Logo
শিরোনাম

মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল জাতিসংঘের প্রস্তাব: আইন উপদেষ্টার না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের দেওয়া প্রস্তাবে এ কথা জানান তিনি। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার সঙ্গে বৈঠক হয় আসিফ নজরুলের

ভলকার টুর্কের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিলের প্রস্তাবের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, এটা বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব না। কারণ আমাদের পেনাল সিস্টেম ও শত বছরের জাস্টিস সিস্টেমে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। যে ফ্যাসিস্টদের হাতে হাজার হাজার তরুণ নিহত হয়েছে, তাদের হত্যার বিচারকে সামনে রেখে হঠাৎ করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। তা ছাড়া যেকোনো বড় ধরনের আইনগত পরিবর্তন সমাজ আকাঙ্খার সঙ্গে মিল রেখে করতে হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচারকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন আইনগত সংস্কারে জড়িত রয়েছে। এ ছাড়া ফরেনসিক সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়েও সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সুবিচার নিশ্চিত করা হবে বলে ভলকার টুর্ককে জানানো হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এই ট্রাইব্যুনালে সুবিচার করা হবে। প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা থেকে এটা করা হচ্ছে না। অবিচার করার জন্য আগের আদালতে যে রকম হয়েছে, সে রকম অবিচার করা হবে না। এখানে কোন কিছু লুকানোর নেই। যে কেউ এসে এই বিচার দেখতে পারবেন।

আসিফ নজরুল বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কাজ বিশেষ করে সংস্কার কাজ, ট্রাঞ্জিশনাল ট্রান্সফরমেশন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তবর্তী সরকারের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার পক্ষ থেকে দুটি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, যার মধ্যে একটি বিচার বিভাগ স্বাধীন করা

আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত নিয়ে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কী কী সংস্কার ভাবনা রয়েছে, সেটা হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে। তিনি এসব বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

দেশের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তবে আমি একটা কথা বলতে পারি-আমাদের সরকারের যে নির্বাচনমুখী প্রক্রিয়া গ্রহণ করার যে কাজ, সেটা শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে আপনারা বলতে পারেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য যে সার্চ কমিটি, সেই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়ে গেছে। আমি যতদূর জানি, সেই প্রজ্ঞাপনটা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষর করে দিলেই আপনারা জানতে পারবেন। হয়তো উনি করেছেনও আজ-কালের মধ্যে জেনে যাবেন। সার্চ কমিটি হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে ভোটার তালিকা । আগেও বলেছি, ভোটার তালিকা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ছিল, গত নির্বাচন এমন ভুয়া নির্বাচন ছিল, ভোটার তালিকা নিয়ে মানুষের মাথাব্যথা ছিল না।

তিনি বলেন, এবার অসাধারণ একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। শুধু এতটুকু বলতে পারি, আমাদের নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।


আরও খবর

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ীতে, খেজুরের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় পিঠা পায়েস এর কথা উঠতেই বাংলা মুলকে পৌষ কথা মনে আসে।পৌষের শীতে জমে উঠে পিঠা পুলি তৈরির আয়োজন,বিশেষ করে বাঙালিদের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তিতে,পৌষ সংক্রান্তি আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি। পিঠা উৎসবের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে,এর আরেক নাম মকরক্রান্তি পৌষ মাসের শেষ দিকে এই সংক্রান্তি পালন করা হয়।বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়।

শীত কাল আসলেই খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর পৌষের শেষ দিকে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও রসের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছিরা।এদিকে সংক্রান্তির দিনও ঘনিয়ে আসছে শীতের তীব্রতাও বেশি হচ্ছে রস ও গুড়ের চাহিদা ততই বেড়েই চলছে।


পৌষের এই কনকনে শীতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় পরিবার গুলোতে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা পুলি,পায়েস, ক্ষীর তৈরির এক রকম ধুম পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ পৌষ সংক্রান্তিতে সামনে রেখে নতুন করে পিঠা পুলি তৈরির উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এই কারণে বর্তমান সময়ে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় শীতের তীব্রতা কে উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের খেজুর গাছিরা।

দেখা গেছে খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিরা প্রতিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খেজুর গাছ গুলোতে ধারালো কাস্তে দিয়ে (চেঁচিয়ে) যেটাকে গ্রামের ভাষায় বলে,গাছ কাম দেওয়া বা পরিস্কার করা সেটি করে রস নামানোর জন্য একটি নল বসিয়ে দিয়ে ঠিক দুপুরের দিকে রস সংগ্রহের জন্য সেখানে বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার হাঁড়ি,পাতিল,কলস প্লাস্টিকের জেরিকেন ইত্যাদি। রসের পাত্র গুলোর মুখে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হতো নেট, কাপড় বা পলিথিন যাতে কোন ময়লা বা পাখপাখালির মলমূত্র রসের পাত্রের ভীতরে ঢুকতে না পারে।পরে দিন সাত সকালে খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় রসে ভরা পাত্র গুলি।এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছেন গাছিরা,এই সুস্বাদু রস বিক্রির পাশাপাশি রসের তৈরি পাঁঠালি গুঁড় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন গাছিরা।


উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের খেজুর গাছি, মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এবারে খেজুরের রসের চেয়ে গুড়ের চাহিদা বেশি যেটা তরল গুঁড় প্রতি কেজি ২৫০ টাকা আর পাঁঠালি গুঁড় ২৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আমি সবসময় ভালো মানের গুঁড় তৈরি করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এবছর ৮০ টি খেজুর গাছ এভাবে কন্টাক্ট নিয়েছি যে গাছের প্রকারভেদে গাছ প্রতি দুই, আড়াই, সর্বোচ্চ তিন কেজি গুঁড় দেওয়া লাগবে। তিন দিন পর পর ৪০টি গাছের রস সংগ্রহ করে জাল দিয়ে গুঁড় তৈরি করি। আশাকরি গাছের মালিক খড়ের দাম সহ সবকিছু মিটিয়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভবান হবো। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি জানান, আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ এবারে ৪০টি খেজুর গাছ লিজ নিয়েছি মালিক ও খড়ের খরচ মিটিয়ে গুঁড় বিক্রি করে ৩০/৪০ হাজার টাকা কামাই হবে আর কি।

কুরুষা ফেরুষা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও চওড়া বাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র রায় কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের সোহেল মাষ্টার জানান, হেমন্ত, শীত ও বসন্তের পাঁচ মাস পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।এসময় এটি খুব সুস্বাদু খাবার, বিশেষ করে সামনে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে গ্রামীণ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি, পায়েস, পাটিসাপটা, ক্ষীর ইত্যাদি। গ্রামীণ পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী পৌষ সংক্রান্তিতে এইসব পিঠা পুলি পায়েস খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত করা হয় নতুন পুরাতন জামাই সহ আত্নীয় স্বজনদের। সত্যি পৌষের শীতে এটি একটি মজাদার খাবার, যার কারণে এই সময়টাতে রস ও গুড়ের চাহিদা একটু বেশি।

শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের খেজুর গুড় ক্রেতা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত জানান, আমার জানামতে রেজাউল গাছি ভাইয়ের খেজুর গুড়ে কোন ভ্যাজাল নাই,খাবার উৎকৃষ্ট সুস্বাদু বটে।তারপর সামনে আসছে বাঙালি বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি এই দিনটি কে আমরা পিঠা উৎসব হিসেবে উপভোগ করি ওই দিনে আমার বাড়িতে সবার পছন্দ খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা পুলি পায়েস পাটিসাপটা ক্ষীর, অনেক আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত করতে হবে সেই উপলক্ষে রেজাউল গাছি ভাইয়ের নিকট থেকে পনের কেজি খেজুর গুড় ক্রয় করলাম। তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেভাবে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খাবার একদিন না বিলীন হয়ে যায়। যাতে এটিকে রক্ষা করা যায় সেই কারণে  সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে খেজুর গাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তা নাহলে গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুরের রস গুড় একদিন বিলীন হয়ে যাবে।


আরও খবর



নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। একজন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছি, যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনকালীন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ আসাদ পরিবার।

তিনি বলেন, ২৪-এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। ৬৯ গণঅভ্যুত্থানের তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।

আমরা এখনো একটা নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা একটা সামগ্রিক ব্যাপার। আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা বদলানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সবসময় সেটা পারি না।

গত ১৫ বছর আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অবশেষে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেই বিজয়ের মধ্যদিয়ে সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাশা-আশা করছি, যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের স্বপ্নগুলো যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়। সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের মোটা ভাতকাপড় পরে থাকতে পারেন। তবুও ভোটাধিকার ফিরে পেতে চান। কথা বলার অধিকার চান। তাদের সন্তানরা যেন লেখাপড়া শিখতে পারেন সেটা চান। তারা ন্যায়বিচারের সমাজ চান।

তিনি আরও বলেন, একটা কথা আমি সবসময় বলি। যেই কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। আমি বলি নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কেন বলি সেটাও অনেক বার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি বিগত ১৫ বছর নির্বাচন থেকে আমরা বঞ্চিত। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। এখন সেই বিষয়টাকে যদি জোর করে বিতর্কিত করে ফেলা হয়, তাহলে জনগণ আবার সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এই ধরনের নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, তাহলে অন্যান্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তখন জনগণের যে চাহিদা সেখান থেকে তারা পুরোপুরি বঞ্চিত হয়। আমরা এই কথাটা বারবার বলতে চাই, নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, যার জন্য গত ১৫ বছর আমরা লড়াই করেছি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক জানিয়ে ফখরুল বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। একটা বিষয়ে সবাই একমত একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। সেই নির্বাচন শুধু একটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক পথে যাওয়ার একটা পথ সৃষ্টি করা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকে সবগুলো সংস্কার শেষ করে নির্বাচনে যাওয়ার কথা আসছে। তাহলে কি এখন আমরা ৪-৫ বছর ধরে অপেক্ষা করব? তাহলে কি যতদিন সংস্কার না হয়, ততদিন জনগণ অপেক্ষা করবে?

আমলাতন্ত্র আগে যে ব্যবস্থায় ছিল, এখন সেই ব্যবস্থায় সচিবায়ল থেকে প্রশাসনে সব জায়গায় দলীয়করণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে আমরা বলছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন, আমি বলেছি যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। আমি কথা বলেছি, তার কারণ আছে। আমরা দেখছি বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। আমরা আশা করবে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করবে। দেশে যে সংকট আছে, সেটা থেকে মুক্ত করবে।

শহীদ আসাদ আমাদের ইতিহাসের একটি নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে যতই স্মরণ না করুক কিন্তু ইতিহাস থেকে আসাদকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অমর হয়ে থাকবে আসাদ।


আরও খবর



মাইজভান্ডার মহান ২৭ মাঘ পবিত্র খোশরোজ শরীফে লাখো ভক্ত জনতার ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

"খোদাভীরুতা অর্জন করতে হলে আল্লাহর নেক বান্দাদের সোহবতে যেতে হবে।"

আওলাদে রাসুল (ﷺ), শাহ্জাদায়ে গাউছুল আযম শাহ্সূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভান্ডারী (মাঃজিঃআ)।

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের অন্যতম প্রাণপুরুষ হুজুর গাউছুল ওয়ারা শায়খুল ইসলাম হযরত শাহ্সূফী আল্লামা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানীর (ক.) ৮৮তম খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে ৬-১০ ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ৫দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি চলছে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) খোশরোজ শরীফের সমাপনী দিবসের আখেরি মুনাজাত একইসাথে মাইজভান্ডার রহমানিয়া মইনীয়া দরসে নেজামী আলিম মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানার সালানা জলসা সম্পন্ন হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) খোশরোজ শরীফের উদ্বোধনী দিবসের কর্মসূচির মধ্যে বাদ ফজর খতমে কুরআন, খতমে খাজেগান, খতমে গাউছিয়া মাইজভান্ডারীয়া আদায়ের মাধ্যমে বাদ যোহর থেকে খতমে বুখারী, বাদে আছর তাসাউফ ভিত্তিক আলোচনা ও দোয়া মুনাজাতের সাথে ২৭ শে মাঘ খোশরোজ শরীফ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ৫দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রত্যেক দিন বাদ মাগরিব থেকে ওয়াজ মাহফিল, হালকায়ে জিকির ও সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খোশরোজ শরীফের প্রতিদিন এবং সমাপনী দিবসে ছদারত ও আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মনজিলের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) লাখো ভক্ত জনতা ও মুসল্লীকে সাথে নিয়ে তিনি পবিত্র জুমার নামাজের খোৎবা ও ইমামতি করেন। এ সময় তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা সত্যবাদী তথা আল্লাহওয়ালাদের সঙ্গে থাকার আদেশ করেছেন। আর এটি খোদাভীরতা অর্জন করার সহজতম উপায়। তাছাড়া যেকোনো বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোনো কিছু শেখার এবং গ্রহণ করার এটি একরকম স্বীকৃত এবং পরীক্ষিত পদ্ধতি। তিনি আরো বলেন, কারো কাছ থেকে কিছু হাসিল করতে হলে তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে থাক, তাঁর খেদমতে সংযোগ বৃদ্ধি করা আবশ্যক। তবেই তার কাছ থেকে কিছু নিতে পারবে। তাসাউফে ইসলামী শিক্ষার ক্ষেত্রে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের সোহবতের গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য কিতাব ও রিজাল (আল্লাহর নির্বাচিত ও প্রিয় বান্দাদের) পাঠিয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমেই যুগে যুগে মানুষ আল্লাহর প্রিয় ও ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত বান্দাদের সোহবত থেকে দূরে থাকলে সত্যিকার অর্থে তাক্বওয়া বা খোদাভীরতা অর্জন অনেকাংশে অসম্ভব বলা যায়। এই খোদাভীরুতা না থাকায় আজকে যুব সমাজের নৈতিক অধঃপতন হচ্ছে। উশৃংখলতা মারামারি হানাহানি লুটপাট ভাঙচুর মব জাস্টিসের মত ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারী বলেন, এই অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজ কে আলোকিত সমাজে রূপদান করতে হলে আবাল বৃদ্ধ বণিতা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকেই আল্লাহর ওলিদের সোহবত এখতিয়ার করতে হবে। খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও মইনীয়া যুব ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া, খতমে খাজেগান, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসাসেবা, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, হুজুর কেবলার দেশ বিদেশের দুর্লভ আলোকচিত্র চিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী, মাদকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খোশরোজ শরীফে অংশগ্রহণে দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত জনতার উপস্থিতিতে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠছে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় পুরো মাইজভান্ডার দরবার শরীফকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। খোশরোজ শরীফে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি আন্জুমানের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবেন। 

সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ের জন্য দরবার শরীফের নায়েবে মুন্তাজেম শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানীর নেতৃত্বে তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৫দিনের খোশরোজ শরীফের কর্মসূচি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলা ও থানা প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। খোশরোজ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে সালাতু সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্থ মুসলিম উম্মাহ্ ও নিপীড়িত মানবতার মুক্তি কামনায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। পরে সকলের মাঝে তবারুক পরিবেশন করা হয়।


আরও খবর



১৯ টাকা দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি মাসের জন্য নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে জানুয়ারি শুরুতে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল অটোগ্যাসের দাম। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হোসাফ মিটারের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মারুফ হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান। সরকার পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ শুনানি করেন।

এর আগে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মো. সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী আগেই মারা যাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ মামলা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবীরা জানান, সব নিয়ম মেনেই দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধু রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আদালতকে প্রভাবিত করে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেয়। আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকে। যার কারণে দীর্ঘদিনেও মামলার অভিযোগ গঠন করতে পারেননি আদালত।


আরও খবর

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫