Logo
শিরোনাম

মশুরীখোলা দরবার শরীফে ১৫৫তম পবিত্র ওরস মোবারক পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানী নারিন্দায় ঐতিহ্যবাহী মশুরীখোলা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ক্বেবলা শাহ আহসানুল্লাহ (রহ.)’র ১৫৫তম পবিত্র ওরস মোবারক পালিত হয়েছে। গদ্দিনিশীন পীর সাহেব- আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান (মা.জি.আ.)’র সভাপতিত্বে মশুরীখোলা দরবার প্রাঙ্গণে মশুরীখোলা আঞ্জুমানে আহসানিয়া বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মশুরীখোলা দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান (মা.জি.আ.) বলেন, শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.) ছিলেন আধ্যাতিক জগতের দীপ্তমান একজন সূর্য সন্তান । বাংলা ও আসামের হাজারো মানুষ তাঁর সংশ্রব ও শিক্ষা নিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমে দিশা লাভ করেন। ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ মুহসীন উদ্দীন দুদু মিয়ার বেজুম্মা দলের নির্মম অত্যাচার বন্ধ ও পুনরায় বাংলার জনপদে জুমা নামাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.)’র অবদান ছিলো অনস্বীকার্য। 

তিনি আরো বলেন, এদেশের ৯২% মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সকল জনগোষ্ঠির নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান আমাদের। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বতন্ত্রতার রক্ষা করেই আধুনিকায়ন করতে হবে। দেশে ইসলাম প্রচার প্রসার হয়েছে হক্কানি তরিকতের পীর ওলিদের মাধ্যমে। সুতরাং বর্তমান চতুর্মূখী ফেতনা ও মুসলিমসমাজ দ্বীনের প্রতি উদাসীনতার পরিস্থিতিতে আউলিয়াগণের আদর্শ অনুসরন করাই ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তির একমাত্র উপায়”। লক্ষাধিক ভক্ত আশেকানদের উপস্থিতিতে তিনি সরকারের কাছে উদাত্ব আহবান জানিয়ে বলেন, মুসলমানদের পবিত্র আত্মশুদ্ধির মাস; পবিত্র  রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধ করে পণ্যসামগ্রীর দাম নির্ধারণ উচিত। যেন সমাজের বিত্তশালীদের মতো অল্প আয়ের মানুষরাও স্বাচ্ছন্দ্যে সিয়াম পালন করতে পারে।  

সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, ক্রমাগত মাযারের হামলা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের নীল নকশার অংশ। সুফিদের মাজার-দরগাহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। শতাব্দীর পর শতাব্দী দরে এই উপমহাদেশে ইসলামের হুকুম-আহকাম প্রচারে পীর আউলিয়াদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ মধ্যে দিয়ে ইসলামের ইতিহাস থেকে সুফিয়ানে কেরামের অবদানকে মুছে ফেলার যাবে না।

পরিশেষে তিনি বলেন, পবিত্র এই দরবার শরীফে তরিকা গ্রহণ করে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শরীয়তের পথে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের অনেকেই এখন হাফেজ, মাওলানা, মুফতি হয়েছে। সুতরাং আলোর দিশা ছড়িয়ে দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। আউলিয়া ও তাদের আশেকানদের উপর নির্বিচারে হামলার চেষ্টা করা হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। একইসাথে দেশের এসব প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দরবার শরীফের পীর সাহেব।

এসময় জাকেরীনদের জিকির আযকার তালিম প্রদান করেন শাহ্জাদা মাওলানা হাফেজ শাহ্ মুহাম্মদ সাইফুজ্জামান এরফান। এতে বক্তব্য রাখেন,অধ্যক্ষ মুফতি কাজী আবু জাফর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক,ডক্টর মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন সাইফী, সহ-অধ্যাপক মাও. আবুল বাশার, মাও. গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, পীর মাও. আহমদুল হুদা খান, মাও. মুফতি মঈন উদ্দিন হেলাল, মাও. তাওহীদুল ইসলাম, মাও. জিয়াউর রহমান আবু শাহ, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল কাদেরী,। উক্ত অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, প্রখ্যাত বুযুর্গ, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। খতমে কুরআন, দরসে হাদিস, দরবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওরসের মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে সারারাত হক্কানি ওলামায়ে কেরাম ও পীর-মাশায়েখদের বয়ান, নসিহত, যিকির, তাহাজ্জুদ নামায, মিলাদ-ক্বিয়াম, তাবারুক বিতরণ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।


আরও খবর



উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে আলু বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বগুড়ায় বর্তমানে জাতভেদে প্রতি মণ (৪২ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৯ টাকা। 

বগুড়া জেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। আলীগ্রামের কৃষক নাফিসুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। গড়ে ৯০ মণের মতো এবার ফলন হতে পারে। সে হিসাবে, প্রতি মণে প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। 

'কিন্তু বাজারে দাম এর অর্ধেক। এ কারণে এখনও তুলিনি। আরও কয়েকদিন পর তুলে কোল্ড স্টোরেজে রাখব।

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না।

একই কথা জানান ফেনিগ্রামের আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, 'পাকড়ি ও স্টিক আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় পাকড়ি ৬৫-৭০ মণ এবং স্টিক ৯০ মণের মতো হবে। আমার প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে যারা বীজ কিনে আলু চাষ করে তাদের খরচ আরও অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি ছিল, এ কারণে বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু এই দামে আলু চাষ করলে কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাবে।

গত বছরের বেশিরভাগ সময় আলুর দাম ছিল অস্বাভাবিক বেশি। ফলে বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা আলু চাষ বেশি করেছেন। তবে এখন উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪.৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪.৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নাগদাহ গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এখন আমাদের এলাকায় প্রতি কেজি আলু ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ৮ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে ২০ টাকার নিচে হলে কৃষকদের লোকসান হবে।'

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম টিবিএসকে বলেন, 'যে বছর দাম বেশি থাকে এর পরের বছর কৃষকরা সে ফসল বেশি করেন। আবার দাম কম থাকলে পরের বছর কম ফসল করেন। এটা কমন সমস্যা। এখন ফলন বেশি হলে আবার দাম কমে যায়। 

'এজন্য আলুর ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাড করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রুপ মার্কেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে। অর্থাৎ ১০ জন কৃষক আলু চাষ করেন; এর মধ্যে একজন সেগুলো বাজারজাত করবেন। এতে সরাসরি বাজারের সঙ্গে কৃষকরা যুক্ত হবেন।'


আরও খবর



হেফাজত ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের ছাত্র-জনতার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দায়ের হওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ মে (শনিবার) ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক।

তিনি জানান, আগামী ৩ মের ঢাকার মহাসমাবেশ ছাড়া আগামী জুন মাসে সব জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করা হবে।

ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় খাস কমিটির এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানা গেছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী ও প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রমুখ।

জানা গেছে, সভায় পরামর্শক্রমে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল এদেশে ১৬ বছর মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। বাংলাদেশের মাটিতে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দল হিসেবেই সন্ত্রাস ও মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল। দেশে ঘুম, খুন, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল বলে সভায় দাবি করা হয়।

এদিকে, ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এবং ১৯৭৮ সালের ‘দ্য পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স’ অনুযায়ী সরকার চাইলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবে।

এই দাবি আদায়ে দেশের স্বার্থেই সব মত-পথ ও ঘরানার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে জানান বক্তারা।


আরও খবর



কঙ্গোতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আগুন লেগে নিহত ১৪৮

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লাগার পর সেটি উল্টে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

দেশটির উত্তরপশ্চিমের কঙ্গো নদীতে গত মঙ্গলবার উল্টে যাওয়ার সময় নৌকাটিতে নারী-শিশুসহ প্রায় ৫০০ আরোহী ছিল বলে শনিবার একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে। খবর স্কাই নিউজ, রয়টার্স ও দ্যা গার্ডিয়ানের।

দুর্ঘটনার পর মৃতের সংখ্যা ৫০ হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল।কিন্তু পরে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

কঙ্গোতে প্রায়ই নৌকা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। দেশটিতে নদীবেষ্ঠীত গ্রামগুলোতে যাতায়াতে এখনো পুরনো, কাঠের নৌযানই বেশি ব্যবহৃত হয়, সেসব নৌযানে প্রায়ই ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রীও ওঠে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা। গত সপ্তাহের নৌকা এ দুর্ঘটনায় এখনও কয়েকশ নিখোঁজ রয়েছে বলে শুক্রবার কঙ্গোর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এইচবি কঙ্গোলো নামের ওই নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর ছেড়ে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাওয়ার সময় এমবানদাকা শহরের কাছে তাতে আগুন ধরে যায়।

নৌযানটিতে এক নারীর রান্না থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক বার্তা সংস্থাকে এমনটাই বলেছেন নদী কমিশনার কম্পিতেন্ত লয়োকো।

সাঁতার না জানা অনেক নারী-শিশু নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার প্রায় ১০০ জনকে স্থানীয় টাউন হলে অস্থায়ীভাবে বানানো এক আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে, অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত বছর কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলে লেক কিভুতে ২৭৮ যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনায় পানিতে ডুবে অন্তত ৭৮ জনে মৃত্যু হয়েছিল। পৃথক আরেক ঘটনায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ডিসেম্বরে নদীতে নৌকা ডুবে অন্তত ২২ জন মারা গেছে।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ঈদের জামায়াতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ মাঠ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতের আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫,০০০ মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া, মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে:

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থা: মুসল্লিদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস: জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।

বিকল্প ব্যবস্থা: বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাননীয় প্রশাসক ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।”

পরিশেষে, তিনি আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সবার ইবাদত কবুল হওয়ার প্রার্থনা করেন।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




আদালতের গ্রিল কেটে টাকা ও স্বর্ণালংকার ‍চুরি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নাটোরে আদালতের স্টোররুমের জানালার গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে।এতে ৩৭ লাখ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণ ও ১৭ ভরি রুপা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নাটোর আদালতের স্টোররুমে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে আদালতের পুলিশ কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করলে স্টোররুমের তালা ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাটি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান। পরে খবর পেয়ে এসপি মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনসহ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন।

মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইর আমাদের সময়কে বলেন, সকালে স্টোররুমের জানালার গ্রিল কাটা ও তালা ভাঙা দেখতে পায় পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই স্টোররুমে তালা ভাঙা। এটি সংঘবদ্ধ চোরের একটি দল ঘটিয়েছে। তারা প্রথমে জানালার গ্রিল কেটে অফিসের প্রবেশ করে। এরপর স্টোররুমের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আনুমানিক নগদ ৩৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণ ১৫-১৬ ভরি এবং ১৭-১৮ ভরি রুপা চুরি করে পালিয়ে যায়। এর আগে চক্রটি আদালতের আশপাশের সিসিটিভি সংযোগ এবং ভিডিও রেকর্ডারসগুলো বিচ্ছিন্ন করে খুলে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্ত কাজ করছে।


আরও খবর