Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে আহম্মদিয়া মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৭১জন দেখেছেন

Image

এম. পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি দাখিল মাদরাসায় গোপনে শিক্ষক, কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক মাদরাসা সুপার। ঘোলাটে পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে মাদরাসাটির শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। দু’পক্ষের কঠোর অবস্থান ও উত্তেজনায় প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পঞ্চকরণ ইউনিয়নের আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার ৩ টি শূণ্যপদে জনবল নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, খারইখালী আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসাটিতে আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অনেকে ৫০০ টাকার অফেরৎযোগ্য পোষ্টাল অর্ডারসহ আবেদন করেন। কিন্তু কাউকে ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকা হয়নি। পরে ২০২২ সালে ২ অক্টোবর আবারও সহকারি সুপার, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

২য় দফার ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ১৭ ফেব্রæয়ারি মাদরাসার খাতাপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী বলইবুনিয়া ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ড বসিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, সহকারি সুপার পদে মিজানুর রহমান, আয়া পদে তামান্না আক্তার ও নিরাপত্তাকর্মী পদে আল মামুন। পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগবোর্ড বসিয়ে এই নিয়োগ দেওয়ার খবর জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়দের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কারনে নিয়োগের ১৫ দিন পরে ওই ৩ জন মাদরাসায় যোগদান করতে পারেননি।

মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, টাকার বিনিময়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন অবৈধ নিয়োগ কেউ মেনে নেবেনা। প্রয়োজনে আন্দোলন ও আদালতের আশ্রয় নেওয়া হবে বলেও বৃহস্পতিবার মাদরাসার অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

আয়া পদে চাকুরির জন্য আবেদনকারি পারভিন বেগমের স্বামী পলাশ শেখ বলেন, ‘আমার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আমার স্ত্রীকে চাকুরি দেয়নি। বেশী টাকা পেয়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় বোর্ড বসিয়ে তামান্নাকে চাকুরি দিয়েছে’।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হারুন অর রশিদ, কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি ইয়াকুব আলী কাজী, সহকারি শিক্ষক আনন্দ মোহন, মাহবুব আলম, মো. আবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব খান, দাতা সদস্য পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, ইউপি সদস্য শাহিন হাওলাদার বলেন, এখানে কমিটি গঠন হয়েছে গোপনে। শিক্ষক, কর্মচারি নিয়োগও হয়েছে গোপনে। এসব মেনে নিয়ে আমরা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হতে দেবনা। এ নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে, কিছু ঝামেলা থাকার কারনে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো যোগদান করতে পারেনি। স্থানীয় কিছু লোক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ তুলছে। এসব ঠিক হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, ‘আমি এখানে নতুন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বসানো আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার নিয়োগবোর্ড়ে আমি ছিলাম। পরে কিছু সমস্যার কথা শুনেছি। তাই আপাতত ওই নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। 


আরও খবর



শাকিবকে বাঁচাতে মরিয়া অপু-বুবলী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৫জন দেখেছেন

Image

সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে এক নারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন রহমত উল্লাহ নামে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক প্রযোজক। তা নিয়ে কদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে বিভিন্নভাবে সেই অভিযোগ থেকে শাকিবকে বাঁচাতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন তার দুই স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও বুবলী।

এর মধ্যে অপু সাবেক স্ত্রী হলেও বুবলী সাবেক না বর্তমান তা নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে এই দুই চিত্রনায়িকাই শাকিবের দুই সন্তান জয় ও বীরের মা। তাই তো তাদের সন্তানদের বাবাকে অভিযোগ থেকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন তারা।

শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পরপরই রহমত উল্লাহর সঙ্গে মীমাংসার উদ্যোগ নেন অপু। তার উদ্যোগের ওই প্রযোজকের সঙ্গে ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠকে বসেছিলেন শাকিব। তবে অপুর এমন পদক্ষেপের পর পিছিয়ে নেই বুবলীও। নানাভাবে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে তৎপরতা চালাচ্ছেন এই নায়িকা।

সবশেষ সোমবার শাকিবকে নিয়ে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলী। সেখানে ওই অভিযোগের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন ও যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

বুবলী লেখেন, শাকিব খান একজন অভিনয়শিল্পী যে কিনা প্রায় ২৪ বছর এই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করেছেন, অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, সিনেমা নিয়ে ভেবেছেন। হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের ইস্যু এনে তাকে নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে।

অনেক বছর আগের অপারেশন অগ্নিপথ’’ নামের একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন শাকিবের ব্যাপারে বিস্তর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে প্রডিউসার দাবি করে এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে নানান অভিযোগ করছেন। আচ্ছা, শুটিং চলাকালীন এত এত অভিযোগ যখন টের পেয়েছিল উনারা, তাহলে কেন তখন তাকে বাদ দেয়া হলো না? সমিতিগুলোতে অভিযোগ করা হলো না? দু-পক্ষের কথা শোনা হলো না?

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়ায় অপারেশন অগ্নিপথ শুটিংয়ের পর ২০১৮ সালে শাকিব তার সুপার হিরো নামের আরেকটি সিনেমার শুটিং সম্মানের সঙ্গে প্রায় ২০ দিনে অস্ট্রেলিয়া থেকে শেষ করে আসেন। তিনি (শাকিব খান) যদি কোনো ব্যাপারে গিল্টি থাকতেন তাহলে তো অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ তাকে তখন শুটিংয়ের অনুমতিই দিতেন না, শাকিব নিজেও অস্ট্রেলিয়া যেতেন না।

বুবলী লেখেন, মধ্যরাতে তার হোটেল রুমে নারী সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে বলা হচ্ছে, মধ্যরাতে তার হোটেল কক্ষে নারী কি করছিলেন? কী তার বা তাদের উদ্দেশ্য ছিল? এত বছর কেন ওসব ঘটনা নিয়ে সেই নারী প্রকাশ্যে কথা বললেন না? এখন কেন এই প্রডিউসার দাবি করা ব্যক্তি অস্থির হয়ে গেলেন?

আর দেশে হোক বা বিদেশে। যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে, খাতায় নাম উঠতেই পারে, কিন্তু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, উভয় পক্ষের প্রমাণাদি নিয়ে।

তিনি লেখেন, কয়েক বছর ধরে দেখছি, একটা চক্র কিছুদিন পর পরই শাকিবকে নিয়ে ওঠেপড়ে লাগে। নানা চক্রান্তে মেতে ওঠে। বিষয়টা যেন এমন, তাকে হটিয়ে দিতে পারলেই আমরা রাজা। কিন্তু তার লাখো-কোটি ভক্তরা কখনোই তা হতে দেয়নি। দিবেও না। সবসময়ই তারা তাকে আগলে রাখে। শক্তি দিয়ে এগিয়ে নেয়।

গত বুধবার (১৫ মার্চ) শাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহ।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এর বিপরীতে ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে শনিবার (১৮ মার্চ) গুলশান মডেল থানায় গিয়েছিলেন এই চিত্রনায়ক। তবে সেই মামলা নেয়নি থানা। এরপর রোববার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) শরণাপন্ন হন তিনি।

 


আরও খবর



রেললাইনে রা. বি শিক্ষার্থীদের আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

রাজশাহী প্রতিনিধি :রাজশাহীতে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর, ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের জেরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চারুকলার সামনে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দিলে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রাজশাহী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আব্দুল করিম জানান, রবিবার রাত পৌনে ১টার দিকে রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। শনিবার রাতে সংঘর্ষের পর রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয়। পরে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীরা বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে রাবি স্টেশনের কাছে রেললাইনে গাছ ফেলে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সেই আগুনের কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।  


আরও খবর



কাজে আসছে না বাজার মনিটরিং

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল :রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং টিম গঠন করলেও ক্রেতা এবং বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেছেন সরকারের বাজার মনিটরিং কোনো কাজে আসছে না। তাই চাহিদার তুলনায় পণ্যের মজুদ বেশি থাকলেও রমজানের আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পর্যবেক্ষণেও এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সরকারি পর্যবেক্ষণে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ মিলেছে।

প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণের এই তদারকির অভিযোগ শুরু হয়। তবে এ অভিযান শুধু রমজানেই নয়, পুরো বছরেই বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করেন ক্রেতারা। আর অভিযান পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজান এলে নয়, পুরো বছরই অনিয়ম ও খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে তৎপর থাকেন তারা। রমজানে এসব বিষয় প্রচারে গণমাধ্যম বেশি সক্রিয় হয় বলে এর প্রচারণাটা বেশি হয়। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ভেজাল ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এতে তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

প্রতি বছরই রমজানে বিভিন্ন কাঁচাবাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁয়, ইফতারির দোকানে, বিপণিবিতান, মুড়ি ও সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন সংস্থা। তাদের নির্ধারিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে নানা অভিযোগে জেল-জরিমানা করা হয়ে থাকে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম নয়।

সাধারণত পুলিশ, র‌্যাব, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), শুল্ক গোয়েন্দা ও স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ, বিআরটিএ, বিএসটিআই, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথ অভিযান পরিচালনা করে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারো রমজান শুরুর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পবিত্র

রমজানে খাদ্যদ্রব্যে নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যবিরোধী কার্যকলাপের জন্য কী শাস্তি সেটাও প্রকাশ করা হয়। তবে এ বছর সরকারি ১৪ সংস্থা বাজার মনিটরিং করতে অভিযানে নামে। অভিযানে জরিমানা ও বিক্রেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-সহ মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে এসব অভিযান শুধু রমজান মাসে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো বছরে দেখতে চান ক্রেতারা। তারা মনে করেন, বিক্রেতারা শুধু রোজায় না সব সময় বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা।

রমজানে অভিযান চালানো ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি, এটা ঠিক নয়। ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। রমজান এলেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। দুনিয়ার যত নষ্ট মাল আছে সেগুলো বাজারে ছাড়া হয়। শুধু রমজানে নয়, আমরা সারা বছরই এসব অনিয়ম ও ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে থাকি।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ও মনিটরিং টিম সদস্যদের আসতে দেরি হয় বলে টিমের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়। তিনি বলেন, বাজার পরিদর্শন করে টিম লিডাররা রিপোর্ট প্রদানে প্রায়শই বিলম্ব করেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদনে পরামর্শ বা স্পষ্ট মতামত দেন না। পরিদর্শিত বাজারে উদ্ভূত সমস্যাগুলোর কথা উল্লেখ করলে মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু মনিটরিং টিম এসব করে না। তাই বাজার মনিটরিংয়ের তেমন কোনো সুফল পাওয়া যায় না।


আরও খবর

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩

রমজানে জাল নোট নিয়ে সতর্কতা

শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩




নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর দক্ষিণ সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস তুহিন রেজা। শনিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের এস,এম,সির সহ-সভাপতি আবু হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হেদায়েতুল্লাহ, রানির প্রধান নির্বাহী ফজলুল হক খান, এটি এন বাংলা ও এটিএন নিউজের নওগাঁ প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক রায়হান আলম, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষাথী ফোরামের সভাপতি মাসুদ রানা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম, এম মাসুদ রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ী ও বিজিতদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন।


আরও খবর



মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আবদুল হামিদ এর ভাষণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

আসসালামু আলাইকুম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এর সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ,

মাননীয় সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপি,

সন্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ,গণমাধ্যমের সন্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ,

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ ও ভদ্র মহিলা ও মহোদয়গণ,শুভ অপরাহ্ন।

বসন্তের এই সুন্দর বিকেলে নিজ শহরে আমার নিজের রাজনীতির চারণভূমিতে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ’ এর শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর হিসাবে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠানটি আমার নিজের এবং কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য ভিন্ন মাত্রার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে কিশোগঞ্জবাসীর অনেক দিনের বহুকাঙ্ক্ষিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন হলো। এজন্য আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁর ঐকান্তিক আগ্রহ ও সহযোগিতার জন্য এটি সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর এই শুভলগ্নে আমি কিশোরগঞ্জবাসীকেও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সম্মানিত সুধী,

মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস। যাঁর অসামান্য ত্যাগ আর নেতৃত্বে আজ আমরা স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক আমি সেই নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। স্মরণ করছি জাতীর চার নেতাসহ ৩০ লক্ষ শহিদ, দুই লক্ষ মা-বোন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন গণতান্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, অবদান রেখেছেন আমি তাঁদেরকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সমাজের বাতিঘর যা থেকে সবসময় আলো ছড়ায়, মনবিকতার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজকে আলোর পথ দেখায়। বিশ্ববিদ্যালয় অর্জিত জ্ঞানের গুদাম ঘর নয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা থেকে জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের আবির্ভাব ঘটে। নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। আজ থেকে কিশোরগঞ্জের সেই বাতিঘরের যাত্রা শুরু হলো। একে লালন করতে হবে। পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্র-শিক্ষকের বাইরে স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এলাকার পরিবেশেও ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

সম্মানিত উপাচার্য ও শিক্ষকমণ্ডলী,

বর্তমানে দেশের প্রায় সকল জেলায়ই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে বা হচ্ছে। কিন্তু সবগুলোর মান সমান নয়। আমরা চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ, শুরু থেকেই গুনেমানে সমৃদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হোক। যুগের চাহিদা ও কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা কারিকুলাম নির্ধারণ করতে হবে। বিভাগ খোলার ক্ষেত্রেও বাস্তবতা ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

শিক্ষার সাথে কর্মের সংযোগ ঘটাতে হবে। দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক বিভাগ রয়েছে যেখানে লেখাপড়া করলে হয়তো জ্ঞানার্জন সম্ভব হবে কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারেই সীমিত।  শিক্ষার্থীরাও বুঝে না বুঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এই ভাব ধরার জন্য এসব বিভাগে ভর্তি হন। মা-বাবা ও অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক কষ্টে লেখাপড়ার খরচ যোগান। কিন্তু পাশ করার পর সেই গানের কলি Hundred Percent Love এর মতো 100% বেকার - এ পরিণত হন। অনেক সময় বাবা-মা ও পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষা মিটাতে না পেরে কেউ কেউ বিপথেও পরিচালিত হয়। 

অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকারের চেয়ে শিক্ষিত বেকারের বোঝা পরিবার ও সমাজের জন্য অনেক বেশি কষ্টের। কারণ এরা না হয় আউল্লা, না হয় জাউল্লা। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সময় এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন। শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য শিক্ষা বা সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন না। 

মনে রাখবেন শুধুমাত্র জ্ঞান দান শিক্ষার উপজীব্য হতে পারে না। এমন শিক্ষা দিতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বিকশিত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে চাই, “শিক্ষিত জনশক্তি দেশের জনসম্পদ। আমি বাংলাদেশে এমন ব্যবহারিক শিক্ষার প্রসার চাই, যা দ্বারা প্রতিটি নাগরিক দেশের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে”।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী,

আজকাল বাবা-মা, অভিভাবক সবাই চান তাদের ছেলেমেয়েরা জিপিএ/ গোল্ডেন জিপিএ পাক বা ফার্স্ট/সেকেন্ড হোক। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেন না ছেলেমেয়েরা কতটুকু শিখল বা জানল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ভালো ফল করে নিজের ও প্রতিষ্ঠানের নাম বাড়ানোর লক্ষ্যে সহজপাঠ্য ও চমকপ্রদ উপায়কে প্রধান্য দিয়ে থাকেন। 

কষ্ট করে টেক্সট বই না পড়ে শিক্ষকের দেয়া নোট মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় ভাল নম্বর উঠান। এক কথায় কষ্ট না করেই কেষ্ট অর্জন। এরিস্টটলের ভাষায়, ‘শিক্ষার শেকড় তেতো হলেও ফল মিষ্টি’। তাই আমরা আশা করব, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবেন যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদেরকে পরিপূর্ণ শিক্ষিত করে তুলতে পারে।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী,

হাওড়বেষ্টিত জেলা কিশোরগঞ্জ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভাটি এলাকা দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত ছিল। আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধার অভাবে লেখাপড়ায়ও হাওড় জনপদ তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। বিগত ১২/১৪ বছরে ভাটি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে লেখাপড়ায় ভাল করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাল করতে না পারলে কিশোরগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে না। এলাকা


আরও খবর