Logo
শিরোনাম

মোবাইল হারালে জিডি নয়, সরাসরি মামলা করুন: ডিবিপ্রধান

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বিডি  ডিজিটাল রিপোর্ট:


মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে কিংবা চুরির পর ফিরে পেতে ভুক্তভোগী প্রথমে থানায় ডিজি করেন। তবে এ ক্ষেত্রে জিডি না করে সরাসরি চুরির মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ধর্মমন্ত্রীর চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধার সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।



হারুন অর রশীদ বলেন, অনেকে মোবাইল চুরি হলে জিডি পর্যন্ত করতে চান না। তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ মোবাইল চুরির সঙ্গে সঙ্গে একটি মামলা করবেন। 


মামলা ছাড়াও মোবাইল চুরি রোধে মোবাইলে স্ট্রং পাসওয়ার্ড এবং নামাজ ও জানাজাতে গেলে পাঞ্জাবীর পকেটে মোবাইল ফোন রাখবেন না। কেউ জানাজা বা নামাজ পড়তে যায় চোরেরা তখন সুযোগ পেয়ে মোবাইল নিয়ে যায়।


এছাড়া অনুমোদিত বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনো স্থান বা ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ফোন ক্রয় না করা, পুরোনো মোবাইল ফোন না কেনা, চিকিৎসা করার টাকা নাই তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোবাইল বিক্রি করতে চাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল না কেনা এবং মোবাইলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত রশিদ ছাড়া মোবাইল ফোন ক্রয় করবে না। 


চোরাই মোবাইল ফোন কেনা-বেচা দুটোই অপরাধ। চোরাই মোবাইল ফোন যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



জুমার দিন ও জুমার নামাজের কিছু সুন্নত ও আদব.

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

১) জুম’আর দিন গোসল করা। 

(বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ ও চুল কাটা একটি ভাল কাজ।

২) জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)

৩) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)

৪) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)

৫) উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)

৬) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)

৭) মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)


৮) আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫০)


৯) পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৫)


১০) জুম’আর দিন ফজরের নামাজে ১ম রাক’আতে সূরা সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য় রাকা’আতে সূরা ইনসান(দাহর)(সূরা নং-৭৬) পড়া। (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)


১১) সূরা জুম’আ ও সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুম’আর সালাত আদায় করা। অথবা সূরা আলা ও সূরা গাশিয়া দিয়ে জুম’আ আদায় করা। (মুসলিমঃ৮৭৭, ৮৭৮)


১২) জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। (আবু দাউদঃ ১০৪৭)


১৩) এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। (বুখারীঃ ৯৩৫)


১৪) মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)


১৫) মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)


১৬) কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)


১৭) মসজিদে গিয়ে ফরজের আগে চার রাকাত কাবলাল জুমা আদায় করা।(আল মুজামুল কাবির, হাদিস : ১২৬৭৪) (আল মুজামুলআওসাত,

হাদিস: ১৬১৭) 


১৮) জুম’আর দিন জুম’আর পূর্বে মসজিদে জিকির বা কোন শিক্ষামূলক হালাকা না করা। অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (আবু দাউদঃ ১০৮৯)


১৯) কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা তাকে থামার জন্য ইশারা করা। (নাসায়ীঃ ৭১৪, বুখারীঃ ৯৩৪)


২০) মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)


২১) ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা বদল করে বসা। (আবু দাউদঃ ১১১৯)


২২) ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)


২৩) খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হলেও ইমাম থেকে দূরে উপবেশনকারীরা বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদঃ ১১০৮)


২৪) জুম’আর দিন সূরা কাহফ পড়া। এতে পাঠকের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন। (হাকেমঃ ২/৩৬৮, বায়হাকীঃ ৩/২৪৯)


২৫) জুম’আর আযান দেওয়া। অর্থাৎ ইমাম মিম্বরে বসার পর যে আযান দেওয়া হয় তা।(বুখারীঃ ৯১২)


২৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখারীঃ ১৮২, মুসলিমঃ ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)


২৭) উযর ছাড়া একই গ্রাম ও মহল্লায় একাধিক জুম’আ চালু না করা। আর উযর হল এলাকাটি খুব বড় হওয়া,বা প্রচুর জনবসতি থাকা,বা মসজিদ দূরে হওয়া, বা মসজিদে জায়গা না পাওয়া,বা কোন ফিতনা ফাসাদের ভয় থাকা। (মুগনি লিবনি কুদামাঃ ৩/২১২, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহঃ ২৪/২০৮)


২৮) ওজু ভেঙ্গে গেলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া। অতঃপর আবার ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করা। (আবু দাউদঃ ১১১৪)


২৯) একান্ত উযর না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা। (হাকেমঃ ১/১২৮)


৩০) সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা,যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা (আবু দাউদঃ৮৬২)। অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।


৩১) কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা। (বুখারীঃ৫১০)


৩২) এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া,যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদঃ ১৩৩২)


৩৩) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত অন্তরে জাগরূক রাখা।

৩৪) হাঁটার আদব মেনে মসজিদে গমন করা।

৩৫) খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। (বুখারীঃ ১০২৯, মুসলিমঃ ৮৯৭)


৩৬) হানাফী আলেমগন বলেছেন যে,ভিড় প্রচণ্ড হলে সামনের মুসুল্লীর পিঠের উপর সিজদা দেওয়া জায়েজ (আহমাদঃ১/৩২)। দরকার হলে পায়ের উপর ও দিতে পারে (আর রাউদুল মুরবী)


৩৭) যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা। (মুসলিমঃ ৭১০, বুখারীঃ ৮৪৮)

৩৮) ইমাম সাহেব মিম্বরে এসে হাজির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা- ইস্তিগফার ও কুরআন তিলাওয়াতে রত থাকা।


আরও খবর

২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫




৭০ বছরের বৃদ্ধ মিন্টু মৃধার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা, বাদী রিমি কারাগারে

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর নলছিটি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলো একই উপজেলার মো. জাকির হোসেনের মেয়ে এবং মো. মামুন হাওলাদার (সি.এন.এন মামুন) এর স্ত্রী।


এজাহারে বাদি লিখেছিলেন, 'আমার স্বামী মামুনের সাথে দাম্পত্য কলহের সমস্যা সমাধান এবং একটি কাজের আশায় বেশ কয়েকবার মিন্টু মৃধার কাছে যাই। এ থেকেই তার সাথে আমার সু-সাথে সম্পর্ক গড়েওঠে। গত ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর সকালে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ধর্ষন করেন।'


এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধাকে বেশ কিছুদিন থাকতে হয়েছে কারাগারে। এক পর্যায়ে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্ত হয় বৃদ্ধ মিন্টু মৃধা।


মামলায় বর্ণিত ধর্ষণের ঘটনার সময় মিন্টু মৃধা ঝালকাঠি আদালতে ও বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত কাজে ছিলেন। যা বিভিন্ন দপ্তরের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে প্রমানিত হয়। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষায়  ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। 


দুই বছরের অধিক সময় পুলিশি তদন্ত শেষে মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নলছিটি থানার থেকে আদালতে চুরান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এস আই আমিনুল।


বুধবার ৯ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের নোটিশে ঝালকাঠি আদালতে হাজির হলে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে মামলার বাদী সুমাইয়া আক্তার রিমিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।


নলছিটি এলাকার গনমাধম কর্মী তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, 'কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাচ্চুর অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিন্টু মৃধা প্রতিবাদ করায় তাকে শায়েস্তা করতে রিমিকে দিয়ে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো। এঘটনা সাজাতে রিমিকে ৫ লাখ টাকাও দিয়েছিলো সাবেক এই চেয়ারম্যান।


আরও খবর



নওগাঁয় মামাকে হত্যা মামলায় ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মামাকে হত্যা করায় মোঃ বাবুল রহমান নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ রায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বুধবার ৯ এপ্রিল দুপুরে তার উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন জেলা দায়রা জজ মোঃ রোকনুজ্জামান। মামলাটি রাস্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মোঃ রফিকুল আলম ও আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মোঃ আব্দুল লতিফ।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাবুল রহমান নওগাঁ জেলার সাপাহার থানাধীন খেড়ন্দা গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবলু রহমান পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তার বাবা-মাকে মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন। ঐ ঘটনায় তার মা হালিমা খাতুন গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে শিরন্টি ইউনিয়ন পরিষদে ছেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর বার বার নোটিশ করেও সে ইউনিয়ন পরিষদের শালিসে উপস্থিত না হওয়ায় ও তার অত্যাচার মা সহ্য করতে না পেরে শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং তাকে শাসন করার জন্য গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে তার ভাই ফয়েজ উদ্দিনকে তার বাড়ীতে আসতে বলেন। এরপর তার বাবাসহ তার ফুফাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আসাদুল ইসলামকে নিয়ে গত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মে বিকাল অনুমান ৪ টায় তার ফুপুর বাড়ীতে যায়। এসময় বাদীর ফুফু-ফুফা (আসামীর পিতা-মাতা) এবং অন্যরা আপোষ মিমাংসার আলোচনা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে তার শয়ন ঘর হতে একটি লোহার রড নিয়ে এসে ফয়েজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষীদের সামনে রড দিয়ে মাথায় স্ব-জোরে আঘাত করে। সেই আঘাতের ফলে বাদীর বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। সে সময় তারা ভিকটিমকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে গত ২৫ মে সন্ধ্যা সোয়া ৬ সময় সময় রাজশাহীর সিডিএম হসপিটালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মে রাত সারে ১২ টার সময় সে মৃত্যু বরণ করেন। 

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর আবু জাহিদ মোঃ রফিকুল আলম বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে পেনাল কোর্ট এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় উল্লেখিত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে আসামী পক্ষের আইনজীবী মোঃ আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বললেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বানীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীর শুরুতে তারেক রহমান সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে নবীন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। হাজার বছরের সংগ্রাম মূখর এ জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তারেক রহমান বলেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আনন্দোজ্জল মূহুর্তের মধ্যে প্রথমেই যে কথা মনে পড়ে, তাহলো এ দেশের অগণিত দেশপ্রেমিক শহীদের আত্মদান; আমি এ মহান দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। যাদের অবিস্মরণীয় আত্মদানে অর্জিত হয়েছে দেশমাতৃকার মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সব জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যাদের জীবন মরণ লড়াইয়ে ৯ মাসে আমরা বিজয় লাভ করেছি সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা জাতি কখনোই বিস্মৃত হবে না।

আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। স্বাধিকার আর স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মানচিত্র। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় সেই মূহুর্তে দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন, মানবিক সাম্যের উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত এখনও থেমে নেই।

বারবার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের ধারা সূচিত হলেও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে স্থায়ী ও মজবুত গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে পলাতক অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আজও তাই এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সংহত করা। এটিই হচ্ছে স্বাধীনতার মূল চেতনা।

তারেক রহমান বাণীতে আরও বলেন, আজকের এই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি আহবান জানাচ্ছি-জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার জন্য। আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।


আরও খবর



সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে যেকোনো প্রজাতির মাছ আহরণের ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। এ সময় জেলেদের মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল দেবে সরকার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১) এর দফা (ক)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সমুদ্রে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মৎস্য বিভাগের টাস্কফোর্স তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভোলা জেলায় সমুদ্রগামী জেলেদের সংখ্যা মোট ৬৫ হাজার। এসব জেলে ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময় তাদের জন্য মাথাপিছু ৭৮ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর