★.ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহশিল অফিস। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যদিও খতিয়ান বা পর্চার বালাম বহি থাকে কিন্তু আপনি এই অফিসে হতে খতিয়ানের কপি নিতে পারবেন না। ইউনিয়ন ভূমি অফিস হতে শুধু খসরা খতিয়ান নিতে পারবেন যেটা আইনত কোন মূল্য নেই তারপরেও এই অফিসটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনার জমির খতিয়ান নাম্বার জানা না থাকলে এই অফিস থেকে জেনে নিতে পারবেন এছাড়া জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর এই অফিসে দিতে হয়।


★★.উপজেলা ভূমি অফিস।

যদিও উপজেলা ভূমি অফিসের মূল কাজ নামজারী বা খারিজ বা মিউটেশন করা তবে খসরা খতিয়ান তুলতে পারবেন। এই অফিস হতে খতিয়ানের সার্টিফাইড পর্চা বা কোর্ট পর্চা তুলতে পারবেন না।


★★.জেলা ডিসি অফিস।

এই অফিস হতে পর্চা বা খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি সংরক্ষণ করতে পারবেন। এই অফিসের খতিয়ান এর গুরুত্ব সর্বাধিক। সব জায়গায় এই অফিসের খতিয়ান এর গুরুত্ব রয়েছে।


★★.সেটেলমেন্ট অফিস।

শুধুমাত্র নতুন রেকর্ড বা জরিপের পর্চা / খতিয়ান এই অফিস হতে সংগ্রহ করা যাবে।

পাশাপাশি নতুন রেকর্ড এর ম্যাপ ও সংগ্রহ করা যায়।

★★. খতিয়ান তুলতে কত টাকা লাগবে.?

উত্তরঃ সি এস, এস এ, আর এস, এর জন্য কত টাকা দিতে হবে তা নির্ভর করে ঐ স্থানের সিন্ডিকেটের উপর। 


★★. আপনার জমির দলিল বা বায়া দলিল কোথায় পাবেন।

দলিল বা দলিল এর সার্টিফাইড কপি বা নকল মূলত দুটি অফিস হতে সংগ্রহ করা যায়, তা হলো।


**/উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।

**/জেলা রেজিস্ট্রি বা সদর রেকর্ড রুম অফিস।


★★.উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

যেখানে নতুন দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হয় এই অফিস হতে নতুন দলিলের নকল ও মূল দলিল পাওয়া যায়। কিন্তু পুরাতন দলিল বা বায়া দলিল এই অফিসে পাওয়া যায় না।


★★.জেলা রেজিস্ট্রি অফিস বা সদর রেকর্ড রুম।

এই অফিসে নতুন বা পুরাতন দলিলের সার্টিফাইড কপি বা নকল পাওয়া যায়। 

★★.মূল অথবা সার্টিফাইড দলিল তুলতে কত টাকা লাগতে পারে। 

মূলতঃ সরকারি খরচ যদিও সামান্য কিন্তু নকলের খরচ নির্ভর করে ঐ স্থানের সিন্ডিকেটের উপর।

★★ আপনার জমির মৌজা ম্যাপ বা নকশা যেখানে পাওয়া যাবে। 

সাধারণত ম্যাপ বা নকশা দুইটি অফিসে পাবেন, তা হলো

১/জেলা ডিসি অফিস

২/ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ( DLR) অফিস, ঢাকা।


★★.জেলা ডিসি অফিস:

এই অফিস হতে সিএস, এসএ, আরএস, বিএস যেকোনো মৌজা ম্যাপ সংগ্রহ করা যাবে।


★★.ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, (তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড়), ঢাকা।

সারা বাংলাদেশের যে কোনো মৌজা ম্যাপ সিএস, এসএ, আরএস, বিএস, জেলা ম্যাপ, বাংলাদেশ ম্যাপ উক্ত অফিস হতে তুলতে পারবেন।

এই অফিসের ম্যাপের গ্রহণযোগ্যতা ও অনেক বেশি। সারা বাংলাদেশের যে কোন ম্যাপ এই অফিসে পাওয়া যায়।


আরও খবর



ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও সাবেক কাউন্সিলরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার - যশোর জেলা প্রতিনিধি ::

যশোর শহরের কসমেটিকস ও কেবল ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন পনিকে অপহরণ, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন পৌর কাউন্সিলরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার আজগর আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন পনির অভিযোগটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিলে কোতোয়ালি থানার ওসি মামলাটি গ্রহণ করেন।

মামলার আসমিরা হলেন চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই জামাল হোসেন, টিএসআই রফিকুল ইসলাম, পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, রায়পাড়া কয়লাপট্টির মৃত ইয়াসিনের ছেলে সার্জেন্ট বাবু ও চাঁচড়ার ভোমরের ছেলে খায়রুজ্জামান বাপ্পি।

পনির মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শহরের বড় বাজারে সুনামের সাথে কসমেটিক ও কেবল ব্যবসা করে আসছেন। কাউন্সিলর সুমনের সাথে বিরোধের জের ধরে তার পরিকল্পনায় ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট রাতে এসআই জামাল ও টিএসআই রফিকের নেতৃত্বে একটি টিম নিজ বাড়ি থেকে তাকে ধরে থানায় নিয়ে রাখেন। ওই রাতে স্বজনেরা মুরাদকে ছাড়াতে গেলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পুলিশ। অন্যথায় মুরাদকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেন।

পরদিন ৩০ আগস্ট সকালে থানায় গিয়ে স্বজনেরা অনুনয় বিনয় করলে ১২ লাখ টাকা দিলে মুরাদকে ছাড়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ১ সেপ্টেম্বর সকালে থানায় গিয়ে ওই দুই অফিসারকে ১২ লাখ টাকা দিলে গুরুতর আহত অবস্থায় মুরাদকে মুক্তি দেন। দুইদিন থানায় আটকে রেখে ১২ লাখ টাকা চাঁদা নিলেও পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় তিনি মামলা করতে পরেননি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আশায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

আরও খবর



ফুলবাড়িতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (ফুলবাড়ী) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে বৈষম্য দূরীকরণে, মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।

মঙ্গলবার ২৪(সেপ্টেম্বর)উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দের আয়োজনে,সকালে বাজারের জিরো পয়েন্টে আধাঘণ্টা ব্যাপি বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী সম্মিলিত শিক্ষক সমাজে প্রতিষ্ঠান প্রধান ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মোঃ মোরশেদ আলম, বৈষম্য বিরোধী সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের সমন্বয়ক, সহকারী শিক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদীন, প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি,বড়ভিটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরীফ উদ্দিন সহ আরো অনেকে। পরে উপজেলা নিবার্হী অফিসার রেহনুমা তারান্নুম এর মাধ্যমে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের বরাবরে স্মারকলিপি প্রেরণ করেন।

এসময় বক্তারা জানান,সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে দ্রুততম সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে জাতীয়করণ করার আহ্বান জানান।


আরও খবর



মিঠাপুকুরে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালিত

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

'প্রতিটি শিশুর অধিকার, রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার।’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রংপুরের মিঠাপুকুরে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ। এ উপলক্ষে রবিবার বেলা ১০.৩০ টায় উত্তরবঙ্গ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের অডিটোরিয়ামে শিশুদের আলোচনা সভা, সঙ্গীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। মিঠাপুকুর উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি উপজেলা শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মিঠাপুকুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ।তিনি বলেন,"শিশুদের অধিকার বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব।"তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক শিশুকে লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে। লেখাপড়ায় ও খেলাধূলায় দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করতে হবে।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মমিন মন্ডল, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাঃ এনামুল হক, ওয়ার্ল্ড চাইল্ড এন্ড ইয়ুথ ফোরামের প্রধান নির্বাহী মেহেদী হাসান মুরাদ, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুন্নবী, উত্তরবঙ্গ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক শিমন সরকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার সম্পাদক আশিকুর রহমান মন্ডল। 


সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি উপজেলা শাখার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা এম এ ওয়াহেদ বলেন, "প্রতিটি ঘরে ঘরে সোনার সন্তান তৈরিই আমাদের লক্ষ্য।" 

সভা সঞ্চালনা করেন শিশু শিল্পী বৈশাখী। 

অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা শেষে বক্তৃতা  প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর



দুদিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরে গত দুদিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে নিম্নাঞ্চল। ফলে ফের বন্যার আশঙ্কা করছে জেলাবাসী। জেলার রামগতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। সিনিয়র আবহাওয়া অবজারভার সোহরাব হোসেন

শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। তিনি আরো জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে । আগামী রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।

বন্যার পানির নিচে তলিয়ে ছিল, গত কয়েকদিন ধরে ওইসব এলাকার পানি নামতে শুরু করে। কোনো কোনো এলাকা থেকে পানি নেমেও যায়। তবে শুক্র ও শনিবার ভারী বৃষ্টিতে আবারও কোথাও কোথাও পানি উঠে গেছে। তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তা। যেসব এলাকা এখনও পানির নিচে, সেখানে পানির উচ্চতা আবারও বেড়েছে। খালে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় ঠিকমতো পানি নামতে পারছে না। এখনো জেলার ২০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১০ ওয়ার্ডের প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজাপুর ও জামির তলী গ্রামের তিন হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী রয়েছে। তারা ত্রানসহায়তাসহ আর্থিক তেমন সুবিধা পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন। ওই এলাকায় চলাচলের রাস্থায় পানি থাকায় যাতায়াতে বিগ্নঘটছে। নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে বন্যায় কবলিত এলাকাবাসীর। 

রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহসিন মিয়া জানান, বন্যার পানি শেষ না হতেই গত দুদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে বন্যার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন, নদীতে পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। জোয়ার এলে পানি বাড়ে। আবার ভাটা পড়লে পানি কমে যায়। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যেসব জায়গায় এখনো পানিবন্দী মানুষ রয়েছেন ওইসব এলাকার খালগুলো দিয়ে দ্রুত পানি সরানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে মেঘনায় পানি বাড়ায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর