Logo
শিরোনাম

মোহামেডান আবাহনীর খেলা ৩-৩ গোলে ড্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক , কুমিল্লা।

 কুমিল্লায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লীগের ৮ মে রবিারের ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও চট্টগ্রাম আবাহনী ৩/৩ গোলে ড্র করেছে।

 কুমিল্লা স্টেডিয়ামে ৮৩ তম ম্যাচে ড্র করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও চট্টগ্রাম আবাহনী। রোববার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত হন হাজার খানিক দর্শক।

 চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচটি হয়ে উঠে উপভোগ্য। আক্রমন আর পাল্টা আক্রমনে দুই দলই মাতিয়ে রাখে দর্শক গ্যালারী। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে মাহামেডান-আবাহনী। মোহামেডানের হয়ে হ্যাট্টিক করেছেন সোলেমান দিয়াবেতে। 

ম্যাচের ২ মিনিটে প্রথম ও ৬৮ তম মিনিটে দ্বিতীয় ও ৯০+৫' মিনিটে হ্যাট্টিক পূর্ণ করেন দিয়াবেতে। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে গোল করেন ১৩ তম মিনিটে শাখাওয়াত রনি ও ২৬তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রনি। আবাহনীর হয়ে ৫৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোলটি করেন পিটার থ্যাঙ্কগড।

 তবে খেলার শেষ সময়ে খেলোয়ারড়া বাকবিতন্ডা আর একে অন্যে দিকে খেলার আক্রমন চলে খেলা শেষেও। এর মাঝেই মাঠ ছাড়েন খেলোয়াড়রা।


আরও খবর



কেনা হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞ শুরু হলো নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বেজে উঠল নির্বাচনী দামামা। এবারই প্রথম সরঞ্জাম কেনায় অনুসরণ করা হলো ডিজিটাল পদ্ধতি। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পদ্ধতিতে উন্মুক্ত করা হলো দরপত্র। আগ্রহীদের ইসির সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টেন্ডার সাবমিট করতে হবে। এ তথ্য ইসির হাই অফিসিয়াল সূত্রের।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে আলোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবার সংসদ নির্বাচন হবে না। তিনশ সংসদীয় আসনে ভোট হবে কাগজে মুদ্রিত ব্যালট পেপারে। ইতোমধ্যে কমিশন সরকারি প্রতিষ্ঠান বিজি প্রেসকে কাগজ কিনে ব্যালট ছাপার নির্দেশনা দিয়েছে। আসনওয়ারি ভোটার অনুপাতে ব্যালট ছাপা হবে।

এসব কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে যে গুজব ও ধূম্রজাল তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটল। এছাড়া আগাম নির্বাচন করারও যে গুঞ্জন ছিল তা-ও দূর হলো। কারণ আগামী নির্বাচন করতে হলে সংসদ ভেঙে নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। দেশে সে ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি নেই। ফলে আগামী নির্বাচনের ইস্যুটিও নিছক গুজবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকল।

এদিকে, নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটায় এবার কমানো হয়েছে সময়ও। আগে সরঞ্জাম কেনায় আড়াই মাস অর্থাৎ ৭৫ দিন নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করা হলেও এবার পনেরো দিন কমিয়ে ৬০ দিন করা হয়েছে। আর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নয়, এবার অর্ধ-স্বচ্ছ অর্থাৎ ট্রান্স-লুসেন ব্যালট বাক্স কেনা হচ্ছে। আগে কেনা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা না হওয়ায় সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। অর্ধ-স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটার ভোট দিলেও কোন প্রতীকে ভোট পড়েছে তা বাইরে থেকে দেখে বোঝা যাবে না বলে ধারণা করছে কমিশন। মূলত সরঞ্জাম কেনায় দীর্ঘসূত্রতা কমানো, নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহে দরদাতাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং স্বচ্ছতার নিমিত্তে এই পথে পা বাড়ালো ইসি।

এদিকে, আসন্ন বাজেটে নির্বাচন উপলক্ষে বড় বাজেট ধরা হয়েছে এবার। সরঞ্জাম কেনাকাটায় ব্যয় নির্ধারিত না হলেও দরপত্রের চাহিদার আলোকে ব্যয় নির্বাহ হবে। কারণ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরাদ্দ ধরা খাতওয়ারি হিসাব থেকে এই ব্যয় মেটানো হবে। জানতে চাইলে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে ব্যবহৃত মালামাল কেনায় ই-জিপি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এর আগে কখনো এ পদ্ধতি অনুসরণ হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) আমরা দরপত্র উন্মুক্ত করেছি। এবার ১০ ধরনের সামগ্রী কেনা হবে। ব্যয় নির্বাহ হবে আগামী বাজেটে বরাদ্দ থেকে।

প্রেষণে ইসিতে কর্মরত প্রশাসন সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা ট্রান্স-লুসেন ব্যালট বাক্স কিনছি। আমাদের হাতে জমা প্রায় পৌনে দুই লাখ বাক্স রয়েছে। এগুলো সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত। তারপরেও দেশীয় দুটি কোম্পানি বেঙ্গলআরএফএলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। তাদের নমুনাও সরবরাহ করা হয়েছে। এগুলো আমদানি করা হতো বেলজিয়াম এবং অন্য একটি দেশ থেকে। আর ব্যালট পেপার ছাপার জন্য বিজি প্রেসকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ সরবরাহ করবে সেটা তাদের বিষয়। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যালট পেপার যথাসময়ে পাওয়াটা জরুরি।

ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রাপ্ত সূত্রমতে, নির্বাচনের যে দশ ধরনের সামগ্রী কেনা হবে তার মধ্যে প্রতিটি ব্যালট বাক্সের জন্য পাঁচটি করে মোট ১৫ লাখ ব্যালট বাক্সের লক, ২০ হাজার কেজি গালা, ৫০ হাজারের মতো চটের বস্তা, ৪ লাখ স্ট্যাম্প প্যাড, ৮ লাখের মতো অমোচনীয় কালির কলম, ৪০ হাজারের মতো ঘানি ব্যাগ, এক লাখের মতো ব্রাশ সিল, সম-পরিমাণ অফিসিয়াল সিল এবং ৭ লাখের মতো মার্কিন সিল কেনার জন্য ই- টেন্ডার আহ্বান করা হয়।

একই দরপত্রে বড় পরিসরের দুটি (জাতীয় সংসদ ও উপজেলা) নির্বাচনের সামগ্রীও কেনা হবে। কারণ সংসদ নির্বাচনের পর মাত্র ছয় মাসের মধ্যে হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আলাদা দরপত্রের ঝামেলা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুটি নির্বাচনের জন্য দশ ধরনের সামগ্রী কেনা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ব্যালট বাক্সের লক (তালা), গালা, চটের বস্তা, স্ট্যাম্প প্যাড, অমোচনীয় কালির কলম, ঘানি ব্যাগ, ব্রাশ সিল, অফিসিয়াল সিল ও মার্কিং সিল।

ইসির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিজি প্রেসকে ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য ব্যালট মুদ্রণের নির্দেশনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আলোচিত ইভিএম পর্ব শেষ হয়েছে। কারণ ইভিএমে নির্বাচন না করার ঘোষণার মধ্যেই থাকল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।


আরও খবর



শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। শেখ হাসিনাকে নিজের রোল মডেল বা অনেক বড় অনুপ্রেরণা মন্তব্য করে তিনি জানান, তার স্ত্রী এবং দুই কন্যাও শেখ হাসিনার ভক্ত।

লন্ডনের পলমলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ৩৫ মিনিট ধরে চলা বৈঠকে দুই নেতা দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবারের কর্মসূচি শেষে তার সফর নিয়ে ব্রিফ করেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। তিনি জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে ঋষি সুনাক বলেছেন, আপনি (শেখ হাসিনা) আমাদের জন্য বিশাল বড় অনুপ্রেরণা। কথাটি বেশ কয়েকবার উচ্চারণ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সাইদা মুনা আরও বলেন, ঋষি সুনাক বলেছেন, তার দুটো ছোট মেয়ে আছে। তারা ও তার স্ত্রী সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত। সুনাক চান তার মেয়েরা যেন শেখ হাসিনার মতো নেতা হন।

বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জোর দেন বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। বাংলাদেশের জন্য যেকোনো সহায়তায় ব্রিটেন সবসময়ই প্রস্তুত বলেও জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের সোলার হোম সিস্টেম ব্রিটেনে চালু করতেও ঋষি সুনাক আগ্রহী বলে জানান তিনি।

এছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা। ঋষি সুনাক বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ দুঃসাহসিক কাজ করেছে।

বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ঋষি সুনককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনি অল্প বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তরুণদের নেতৃত্বে দেখে আমার ভালো লাগছে।

সূত্র: বাসস


আরও খবর



ভালো ঘুম না হলে করণীয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

কখনো কখনো মনে হতে পারে ঘুমানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ঘুম হচ্ছে না। এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে।

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক খবরে বলা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ফলে মস্তিষ্কে উঁকি মারতে পারি আমরা। মাথার খুলির ওপর ইলেকট্রোড মস্তিষ্কের তরঙ্গ নথিভুক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে পেশির টান, নড়াচড়া ও নিশ্বাস-প্রশ্বাসও রেকর্ড করা হয়।

একজন মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার প্রতি ১০০ মিনিট পরপর শুরুতে কম গভীর, এরপর গভীর এবং শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের ঘুমে আচ্ছন্ন হয়। প্রতি একরাতে এ রকম চক্রের কয়েকবার পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে।

ঘুম বিজ্ঞানী আলিনে লিপ্স বলেন, ভালো ঘুম ও খারাপ ঘুমের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারার জন্য শেষে এক হিপনোগ্রাম বিশ্লেষণ করা হয়। এতে গুমের ধরণ সম্পর্কে জানা যায়। রাতে ঘুমের পর্যায়ের ধরনও শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে রাতে গভীর ঘুমের পর্যায় কতটুকু যথেষ্ট ছিল, সেটি স্পষ্ট বোঝা যায়। হালকা ঘুমের জন্য শরীর চাঙা হয়ে না উঠলে, এর কারণ সম্পর্কেও জানা যায়। আর রাতে যদি ভালো ঘুম না হয় তাহলে দিনে এর প্রভাব পড়ে।

কোলবালিশ: অধিকাংশ মানুষ পাশ ফিরে ঘুমাতে পছন্দ করেন। এ কারণে দুই হাঁটুতে ঘষা লাগে এবং পশ্চাৎদেশ কাত হয়ে থাকে। ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা দুই হাঁটুর মাঝে ছোট একটি বালিশ কিংবা কোল বালিশ রাখতে বলে থাকেন। এতে পশ্চাৎদেশের অবস্থান ঠিক থাকে এবং হাঁটুতে ঘষা লাগে না।

তোশকের অবস্থান পরিবর্তন করা: ভালো ঘুমের জন্য তোশকের অবস্থান ঠিক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে ঘুমানোর সময় তিন আঙুল পরিমাণ ব্যবধান থাকলে সেটি আরামদায়ক হয় না। এ কারণে প্রতি ছয় মাসে একবার করে তোশক উল্টানো উচিত। আবার ঘাড়ে বা শরীরে যদি কখনো ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে তোশক উল্টিয়ে দেয়া ভালো।

আকস্মিক শব্দ: রাতে ঘুমানোর সময় কিছু শব্দ ঘুমে বাধা হতে পারে। যেমন হঠাৎ রেলগাড়ি বা উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজানোর কিছু শব্দ। যদি এ শব্দ প্রতিদিন একই সময়ে হয়, তাহলে অনেকে অভ্যস্ত হয়ে যান এর সঙ্গে। হঠাৎ বিড়াল বা কুকুর ডেকে উঠলেও ঘুম ভেঙে যায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড চালানো। যাতে করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়।

বাতি বন্ধ করা: রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের বাতি বন্ধ করা একটি জরুরি বিষয়। ঘুমের জন্য মেলাটোনিন হরমোনের প্রয়োজন হয়। তাই ঘুমানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বাতি নিভিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি বন্ধ রাখা উচিত।

অতিরিক্ত খাওয়া: গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত খাওয়ার পরে কখনোই ভালো ঘুম হয় না। কারণ, অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পাকস্থলী এতটাই ভরা থাকে যে, মস্তিষ্ক তখন দুঃস্বপ্নের জন্ম দিয়ে থাকে।


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




পানগুছি নদীর ভাঙনের মুখে ৬শ’ পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ,বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর অব্যাহত ভাঙনের মুখে ৬শ’ পরিবার। প্রতিনিয়ত শত শত বিঘা ফসলী জমি, বসত বাড়ি গাছপালা, রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। বন্যা, জলোচ্ছাস এলেই আতংকে থাকতে হয় নদীর তীববর্তী বাসিন্দাদের। সন্ন্যাসী হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার স্থায়ী ভেড়িবাঁধের দাবি স্থানীয়দের।  

সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নদীর তীরবর্তী ৮টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। প্রতিদিনই ভাঙ্গছে নতুন নতুন এলাকা।  

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা, কাঠালতলা নদীর তীরবর্তী এ দুটি গ্রামে এক সময়ে ৩/৪ হাজার পরিবার বসবাস ছিলো। বর্তমানে সেখানে দাড়িয়েছে ৬শ’ পরিবারের। তাও আবার ভাঙ্গনের মুখে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে গত ৪০ বছরে বিলীন হয়েছে এ এলাকার ৩শ’ একর ফসলি জমি। শত শত পরিবারের বসতবাড়ি, গাছপালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক স্থাপনা প্রতিবছর হারিয়েছে যাচ্ছে। অব্যাহত এ ভাঙন থেমে নেই।  

গাবতলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, এ গ্রামের অনেকেই নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র চলে গেছে।  

জেলে পল্লীর বাসিন্দা সেলিম তালুকদার, গফফার তালুকদার, শহিদ বেপারী বলেন, ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি ভেড়িবাঁধ হবে। এ পর্যন্ত ৩/৪ বার বসতবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। আবার নতুন করে গড়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। বাপ দাদার অনেক জমি ছিলো, এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। নদীতে মাছ ধরে তা বিক্রি করে পরিবারের সকলকে নিয়ে দু’মুটো খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি। ঘূর্ণিঝড় বন্যা এলেই আতংকে থাকতে হয় আমাদের। কবে হবে স্থায়ী ভেড়িবাধ?।

অপরদিকে কাঠালতলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ১১টি পরিবারের নেই কোন যাতায়েতের রাস্তা। কথা হয়, আশ্রয়নের বাসিন্দা সাফিয়া বেগম, মাহিনুর, নূরজাহান, চম্বা বেগমসহ একাধিক বাসিন্দারা বলেন, সরকারিভাবে ৪ মাস হয়েছে ঘর পেয়েছি। এখান থেকে যাতায়েতের কোন রাস্তা নেই। বন্যা হলে পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘরেই থাকতে হবে আাদের। মাটির রাস্তার কাজ শুরু করেও মাঝপথে তাও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।  

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, এ উপজেলার সন্যাসী হয়ে ঘষিয়াখালী পর্যন্ত স্থায়ী ভেড়িবাঁধের জন্য ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য’র মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। কাজটির অগ্রগতিও রয়েছে। সকল আশ্রয়ন প্রকল্পের যোগাযোগ ব্যবস্থা রাস্তা নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পরিকল্পনা রয়েছে। 


আরও খবর



গ্যাসলাইন বিস্ফোরণ

গেন্ডারিয়ায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মিম আক্তার (২২) ও নাতি আলিফ (২)।

সোমবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধ আব্দুর রহিমের ছেলে আল-আমিন বলেন, আমাদের বাসা ও দোকান ধূপখোলা বাজারে। বাসার সঙ্গে ওই দোকানে গ্যাসলাইন মেরামতের সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। এতে আমার বাবা-বোনসহ তিনজন দগ্ধ হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, ধূপখোলা বাজার থেকে তিনজন দগ্ধ হয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে দুই বছরের এক শিশু রয়েছে। আব্দুর রহিমের শরীরের ৩০ শতাংশ, মিমের ২০ শতাংশ ও শিশুটি সামান্য দগ্ধ হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শন) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধ তিনজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 


আরও খবর