Logo
শিরোনাম

মুখ ধোওয়ার যেসব ভুলে ত্বক নষ্ট হয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মুখের ত্বক উজ্জ্বল আর তরতাজা রাখতে সবার আগে প্রয়োজন সঠিকভাবে মুখ ধোওয়া। এতে ত্বকের ভেতরে থাকা ময়লা, তেল সব বের হয়ে যাবে। কিন্তু অনেকেই মুখ ধোওয়ার সঠিক পদ্ধতি জানেন না।

রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পদ্ধতি মেনে মুখ না ধুলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই মুখ পরিষ্কার করার সময় হামেশাই কয়েকটি ভুল করে থাকেন , যা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যেমন-

গরম পানি ব্যবহার করা : অনেকেই গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে থাকেন। কিন্তু গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়। ফলে ত্বকে রুক্ষ-শুষ্কভাব, জ্বালা এবং লালচেভাব দেখা দিতে পারে। তবে একেবারে হালকা গরম বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।

ভেজা ওয়াইপস ব্যবহার করা: খুব তাড়াতাড়ি মুখ পরিষ্কার করতে অনেকেই ভেজা ওয়াইপস ব্যবহার করেন। অনেকে মেকআপ তুলতেও এই টিস্যু ব্যবহার করেন। কিন্তু ভেজা ওয়াইপসে নানা ধরনের রাসায়নিক থাকে। যার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হয়। এগুলি ব্যবহার করলে ত্বকে জ্বালা হতে পারে। তাছাড়া, ভেজা ওয়াইপস ত্বকের সব ময়লা, তেল অপসারণ করতে পারে না।

সাবান বা ভুল ক্লিনজার ব্যবহার করা: ত্বকের ধরণ অনুযায়ী উপযুক্ত ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে ত্বকের জ্বালা, চুলকানি, লালচেভাব দেখা দিতে পারে। শুষ্ক, তৈলাক্ত, কম্বিনেশন বা সেনসিটিভ, আপনার ত্বক যে রকম, সেই হিসেবে ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার কিনুন।

নোংরা হাত বা তোয়ালে ব্যবহার করা: মুখ ধোওয়ার আগে হাত ধোয়াটা খুব জরুরি। কারণ হাতে থাকা জীবাণু ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। নোংরা হাতে মুখ ধোওয়া বা মুখ মোছার জন্য নোংরা তোয়ালে ব্যবহার করলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া, ময়লা জমা হতে পারে। যার ফলে ব্রণ, পিম্পল এবং সংক্রমণ হতে পারে। তাই হাত ভালো করে ধুয়ে তবেই মুখে স্পর্শ করুন। পাশাপাশি মুখ মোছার জন্য পরিষ্কার তোয়ালে বা ফ্রেশ টিস্যু ব্যবহার করুন।

খুব জোরে জোরে স্ক্রাব করা: স্ক্রাবার বা ওয়াশক্লথ দিয়ে খুব জোরে জোরে মুখ ঘষলে ত্বকে জ্বালা, লালচেভাব হতে পারে। মুখ ধোওয়ার সময় হাতের তালু বা আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে, বৃত্তাকার গতিতে মুখে স্ক্রাব করুন। মুখ ভালো করে ধোওয়া ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার লাগানোর পর মুখ খুব ভালো ভাবে পানি দিয়ে ধোওয়া উচিত। তা না হলে মুখে ক্লিনজারের অবশিষ্টাংশ লেগে থাকতে পারে। এটি ত্বকের ছিদ্র আটকে জ্বালা এবং ব্রণ হতে পারে।


আরও খবর

ওজন কমাতে লেবু পানি ?

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খাওয়ার পরেই চা নয়

বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩




বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ফ্রান্স

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশের উন্নয়নে ফ্রান্স সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স। বাংলাদেশের উন্নয়নে দেশটি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও সহযোগিতা করবে ফ্রান্স।

বৈঠকে অংশ নিতে সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে ম্যাক্রোঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এর ১০ মিনিট পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ঋণ সহায়তা চুক্তি সই হয়।

এর আগে সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে গেলে সেখানে ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানান জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাদুঘর পরিদর্শন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। শেষ পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসেন ম্যাক্রোঁ। সেখান থেকে গতরাতে ঢাকায় আসেন। ৩৩ বছর পরে ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক সফরে ঢাকায় এলেন তিনি।

রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধানমন্ত্রীর আয়োজন করা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে অংশ নেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। পরে জলের গান ব্যান্ডের শিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করেন ম্যাক্রোঁ।


আরও খবর



সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ক্রীড়া প্রতিবেদক : এক আসর বিরতি দিয়ে আবারও এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের এবারের আয়োজক পাকিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ। লাহোরের এই পিচে খেলা বেশ কঠিন, সে কথা আগেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে, কঠিন এই কন্ডিশনেও নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়াই করতে চায় বাংলাদেশ।

স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন লিটন কুমার দাস। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে গিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশের এই ব্যাটার। তবে ইনজুরির কারণে আর খেলা হচ্ছেনা তার। শান্তর বিকল্প হিসেবে তিন নাম্বারে কে খেলবেন, তা নিয়েও আছে আলোচনা।
ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে সেটা এক প্রকার নিশ্চিত। ফিরছেন লিটন দাস, যে কারণে আবারো নিচে ব্যাট করতে হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। নাঈম শেখ থাকছেন আরেক ওপেনার হিসেবে। তিনে দেখা যেতে পারে তাওহীদ হৃদয়কে। আগের ম্যাচে ভাল না করলেও, তাকে আরও একটা সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মিডল অর্ডার বিশ্বস্ত নাম সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। চারে সাকিব আর পাঁচে মুশফিক অনেকটাই নিশ্চিত। ছয়ে আফিফ হোসেন এবং সাতে দেখা যেতে পারে মিরাজকে। আটে থাকতে পারেন শামীম পাটোয়ারী।
নয় দশ এবং এগারো এই তিন পজিশনে থাকবেন টাইগার তিন পেসার। যথাক্রমে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলাম। এ ম্যাচে একাদশে জায়গা হবে না মুস্তাফিজুর রহমানের। একটা সময় তাকেই অটোচয়েজ ভাবা হতো, তবে অন্যান্য পেসারদের ভালো করাই সময় বদলাতে শুরু করাই মলিন পারফর্ম করা ফিজ থাকতে হচ্ছে অতিরিক্তের বেঞ্চে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে সজাগ থাকতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে কোন মতেই ক্ষমতা আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম - মুক্তিযুদ্ধে ৭১ এর ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সারওয়ার আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ম, হামিদ এবং মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবো, যারা চক্রান্ত করবে তাদের বিরোধিতা করবো। সম্মিলিত কাজ করে যেতে হবে।

জাতীয় সম্মেলনে যোগদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছে তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে এবং স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরী সহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে আপনারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই আন্দোলনের মধ্যমণি এবং নেতা।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক খেলা হয়েছে, অনেক নেতৃত্ব এসেছে কিন্তু এই খেলায় বিজয়ী হচ্ছেন জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে ধারাবাহিকভাবে রাজনীতি করতে হয় । বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে কোন রসায়ন কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পিতা তিনি মানুষের অন্তরের কথা তিনি বুঝতেন এবং জানতেন, তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে যে দুর্গম পথের যাত্রা শুরু হয়েছিল বা ৫২-এর ভাষা আন্দোলন ৫৪-এর যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬এর ছয় দফা, ৬৯এরনির্বাচন ও ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা অনেক মানবিক ছিলেন। যারা ক্ষুধার্ত তাদের অন্ন দিতেন। তিনি প্রতিটি ধাপে ধাপে বাঙালি চেতনাকে লালন করেছেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার এই জাতীয়তাবাদী মনোভাব, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ সবকিছুতেই ছিলেন অন্যান্য সাধারণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি অঙ্গুলির হেলানে সমস্ত জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হয় এরকম উদাহরণ পৃথিবীতে আমরা খুঁজে পাই নাই।

তিনি বলেন দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধানকে তছনছ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পরাজিত শত্রুরাই এসব করেছে, তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ।

১৯৭১ সালের গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলার মাটিতে সংগঠিত এই গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর জঘন্যতম বৃহৎ গণহত্যা।

১৯৭১ সালের ১৩ জুন বিশ্ব সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাস এর লেখা যুক্তরাজ্যের "দি সানডে টাইমস" পত্রিকা "গণহত্যা" বিস্তারিত বিবরণ ছাপা হয়েছে, উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো করা প্রয়োজন।

এই দাবি নিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ও এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে এখন মর্যাদার আসনে আসীন।

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উপর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত "Genocide 1971" গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু রোগের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকরা এই টিকার সফল পরীক্ষা করেছেন। টিকার নাম দেওয়া হয়েছে টিভি-০০৫ (টেট্রাভেলেন্ট)।

ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই এই টিকা কার্যকর। টিকার এই সফল পরীক্ষা নিয়ে একটি প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।

এই টিকা গবেষকদের একজন আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এটি একটি আশাব্যঞ্জক ঘটনা। যেহেতু দেশে ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রকোপ চলছে, তার মধ্যে এটি একটি আশার খবর।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু টিকা টিভি-০০৫-এর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ। শেষ হয় ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

এতে অংশ নেন ১৯২ জন। তারা সবাই স্বেচ্ছায় অংশ নেন। প্রাপ্তবয়স্ক ১৮ থেকে ৫০ বছর (২০ জন পুরুষ ও ২৮ জন নারী), কিশোর ১১ থেকে ১৭ বছর (২৭ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী), শিশু ৫ থেকে ১০ বছর (১৫ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী) এবং ছোট শিশু ১ থেকে ৪ বছর (২৯ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী)। চারটি বয়সের শ্রেণিতে বাছাই করে টিকা বা প্লাসিবো করা হয়। অর্থাৎ প্রতি দলে ৪৮ জন করে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এসব ব্যক্তির কারও কারও আগেই ডেঙ্গু হয়েছিল, আবার কারও হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা সবাই ছিলেন বাংলাদেশি। টিকার বেশির ভাগ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল সামান্য।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে অন্যতম ছিল ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ। ১৪৪ জন টিকাগ্রহণকারীর ৩৭ জনের (২৬%) এবং ৪৮ জন প্লাসিবো প্রাপকের মধ্যে ৬ জনের (১২%) ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছিল ফুসকুড়ি। টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে জ্বর ছিল ৭ জনের (১৪৪-এর ৫%) ক্ষেত্রে এবং আরও ৭ জন গিঁটে ব্যথা (১০৮-এর ৬%) অনুভব করেছেন। টিকা গ্রহণের ১৮০ দিন পর সব অংশগ্রহণকারীর ( ১৪২ জন) মধ্যে বেশির ভাগ সেরোটাইপের (ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪) বিপরীতে সেরোপজিটিভ দেখা গেছে।


আরও খবর

দেশে কম বয়সি হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ফতুল্লায় আলামিন শেখ হত্যা মামলার

প্রধান আসামি হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কবিরাজ আলামিন শেখ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই। রবিবার রাতে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের কার্যালয়ে  সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই’র নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 

পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি প্রথমে ক্লুলেছ হলেও পরবর্তীতে আমাদের লোকাল সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামী হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ মাস্টার (৩৮) কে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারও উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হাফিজ মাস্টার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, হাফিজুর রহমান ও নিহত কবিরাজ আলামিন শেখ পূর্ব পরিচিত। দু’জনে একসাথে লাইটার জাহাজে কাজ করতেন। 

হাফিজুর ধারনা করে আলামিনের কবিরাজি ঝাড় ফুকের দ্বারা সমাজের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। আসামী হাফিজুর কিছুতেই তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে আদর্শগত দিক থেকে তার পূণ্য হবে এই ধারনায় কবিরাজ আলামিন শেখ কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। 

হত্যার দিন হাফিজ ভিকটিমের সাথে মোবাইলে কথা বলে রাতে কবিরাজি রুমে আসে। রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ভোর রাতে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী হাফিজ তার বন্ধু আলামিন শেখ কে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে। হত্যাকান্ড শেষে হাফিজুর ফতুল্লা পাগলা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোররাতে (৮ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লায় ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।


আরও খবর