Logo
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই: আ.ক.ম মোজাম্মেল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিডিটুডেস ডেস্কঃ

           মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে তালিকাভূক্ত হওয়ার আর সুযোগ নেই। 

তবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুমোদনে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে প্রবাসে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভূক্ত হওয়ার এখনো সুযোগ আছে। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী দেশের উন্নয়নের পক্ষে প্রচারণা চালাতে প্রবাসীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়নের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশকে আবারও পিছিয়ে নিতে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে-প্রবাসে সমানভাবে সক্রিয়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরুল আমিন রুহুল এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম এমপি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, সহ-সভাপতি সামসুদ্দিন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া এনাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, প্রবাসীকল্যাণ সম্পাদক মো. সোলায়মান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়া, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি জেহাদুল হক জিহাদ প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী। 

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলেন টিউলিপ

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় ন্যায্য মূল্যের দোকানে মিলছে স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হওয়া ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলোতে বাজারের তুলনায় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। এই দোকানে ৯০-১০০ টাকা কম মূল্যে মাংস পেয়ে খুশি স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। শুধুমাত্র নওগাঁতেই চালু করা হয়েছে এই ন্যায্য মূল্যের দোকান। ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে পুরো দেশে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ মডেল হিসেবে মূল্যায়িত হবে বলে মনে করছেন নওগাঁর সচেতন মহল। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের এমন উর্দ্ধগতির বাজারে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রাপ্যতার কথা চিন্তা করে গত ২৩ নভেম্বর থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নির্দেশনায় জেলার ১১টি উপজেলায় প্রশাসনের পরিচালনায় চালু করা হয়েছে ন্যায্য মূল্যের দোকান। যে দোকানে বাজারের তুলনায় সাশ্রয়ী মূল্যে আলু, পেঁয়াজ এবং ডিম পাওয়া যাচ্ছে। দোকানগুলোয় বর্তমানে নতুন আলু ও পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি এবং ডিম ৪৫ টাকা হালিতে পাওয়া যাচ্ছে। এই দোকান থেকে একজন ক্রেতা দুই হালি ডিম এবং দুই কেজি করে আলু, পেঁয়াজ ও মাংস কিনতে পারবেন। বাজার মূল্য থেকে কিছুটা কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন সকল শ্রেণির ভোক্তারা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে ন্যায্য মূল্যের এই দোকান। শুক্রবার থেকে সেই দোকানগুলোর পণ্যের তালিকায় নতুন পণ্য হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস। একজন ভোক্তা প্রতি শুক্রবার ন্যায্য মূল্যের এই দোকান থেকে স্বল্প মূল্যে দুই কেজি গরুর মাংস ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে খোলা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭৫০ টাকা। ফলে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে গরুর মাংস এখন অনেকটাই ডুমুরের ফুলের মতো দুষ্প্রাপ্য বস্তু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এমতাবস্থায় মাসে অন্তত একবার এই সব মানুষদের খাবারের তালিকায় গরুর মাংস সংযোজন করতে জেলা প্রশাসন স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলার সদর, রাণীনগর, মান্দাসহ অন্যান্য উপজেলা পরিষদের ন্যায্য মূল্যে মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রাণীনগর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ন্যায্য মূল্যের দোকানে প্রায় দুই মন ওজনের একটি গরু সকাল ৯টায় জবাই করা হয়। সাড়ে ১০টার মধ্যে মাংস কেটে সাইজ করা হয়। মাংসের দাম কম হওয়ার কথা শুনে ক্রেতারা ছুটে আসেন। আবার অনেকে দেখার জন্যও আসেন। মাংস নিতে ইচ্ছুক অনেকেই লাইনে দাড়িয়ে তালিকায় নাম লেখান। ঘন্টাব্যাপী সময়ের ব্যবধানে মাংস বিক্রি শেষ হয়ে যায়। উপজেলা সদরের রনসিংগা গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুল জব্বার বলেন বাজারে গরুর মাংসের যে দাম কিনতে না পারার কারণে সেই মাংসের স্বাদ ভুলেই গেছি। বর্তমানে বাজারে ৬৯০-৭০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে যা আমার মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। আবার বাজারে কম পরিমাণ মাংসও বিক্রি হয় না। অথচ ন্যায্য মূল্যের দোকানে স্বল্প মূল্যে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস কেনা যাচ্ছে। এতে করে আমি পরিবারের সদস্যদের মাসে অন্তত একবার একবেলা গরুর মাংস খাওয়াতে পারবো। এমন দোকান চালু হওয়ায় আমি খুবই খুশি। এমন দোকান যেন কখনও বন্ধ না হয়। এখন থেকে আমিষের চাহিদা পুরণে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুবিধা হবে। নওগাঁ সদর উপজেলার চকমুক্তার মহল্লার বাসীন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী সানাউল্লাহ বলেন, খুচরা বাজারে বরাবরই মাংসের দাম বেশি থাকে। মুরগি খাওয়া হলেও গরুর মাংস তেমন একটা কেনা হয় না। দাম কিছুটা কম পেয়ে এক কেজি কিনেছি। মাংস মোটামুটি ভাল। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য এমন উদ্যোগ অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে।

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. রবিন শীষ বলেন, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু হওয়ার পর সুবিধা পাচ্ছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। আলু, পেঁয়াজ ও ডিম এর সাথে গরুর মাংস যোগ করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার গরুর মাংস বিক্রি হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি এবং সর্বনিম্ন ২৫০গ্রাম পর্যন্ত মাংস কিনতে পারবেন। এক কথায় সকল আয়ের মানুষই তাদের সামর্থ্য অনুসারে গরুর মাংস এই দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে সচেতনামূলক কিছু বিষয়ও প্রচার করা হচ্ছে। পলেথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কেউ চাইলেও পলেথিনে পণ্য বিক্রি করা হবে না। এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে জেলার মানুষরা ব্যাপক ভাবে উপকৃত হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর



প্রবাসীদের পাঠানো ডলারের মূল্য বেঁধে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের ডলারের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত চার মাসে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে এবং তা ১২৮ টাকায় পৌঁছায়। এমন বাস্তবতায় ব্যাংকগুলোকে ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় না কেনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের মতে, ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে যে, রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে ১২৩ টাকার সীমা মানতে হবে। এতদিন এই সীমা ছিল ১২০ টাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যাংক ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায় ডলার কিনেছে।

ব্যাংক অতিরিক্তি দামে ডলার কেনার কারণে আমদানিকারকদেরও বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। ফলে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়ছে। এমন তথ্য দিয়েছে বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধান।

ডিসেম্বরের শুরুতে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বেশ কিছু ব্যাংক বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়। এর ফলে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে বেশি দামে ডলার কেনা হচ্ছে। এতে করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়লেও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কেনার ক্ষেত্রেও বেশি দামের প্রভাব দেখা দিয়েছে।

বেশি দামে ডলার কেনার জন্য ১৩টি ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং ১১টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকগুলোকে তাদের কার্যক্রমের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশনার পর বেশ কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সের দর কমিয়ে এনেছে।

গত দুই দিনের মধ্যে ডলারের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। রেমিট্যান্সের দামও কিছুটা কমে এসেছে। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আমদানি দায় মেটানো সম্পন্ন হলে ডলারের বাজার আরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।


আরও খবর



কনকনে ঠান্ডায় বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। ইতোমধ্যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে চার জেলায়। শৈত্যপ্রবাহের পরিধি আরও বাড়বে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। শীতের এমন অবস্থার মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর ফলে বৃষ্টি হতে পারে বলে সরকারি সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। সেই সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের বার্তায় জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এ ছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এমন অবস্থায় রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারাদেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এরপর সোম ও মঙ্গলবার (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) দিন ও রাতের তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে। এ সময় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের শরীরে শীতবস্ত্র তুলে দিলেন জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

চলতি বছরের শীত মৌসুমে নওগাঁ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীতের দাপট। শীত মৌসুমে নওগাঁর তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কখনো মৃদু শৈত প্রবাহ আবার কখনও তীব্র শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের সেই তীব্রতাকে যেনো আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছে। দিনের বেলায় নিরুত্তাপ সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেঁকে বসছে কনকনে শীত। এমতাবস্থায় হাড় কাপানো শীতের তীব্রতায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে শীতার্ত অসহায়, দু:স্থ, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও খেটে-খাওয়া নানা শ্রেণি-পেশার নিম্ম আয়ের মানুষরা। এছাড়া বিভিন্ন শিশু সদনের শিক্ষার্থীরাও তীব্র শীতে কাঁপছে, শীতের তীব্রতার দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে শিশুরা।

শীতের এই তীব্রতা থেকে নওগাঁর শীতার্ত মানুষদের রক্ষা করতে সরকারের পক্ষ থেকে গরম কাপড় হিসেবে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। প্রতিনিয়তই জেলার কোন না কোন স্থানে শীতার্তদের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র পৌছে দেয়া হচ্ছে। নওগাঁ জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে জেলার ১১টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা নিজেরাই গাড়িতে শীতবস্ত্র নিয়ে শীতার্তদের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন। শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চক রামচন্দ্র উত্তরপাড়া হামিদুর রহমান বেসরকারি শিশু সদন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম দপ্তরীপাড়া মাদ্রাসা, দুবলহাটি কাওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এবং জাবালে নূর হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে প্রায় ৭শ টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম রবিন শীষ, জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, চলতি শীত মৌসুমে জেলার দুঃস্থ, অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া ১৫ হাজার কম্বল ইতি মধ্যেই বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার জন্য ৬৭লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যে অর্থ দিয়ে স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী অফিসারগন শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল ক্রয় করে ওই সব উপজেলার শীতার্ত অসহায়, দুঃস্থ, গরীব, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও শিশু সদনের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে আরো ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই শীতবস্ত্রগুলো পাওয়া মাত্রই বিতরণ করা হবে এবং মন্ত্রণালয় বরাবর আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আমি আশাবাদি জেলার কোন শীতার্ত মানুষকেই গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্ট করতে হবে না। যতদিন শীতের এই প্রকোপ অব্যাহত থাকবে ততদিন শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীত। এই শীতে গরম কাপড়ের অভাবে অনেকটাই নাজেহাল হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও খেটে খাওয়া নিম্ম আয়ের মানুষরা। এমন শীতার্ত মানুষদের শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। চলতি শীত মৌমুসে দেশের শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ও ফকির গ্রুপের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আক্তারুজ্জামান (সিআইপি) ও ফকির মাশরিকুজ্জামান। ইতিমধ্যেই দেশের শীত প্রবণ সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলার শীতার্ত মানুষদের মাঝে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। স্যারদের নির্দেশনা মোতাবেক পুরো দেশের যে সব অঞ্চলে শীত বেশি হয় সেই সব জেলায় ধারাবাহিক ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হবে বলে জানিয়েছে ফকির গ্রুপের আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন। দেশব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণের অংশ হিসেবে উত্তরের জেলা নওগাঁর রাণীনগরে সহস্রাধিক শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেডের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, ফকির গ্রুপের হিসাব শাখার সিনিয়র অফিসার আশরাফুজ্জামান। এই বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় ভাবে সহযোগীতা করেন রিপন নীল, আবু হাসান আকাশ প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, আগামীতে যদি এই অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে সরকারের পাশাপাশি ফকির গ্রুপের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরো বেশি সংখ্যক শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হবে ফকির গ্রুপ। শুধুমাত্র নিশ্চিত করতে হবে যেন শীতবস্ত্রগুলো প্রকৃত শীতার্ত মানুষরা পান। এই উপজেলায় আগামীতে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণের আশ্বাস প্রদান করেন আয়োজকরা।  


আরও খবর