Logo
শিরোনাম

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে লেনদেন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো লেনদেন হবে না। বন্ধ থাকবে দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ডিএসই ও সিএসই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রতি বছরের ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর দুদিন ‘ব্যাংক হলিডে’। আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য বার্ষিক হিসাবনিকাশ শেষ করতে প্রতি বছর এই দুই দিন ‘ব্যাংক হলিডে’ পালন করা হয়।

প্রথা অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই এবং পঞ্জিকা বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকলেও শুধু ব্যাংকের নিজস্ব দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে। আর্থিক হিসাব মেলাতে সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে। তবে ব্যাংক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকলেও সেখানে কোনো ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হয় না।

ব্যাংক হলিডেগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক, কোন ব্যাংক থেকে ব্যাংক বা ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন পরিচালনা করা হয় না। এ সময়ে গ্রাহক চাইলে কার্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অপরদিকে পুঁজিবাজারের শেয়ার কেনাবেচার পর ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হয়ে থাকে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কোনো লেনদেন হয় না। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন না হলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




খাগড়াছড়িতে ৭ মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

খাগড়াছড়ির উপজেলার ৭টি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের টাওয়ারে সংযোগ বিচ্ছিন্ন যন্ত্রাংশ লুটপাতের অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে টাওয়ার সংশ্লিষ্টরা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া টাওয়ার গুলো সব বেসরকারি টেলি সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান রবি কোম্পানীর বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল

নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, গেল ২২ জানুয়ারী ভোরে একযোগে জেলার দীঘিনালা, মানিকছড়ি মাটিরাঙায় হামলার ঘটনা ঘটে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ' সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করে না পাওয়ায় হামলা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে

দীঘিনালার বাবুছড়ার কার্বারী পাড়া, বাঘাইছড়ি মুখ, জারুলছড়ি, বড়াদম সাধনাটিলা এলাকার টি টাওয়ারের নেটওয়ার্কিং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া যন্ত্রাংশ রুমে ভাংচুর লুটপাত করা হয়েছে। একই সাথে মাটিরাঙা মানিকছড়িতে আরও দুটি টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়

বিষয়ে রবি কোম্পানীর স্থানীয় এক প্রতিনিধি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রতিবছর মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে আসছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। এবছরও চাঁদা চাওয়া হয়েছে। তবে কি কারণে টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তা বলা যাচ্ছে না। কোম্পানীর মার্কেটিং নেটওয়ার্কিং টিম আলাদা ভাবে অপারেটিং হয়। নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাপনা টিমকে বিষয়ে জানানো হয়েছে। তারা উদ্যোগ নিবে

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, খাগড়াছড়ির কয়েকটি উপজেলায় রবি কোম্পানীর কয়েকটি টাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। বিষয়ে আইনগত ভাবে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি

এদিকে, খাগড়াছড়ি ছাড়াও রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে রবি কোম্পানীর টাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে খবর শোনা যাচ্ছে। এতে করে দুই জেলার লক্ষাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী গ্রাহক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন


আরও খবর



বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ, প্রথম পর্ব শুরু শুক্রবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সফল করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাবলিগ জামাতের সাথীরা। স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি মাগরিবের নামাজের পর এবং শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে স্থানীয় মুসল্লি ও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠ তৈরির কাজে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। কেউ শামিয়ানা টানাচ্ছেন, কেউ বিদ্যুতের কাজ করছেন, কেউ বাথরুম পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার ময়দান পরিষ্কার করছেন। আল্লাহর মেহমানদের জন্য সবকিছু সুন্দরভাবে প্রস্তুত করতে এভাবেই দিনরাত কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমার ময়দানের ৯৪ শতাংশ প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ময়দান প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। কোনো সমস্যা ছাড়াই এবার ইজতেমা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। এবারের ইজতেমায় দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হবে বলে আমাদের ধারণা।

তিনি আরও জানান, ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বে আখেরি মোনাজাত হবে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের পর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে আসা আব্দুর রকিব বলেন, আমরা ৭০ জনের একটি দল নিয়ে এখানে এসেছি। আল্লাহর মেহমানদের ইবাদতের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা মাঠের কাতার সোজা করার কাজ করছি। আল্লাহকে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে আমরা এই কাজ করছি।

ময়দানের জিম্মায় থাকা সিহাব উদ্দিন জানান, আমি মূল মঞ্চের দায়িত্বে আছি। আমার সঙ্গে থাকা সাথীরা মাঠের বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করছেন। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই কাজ করছি।

বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা ময়দানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় এনে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নজরদারি করা হবে। মুসল্লিদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।

অন্যদিকে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইজতেমা আয়োজন করতে পারেন বলে জানা গেছে।

তাদের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের ইজতেমা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করার একটি বার্তা পেয়েছি। বিষয়টি আমরা যাচাই করছি।

ধর্মীয় এই বিশাল সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যকার বিভাজন মিটিয়ে সমঝোতা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।


আরও খবর

প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ আর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সেনাপ্রধান ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) মারা গেছেন।

রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কে এম শফিউল্লাহর সহকারী জিয়াউল হাসান মনির।

নব্বই-ঊর্ধ্ব সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন তার চলাফেরা চলে স্ট্রেচারে।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের দাবিতে (কুকসু) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে পদার্থবিজ্ঞান ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের  আরাফ ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আটটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, গণতন্ত্রের চর্চা, সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখা, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতার বিকাশ, ক্যাম্পাসের শান্তি বজায় রাখা, লেজুড়বৃত্তিক ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে মুক্তি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা।

কুবির ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ফার্মেসী বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, 'ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে এসে রাজনীতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে তৈরী হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির নামে অপরাজনীতি বন্ধ হবে। আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ চালু করবে এবং শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র প্রতিনিধি তৈরীর একটা সুযোগ সৃষ্টি করবে।'

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইকবাল বলেন, 'আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি, যা আমাদের জন্য লজ্জার। এখনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো একটি যৌক্তিক দাবি আসলে তা প্রশাসনের সাথে এটা উপস্থপনা করার জন্য ওইভাবে কোনো ছাত্রসংগঠন নেই। আমরা এই সমস্যার দ্রুত অবসান চাই। আমরা চাই এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন (কুকসু) হউক যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক যে কোনো দাবি তুলে ধরতে আর কোনো সমস্যা না  হয় এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব বিকাশ এবং সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।'

কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমার এখন কোনো মন্তব্য নেই। আলোচনা করে পরে জানানো হবে। 


আরও খবর

পদোন্নতি পেলেন মাভাবিপ্রবির ২৩ শিক্ষক

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫