Logo
শিরোনাম

মোংলায় কবর থেকে উঠানো হলো মাহে আলম’র মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক:

অবশেষে বহুল আলোচিত মোংলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।২০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় মোংলার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে ৭ মাস ১০ দিন পরে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হবে।  গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে মরদেহটি সমাহিত হয়েছিলো। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৮ নভেম্বর বুধবার এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ্ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোংলা মোঃ হাবিবুর রহমান’র উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোন করা হবে। লাশ উত্তোলনকালে আরো উপস্থিত থাকবেন মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপংকর দাশ, মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্ম সামসুদ্দীন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমূখ। লাশটি উত্তোলন পূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছেন বাগেরহাটের আমলী আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,  হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের কাছে অজ্ঞাতনামা লাশটি হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে  নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ’গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ”ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৭ মাস ১০ দিন পরে আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় লাশটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন আদালত এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ ৭ মাস ১০ দিন পরে বাবার মরহে পেতে যাচ্ছি। সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি ও অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য’র সাথে জড়িত একটি মহল আমার বাবার খুন এবং লাশ গুম এর সাথে জড়িত বলে ধারনা করছি। আশা করছি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন।


আরও খবর



শর্তহীন সংলাপের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে তিনটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মধ্যে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে দেশের এই প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সবাইকে শর্তহীনভাবে সংলাপে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাই। যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিষয়টি মনে করিয়ে বলা হয়, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত মার্কিন ভিসানীতি (থ্রিসি) কার্যকর হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়ে পাঠানো এ চিঠি দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এরই অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের হাতে ওই চিঠি হস্তান্তর করেন তিনি। তবে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখার উদ্যোগে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ ০৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১ ঘটিকায়  মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের হরতাল, অবরোধ, সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তারুণ্যের অগ্রযাত্রা রোধ, শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি ৩য় একাডেমিক ভবন থেকে সন্তোষ বাজার প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবিরসহ  অনান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাভাবিপ্রবি শাখার সভাপতি মানিক শীল বলেন, "ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, বোমা ফুটবেই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেই খারাপ পরিস্থিতি থেকে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে  ছাত্রসমাজকে  অস্ত্রের পরিবর্তে কলম তুলে দিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পেয়েছি। আজকে যেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গবেষণা উদ্ভাবন প্রযুক্তিতে এগিয়ে, দেশ যখন বিশ্বে উন্নয়নে রোল মডেল ঠিক তখনই বিএনপি জামাত শিবির হরতাল অবরোধ দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। আমরা ছাত্রলীগ সারা বাংলার ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে তাদের কে দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে রাজপথে প্রস্তুত রয়েছি ৷"

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাভাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির বলেন,  " বাংলাদেশের জনগণ স্মার্ট রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, তারা কোন প্রকার স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়াতে চায় না, বাংলার জনগণ বিএনপি জামায়াতের মতো জ্বালও পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাসী কোন সন্ত্রাসী দলের উপর আস্থা রাখে না। এদেশের সাধারণ মানুষ বিএনপি জামায়াতয়ের দেয়া অবরোধ প্রত্যাখ্যান  করে স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লাখো নেতা কর্মী বরাবরের মতো সাধারণ মানুষের পাশে আছে এবং বিএনপি জামায়াতের সকল নৈরাজ্যকে রুখে দিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় সোচ্চার আছে, থাকবে।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




স্বতন্ত্র ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ১৭ ডিসেম্বরের পর

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন :আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। 

আগামী ১৭ ডিসেম্বরের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

 আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদারীপুরে নিজ বাড়িতে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। 

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এবারের নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে এবার ২৯টি দলের দুই হাজারের বেশি প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। 

তবে বিএনপি না আসায় কিছুই করার নেই। কিন্তু নির্বাচনে বিএনপির অনেক প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। অনেক হেবিওয়েট প্রার্থী নৌকা নিয়েও নির্বাচন করছেন। এতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ থাকবে না।

এ সময় আরও ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খালিস হোসেন ইয়াদ প্রমুখ।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াও পাওয়া যাবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মঙ্গলবার থেকে রাজধানীতে ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকের মাধ্যমে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেছেন, আগামীকাল থেকে রাজধানীতে ২৫ থেকে ৩০টি ট্রাকে মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু ও পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। একেকজন ২ কেজি মশুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি আলু ও ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। প্রতিটি ট্রাক থেকে প্রায় ৩০০ জনকে এ পণ্য দেওয়া হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে এ পণ্য বিক্রি হবে। এর ফলে নতুন করে ৯ হাজার পরিবার এ সুবিধায় যুক্ত হবে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসব কথা জানান সচিব।

তিনি আরো জানান, ট্রাকে প্রতি কেজি মুশুর ডাল ৬০ টাকা, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। চিনি পাওয়া গেলে দেওয়া হবে। আপাতত চিনি দেওয়া হবে না। আমরা সব কর্মদিবসে কার্যক্রম চলমান রাখব। শুক্র-শনিবার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




বকশীগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছেন দলিল লেখকরা। গত রোববার থেকে তারা এই কর্মসূচী পালন করছেন। সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন দলিল লেখকরা। সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মুখোমুখি অবস্থানের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির দাতা গ্রহীতারা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া জানান,চলতি বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন।  যোগদানের পর দলিল লেখকদের সাথে বৈঠক করেন সাব-রেজিস্ট্রার। বৈঠকে সাব-রেজিস্ট্রার দলিল লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা আমাকে সহযোগীতা করবেন,আমি আপনাদের সহযোগীতা করবো। দলিল প্রতি বাড়তি সাড়ে ৫ হাজার টাকা চান তিনি। বাড়তি টাকা না দিলে একটা দলিলও পাশ হবে না। তাৎক্ষনিক দলিল লেখকরা বাড়তি টাকার বিষয়ে আপত্তি জানালে সনদ বাতিলের হুমকিও দেন সাব-রেজিস্ট্রার। সনদ হারানোর ভয়ে দলিল লেখকরা আর কিছু বলার সাহস করেনি। ফলে বাড়তি টাকা দিয়েই দলিল করতে বাধ্যহয় দলিল লেখকরা। এতে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা গ্রহীতারা দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলেন। এই নিয়ে দলিল লেখকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার দলিল প্রতি বাড়তি টাকা দিতে পারবেন না বলে সাব-রেজিস্ট্রারকে জানান দলিল লেখকরা। এতেই দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন সাবরেজিস্ট্রার। বনিবনা না হওয়ায় দলিলের প্রতি পাতার জন্য ১৫ টাকা করে নিতে পারবেন দলিল লেখকরা এমন আদেশ দেন। এর বেশি নিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন এবং এক অফিস আদেশও জারি করেন তিনি। এই নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়। এতে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষনা দেন দলিল লেখকরা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন হিলারী বলেন,বকশীগঞ্জে যোগদানের পরেই দলিল প্রতি বাড়তি অর্থ দাবি করেন সাব-রেজিস্ট্রার। তার দাবি না মানায় কোন কারন ছাড়াই সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকদের সাথে অসাদাচরন,সনদ বাতিলের হুমকি,দলিলের দাতা গ্রহীতাদের নানা ভাবে হয়রানি ও তাদের সাথে খারাপ আচরন করে আসছেন সাবরেজিস্ট্রার মুহাম্মদ তামীম। এই কারনেই সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচী চলবে।  

মেরুরচর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে কষ্ট করে এলাকায় ৫ শতক জমি কিনেছেন। জমি রেজিস্ট্রি নিতে দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। কর্মবিরতির কারনে দলিল করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। 

এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, যখন জানতে পারি আমার নাম ভাঙিয়ে দলিল লেখকরা জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা ও গ্রহীতাদের কাছে বাড়তি টাকা নেয়, ঠিক তখনই আমি দুর্নীতি বন্ধের ঘোষনা দেই।  এতেই দলিল লেখকরা আমার প্রতি মনোক্ষুন্ন হন। দলিল লেখকরা তার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কর্মবিরতি করছেন। অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে তিনি আর নীতিতে অটল থাকবেন বলে জানান।


আরও খবর