Logo
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে বহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



বিডি টুডেস রিপোর্ট:


সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।



বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের রায় বহাল রাখেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো।



এসময় পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর কোটা নিয়ে নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে রাজপথে আন্দোলন করে সুপ্রিমকোর্টের রায় পরিবর্তন করা যায় কি না- সেটিও জানতে চান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 


এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র গত ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। 



মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। 


এই রায়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়। এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিলও করে রাষ্ট্রপক্ষ।


আরও খবর



“ইসরাইলি গণহত্যা রুখতে ইসলামিক আর্মি গঠন সময়ের অনিবার্য দাবী”

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ইসরাইলি গণহত্যা রুখতে নতুন করে মুসলিম জাতিসংঘ ও  ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন’ (ওআইসি) ভুক্ত ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে ইসলামিক আর্মি গঠন করা সময়ের অনিবার্য দাবী বলে মন্তব্য করেছেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বর্তমান পীর, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান ও পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সুফিজ প্রেসিডেন্ট হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। সোমবার (৭ই এপ্রিল) চট্টগ্রামের পটিয়া কোলাগাঁও ছবির মার্কেট সংলগ্ন ফরচুন শীপ ইয়ার্ড ময়দানে কোলাগাঁও সুন্নী সমাজ কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত সুন্নী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, “সর্বজনবিদিত যে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বরোচিত হামলায় প্রতিদিন অসংখ্য নিরীহ নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষ নিহত এবং আহত হচ্ছেন—যা বিশ্ব বিবেককে স্তব্ধ করে দিয়েছে। শুধুমাত্র গত এক বছরে গাজায় শহীদ হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ—এটি নিঃসন্দেহে ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি দৃষ্টান্ত। অথচ মানবাধিকারের বুলি আউড়ানো যুক্তরাষ্ট্র নির্লজ্জভাবে সন্ত্রাসী ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত জাতিসংঘও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।” 

“বিশ্বব্যাপী মুসলিম জাতিসত্তা নিধনে কট্টরপন্থী ইহুদী নাসারারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত জানিয়ে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, ফিলিস্তিনের মজলুম গাজাবাসীর ওপর সন্ত্রাসী ইজরাইলের আগ্রাসন ও নারকীয় গণহত্যা রুখে দিতে হলে নতুন করে মুসলিম জাতিসংঘ ও  ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন’ (ওআইসি) ভুক্ত ৫৭টি মুসলিম দেশ নিয়ে ইসলামিক আর্মি গঠন করা সময়ের অনিবার্য দাবী।” 

“বাংলাদেশ সরকার কে অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়টি ওআইসি-তে জোরালোভাবে উত্থাপন করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এর নিন্দা জানানোর দাবী জানিয়ে বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন,   আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাতে হবে যাতে তারা গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হন এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একইসাথে বাংলাদেশে ইসরায়েলি সব পণ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ও বয়কটেরও আহবান জানান তিনি।” 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সুখ শুকছড়ি দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত আল্লামা নাছেরুল হক চিশতির সভাপতিত্বে সুন্নী মহাসম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন তাহেরী। বিশেষ বক্তা ছিলেন, রাউজান গহিরা এফ.কে জামেউল উলুম কামিল মাদ্রাসার মোহাদ্দেস মাওলানা ফখরুদ্দীন আল কাদেরী, কর্ণফুলী সৈন্যারটেক হযরত সিদ্দিকে আকবর (রা.) আল কুরআন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক এনাম কাদেরী, কোলাগাঁও গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন আল কাদেরী, শিক্ষক মাওলানা নূরুল ইসলাম সাইদারীসহ আরো অনেকেই। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।


আরও খবর



সবজির দাম ঊধ্বমুখী, স্বস্তিতে আলু-পেঁয়াজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ৮০ টাকার নিচে সবজির কেজি মেলাই ভার। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে স্বস্তিতেই রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুনের দাম।০৪ এপ্রিল রাজধানীর বাড্ডা এলাকাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০, করলা ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা ৮০-৯০ টাকা, ঢেড়স ৭০-৮০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৯০ টাকা, শশা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে পাট শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, ডাটা শাক ১৫-২০ টাকা, পালং ২০-২৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটির কারণে বাইরে থেকে খুব বেশি পণ্য আসছে না। তাই আড়তে দাম বাড়তি। এ কারণে খুচরা বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে সামনে সপ্তাহে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেছে আদা রসুনের দাম। নতুন রসুন ৮০-১০০ টাকা ও আদা ১৫০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাড়তি রয়েছে আমদানি করা আদা রসুনের দাম।

অপরদিকে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মাছ-মাংসের বাজারে। গত সপ্তারে ঈদের বাজারের তুলনায় কিছুটা কমেছে দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ২২০ টাকা ছাড়ালেও আজ তা ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ৩৩০-৩৬০ টাকা। অন্যদিকে ফের ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

মাছের বাজারে সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গেল সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এছাড়াও ৫০০-৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড় তার দাম ততো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সব জায়গায় ঈদের জামাতে যারা শরীক হয়েছেন ও নারী-প্রবাসী শ্রমিকসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে স্থায়ীভাবে সেই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।

জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস।তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে,‌ সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।

সেই সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি ও বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন ছিল।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



চলছে আমের মৌসুম, কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বাইরে এখন তীব্র রোদের আঁচ। সঙ্গে গা পোড়ানো গরম। বাজারে আসছে কাঁচা আম, দেখলেই যেন জিবে জল এসে যায়। গ্রীষ্মে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি। এ সময় কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত সারা শরীরে এনে দিতে পারে প্রশান্তি

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেটের মতো অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন বিভিন্ন নিরাময়কারী উপকারিতা নিয়ে আসে। হজমের সমস্যা নিরাময়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম বেশ কার্যকরী। চলুন জেনে নেয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার কিছু অবাক করা উপকারিতার কথা-

১. তীব্র তাপ থেকে রক্ষা

ব্যায়ামের পরে এক গ্লাস কাঁচা আমের রস একটি দুর্দান্ত সতেজ পানীয়। এটি প্রচণ্ড তাপের প্রভাব কমায় এবং শরীরে সোডিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে। গ্রীষ্মকালে যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়, তাই কাঁচা আম শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

২. হজমের সমস্যার চিকিৎসা করে

গ্রীষ্মকালে ক্রমবর্ধমান গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম একটি আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক প্রতিকার। এটি পাচক রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া, সকালের অসুস্থতা এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে

যারা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।

৪. হৃদরোগের চিকিৎসা

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবার হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

৫. লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং লিভারের রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে চর্বি শোষণ বৃদ্ধি করে।


আরও খবর

যে ভুলে কমছে না পেটের চর্বি

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫

স্নিগ্ধ সাজে নতুন বছরকে বরণ

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫




স্মার্ট কার্ড সেবা থেকে বঞ্চিত সাড়ে ৬ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা দিতে দেশের নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিতরণ কর্মসূচি শুরুর পর প্রায় সাড়ে আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্মার্টকার্ড পাননি সাড়ে ছয় কোটির মতো নাগরিক।

ইসির সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এখন পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন ৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার নাগরিক। অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড হাতে পায়নি এমন ভোটারের সংখ‌্যা ৬ কোটি ৬৬ লাখ ১ হাজার ১৫৩ জন, যার মধ্যে বিতরণের অপেক্ষায় আছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ২৭১টি।

২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। সে হিসাবে আট বছর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও সব নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে পারেনি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

স্মার্ট কার্ড বিতরণে ধীরগতির কারণ জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের এখন প্রায়োরিটি কাজগুলো হচ্ছে আমরা যে ভোটার নিবন্ধন করছি সেটি সংশোধনের যেসব আবেদন করা হচ্ছে, সেগুলো নিষ্পন্ন করা এবং ইসির প্রতিদিনের যেসব কাজ থাকে সেটা। এসব কাজের কারণে আমরা কিন্তু স্মার্ট কার্ড বিতরণ করতে পারছি না। নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়ে গেলে তখন আমরা স্মার্ট কার্ড বিতরণে মনোযোগ দিতে পারব। এছাড়া সকলকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার লক্ষে আমরা নতুন স্মার্ট কার্ড কেনার প্রক্রিয়া চলমান রেখেছি।’

জানা গেছে, ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নাগরিকদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০১১ সালে আইডিইএ (স্মার্টকার্ড) প্রকল্পটি হাতে নেয় কমিশন। তারপর দীর্ঘ চার বছর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে স্মার্টকার্ড তৈরির দিকে এগোয় সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজিসের সঙ্গে ওই সময়ের ৯ কোটি ভোটারের জন্য নয় কোটি ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড তৈরি করে দিতে ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি চুক্তি করে ইসি। যার মেয়াদ ছিল ১৮ মাস। কিন্তু মেয়াদ বাড়ানোর পরেও ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তিতে উল্লেখিত কার্ড সরবরাহ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সে বছরের শেষের দিকে অবার্থারের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, অবার্থার ১ দশমিক ৫১ ডলার দরে ৭ কোটি ৭৩ লাখ কার্ড সরবরাহ করতে পেরেছিল। সেই মোতাবেক আগের ১ কোটি ২৭ লাখ নাগরিকের কার্ড ঘাটতি ছিল। এই কয়েক বছরে ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। সব মিলিয়ে আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটির মতো ব্ল্যাংক কার্ড তৈরি এবং তাতে নাগরিকের তথ্য সংযুক্ত করে বিতরণে যেতে হবে। এজন্য ইতিমধ্যে আইডিইএ দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে তিন কোটি কার্ড দেওয়ার কথা থাকলেও ডলারের দাম বাড়ায় ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০টি কার্ড দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি-বিএমটিএফ। অবশিষ্ট কার্ডগুলো প্রকল্পের মেয়াদ শেষে রাজস্ব খাত হতে ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে নতুন প্রকল্প থেকে কার্ড তৈরি ও বিতরণেও তেমন অগ্রগতি নেই। ১১৪ উপজেলার ভোটারের স্মার্টকার্ড ছাপানোই হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা।

ইসির স্মার্ট কার্ড বিতরণের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত মোট স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৩টি। বিতর‌ণ করা হয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯২টি। আর বিতরণের অপেক্ষায় আছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ২৭১ টি।

নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এনআইডির (স্মার্ট কার্ড) যে ব্লাংক কার্ড, এটা একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে। তিন কোটি কার্ড কেনার জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি হয়। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সেনাবাহিনী আমাদের দিতে পারছে না মর্মে চিঠি দেয়। পরে এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, তারা ১৭২ টাকা করে আমাদের কার্ড দেবে। কিন্তু সে সময় সেনাবাহিনী রাজি ছিল না। পরে এটা নিয়ে একটা ওপেন টেন্ডারে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। এরপর সেনাবাহিনী ১৭২ টাকা করে দিতে রাজি হয়। সে অনুযায়ী কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৪০৬ কোটি টাকায় যতগুলো কার্ড হয় সেগুলো তাদের কাছ থেকে নেওয়ার।


আরও খবর