
এবার ভাটা পড়ল নরেন্দ্র মোদির একক আধিপত্যে। লোকসভা নির্বাচনে
জিতেও তিনি নিজের মতো করে দেশ শাসন করতে পারবেন না। পরপর দুবার দেশ শাসনে যে দাপট
দেখিয়েছিলেন এবার আর সেটা সম্ভব হবে না। উঁচু গলা কিছুটা হলেও নিচু করতে হবে
তাকে।
কেননা এবার জোট সরকার
গঠন করতে হবে মোদিকে। মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি নিজেদেরকে নতুন ভারতের
প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করে আসছে। এমনকি কংগ্রেসকে ইঙ্গিত করে তারা বলছে তাদের হাতে
বর্তমান ভারত নাকি স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিমুক্ত। যদিও মোদী শাসনের বিপরীতে আছে
ফ্যাসিবাদ, বেকারত্ব সমস্যা, হিন্দুত্ববাদী নীতি ও মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব সহ আরো
অনেক অনেক অভিযোগ।
এবার নির্বাচনে বুথফেরত জরিপেও আশাহত হয়েছিলেন বিজেপি। কেননা ফলাফলে মোদির
হ্যাটট্রিক জয়ের কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ২৪০ টি আসন। যদিও এবারের
নির্বাচনে এটি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন কিন্তু এককভাবে সরকার গঠনের জন্য দরকার ছিল ২৭২ টি
আসন। যেটি কোন দলই পায়নি। আর এ কারণেই জোট শরীকদের কাঁধে ভর করা ছাড়া এখন
বিজেপির হাতে আর কোন উপায় নেই।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সাথে জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরিক হিসেবে
থাকবে অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি এবং বিহারের নীতিশ কুমারের দল
জেডিইউ। এছাড়াও, লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) ও একনাথে শিন্ধের শিবসেনাসহ এমডিএ
দলের ছোট ছোট দশটি শরিক দল রয়েছে।
ফলাফল প্রকাশের পর শরীকদের সাথে সরকার গঠনের জন্য মোদি সবরকম তোরজোর চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলগুলোতে আলোচনা চলছে- এককভাবে দেশ শাসন করা মোদি এখন শরিকদের
কাঁধে ভর করে দেশ শাসন করতে পারবেন কিনা!
কারন, শরিকদের সাথে
জোট সরকার গঠন করলে মোদীর সামনে থাকবে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ। এর আগে, পরপর দুবার
বিজেপির নেতৃত্বাধীন মোদি তার শাসনামলে নিজের সাম্প্রদায়িক উগ্র হিন্দুত্ববাদী
চিন্তাধারা সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে
পড়তে হয় তাকে। আর এখন সেই মোদিকেই কোন সিদ্ধান্তের জন্য নির্ভর করতে হবে জোট
সরকারের ওপর। যা মোদির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।