Logo
শিরোনাম

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে না রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image


ডিজিটাল ডেস্ক

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে না রাখার সিদ্ধান্ত আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।


বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।


মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে মিলছে স্বস্তির টিসিবি'র পণ্য

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় রমজান মাস উপলক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে মিলছে স্বস্তির টিসিবি'র পণ্য। এই পণ্য নিতে মধ্যরাত রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে এবং প্রচন্ড রোদকে উপেক্ষা করে টিসিবি'র ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। একটু কষ্ট হলেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উর্দ্ধগতির বাজার দরে বিশেষ করে রমজান মাসে স্বল্প মূল্যে টিসিবি'র এই পণ্য পেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন নওগাঁর নিম্ম আয়ের মানুষরা।

শহরের চকমুক্তার এলাকার বাসিন্দা মোছাঃ ফারজানা জানান তিনি টিসিবির পণ্য পেতে বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এসে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সিরিয়াল দিয়ে বসেছিলেন। শুধু তিনিই নন অনেকে সেহরির খাবার সঙ্গে এনে রাত ১টা থেকে লাইনে সিরিয়াল দিয়ে বসে ছিলেন। প্রতিদিন পাবেন ৪শত জন আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন ৬ থেকে ৭শ জন মানুষ। একটু কষ্ট হলেও অনেক কম দামে পণ্যগুলো পাওয়ায় অনেক উপকৃত হচ্ছেন তাদের মতো নিম্ম আয়ের মানুষরা। তবে প্রতি দিনই আবার অনেকেই পরিবারের এক একজন সদস্যদের দিয়ে পণ্য নিচ্ছেন। ফলে অনেক পাওয়ার যোগ্য মানুষরা বঞ্চিতও হচ্ছেন। তারপরও আমরা নিম্ম আয়ের মানুষরা অনেক খুশি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইবনুল আবেদীন জানান, পবিত্র রমজান মাসে নিম্ম আয়ের মানুষদের কাছে স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌছে দিতে সরকার দেশের ৬৪টি জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে নওগাঁতেও জেলা প্রশাসক স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও সদর উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গত ৫মার্চ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল প্রধান অতিথি হিসেবে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আগামী ২৮মার্চ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। পৌর সভাসহ সদর উপজেলার পাঁচটি পয়েন্টে ৩৯০ টাকা প্যাকেজ মূল্যে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এবং এক কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন জেলা শহরের দুই হাজার পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে এই পণ্যগুলো পাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন প্রতিটি পয়েন্টে পণ্যের চেয়ে চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় এবং সিরিয়াল লাইনে পেছনে থাকার কারণে অনেকেই প্রথম বার না পেয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে প্রথমবার যারা পাচ্ছেন না তারা পরের দিন পণ্য নিচ্ছেন। আবার পণ্য বিতরণে যেন কোন প্রকারের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রতিটি পয়েন্টে একজন করে ট্যাগ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধি ও রোগীসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা চেস্টা করছি একজন মানুষ যেন একাধিকবার পণ্যগুলো ক্রয় করতে না পারেন। তবুও স্বল্প মূল্যে টিসিবির এই পণ্যগুলো পেয়ে নওগাঁর নিম্ম আয়ের মানুষরা অনেকটাই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন। এছাড়াও ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকেও সকল শ্রেণি পেশার মানুষরা স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন পণ্য নিতে পারছেন। সরকারের এমন কার্যক্রমের প্রভাব পড়েছে খোলা বাজারে। ফলে চলতি রমজান মাসে খোলা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য গুলোর দাম তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি।


আরও খবর



ব্যবসা দখলে মিথ্যা ছড়িয়ে ভাইকে ‘হত্যাচেষ্টা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

রাত-দিন ডুকরে কাঁদছেন রাজধানীর রামপুরার বিখ্যাত আল কাদির রেস্টুরেন্টের মালিক ফিরোজ আলম সুমন। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের খাবার, পানি ও অন্যান্য সহায়তা করে আসছিলেন তিনি। একাধিকবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছাত্ররা আশ্রয় নিয়েছিলেন তার রেস্টুরেন্টে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ছাত্রদের তিনবেলা নিজের রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ান সুমন। কিন্তু অপতথ্য ছড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে উত্তপ্ত করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তারই আপন ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন।

ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাইকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কাজে লাগিয়ে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রচার চালিয়ে ছাত্রদের দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই বড় ভাই। তবে অভিযুক্তরা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

এই বড় ভাইয়ের নাম ফিরোজ আলম সুমন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আছে তার। আল কাদেরিয়া নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নানা পুরস্কার পেয়েছেন। সুমন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রথম যুগ্ম মহাসচিব।

১৯ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা থানায় নিজের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন প্রায় ১৪ মাস ধরে সুমনকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা চালান।

প্রায় ১৫ বছর আগে আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলেন তিনি। খাবারের মানের কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়, ব্যবসাও প্রসারিত হয়। রামপুরা, মালিবাগ, বসুন্ধরা, গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় রেস্টুরেন্টটির শাখা গড়ে ওঠে। কিন্তু করোনার সময় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কয়েকটি শাখা বন্ধ হয়ে যায়। করোনা শেষে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায় আরও ভালো করার জন্য পারিবারিক সিদ্ধান্তে ছোট দুই ভাই ইফাতিখারুল আমিন ও হাসনাইন আমিনকে প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার দায়িত্বে আনেন।

তিনি জানান, দুই ভাইকে ব্যবসায় যুক্ত করার পর হঠাৎ করেই দেখেন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি আরও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। দৈনন্দিন হিসাবে গরমিলসহ মাসে অন্তত ৮/১০ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তখন তিনি গোপনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ক্যামেরা বসান। এরপর খেয়াল করেন যে, তার আপন দুই ভাই ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফিরোজ আলম সুমন তার ছোট ভাই হাসনাইন আমিনকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরে ফেললে ভাই-ভাইয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

সুমন বলেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার ভাইদের ব্যবসা শেখাতে। কিন্তু তারা ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। আমি প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ করেছি ওই সময়। আমি তাদের বোঝাতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আমাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন, আসিফ নামে এক যুবককে টাকা দিয়ে ভাড়া করে তারা। আমার বিরুদ্ধে তাকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে বলে, যাতে করে ওই পোস্ট দেখে উত্তেজিত হয়ে লোকজন আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এতে তারা দ্বায়মুক্ত থাকে। এমন ষড়যন্ত্র তারা করেছিল। এছাড়া আমাকে অসংখ্যবার নানাভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়, সেগুলোও প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, আসিফ নেওয়াজকে তারা টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে বলেছে। কিন্তু তারা আসিফকে বলেনি যে, আমি তাদের আপন ভাই। এসব বিষয়ে রামপুরা ও বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেছি। সেগুলোর তদন্তও হচ্ছে। অন্য একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়নাও জারি রয়েছে।

ফেসবুকে পোস্টদাতা আসিফ নেওয়াজ বলেন, ইফতিখারুলের উদ্দেশ্য ছিল এই পোস্টের কারণে লোকজন উত্তেজিত হয়ে সুমনের ওপর হামলা করবে। আমাকে সে বলেনি সুমন তার ভাই হন। এছাড়া প্রায় এক বছর ধরে সে আমাকেসহ আরও অনেককে ব্যবহার করে সুমনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমি ইফতেখারুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। সিআইডি ও ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করছে।

ভাইদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে রাজধানীর ভাটারা থানার সাঈদনগরে সুমনদের বাসায় গেলে তাদের বাবা নুরুল আমিনকে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

তাদের প্রতিবেশী ইমরান হোসাইন বলেন, আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টটি সুমন সাহেবের। তিনি তার ভাইদের বসিয়েছিলেন। পরে শুনলাম, তার ভাই টাকা-পয়সা আত্নসাৎ করেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়েও তাদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে।  ঘটনাটি নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, এক সময় তাদের পারিবারিক সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বছর খানেক ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো না। নানা দ্বন্দ্ব হচ্ছে শুনেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে কার দোষ এটা আমরা ওইভাবে বলতে পারবো না। যেহেতু এটি থানা পুলিশ ও আদালতে গেছে সেখানে গিয়ে সব বলবো।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, সুমন একজন ভালো ব্যবসায়ী। আমাদের সংগঠনের নেতাও। তার ভাইদের কাছে হেনস্থার শিকার তিনি। আমরা এর প্রতিবাদও জানিয়েছি।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সবগুলো অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




শেষ সময়ে ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট ঈদ বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, রাজাপুর ঝালকাঠি:

দোকানিদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের পদচারণায় শেষের দিকে জমে উঠেছে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ঈদ বাজার। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন কাপড় কিনতে সবাই ভিড় করছেন পোশাকের দোকানগুলোতে। তবে, গতবছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের বাজেটে টান পড়ছে। পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি হলেও জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি ও প্যান্টের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের কমতি নেই। বাহারি রং আর নকশার পোশাকে সেজেছে দোকানগুলো। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের পোশাক খুঁজে নিতে ব্যস্ত।


শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজাপুরের তারাবিবি সুপার মার্কেট, স্কুল মার্কেট , উপজেলা মার্কেট সহ আশপাশের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শেষ দিকের কেনাকাটা সারছেন ক্রেতারা।


স্কুল মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকানে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। কেউ দামাদামি করছেন, কেউ পছন্দের পোশাক কিনে খুশি মনে বাড়ি যাচ্ছেন।


ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শহরের বাইপাসের গৃহবধূ সেলিনা জানান, মার্কেটে স্বামীর জন্য শার্ট কিনতে এসেছি , কিন্তু দাম কাপড়ের মানের তুলনায় অনেকটাই বেশি।


সরকারি এক চাকরিজীবী এডভোকেট নুরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি; স্ত্রীকে ঈদের পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য মার্কেটে ঘুরছেন তিনি। তবে দামে মিলছে না।


বিয়ের পর তো রেসপনসিবিলিটি বাড়ে, পোশাকের দামও বাড়ছে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজেটে হচ্ছে না। দুই হাজারের মধ্যে কাপড় খুঁজছিলাম, পাচ্ছি না। দেখি অন্য কোথাও পাই কিনা।


লিমা  “সব জিনিসের দাম বেশি, এ কারণে আয়ে আর কুলাইতে পারি না। 


"নিজেদের জন্য কিছু কিনিনি। এবার মনে হয় মেয়ের জন্যও কিছু কিনতে পারব না। ফুটপাতে একবার দেখব।”


দোকানটির বিক্রেতা জালাল বলেন, এক বছরের ব্যবধানে অর্ধেকের বেশি ক্রেতা হারিয়েছেন তারা। আরও বলেন, পাবলিকের কাছে টাকা নাই৷ কাস্টমার আসছে, ঘাটাঘাটি করতেছে৷ আমাদের এখানে সারাজীবন একই দাম থাকে। ঈদের জন্য বাড়ছে, এমন হলেও একটা কথা ছিল। অ্যাবিলিটি আগের মত নেই, তাই চলে যাচ্ছে৷


অর্ধেক ক্রেতা হারানোর কথা জানালেন সোহেল ফ্যাশন হাউসের বিক্রেতা মো. সোহেল।


সন্তানদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে একটি দোকানে আসেন দিনমজুর হেনা বেগম। ২০ মিনিট যাচাই-বাছাই করেও বাজেটের মধ্যে মেয়ের জন্য একটি পোশাক কিনতে পারেননি তিনি। নাজমুলের ভাষ্যমতে, গতবার যে টাকায় নিজের জন্য, স্বামী ও তাদের ৮ বছরের মেয়ের জন্য কেনাকাটা করেছেন, এবার সেই টাকার পারবেন না। দ্বিগুণের বেশি টাকা খরচ হবে।


এদিকে মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতেও সমান ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে কম দামে ভাল জিনিস কিনতে ফুটপাতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের ক্রেতারা। জুতা, শাট, টি- শার্ট, পাঞ্জাবি, পাজামা, সানগ্লাস, ঘড়ি, আন্ডারগার্মেন্টসসহ সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতের বিভিন্ন অস্থায়ী দোকানে।


অন্যদিকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রেতাদের মধ্যে নিরাপত্তার আশঙ্কা ছিল। তবে ঈদের কেনাকাটাকে ঘিরে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



কোনো দাবির মুখে ভোট পেছানোর সম্ভাবনা নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। কোনো দাবির মুখে ভোট পেছানোর সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই। আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে আইসিজির প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস নিশ্চিত করেছেন যে সরকার দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে এ তারিখগুলো পরিবর্তন করা হবে না।

প্রধান উপদেষ্টা ব্যাখ্যা করে বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংখ্যক সংস্কার চায়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। যদি বৃহত্তর সংস্কার কার্যক্রমের দাবি ওঠে, তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

আওয়ামী লীগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দলটিকে নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। যেসব নেতা অপরাধ, বিশেষ করে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের একটি তথ্য-উদ্ধার মিশনের প্রতিবেদনে জুলাইয়ের বিদ্রোহের সময় সম্ভাব্য অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। এটি এখনো আলোচনার টেবিলে রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, ঐকমত্য কমিশন বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। তিনি বলেন, জুলাই চার্টার চূড়ান্ত করে স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে, যা সরকারের নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দেবে।

আন্তর্জাতিক সংকট গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লার গ্রেফতারকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং একে শরণার্থী ক্যাম্পে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তারা রাখাইন রাজ্যের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহে কাজ করছে এবং আসন্ন বিশেষ জাতিসংঘ সম্মেলনের মাধ্যমে বৈশ্বিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

ড. কমফোর্ট ইরো বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিভ্রান্তিকর প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইসিজির সমর্থন ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক ইউনূস আলোচনার শেষ পর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক চায়, তবে বাংলাদেশবিরোধী অনেক বিভ্রান্তিকর প্রচারণার উৎস ভারতীয় গণমাধ্যম বলে জানান।


আরও খবর



ঈদের জামায়াতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ মাঠ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতের আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫,০০০ মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া, মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে:

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থা: মুসল্লিদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস: জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।

বিকল্প ব্যবস্থা: বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাননীয় প্রশাসক ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।”

পরিশেষে, তিনি আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সবার ইবাদত কবুল হওয়ার প্রার্থনা করেন।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫