Logo
শিরোনাম

মঞ্চ মাতালেন নোরা ফাতেহি

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ঢাকায় এসেই মঞ্চ মাতালেন বলিউড অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি। নেচে-গেয়ে মুগ্ধতা ছড়ালেন তিনি। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় উইমেন লিডারশিপ করপোরেশনের আয়োজনে ‘উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজনে অংশ নেন নোরা ফাতেহি।

প্রথমে মঞ্চে নোরা ফাতেহির জমকালো এন্ট্রি। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি মঞ্চে এলে উপস্থিত দর্শক-ভক্তরা তাকে ‘নোরা নোরা’ বলে আওয়াজ তুলে স্বাগত জানান। এরপর পর্দায় দেখানো হয় তার অভিনয় ও গান। পরে সহশিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হন নোরা নিজেই।

এরপর শুরু হয় পারফরম্যান্স। ‘দিলবার’ গানের সঙ্গে নাচ করেন নোরা। শুধু দর্শকরাই তার নাচে উন্মাতাল হননি, নোরা নিজেও ভক্তদের আবেগ সাড়া দিয়েছেন। 

শুরুতেই মঞ্চে উঠে নোরা ফাতেহি হাত নেড়ে ঢাকার অনুগারীদের মাঝে অপার ভালোবাসা ছড়িয়ে দেন। মঞ্চে নোরার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে তিনি বাংলাদেশকে খুব ফিল করছেন। এ দেশের মানুষের ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ।


আরও খবর



আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। রাজধানীর গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বিএনপি নয়; সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ, নির্বাচন কমিশন। সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে বলেও জানান তিনি। তিন বলেন বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যত শিগগিরই নির্বাচন হবে ততই মঙ্গল হবে বলেও মন্তব্য করেন মঈন খান।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- তারা শরিফ, সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর; মাইকেল বালদাসারো, ডেটা সায়েন্টিস্ট; সাইরাহ জাইদি, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর; ড্যানিয়েল রিচার্ডসন, পিস ও ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট এবং কাজী শহীদুল ইসলাম, স্থানীয় মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ।

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে এ বৈঠক করেন কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিরা।


আরও খবর



রায়পুরে বখাটেদের তাণ্ডবে থেমে গেছে মুক্তার শিক্ষাজীবন, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকার বানাতুল দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আর মাদ্রাসায় যায় না। প্রতিদিনের পথে বখাটেদের উৎপাত, উত্ত্যক্ততা আর শারীরিক হয়রানিতে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষাপথ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে সে।


ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ—বখাটেপনার ঘটনা বারবার জানানো হলেও প্রশাসন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থেকেছেন নির্বিকার। তাদের এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।


মুক্তার বাবা মনির হোসেন বলেন, "ঘটনার কথা জানালেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবংজনপ্রতিনিধিরা গুরুত্ব দেননি। বরং সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়েটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।"


মুক্তা জানায়, "প্রতিদিন ভয় নিয়ে বের হই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেলে আমার পথ আটকায়, মোবাইল নম্বর চায়। না বললে টানাহেঁচড়া, ভিডিও করা আর তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একদিন কিছু পথচারী এগিয়ে না এলে কী হতো জানি না।"


একজন সাবেক ছাত্রী জানান, তিনিও এবং তার বান্ধবী একইরকম হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। "সেই সময়েও কেউ কিছু করেনি," বলেন তিনি।


বিএনপি নেতা খোরশেদ ঢালী বলেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এলাকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বরাবরই নিষ্ক্রিয়। এখন সময় এসেছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার।”


রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঞা বলেন, “এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকায় এবং মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে।”


লক্ষ্মীপুর জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসন নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই বিচার হতো, কিন্তু প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।”


ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৬৪ শতাংশ স্কুলগামী মেয়ে পথে উত্ত্যক্তের শিকার হয়। শিশু অধিকার ফোরামের মতে, ২০২৪ সালে দেশে দেড় হাজারের বেশি কিশোরী হয়রানির শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৩৮% ঘটেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে।

মুক্তার এই ঘটনা যেন হাজারো মেয়ের অব্যক্ত কষ্টের প্রতিচ্ছবি। মুক্তা আজ শুধুই একজন ব্যক্তি নয়—প্রতীক হয়ে উঠেছে সেই সব কণ্ঠের, যারা ভয়ে থেমে যায়, অপমানে হারিয়ে যায় শিক্ষার পথ থেকে।

এখনই সময়—প্রশাসন, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার। প্রয়োজন কঠোর শাস্তি, যাতে আর কোনো মুক্তাকে স্কুল ছাড়তে না হয়।


আরও খবর



সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি মানেই খোলামেলা আলোচনা। কেনো রাখডাখ না রেখেই সব বলে দিতে পারেন। সিনেমার মত তার ব্যক্তিগত জীবনও বেশ সিনেমাটিক। জীবনে বহু সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই আবেদনময়ী নায়িকা। আর কোনো সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তা নেই।

কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, জীবনে ছয়বার সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। স্বস্তিকার এই মন্তব্য ঘিরে নেটিজেনরা নানা চর্চা শুরু করেন। এবার সেসব চর্চার জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘৬টা নয়, আমি ৬০০ প্রেম করেছি, আগে ভুল বলেছি। ক্যাওড়াতলা যাওয়ার আগে আমি আরও একটা শূন্য এর সঙ্গে জুড়তে চাই। এটাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য।

চর্চা-সমালোচনার তোয়াক্কা করেন না অভিনেত্রী। তিনি বলেন, 'জীবন আমার। যদি মনে হয়, ছয় হাজার মানুষকে ভালোবাসব, তাহলে বেশ করবো। আমি তো বলছি না যে, ছয়জনকে মারব, খুন করব, তাদের গলা চিরে রক্ত খাব, ধর্ষণ করব, তাদের সঙ্গে জালিয়াতি করব বা কাজ করিয়ে পয়সা দেব না। আমাদের আশপাশে সমাজে তো এগুলোই হচ্ছে। প্রেম করব, তাতেও মানুষের সমস্যা! তাহলে যা হচ্ছে আশপাশে তা-ই হোক।

সমাজে নারীর প্রেম নিয়েই সমস্যা, পুরুষরা এসব চর্চার বাইরে- এমন মন্তব্য করে অভিনেত্রী বলেন, ''ভালোবাসাটা কেন সমস্যা হবে? অবশ্য এটা মহিলা বলেই হয়। ছেলেরা করলে আমরা তাদের বলি, ‘হ্যাভিং অ্যা ওয়াইল্ড লাইফ'। ভীষণ দারুণ একটা জীবন। আর মেয়েরা করলে তাদের বেশ্যা বলে। মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা। ছেলেরা ৬টা প্রেম করলে লোকে বলে, ‘ভাই এলেম আছে।’ এই সমাজে আমরা বাস করছি।

অভিনেত্রীর মতে, মৃত্যুর আগে তিনি আরও প্রেম করতে চান। প্রচুর মানুষকে ভালোবাসতে চান। অনেক ভালোবাসা দেওয়ার আছে, তা দিতে চান। লিফলেটের মতো বিলি করতে চান। জীবনটা পরিপূর্ণ করেই মরতে চান এ অভিনেত্রী।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডসের সমস্যা কম বেশি সবারই বেশি আছে। নাকের দুপাশে এই কালো কালো দানার মতো স্পট দেখা যায়। এগুলোই ব্ল্যাকহেডস। তবে এই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে যেতে হবে না পার্লরে। ঘরে বসেই দূর করা সম্ভব এই ব্ল্যাকহেডস।

প্রতিদিন নিয়ম করে নিতে হবে ত্বকের যত্ন। কারণ প্রতিদিন বাইরে বের হলে দূষণ, ধুলা ময়লা ছাড়াও কারণে ত্বকের বারোটা বাজে। আমাদের নাকের দুপাশে ভরে যায় ব্ল্যাকহেডস। কারো কম বা কারো আবার বেশি হয়। এই সমস্যা সবারই আছে। ঘরে বসেই এই ব্ল্যাকহেডস দূর করা সম্ভব। জেনে নিন তেমনই ৪ সহজ উপায়।

ব্যবহার করুন দুধ

দুধে রয়েছে এনজাইম, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। তাই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে খুবই কাজে দেয় এই উপাদানটি। এছাড়া ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে আপনার বলিরেখাও মলিন করে তোলে। কিন্তু ব্ল্যাকহেডস সরাতে কীভাবে এই দুধ ব্যবহার করবেন? জেনে নিন।

একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তাতে সামান্য পরিমাণে দানা দানা লবণ মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ব্ল্যাকহেডসের উপর লাগিয়ে সামান্য ঘষে নেবেন। তবে জোরে চাপ দিয়ে ঘষবেন না। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতেই দূর হবে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা।

কাজে লাগবে ওটস

ব্ল্যাকহেডস দূর করতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। তার মধ্যে ওটস অন্যতম। এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পেস্ট। কীভাবে ব্যবহার করবেন? ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কীভাবে কাজে লাগাবেন এই ওটসকে?

একটি পাত্রে পরিমাণমতো ওটস নিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন ওটস যেন সামান্য দানা দানা থাকে। এর সঙ্গে সামান্য পানি আর মধু মিশিয়ে নিন। ওটস আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করবে। আর মধু আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ব্ল্যাকহেডসের উপর এই প্যাক লাগিয়ে সামান্য ঘষে নিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

তেল নিয়ন্ত্রণে ডিমের সাদা অংশ

ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ থেকেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। এতে বাড়তে পারে ব্ল্যাকহেডস। আর দেখা দিতে পারে ব্রণ সমস্যা। তাই আপনার মুখের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কাজটি জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে ডিমের সাদা অংশ। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ রোধ করে। সেই সঙ্গে ধুলা-ময়লা থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। তাই ব্ল্যাকহেডস হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়।

একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ নিন। তাতে যোগ করুন এক চা চামচ মধু। তারপর খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার আপনার মুখে যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে, সেখানে এটি ভালো করে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিনেই পার্থক্য চোখে পড়বে।

ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি

সবার বাড়িতে নিশ্চয় পেট্রোলিয়াম জেলি আছে। এটি ব্যবহার করেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে পারেন। আপনার নাকের দুপাশে যেখানে ব্ল্যাকহেডস আছে, তার উপর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এবার গরম পানিতে ভিজানো তোয়ালে ভালো করে নিংড়ে নিন। সেটি আপনার মুখের উপর দিয়ে রাখুন। বেশ কিছুক্ষণ মুখের উপর রাখতে হবে। এতে মুখের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এবার তোয়ালে সরিয়ে ওয়াইপস বা টিস্যু দিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি মুছে নিন।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




শিশু আছিয়া হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আগামী ১৭ মে শনিবার ঘোষণা করবেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে অভিযোগ গঠনের ২১ দিনের মাথায় আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১২ মে সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়। তবে প্রথমদিন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় আজ আবারও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়।

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য ছিল। আদালতে সকালে এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটিতে সাতটি জব্দ তালিকা ছিল। এই সাতটি জব্দ তালিকায় ১৬ জন সাক্ষী ছিল। যার মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ সাক্ষ্য দিয়ে তাদের জব্দ তালিকাকে সত্যায়ন করেছেন। জব্দ করা আলামতকে আদালতে সত্যায়ন করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, এই মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল। পাঁচ ডাক্তার মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছিলেন। তারা ইতোমধ্যে আদালতে সাক্ষী দিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেটকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন এবং মেডিকেল সার্টিফিকেটে তারা তাদের স্বাক্ষর শনাক্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে আদালতে আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত আইন ২০০৩ এর ৯ এর দুই ধারাকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

ঘটনার পর দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। স্থানীয় আইনজীবীরাও অভিযুক্তদের জন্য কোনো ধরনের আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্তকার ৮ বছরের শিশুটি।


আরও খবর