Logo
শিরোনাম

মিউজিক ফেস্ট দিয়ে পর্দা উঠছে বিপিএলের

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। তার এক সপ্তাহ আগেই বিপিএলের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। সোমবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএল মিউজিক ফেস্ট ২০২৫। বিসিবির এই আয়োজন ঘিরে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। নতুন রূপে সেজেছে হোম অব ক্রিকেট।

রাতের এই জমকালো আয়োজনে প্রধান আকর্ষণ কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। সুর ও উন্মাদনার এই রাত হবে নতুন রূপে সাজানো বিপিএলের উদ্বোধন। এটি কেবল সঙ্গীত ও ক্রিকেটের এক মিলনমেলা নয়, বরং বাংলাদেশের কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক বিশেষ আয়োজন।

অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ রাহাত ফতেহ আলী খানের আবেগময় কণ্ঠে মুগ্ধ হতে প্রস্তুত দর্শকরা। তার পারফরম্যান্সের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গুনছে প্রায় ৩.৪ কোটি টাকা, যা অনুমোদন পেয়েছে গত শনিবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায়।

এ ছাড়া মঞ্চে পারফর্ম করবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী মাইলস, জেফার, অ্যাভয়েডরাফা এবং মুজা। বিপিএলের থিম সং ‘এলো বিপিএল’-এর সহপ্রযোজক মুজা ও অ্যাভয়েডরাফা। তাদের পারফরম্যান্সে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সঙ্গীতের অপূর্ব মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে, যা বিপিএলের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়াবে।

মিরপুরের পর চট্টগ্রাম ও সিলেটেও আয়োজন করা হবে মিউজিক ফেস্ট। তবে রাহাত ফতেহ আলী খানের পারফরম্যান্স থাকবে একমাত্র মিরপুর মঞ্চেই, যা এই আয়োজনকে করেছে আরো বিশেষ। স্টেডিয়ামের গেট খুলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে, যাতে দর্শকরা আগেভাগেই এসে উপভোগ করতে পারেন পুরো আয়োজন।

বিপিএলের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে মিরপুর স্টেডিয়ামকে। পুরোনো স্থাপনায় রং করানো এবং গেটগুলোর সমানে বিভিন্ন ব্যনার দিয়ে সাজানো হয়েছে।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকি ও তাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজাপুর থানা প্রতিনিধি সদস্য তাইমুল হায়দার সজীব বলেন,   গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীনে চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার জনগনের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো। রাজনৈতিক দল সহ সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের জীবনে নেমে এসেছিল ঘোরতর এক বিপর্যয়। আর তার থেকে পরিত্রান পেতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র জনতা ও সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে গত ০৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করতে সক্ষম হয়। পরবর্তিতে এ অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানকে টিকিয়ে রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় রাজাপুর উপজেলায় তৎকালীন আন্দোলনরত ছাত্র জনতার সমন্বয়ে তাদের পরামর্শক্রমে ১০৮ সদস্যের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানো হলে কেন্দ্র থেকে রাজাপুর থানা প্রতিনিধি কমিটি হিসেবে গত ৮ জানুয়ারী অনুমোদন দেয়। এ প্রতিনিধি কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে এর বিরোধীতা করতে থাকে। কেননা তারা মনে করছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি থাকলে ওই কুচক্রি মহল টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, দখলবানিজ্য করতে পারবে না। তাই ওই কুচক্রিমহল বিভিন্ন কৌশলে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং কিছু সদস্যের নাম তাদের লোকজনের নামের সাথে মিলে যাওয়ায় তাদের দ্বারা সংবাদ সম্মেলন করিয়ে পদত্যাগের ঘোষনা দেওয়ানো হয়। তারা এমনও বলেন, আমাদের এ কমিটিতে নাকি ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষররা রয়েছেন। ইহা একদম মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিক্তিহীন কথা। তারা আমাদের ঐক্যে ফাটোল ধরানোর জন্য এখনও মিথ্যে কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। তাদের এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সংবাদ সম্মেলনে রাজাপুর থানা প্রতিনিধি সদস্য তাইমুর হায়দার সজীব আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আরও একটি বিষয় লক্ষ করেছি। আমাদের রাজাপুরের কৃতি সন্তান জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমানের বরাত দিয়ে রাজাপুর কমিটি থেকে কয়েকজন সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে লেখা হয়েছে। আদৌ কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমান মিডিয়ায় এমন কোন বক্তব্য দেননি এবং কোন সাংবাদিক এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চায়নি। রাজাপুর উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আমাদেরকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু কুচক্রি মহল মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্যদিয়ে আপনাদের সহযোগিতা নিচ্ছে। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আপনাদের সহযোগীতা ও লিখনীর মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আমাদের এ উপজেলাকে চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলবানিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধমুক্ত করতে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মালেক জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে কেহ কোন অভিযোগ করা হয়নি বা কেহ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  


আরও খবর



ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



এক হাসপাতালেই ৫ হাজার রোগী

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর ফলে ডায়রিয়া ও কলেরা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চাঁদপুরের মতলবের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্স (আইসিডিডিআর’বি) হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। গত ১৫ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই ছিল শিশু।

এদিকে শুধু চাঁদপুরই নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর ভিড় বাড়ছে এই হাসপাতালে। সরেজমিনে দেখা যায়, ধারণা ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় বেড বসিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঠাণ্ডা, দূষিত পানি এবং দূষিত খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। তারা জানান, তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত বাড়িতে পাতলা পায়খানা, বমি হচ্ছিল বাচ্চাদের। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় অবস্থা খারাপ দেখে রোগীদের আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালে নিয়ে আসছেন তারা।

আইসিডিডিআর’বি মতলব হাসপাতালের তথ্যমতে, ৭০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ডায়রিয়া আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালের শয্যার তুলনায় চারগুণেরও বেশি রোগী এসেছে। আর গত ১৫ দিনে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮৪১ জন রোগী। যা গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনি, মুন্সীগঞ্জ, নীলফামারী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা আসছেন।

আইসিডিডিআর'বি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চন্দ্র শেখর দাস বলেন, রোটা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাতলা পায়খানা, বমি সঙ্গে জ্বরও থাকতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি শিশু খুব দুর্বল হয়ে নেতিয়ে পড়লে ঘণ্টায় তিন বার বা তার বেশি বমি করলে, শিশুর পেট ফুলে গেলে, শ্বাস কষ্ট হলে, পায়খানায় রক্ত গেলে, জ্বর বা খিচুনি হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে শিশুকে পরিমাণ মত খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াবেন এবং অন্যান্য পথ্য চালিয়ে যাবেন। প্রতি প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে নিবেন এবং শিশুর যত কেজি ওজন প্রতিবার পায়খানার পর ততো চা চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। অর্থাৎ শিশুর ওজন ১০ কেজি হলে ১০ চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। পাঁচ বছরের শিশুকে একটি করে জিংক ট্যাবলেট দশ দিন খাওয়াবেন। দুই বছরের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশু খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাসায় রান্না করা সব ধরনের খাবার খাবে। রোগীকে বেশি বেশি ডাবের পানি, চিড়ার পানি, সুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন। রোগীকে কোমল পানীয়, ফলে জুস, আঙ্গুর, বেদানা খাওয়াবেন না। সাধারণত এই নিয়ম মেনে চললে আক্রান্ত শিশুরা এক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে উঠে।

মতলব স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবির প্রধান ডা. মো. আলফজল খান বলেন, শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। যা সাধারণত রোটা ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে বলে আমরা মনে করি। গত ১৫ দিন ধরে গড়ে ৩শ’ রোগী আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যার প্রায় ৮৫ ভাগই দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু।

তিনি বলেন, পাতলা পায়খানার সঙ্গে বাচ্চার বমি ও জ্বর থাকতে পারে। খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী বাচ্চাকে প্রতিদিন একটি করে বেবি জিংক দশ দিন খাওয়াতে হবে। এই ডায়রিয়া ভালো হতে সাধারণত তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতির অবনতি হলে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করবেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ এবং বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিকে আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশাবাদী।

ডা. মো. আলফজল খান বলেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি রোগী আসছেন। প্রতি বছরই আমরা দেখছি দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা মতলব হাসপাতালে আসছেন। যার ফলে আমাদের সেবা দেয়ার এলাকা বাড়ছে। বর্তমানে আমরা প্রায় ৩৫টি উপজেলার মানুষকে ডায়রিয়া স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কোনো সন্ত্রাসী রক্ষা পাবে না। সে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল হোক আর ইমন হোক, যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটনা ঘটছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারো পুরোনো রূপে ফিরছে। জোড়া খুনসহ কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। গতকালও মিরপুরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান মল্লিক বলেন, আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অন্য সন্ত্রাসীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা খতিয়ে দেখব। প্রতিনিয়ত আমরা কাজ করছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনশৃঙ্খলা যাতে স্বাভাবিক থাকে, জনগণ যাতে স্বস্তিতে ও শান্তিতে থাকতে পারে সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।

৫ আগস্টের পর যেসব সন্ত্রাসী জেল থেকে জামিনে বের হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও ইমন। পিচ্চি হেলালের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর ডাবল মার্ডারের মামলা হয়েছে। এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অথচ তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তারা কোথায়– জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসীকে আমরা ছাড় দেব না। সে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল হোক আর ইমন হোক, যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

রাতে আগে টহল জোরদার ছিল, এখন সেটা কমে গেছে। পুলিশ কি এখনো হারানো মনোবল ফিরে পায়নি– জানতে চাইলে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, আমি তা মনে করি না। পুলিশ মনোবল ফিরে পেয়েছে। বর্তমান কমিশনারের নির্দেশে অক্ষরে অক্ষরে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।

৫ আগস্টের পর কারা কারা কি কি অপরাধে জড়িত। অপরাধের ধরন অনুযায়ী অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে কি না? কারণ ঘোষণা দিয়ে দখলদারি চলছে। জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা তালিকা করেছি, সে অনুযায়ী কাজ করছি।

তিনি বলেন, এলিফ্যান্ট রোডের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। হাজারীবাগ থেকে রাতুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। সে অনুযায়ী আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ক্যানসার প্রতিরোধ ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ২০২৫ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আসুন ক্যানসার সেবায় বৈষম্য দূর করি’ যা ক্যানসার সেবায় সমানাধিকার নিশ্চিতের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ক্যানসার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। প্রতি বছর প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৬০ লাখ মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন। ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং বয়স বৃদ্ধির মতো কারণগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার সুযোগ বেশি থাকলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সুবিধাগুলো সীমিত, যা বৈশ্বিক ক্যানসার ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য তৈরি করছে।

ক্যানসার মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, চিকিৎসা ও সেবায় বৈষম্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে। উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি, ওষুধ এবং পুনর্বাসন সুবিধা সহজলভ্য হলেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই সুবিধাগুলো অপ্রতুল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ ক্যানসার-সম্পর্কিত মৃত্যু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে, যেখানে চিকিৎসা পরিষেবা এবং সচেতনতার অভাব রয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্যানসার চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে অনেক রোগী সময়মতো চিকিৎসা পাননি। বৈশ্বিক ক্যানসার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা, বিনিয়োগ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈষম্য দূর করা এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসা ও সেবায় বৈষম্য উল্লেখযোগ্য সমস্যা। দেশে মাত্র কয়েকটি বিশেষায়িত ক্যানসার হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া ক্যানসার চিকিৎসার উচ্চ খরচ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রযুক্তির অপ্রতুলতা সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া কঠিন করে তুলেছে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যানসার রোগী চিকিৎসার শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসেন, যখন চিকিৎসার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে। এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় ক্যানসার সচেতনতা এবং স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের অভাব রয়েছে, যা রোগ দ্রুত শনাক্তকরণে বাধা সৃষ্টি করে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম সম্প্রসারণ এবং চিকিৎসা সুবিধা উন্নত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্যানসার মোকাবিলায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।


আরও খবর

মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!

সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫