Logo
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জে শ্রমীকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন এমপি মিলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভ্যান শ্রমীক ও মাঝিমাল্লা অসহায় দরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে সংসদ সদস্যের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বাগেরহাট-৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনের সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন।  

ছোলমবাড়িয়া, ফেরিঘাট, সানকিভাঙ্গা খেয়াঘাটের মাঝি ও বারইখালীর বিভিন্ন স্ট্যান্ডের ভ্যান চালক দেড়শতাধিক শ্রমীকদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান বিপু,  উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহিদুজ্জামান মহিদ, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. শফিক কাজীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

 সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমাজের অসহায় মানুষের কথা সার্বক্ষনিক ভাবেন। তিনি আপনাদের কাছে এ উপহার পাঠিয়েছেন পুনরায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে বিজয় করতে হবে। তাহলেই অসহায় মানুষ ভালো থাকবেন আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলে দোয়া করবেন। 


আরও খবর



মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাট জেলাতেও মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র লালমনিরহাট এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০টায় গণভবন প্রান্ত হতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে উক্ত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।

লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ আতিকুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ রেজাউল করিম স্বপন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সুজন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতআরা ফেরদৌস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা রাশেদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের পাশে নির্মিত লালমনিরহাট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।


আরও খবর



ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজ হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ২০জন দেখেছেন

Image

ঢাকার তেজগাঁওয়ের স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে (৪৭) হত্যার ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের নারীসহ পাঁচজন জড়িত ছিলেন। এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জানা যায়, সমকামী ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজকে হত্যা করেছে তারা।

এর আগে ৭ মার্চ সন্তানদের স্কুল থেকে বাসায় দিয়ে কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হন স্থপতি ইমতিয়াজ। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও স্বামীকে না পেয়ে কলাবাগান থানায় জিডি করেন ইমতিয়াজের অসহায় স্ত্রী স্থপতি ফাহমিদা।

গণমাধ্যমে কান্নারত কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, আমাদের তো কোনো শত্রু নেই! তাহলে শত্রুহীন লোকটাকে এভাবে খুন করল কারা?

ওদিকে সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। স্বামী ঘরে ফেরে না। যতক্ষণে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান মিলল, ততক্ষণে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়ে গেছেন ইমতিয়াজ। কিন্তু থানায় জিডি থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হলো কী করে? ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পরদিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধার হয়। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। বেসরকারি একটি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনরা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সমকামী ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তিন সন্তানের জনক ইমতিয়াজের পরিচয় হয় আলিফ নামের এক তরুণের সঙ্গে। তার ডাকে ৭ মার্চ দুপুরে ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় যান তিনি। বাসাটি ছিল আরাফাত ও তার তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গী মেঘের। সেখানে পূর্ব-পরিকল্পনা মতো ইমতিয়াজের ওপর হামলে পড়ে আরাফত, মেঘ এবং মুন্না। আটকে রেখে অর্থ দাবি করলে ইমতিয়াজ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বেদম মারধর এবং অত্যাচারের শিকার হয়ে একপর্যায়ে মারা যান ইমতিয়াজ।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা সমকামী এবং হিজড়া সদস্য। তারা একটি গে চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে পূর্ব থেকে সমকামী বিভিন্ন লোকজনকে রুম ডেটের কথা বলে টার্গেট করে বাসায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় তাদের ব্লাকমেইল করে টাকাপয়সাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে আসছে।

ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার আলিফের সঙ্গে গে-চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারই সূত্র ধরে গত ৭ মার্চ দুপুরে আলিফকে ইমতিয়াজ ফোন করলে তাকে কলাবাগান থানার ক্রিসেন্ট রোডের আরাফাতের বাসায় যেতে বলা হয়।

ইমতিয়াজ সেখানে গেলে আলিফ তাকে নিয়ে রুমের ভেতর আপত্তিকর অবস্থায় থাকাকালীন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আরাফাত, মেঘ, মুন্না ও আনোয়ার রুমে প্রবেশ করে ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভিকটিমকে মারধর শুরু করে এবং বড় অঙ্কের অর্থ দাবি করে। ইমতিয়াজ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার বুকে, পিঠে, আঘাতসহ প্রচণ্ড মারধর করে। যার কারণে ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়।

ঘটনা ধামাচাপা দিতে মগবাজার থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে আসে মেঘ। আরাফাত ডেকে আনে আনোয়ারকে। ইমতিয়াজের লাশ পেছনে ঢুকিয়ে সুবিধাজনক একটি স্থান খুঁজতে থাকে তারা। একসময় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানা এলাকার কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশে ঝোপে লাশটি ফেলে যে যার মতো গা ঢাকা দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

ডিবির তেজগাঁও বিভাগের নেতৃত্বে টানা অপারেশনে গ্রেপ্তার হয় মেঘ, আনোয়ার ও মুন্না। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। তবে আরাফাত আর আলিফ পালিয়ে গেছে ভারতে। চক্রটি এভাবে ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

 


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




খেলার মাঠের নাফিজা কামাল কুমিল্লার ভোটের মাঠে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

কুমিল্লার লালমাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ও বরুড়ার ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ। নির্বাচনকে ঘিরে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় ভোটারার।আর তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে নির্বাচন এলাকায় প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্ত ব্যবস্থা 

 কাল বৃহস্পতিবার  কুমিল্লার লালমাই উপজেলা পরিষদ সহ বরুড়ার উত্তর ও দক্ষিণ শিলমুড়ি ও দাউদকান্দির বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কুমিল্লার লালই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ ৩টি ইউনিয়নপরিষদে আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ।

 ইভিএম এর মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে কোন ধরনের বিরতি ছাড়েই বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

কুমিল্লার লালমাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিনবারত পথসভার আর গ্রামের অলিগলিতে ভাইয়ের জন্য ভোট চাইলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ক্রিকেট টিমের চেয়ারপার্সন ও অর্থমন্ত্রীর কণ্যা নাফিসা কামাল। আর নাফিসা কামালকে ঘিরে ছাত্রজনতাসহ নির্বাচনে আমেজে সরগরম লালমাই উপজেলা। 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ক্রিকেট টিমের চেয়ারপার্সন নাফিসা কামাল, আমি এ এলাকার মানুষকে বলছি নৌকায় ভোট দিয়ে ঠকবেন না। নৌকা মার্কা দেশের উন্নয়নের প্রতীক নৌকা। আমার ভাই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তাই আমি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছি। এ এলাকার মানুষ তথা কুমিল্লার মানুষকে আমি আমার পরিবার মনে করি। তাই পরিবারের মানুষদের কাছে ভোট চাইছে। এ এলাকার মানুষের সাথে আমার বাবা লোটাস কামালের আত্নার সম্পর্ক। 

 লালমাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৩জন। আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্ভন্ধিতা করছেন অর্থ  মন্ত্রীর ভতিজা জেলা যুবলীগের আহবায়ক সাবেক ভিপি শাহিনুল ইসলাম শাহিন। এই উপজেলায় আওয়ামীলীগের বিদ্রেহী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মমিন মজুমদার (আনারস ), মো: হারুনর রশীদ মজুমদার( কাপ পিরিচ )

 আওয়ামীলীগের প্রার্থী শাহিনুল ইসলাম শাহিন (নৌকা) বলেন- আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।আমি লালমাইবাসীকে আশ্বস্ত করছি । আমার বোন নাফিসা কামাল ভোটের মাঠে আসায় নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

 আওয়ামীলীগের বিদ্রেহী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মমিন মজুমদার (আনারস ) বলেন-হুমকি দমকি দিয়ে লাভ নেই। আনারসে যত কাটা তত রস। নির্বাচনে আনারসের কর্মীদের ওপর হামলা হলে কাটা খাবেন বললেন বিদ্রোহী প্রার্থী।

এদিকে কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার উত্তর শিলমুড়ি ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামীলীগের সভাপতি বতর্মান চেয়ারম্যান মো: ইসহাক নৌকা ও আওয়ামীলীগের বিদ্যোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো: আবদুল সালাম আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ।

নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নিয়ে আংশকায় ভোটারা। ভোটাররা বলছেন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিষ্চিত করতে প্রশাসনে কাযকর পদক্ষেপ।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম বলেন- শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১৪ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব, আনসার বাটালিয়ান সহ বিপুলসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এই নির্বাচনে কোন রকম অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফ আহমেদ  বলেন- নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের পাশাপশি বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি । সড়কগুলোতে বৃদ্ধি করা হয়েছে টহল ব্যবস্থা। নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন মোট ৫দিন অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৫৭ কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইউজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৫৭২১৮ জন। বারপাড়া ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের ৫১ টি কক্ষে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৭,০৭৭ জন। বরুড়ার শিমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের ৪৭ টি কক্ষে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৫,৫৫২ জন। বরুড়ার শিলমুড়ি ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের ৬৪ টি কক্ষে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২২,৩২৫ জন।


আরও খবর



সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন

নওগাঁয় জাল সনদে ১৪ বছর শিক্ষকতা

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় জাল সনদে শিক্ষকতা, ১৪ বছরে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন এর ঘটনা ঘটেছে।

নওগাঁর ধামইরহাটের কাশিপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী (ইসলাম শিক্ষা) বিষয়ের শিক্ষক কোহিনূর পারভীন জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ১৪ বছরের বেশি সময় চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তার সনদটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাই করে তা জাল বলে প্রমাণ পেয়েছে। কোহিনূর পারভীন জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার পর একেক সময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোজাম্মেল হক এর যোগসাজশে একের পর এক জাল সনদ দাখিল করেন।শিক্ষক কোহিনূর পারভীনের সনদটি জাল বলে যাচাই প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন এনটিআরসিএ এর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর ২২ তারিখে এনটিআরসিএ শিক্ষক কোহিনুর পারভীনের নিয়োগকালীন সব কাগজপত্র সহ তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি চেয়ে মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট এর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলো এনটিআরসিএ। কিন্তু সেই সময় ওই চিঠির পর কোন কাগজপত্র না পাঠানোর জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০ দিন সময় দিয়ে আবারও চিঠি পাঠান এনটিআরসিএ এর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম। এরপর ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোজাম্মেল হক ওই শিক্ষকের কাগজপত্র প্রেরন করেন। কাগজপত্র যাচাই শেষে এনটিআরসিএ থেকে গত ২২ মার্চ পাঠানো যাচাই প্রতিবেদনে এ জাল ও ভুয়া সনদধারীর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়ের করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকেনির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ।


প্রতিবেদকের হাতে থাকা কাগজপত্রে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জানুয়ারি নিয়োগ পেয়ে ১০ জানুয়ারি ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেন কোহিনুর পারভীন এবং ওই বছরের ১ জুলাই থেকে এমপিওতে তার নাম আসে। নিয়োগের পর থেকে এ পর্যন্ত সে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ১৯ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কোহিনূর পারভীনের মুঠোফোনে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যাস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।

ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য নিতে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোজাম্মেল হক এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নেওয়া স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া। সম্প্রতি দেশটির পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তবে এরই মাঝে সুখবর হলো- বাংলাদেশ থেকে পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী ও নারী গৃহকর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। এ নিয়ে কথা চলছে। দুই দেশের মধ্যে মিটিংও হয়েছে। শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে সিকিউরিটি গার্ড ও গৃহকর্মী নেবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা প্রথমটার বিষয়ে খুব উৎসাহী। তবে গৃহকর্মীর বিষয়ে আমরা বলেছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাব।

এর আগে বিভিন্ন খাতে পুরুষ কর্মীরা কাজের জন্য মালয়েশিয়ায় গেছেন। তারা কৃষি থেকে শুরু করে কারখানাতে কাজ করছেন। এখনো কর্মী যাওয়া অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে। তবে এই প্রথম নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে পুরুষ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। তারা হবেন প্রশিক্ষিত। এজন্য বাংলাদেশ সেনাকল্যাণ সংস্থার সঙ্গে দেশটির প্রতিনিধিরা দেখাও করেছেন। তবে কতজন পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী তারা নেবে এবং কি ধরনের বেতন ও সুবিধা দেওয়া হবে তা তারা জানাননি।

সূত্র জানায়, দেশটির প্রতিনিধিরা সংস্থাটির সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। এই খাতে যারা যাবেন তারা ভালো বেতন পাবেন বলেও আশা করছে মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও জর্ডানসহ আরও কয়েকটি দেশে বাংলাদেশ থেকে নারী গৃহকর্মী পাঠানো হচ্ছে। তবে প্রতি বছর নির্যাতিত হয়ে নারী গৃহকর্মী ফিরে আসার সংখ্যাও উদ্বেগজনক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ায় নারী গৃহকর্মী গেলে গাইডলাইন কি হবে, তারা কিভাবে থাকবেন, বেতন কত পাবেন এবং কি প্রসেসে দেশটিতে যাবেন- তা নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ সরকার।

মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশটিতে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার নারী গৃহকর্মী পাঠানো হবে। এই নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের দক্ষতা ও ভাষা জ্ঞান কি হবে এবং তাদের যাওয়ার খরচ কারা বহন করবে ও তারা কী কী সুবিধা পাবেন তা নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরিতে শিগগির হাত দেবে মন্ত্রণালয়। এরপর সেই গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নারী গৃহকর্মী পাঠানো হবে।

প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মালয়েশিয়ায় এর আগে অন্য খাতগুলোতে কর্মী পাঠাতে গিয়ে সিন্ডিকেট হয়েছে। এজেন্সিগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা এবং কর্মীদের কাছ থেকে খরচ বাবদ বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ ছিল। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী ও নারী গৃহকর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা যেন না হয় তা ভাবছেন তারা। এজন্য একটু সময় নিয়ে সুন্দর একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে। এরপর দেশটিকে সিদ্ধান্ত জানাবে বাংলাদেশ সরকার। তবে কবে নাগাদ শুরু হবে তা এখনো কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মী প্রতি বছর পাঠাচ্ছি। কিন্তু সেই দেশগুলোতে আমাদের মা-বোনদের এখনো নিরাপদ করতে পারিনি। তাই মালয়েশিয়ায় নারীদের শক্ত গাইডলাইন তৈরি না করে পাঠালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতোই হবে। তখন সুফলের চেয়ে দুর্ভোগ বাড়বে আমাদের মা-বোনদের। আর যেন কোনো নারী বিদেশে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার না হন সেই দিকটি খেয়াল রেখেই গাইডলাইন তৈরি করা উচিত হবে।

এ ব্যাপারে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, মালয়েশিয়ায় আমাদের কর্মীরা যে সেক্টরে যাচ্ছিল তার বাইরে নতুন করে নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহকর্মী যাওয়া শুরু করবে। এ বাজারটা যদি আমরা পেয়ে যাই তবে মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে বেশি কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আগে থেকেই টাকা বা পাসপোর্ট জমা না দিয়ে বিষয়টাতে কনফার্ম হতে হবে। আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ ভুল বুঝে বিপথগামী হয়। সবার আগে দরকার দক্ষ হওয়া, সে দক্ষতার সার্টিফিকেট নেওয়া এবং জেনে-বুঝে যাওয়া।


আরও খবর