Logo
শিরোনাম

মণিপুরের তিন জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্যটির তিনটি জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়েছে। এর আগে কারফিউ শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হলেও মঙ্গলবার সেই আদেশ বাতিল করে ফের কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব ইম্ফল পশ্চিম জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩-এর ১৬৩ ধারার অধীনে কারফিউ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে লাইভ মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব এবং থাউবাল জেলায় বেলা ১১টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এই আদেশ অনুযায়ী, বাসিন্দাদের তাদের বাসস্থানের বাইরে চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বেলা ১১টা থেকে তা আবার কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু জরুরি পরিষেবার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, বিদ্যুৎ পানীয় জল পরিষেবার কর্মী, প্রেস ইলেকট্রনিক মিডিয়া, এবং আদালতের কর্মচারীরা অন্তর্ভুক্ত।

এদিকে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইম্ফল এবং থাউবাল জেলায় কারফিউয়ের আদেশ জারি করার এটি অন্যতম কারণ। বিক্ষোভের মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার গুলিবিদ্ধ হওয়ায় থাউবালেও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে।


আরও খবর



৫ মিনিটও সময় পাবেন না, সরকারকে চরমোনাই পীর

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকার ৫ মিনিটও সময় পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে চরমোনাই পীর বলেন, আপনারা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে নারীনীতিকে বাহবা দিচ্ছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা কিন্তু এমনিতেই জনগণের ভোটের সরকার নন। আপনারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছেন না। আমরা তো সবসময় আপনাদের সহযোগিতায় ছিলাম, এখনো আছি, কিন্তু আমাদের রাস্তায় নামিয়ে আপনাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ওই ফ্যাসিস্ট এবং ঘাপটি মারা শত্রুরা যেন সুযোগ না নিতে পারে। এটা আপনাদের মাথায় রাখার অনুরোধ করেছি।

তিনি বলেন, এরপরও যদি আপনারা সামনে পা বাড়াতে চান, পরিষ্কার মেসেজ, কে জানি বলছে না যে ৫ মিনিটে আপনারা আপনাদের অবস্থান থেকে সরে যান। সেই ৫ মিনিটও সময় পাবেন না।

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর আমির। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) তো ৫ আগস্ট ভাত পাক (রান্না) করেও খেয়ে যেতে পারেনি। ওরা তো বসে নেই। আমাদের বিভিন্ন পাশে চোখ খুলে যারা নজর রাখছে তারাও তো বসে নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) হয়তো বা এই সংস্কার, নারী কমিশনের এটার মাধ্যমে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, এরপর যখন ওলামায়ে কেরাম রাস্তায় নামবে তখন হয়তো এই ঘাপটি মারা, যারা দেশের শত্রু তারা বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছে এই সুযোগে রাস্তায় নামার জন্য। এমন নীলনকশা তৈরি করতে পারে।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সমালোচনা করে চরমোনাই পীর বলেন, এই যে নারী কমিশন, আমার কাছে আশ্চর্য মনে হচ্ছে। বিগত সময়ে নাস্তিকরা যে চক্রান্ত করেছে আল্লাহর রহমতে কখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের মাধ্যমে এমন হীন চিন্তা বাস্তবায়ন করবে- কিন্তু তারা তো জানে এটার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, কখনোই এটা (নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ) বাস্তবায়ন হবে না। তারপরও তারা এই পথ বেছে নিল কারণটা কী?

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।

সেমিনারে চারটি দাবি জানায় জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। এ দাবিগুলো হলো-

১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

২. কমিশন সরকারিভাবে বাতিল করতে হবে।

৩. নতুন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দ্বিনদার, শিক্ষিত, দেশীয় চিন্তায় বিশ্বাসী নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৪. পরিবার ও নারী বিষয়ে প্রস্তাবের ভিত্তি হতে হবে কোরআন-সুন্নাহ, সংবিধান এবং সামাজিক বাস্তবতা।


আরও খবর



নিঃসন্দেহে আমরা ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নিঃসন্দেহে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত আছি। বিএনপির সঙ্গে আলোচিত বিষয়ে কিছু সামঞ্জস্য ও মতনৈক্য উভয় আছে। আশা করি, আজ আলোচনার সমাপ্তি টানতে পারবো বলে মন্তব্য করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফা বৈঠকের সূচনা বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসব বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হচ্ছে এবং তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন নতুন প্রস্তাব এসেছে, সেসব নিয়ে আমরা ঐকমত্য কমিশন নিজেদের সঙ্গে আলাপ শুরু করেছি। এখন সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যা আলোচনা হচ্ছে, তা প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা।’ দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কমিশনের সহ-সভাপতি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আজ বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে। রাষ্ট্রের বিষয় তাই তাড়াহুড়ো করে নয়, ধীরে-সুস্থে আলোচনা করছি।‘

যেসব সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হবে, তা জাতীয় জীবনে মহান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, স্প্রেডশিট নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। দফা-ওয়ারি বিস্তারিত আলোচনা করছি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন করার কথা বলা হচ্ছে। এটা সহ-বিচার বিভাগের সব স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু সব কিছু যেন আইনানুগ ও সাংবিধানিকভাবে হয়। কোনও কিছু যেন অসাংবিধানিকভাবে না হয়।


আরও খবর



মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাজধানীতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ চ্যানেলে সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে প্রকাশিত একটি ফুটেজে দেখা গেছে, হামলায় যানবাহন ও ভবনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন মানুষ শিশুর মরদেহ হাতে আর্তনাদ করছেন আর অনেককে স্ট্রেচারে বহন করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সানার শুব জেলায় ফারওয়া মহল্লার এক বাজারে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হুথিরা। ওই এলাকা আগেও মার্কিনদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিল।

সোমবার গভীররাতে ইয়েমেনের আমরান, হোদেইদা, মারিব এবং সাদা প্রদেশসহ আরও কিছু অংশে হামলা চালানো হয়।

হুথিদের বিরুদ্ধে চলমান মার্কিন অভিযানে হতাহতের এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ঘটনা এটি। হামলা বা বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এপির জিজ্ঞাসার জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড।

গত সপ্তাহে, দেশটির রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা। ফিলিস্তিনে আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক বাণিজ্য জাহাজ হুথিদের হামলার শিকার হয়েছে। ওই বাণিজ্য রুট দিয়ে বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের পণ্য পরিবহন হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের স্বঘোষিত প্রতিরোধের অক্ষ (অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স) গুড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইরান সমর্থিত হুথিদেরও নিষ্ক্রিয় করার অভিযানে নেমেছে।


আরও খবর



ভারত কাশ্মীরে নিরাপত্তা ত্রুটির কথা স্বীকার করল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভারত কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার কারণ হিসেবে নিরাপত্তাব্যবস্থায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার রুদ্ধদ্বার সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের কাছে নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করেছে। সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবার হামলায় ২৬ জন নিহতের পর পরিস্থিতি সম্বন্ধে বিরোধী দলগুলোর নেতাদের অবহিত করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার এ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃশ্যমান ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যা মেনে নেয় মোদি সরকার।

সূত্র বলছে, বৈঠকে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বিরোধীদলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি কিছুই ভুল না হয়, তাহলে আমরা এখানে বসেছি কেন? কোথাও না কোথাও ত্রুটি হয়েছেই, আর সেটাই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

সরকারের কাছে তারা জানতে চান, ‘কোথায় ছিল নিরাপত্তা বাহিনী? সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী কোথায় ছিল?’

এর জবাবে সরকারের ঊর্ধ্বতনরা বলেছেন, অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের কাছে বৈসরণ এলাকাটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার আগে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে কিছু জানায়নি। সাধারণত, জুনের অমরনাথ যাত্রা পর্যন্ত বৈসরণে যাতায়াতে বিধিনিষেধ থাকে।

ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছানোর নিয়েও বৈঠকে উদ্বেগ জানানো হয়।

প্রত্যুত্তরে সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থলটি এমন জায়গায় যেখানে পৌঁছাতে উঁচু পাহাড়ি পথে ৪৫ মিনিট হেঁটে যেতে হয়, এবং এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো প্রস্তুতিও ছিল না।

বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু সাংবাদিকদের জানান, ভারতকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালাতে হবে—এ ব্যাপারে সব দল একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই লড়াইয়ে সরকারের সঙ্গে আছে বলে জানিয়েছে সব দল। সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তাতে তারা সমর্থন দেবে বলে সব দল এবং তাদের নেতারা এক সুরে জানিয়েছেন। ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈঠকটি শেষ হয়েছে।’

লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সবাই পেহেলগামে হামলার নিন্দা জানিয়েছে। যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে বিরোধীরা।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে এ সর্বদলীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু, রাজ্যসভার নেতা জেপি নড্ডা, রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুলসহ আম আদমি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপি, শিবসেনা, এসপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শুভেচ্ছায় সিক্ত : ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

টানা চার মাস লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। চার মাস পর প্রিয় নেত্রীকে অনেকটা সুস্থ অবস্থায় কাছে পেয়ে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসটাও ছিল অন্যরকম। এজন্য বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে লাখো নেতাকর্মীর ঢল নামে। পথে পথে তারা দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত করেন।

৬ মে বেলা ১টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় পৌঁছেন বলে জানিয়েছেন প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।

কাতার আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা করেন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। মাঝখানে কাতারের রাজধানী দোহায় কিছু সময় যাত্রা বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।

পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। রাস্তার দুই পাশে লাখো নেতাকর্মীর ঢল নামে। তারা নানা স্লোগানে স্বাগত জানান দলীয় প্রধানকে। ভিড় ঠেলে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি গুলশানের বাসায় পৌঁছাতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়।

বাসভবন ফিরোজা আগে থেকেই ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা ছিল। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও। সকাল থেকেই ফিরোজা ঘিরে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। খালেদা জিয়া বাসায় ফেরার পরও সেখানে শত শত নেতাকর্মীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপাসন ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। এতে তাঁর বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হয়।


আরও খবর