Logo
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

স্বাধীনতার লাভের ১৩১৪ দিন পর মর্মান্তিক ভাবে আমরা জাতির পিতা কে হারিয়েছিলাম। জাতি দিশেহারা হয়েছিল। 

বৈপরীত্যের ধারাবাহিকতায় প্রায় ২৭ বছর এদেশের মুক্তি পাগল মানুষকে ভ্রান্ত পথে শান্ত ক্লান্ত পথ চলতে হয়েছে। 

 মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার-পরিজন এই সময়ে চেতনা পৃষ্ঠ, ক্ষুধা ক্লিষ্ট, অস্তিত্ব বিপন্নতার সংকটকে ধারণ করে বেঁচে থাকার প্রাণান্ত চেষ্টা নিয়েছে। 

সম্মান, গৌরব, অহংকার তাদের স্পর্শ করেনি। 

রাজাকার, আল বদর, আল শামস, দুর্বৃত্ত পান্ডাদের রিকশা টানা, দিনমজুরি করা, উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ-গ্রহণ তখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অতি সাধারণ ঘটনা হিসেবে প্রচলিত ছিল।

তখনও দেশে সমাজ ছিল, সংস্কৃতি ছিল, সভ্যতা ছিল, মানবতা ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা অপরাধী হয়ে, উচ্ছিষ্ট হয়ে সমাজে অপাঙ্কতেয় ছিল। 

যৌবন যাদের মুক্তিযুদ্ধের তাড়নায় তাড়িত করে জীবনের বিপরীতে দেশ ভাবনায় সিক্ত করেছিল,  আগুনমুখী পতঙ্গের মতো যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, জীবন দিয়েছিল তারাই হয়ে গিয়েছিল এদেশের উচ্ছিষ্ট। 

তখনও দেশের সাহিত্য রচনা হতো, কবিতা লেখা হতো, গল্পপাঠ হতো, সভ্য দুনিয়ার সুশীল অনেক কাজ ধারাবাহিকভাবে চলত। 


সদ্য স্বাধীন দেশে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের মঞ্চায়ন ঘটানো হয়েছিল। স্বাধীনতার শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুদের সংখ্যা অনেক কম ছিল। যদিও বঙ্গবন্ধুর আমলেই ১৪০ টি দেশের স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছিল।

৭৫ এর পর মুক্তিযোদ্ধাদের পাখি মারার মত ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল। 

মুক্তিযোদ্ধা বাদ দিয়ে ১৯৭৩ সালে শত্রু দেশ পাকিস্তান ফেরত এরশাদের মত বিতর্কিত মানুষ এদেশের সেনাবাহিনী প্রধান হয়েছিল। তখনো এদেশে মেধা ছিল, সুজন ছিল, সখি ছিল।


জাতিসংঘে পাকিস্তানের হয়ে  মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে সাক্ষী দেয়া ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। 

ক্ষুধার্ত, আবাসনহীন নিঃস্ব মুক্তিযোদ্ধাদের তা দেখতে হয়েছিল, হজম করতে হয়েছিল এবং মেনেও চলতে হয়েছিল। 

এভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আর্থিক, সামাজিক, নৈতিক, পারিপার্শ্বিক যাতাকলে নিশ্চিহ্ন হওয়ার দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছিল। নৈতিকতা হারিয়ে ফেলেছিল।


হাজার বৈপরীত্যকে অতিক্রম করে অবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় বসালো। অবশিষ্ট  দিশেহারা মুক্তিযোদ্ধারা নতুন করে জীবনকে উপলব্ধি, উপভোগ করার প্রয়াস পেতে শুরু করল। ততদিনে তারা বয়সের শেষ প্রান্তে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের সাধ্যমত সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা করা হলো। ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি করা হলো। 

মুক্তিযোদ্ধারা ভুলেই গিয়েছিল, তাদের মহান ত্যাগের অর্জন- উপহার এই বাংলাদেশ তাদের অস্তিত্বের একমাত্র ঠিকানা। 

বঙ্গবন্ধু কন্যা ধাপে ধাপে মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সহ অন্যান্য নৈতিক, সামাজিক, বৈষয়িক সুযোগ-সুবিধা দিতে মনোনিবেশ করলেন। 

বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, 'পরশ্রীকাতরতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে।.. পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয় তাকে 'পরশ্রীকাতর' বলে। এক শ্রেণীর বাঙালির বিশেষ চরিত্র এটি। নির্লিপ্ত সুবিধাভোগী বাঙালি পরশ্রীকাতরতায় সিক্ত-তিক্ত, ক্ষুব্ধ হতে থাকল।

তাদের ক্ষোভ, অহংকার, অপচিন্তা সমাজে বিষবাস্পের মত ছড়াতে থাকল ।

মুক্তিযোদ্ধার অবশিষ্ট যা থাকল, তারা অস্তিতে নির্ভরতা খুঁজে পেতে থাকল। ততদিনে তারা বার্ধক্যের দুই সীমানায়। 


বঙ্গবন্ধু কন্যা আকাঙ্ক্ষার চাইতেও বেশি করে তাদের দিকে মনোযোগ দিলেন। 

সরকার প্রধানের এই মনোযোগ প্রতিহিংসা পরায়নতায় পর্যবসিত হতে থাকল।

কথিত ইন্টেলেকচুয়ালরা কলম খুলে বসল। তথ্য দিতে থাকল। তাত্ত্বিক কথা বলতে থাকল। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্বলতার সুযোগে তারা অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা বনে যেতে থাকল। 

সময় ও সুযোগ বুঝে সচকিত, উচ্ছ্বসিত হওয়া অথবা নীরবতা তাদের চরিত্রের অংশ। 

দীর্ঘদিন যোদ্ধাপরাধীদের প্রজন্মের নিরাপদ বিনিয়োগ অর্থ, সম্পদ, ব্যাংক- বীমা, আবাসন তাদের সমৃদ্ধিকে মজবুত ভিত্তি দিতে থাকল।


একদিকে অশিক্ষিত ,অর্ধশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের প্রজন্ম, অন্যদিকে ধূর্ত সবাইকে আঁকড়ে ধরা, অনেকটা দূরদর্শী স্বাধীনতার ভ্রান্ত প্রজন্ম, পাকিস্তান ফেরত সৈনিকদের বংশধর, রাজাকার আল বদর, আল শামস, মুসলিম লিগার, জামাতে ইসলামীদের প্রজন্ম প্রতিবেশে, সমাজের সকল স্তরে মজবুত ভিত্তি গড়ে তুলেছে ইতিমধ্যেই।


সরকার ইতিমধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' সম্বোধনের প্রজ্ঞাপন জারি করল এবং রাষ্ট্রীয় ভাবনাচিন্তায় তাদের প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার প্রয়াস গ্রহণ করল। 

এখানেও হাইবিডাইজেশন আশ্রয় নিল। শিক্ষিত একটি শ্রেণি সুযোগ গ্রহণ করে রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধার রূপ ধারণ করল। সনদের অধিকারী হল। প্রজন্মকে দুহাতে সুবিধা দেয়ার প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হল। 

মন্ত্রী মিনিস্টার, আমলা- কামলা, বণিক- ব্যবসায়ী, আস্তিক- নাস্তিক, বাম-রাম- ডান, বিপরীত রাজনীতির প্রতিনিধিরা- কেউই বাদ থাকল না।

সরকারিভাবে কোন এক সময় ঘোষণা আসলো মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ নাতি নাতনিদের বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদানের। 

এটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যয়ের, প্রতিদান। রক্তের মূল্য দেওয়ার প্রচেষ্টা। শ্রমের মর্যাদা দেয়ার প্রক্রিয়া। মুক্তিযুদ্ধের অস্তিত্বকে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা। 


আসল মুক্তিযোদ্ধারা নকল মুক্তিযোদ্ধাদের ভীরে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেল।

 

কোন ভূখণ্ডের মুক্তির সৈনিকদের অর্থ দিয়ে সম্মান দিয়ে পরিপূর্ণ মূল্যায়ন করা যায় না। জাতির সকল অংশকে তাদের প্রতি নিঃশর্ত কৃতজ্ঞ থাকতে হয়। এই থাকার মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। ঋণ সুদের প্রচেষ্টা নিতে হয়।


মুক্তিযুদ্ধের সরকার সেই ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা চালাতে চেষ্টা করেছে। 

আমাদের কতিপয় জ্ঞানপাপী সারা দুনিয়ার উদাহরণ খোঁজার চেষ্টা করে কেতাব খুলে, তত্ত্ব তথ্য খুঁজে জ্ঞানের ভ্রান্তিবিলাস দিয়ে লেখালেখি, বক্তৃতা- বিবৃতি দিয়ে চলেছে। এটি তাদের জীবন ধারণের উপায়ও বটে।


বীর মুক্তিযোদ্ধারা চাকরিতে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারেনি সময়ের বৈপরীত্য এবং বয়সের কারণে। সমাজের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয় তাদের প্রজন্মকে নিরাপদ এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার। যেহেতু ইতিমধ্যেই এক প্রজন্ম পিছনে ফেলে দেয়া হয়েছিল। তাই এদের সন্তান প্রজন্ম দিয়ে শুরু করলে আপনা আপনি  সন্তানের সন্তান প্রজন্ম অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি নাতনির অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। 


এখানে যারা সংবিধান ঘাটে, প্রক্রিয়া খোঁজে, তারা শয়তানের দোসর। রাজাকার, আল বদর, আলশামসদের রক্তের উত্তরাধিকারী। 


এদের সংকট মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি নাতনির সুবিধা নিয়ে নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চর্চা ও প্রবৃদ্ধি করার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করা।

দীর্ঘ ২৭ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সরকারের নির্লিপ্ততা, নীরবতা কিংবা অনাগ্রহ দৃশ্যমান ছিল। এটা ছিল পাপাচার। 


মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের সর্বসাকুল্যে ২৬ বছরের প্রক্রিয়ার ফসল আজকের বই বয়োবৃদ্ধ অবশেষ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের ভার লাঘব করে রাষ্ট্রীয় দায় পালনের প্রচেষ্টা মাত্র। 

যোদ্ধাপরাধীদের যে প্রজন্ম, পাকিস্তান ফেরতদের যে প্রজন্ম, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি কমিটি, শান্তি বাহিনীর যে প্রজন্ম, মুসলিম লীগ, জামাত ইসলামীসহ অন্যান্য ডান- বাম, অর্ধ, অস্তিত্বে বিতর্কিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দলগুলোর যে প্রত্যয়ী প্রজন্ম, তার সাথে মুক্তিযুদ্ধের, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রজন্মের ফারাক অনন্তকালের। 

বর্তমান সরকার প্রধানের চেতনায় জাগ্রত আছে, কখনও কোন মুক্তিযোদ্ধা ন্যূনতম সুযোগ সুবিধার জন্য মিছিল- মিটিং, আহাজারি, বিলাপ, উত্তাপ, লেখালেখি কিংবা আস্ফালন, উচ্ছ্বাস প্রদর্শন করেনি। কেননা তাদের সে যোগ্যতাও ছিল না। আর তারা তা জানতও না। তাদের চক্ষুলজ্জা ছিল, আছে।

এখন অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, তারা সরকারকে প্রভাবিত করে, প্রচার করে, বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছে। পাশাপাশি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাহীন কথিত মেধাবীদের আহাজারি, আস্ফালন, উশৃংখলতা, আন্দোলন দেখে মনে হয়, তাদের মেধার উপর কখনোই তাদের দৃঢ় আস্থা তৈরি হয়নি। সফলতার তীরে পৌঁছতে দারুন ঘাটতি আছে তাদের। 


আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। ভারতের মেঘালয়ের তুরা ট্রেনিং ক্যাম্পের ৮ নাম্বার উইং এ প্রায় ৩০ দিন প্রশিক্ষণ নিয়েছি। 

স্বাধীনতার পরবর্তীতে বিরতি দিয়ে লেখাপড়া করে অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সনদ নিয়েছি।

এসব কিছু করতে গিয়ে বয়সে ঘাটতি হয়েছে। আশির দশকের শেষ এবং নব্বই দশকের প্রথম দিকে বার বার বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েছি। 

স্পষ্ট করে বলছি, প্রিলিমিনারি , লিখিত , মনস্তাত্ত্বিক, স্বাস্থ্য  এবং মৌখিক পরীক্ষা, সবগুলো ধাপ অতিক্রম করে কোটা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে বিভিন্ন বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছি। শেষে চিঠি পেয়েছি, আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয়নি। এভাবেই দশম, একাদশ, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ বিসিএস। আর একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও এই পরীক্ষায় আমার সাথে অংশগ্রহণের উপযুক্ত আমি দেখিনি বয়সের কারণে। দেখার সুযোগ আমার হয়নি। 


অবশেষে চতুর্দশ বিসিএস পরীক্ষায় বোর্ড প্রধানের সাথে বিতর্ক করে আমাকে প্রমাণ করতে হয়েছে, আমি যোগ্য। 

আমাকে সম্মান দেয়া হয়েছে উত্তীর্ণ সকল পরীক্ষার্থীর শেষে অবস্থান দিয়ে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটি ছিল আমার সম্মানজনক (!) প্রাপ্তি। এর ফল আমাকে ভোগ করতে হয়েছে চাকরির শেষ দিন পর্যন্ত। সবার শেষে প্রমোশন। শিক্ষা ক্যাডারে বিশেষ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও(যা কখনোই আর কারো ছিল না) আমি আমলাতান্ত্রিকতায় এরকম অবিচারের  শিকার হয়েছি।


মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বরাবরই প্রতারিত হয়ে এসেছে। পরীক্ষার সবগুলো ধাপে যারা যোগ্যতা প্রমাণ করে এসেছে , তারাও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কিংবা পরের প্রজন্ম হওয়ার কারণে কথিত মেধাবীদের দ্বারা, একশ্রেণীর প্রশাসকদের দ্বারা তাচ্ছিল্যের শিকার হয়েছে, হচ্ছে। মেধায় পঙ্গু এইসব প্রজন্ম  নিজেদের মেধাকে অস্থায় নিতে না পেরে অপপ্রচার করে এবং আন্দোলন করে। অন্যরা তেল এবং তাল দেয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অতন্দ্র ধারক- বাহক। মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি ধারাবাহিকভাবে সম্মান দেখিয়ে যাচ্ছেন, সম্মান করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ সংযোজন তার সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং মন্তব্য। 


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য। লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছেন, লাখো মা-বোন নির্যাতিত। তাদের এই অবদান ভুলে গেলে চলবে না।' দু'লাখ মা- বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশের বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রীরা বলে, 'তারা রাজাকার। তুমি কে, আমি কে- রাজাকার, রাজাকার।' 

এই স্লোগান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সকল বিসর্জন ও অর্জনকে দারুন ভাবে আঘাত করে। ৫৩ বছরের পরের বাংলাদেশের প্রজন্ম গর্বের ইতিহাসকে ও ঐতিহ্যকে, এ দেশকে যে প্রক্রিয়া ধারণ করতে যাচ্ছে, তাকে মেধার নামে সাধারণীকরণ করা, অস্তিত্বের সাথে বেইমানি করা। 

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এভাবে ভ্রান্তিতে আবৃত করছে কারা। চেতনা কি বৃদ্ধ হয়? চেতনা কি পঙ্গু হয়? চেতনা কি প্রতিবন্ধী হয়?

 আমাদের মনে রাখতে হবে চেতনার বয়স নেই। চেতনা চির সবুজ, চির অম্লান, চির জাগ্রত। 


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, 'মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে।' ৫৩ বছর পরে এসে সরকার প্রধানের এই বক্তব্য মুক্তিযোদ্ধাদের সকল ক্ষোভকে নিভৃত করছে বলে মুক্তিযোদ্ধারা মনে করে। এখান থেকে হয়তো একটা শ্রেণীকে বুঝে নিতে হবে মেধার গুরুত্ব সর্বোচ্চ, নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের গুরুত্ব সর্বোচ্চ। 

আহমদ ছফা বলেছিলেন, 'বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান চললে দেশ স্বাধীন হতো না।' 

আজকের কথিত মেধাবিরাই তো কালকের বুদ্ধিজীবী। বলার কি অপেক্ষায় রাখে? 


প্রধানমন্ত্রী উদাত্ত কণ্ঠে বলেছেন, 'জাতির পিতার আহবানে সাড়া দিয়ে জীবনের মায়া, পরিবার- সংসার সবকিছু ছেড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাদের অনেকেই জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করে শত্রুকে পরাজিত করে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন। কাজেই তাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।' 

তিনি আরো বলেন, দল মত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে। যেন তারা গর্ব করে বলতে পারেন, 'আমি মুক্তিযোদ্ধা'। এদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে তাদের সম্মানটা দেবে, সেটাই আমরা চাই।'

মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের প্রজন্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে যারা মেধাকে সামনে এনে রাষ্ট্রের সংহতি, সম্প্রীতি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির কথা বলতে চেষ্টা করছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করলে, প্রজন্মকে অস্বীকার করলে তাদের ষোল আনাই মিছে হয়ে যায়। 


আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি রাষ্ট্রের পরিচালনায় কোটাসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর যৌক্তিক সংস্কার থাকবে। রাষ্ট্রই সেটি ভাববে। তারুণ্য দিয়ে,  বিশৃঙ্খলা দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বৈপরিত্য দিয়ে, অধিকারের নামে, উস্কানির নামে এবং বিভাজনের নামে তা প্রতিষ্ঠার পথ পরিহার করতে হবে। 

আমাদের বিশ্বাস করতে হবে, একজন শেখ হাসিনা দেশ বুঝেন, মুক্তিযুদ্ধ বুঝেন, সংবিধান বুঝেন, দেশের আগামী তারুণ্য কিভাবে স্বপ্ন জয় করবে- সেটিও বুঝেন। 

সুজনে কুজনে, ভিআইপি,পিআই বি কিংবা মিলার কিলার তত্ত্ব দিয়ে, প্রচারণা দিয়ে '৬৯, '৭০, '৭১ এ বিভ্রান্তি ছিল। '৭৪, '৭৫ এ ষড়যন্ত্র ছিল। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র- বৃক্ষ ডালপালায়, ফলে ফুলে সুশোভিত হয়েছে কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে চেতনা, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ইতিহাস থেকে মুছে যায়নি, যাবে না কখনও। 


প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী 

মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর- ১১

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ অধ্যয়ন কেন্দ্র, চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক।


আরও খবর



শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জাপানে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাপানের প্রত্যন্ত ইজু দ্বীপপুঞ্জের কাছে ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এদিকে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করেছে জাপানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর জাপান টাইমসের

জাপাসি গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছেমঙ্গলবার জাপানের প্রত্যন্ত ইজু দ্বীপপুঞ্জের কাছে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে

এই কম্পনের পর স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সুনামি সতর্কতা জারি করে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছেভূমিকম্পের জেরে ইজু দ্বীপপুঞ্জে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা এবং ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জে সকাল ৯টার দিকে এক মিটার (৩.৩ ইঞ্চি) উচ্চতার সুনামি আশঙ্কা করা হয়


আরও খবর

মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ হচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুগ্মসচিব মো. সাজজাদুল হাসান স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ অধিশাখা থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণের বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধির সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন চাকরি-প্রত্যাশীরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার প্রস্তাব করলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ


আরও খবর



পোশাক শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মজুরি বৃদ্ধি এবং বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট প্রদানসহ ১৮টি দাবি নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন পোশাক খাতের শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে বহু পোশাক কারখানা। এতে ভাটা পড়েছে দেশের রপ্তানি আয়ে। অবশেষে শ্রমিকদের সেই ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ও মালিকপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন

এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন

১. হাজিরা বোনাস, টিফিন ও নাইট বিল : সকল পোশাক শিল্প কারখানায় শ্রমিকের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস হিসেবে অতিরিক্ত ২২৫ টাকা রাত ৮টার পর বিদ্যমান টিফিন বিলের সঙ্গে ১০ টাকা এবং বিদ্যমান নাইট বিল ১০ টাকা বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ১০০ টাকা করা হবে

২. নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন : আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সকল কারখানায় সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে

৩. রেশনিং ব্যবস্থা : আপাতত শ্রমঘন এলাকায় টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকেও শ্রমঘন এলাকায় সম্প্রসারিত করা হবে। শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী রেশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে

৪. বকেয়া মজুরি প্রদান : আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকের সকল বকেয়া মজুরি বিনা ব্যর্থতায় প্রদান করতে হবে। অন্যথায় শ্রম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

৫. বায়োমেট্রিক ব্ল‍্যাকলিস্টিং : বিজিএমইএ থেকে বায়োমেট্রিক ব্ল‍্যাকলিস্টিং করে শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে একটি টেকনিক্যাল টিম পর্যালোচনা করে অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করবেন

৬. ঝুট ব্যবসা : ঝুট ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব, চাঁদাবাজি বন্ধসহ শ্রমিকের স্বার্থ বিবেচনায় এ বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

৭. মামলা প্রত্যাহার : ২০২৩ সালের মজুরি আন্দোলনসহ এর আগে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক মামলাগুলো রিভিউ করে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। মজুরি আন্দোলনে নিহত ৪ জন শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

৮. বৈষম্যবিহীন নিয়োগ : কাজের ধরণ অনুযায়ী নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান নিশ্চিত করা হবে

৯. জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা : জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সেবার জন্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। প্রাপ্ত তালিকা প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের 'জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন'-এ পরবর্তী প্রয়োজনীয়। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হবে

১০. রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকার : রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকারের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গঠিত কমিটি অক্টোবর ২০২৪ এর মধ্যে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে। প্রাপ্ত সুপারিশের আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

১১. ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন : শ্রম আইন অনুযায়ী সকল কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে

১২. অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না : অন্যায় এবং অন্যায্যভাবে শ্রম আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না

১৩. নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি : মহিলা শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন নির্ধারণ করা হলো

১৪. ন্যূনতম মজুরি পুনঃ মূল্যায়ন : শ্রমিক ও মালিক পক্ষের ৩ জন করে প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) এর নেতৃত্বে একটি কমিটি নিম্নতম মজুরির বিধি-বিধান ৬ মাসের মধ্যে সক্ষমতা পর্যালোচনা করবে

১৫. শ্রম আইন সংশোধন : শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) পুনরায় সংশোধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে সংশোধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে

১৬. সার্ভিস বেনিফিট প্রদান : শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের সার্ভিস বেনিফিট প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন এর ২৭ ধারাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে

১৭. প্রভিডেন্ড ফান্ড : কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিক উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে বাংলাদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পন্ন অন্যান্য দেশের উত্তম চর্চার আদলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

১৮. বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট : নিম্নতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ কমিটি বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে শ্রম আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সক্ষমতা ও করণীয় বিষয়ে নভেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে একটি সুপারিশ প্রদান করবে


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




মেট্রোরেলের আয়ের সঙ্গে আগের আয় তুলনা অযৌক্তিক

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল চালুর প্রাথমিক পর্যায়ের আয়ের সঙ্গে বর্তমান আয়ের তুলনা করা যুক্তিসংগত নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

সম্প্রতি মেট্রোরেলের ১৮ দিনের আয়ের সঙ্গে এর প্রথম ছয় মাসের আয়ের তুলনা করে বিভিন্ন পোস্ট ও গ্রাফিকস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ডিএমটিসিএল-এর কোম্পানি সচিব খোন্দকার এহতেশামুল কবীর বলেন, শুরুতে যাত্রীরা বাংলাদেশে এই প্রথম এ ধরনের পরিষেবা ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন এবং এতে অভ্যস্তও ছিলেন না। তখন মেট্রোরেল অল্প সময়ের জন্য চালু থাকতো। এ ছাড়া উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সীমিত দূরত্বে চলাচল করতো।

তিনি বলেন, মেট্রোরেল এখন আরও বেশি যাত্রী নিয়ে পূর্ণ সক্ষমতায় চলছে। সার্ভিসটি এখন সময় ও দূরত্ব উভয় ক্ষেত্রেই বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ যাত্রী মেট্রো ব্যবহার করছেন, যা থেকে গড়ে এক কোটি টাকারও বেশি আয় হচ্ছে। এ পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ ১৯ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে চলতি মাসের (১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) আয় প্রকাশ করার পর এ তুলনাটি সবার নজর কাড়ে। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৪৯ জন যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন। এতে আমাদের আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ টাকা।

এর আগে মেট্রোরেলের প্রথম ছয় মাসের মোট আয় সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। গত ৪ মার্চ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মেট্রোরেলের আয় সম্পর্কে বলেছিলেন, অডিট ফার্মের নিরীক্ষা করা ২০২২-২৩ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট আয় ছিল ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা।

দেশে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল চালু হয়েছিল ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। শুরুতে মেট্রোরেল চার ঘণ্টার জন্য উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়। পরের বছরের ৫ এপ্রিল সেটা বাড়িয়ে ছয় ঘণ্টা করা হয় (সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা)।

পরে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ চালু হয়। তখন চলাচলের সময়ও বাড়িয়ে সাড়ে ১৩ ঘণ্টা করা হয়। চলাচলের সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৮টা ৪০ পর্যন্ত করা হয়। বর্তমানে মেট্রোরেল সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করছে।

মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত চালু হওয়ার পর, বিশেষ করে মতিঝিল ও সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়গুলো মেট্রো ট্রেন কাভারেজে চলে আসায় যাত্রী ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের আয়ও বাড়ে। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ের ভাড়া ৬০ টাকা। অন্যদিকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সচিবালয়ের ভাড়া ৯০ টাকা, আর মতিঝিলের ভাড়া ১০০ টাকা।


আরও খবর



ঢাকার ১০০টি সুস্বাদু খাবারের তালিকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

১. বেচারাম দেউরীতে অবস্হিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও।

২. কামালের বিরিয়ানী৷

৩. খিঁলগাও এর ভোলা ভাই বিরিয়ানী এর গরুর চাপ এবং মুক্তা বিরিয়ানী এর গরুর চাপ, খাসীর চাপ এবং ফুল কবুতর।

৪. মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এবং হীরাঝীলের ভূনা খিচুড়ী।

৫. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি+গ্লাসি।

৬. লালমাটিয়ার স্বাদ এর তেহারী।

৭. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসীর লেকুশ, চিংড়ি, ফালুদা।

৮. নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরীতে ৭০টি আইটেমের বুফে।

৯. হাতিরপুল মোড়ে হেরিটেজ এর শর্মা।

১০. ধানমন্ডির কড়াই গোশত এর ইলিশ সস।

১১. মোহাম্মদপুর জেনেভা/বিহারী ক্যাম্পের গরু ও খাশির চাপ।

১২. মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনের বিহারী ক্যাম্পের "মান্জারের পুরি"

১৩. চকবাজারের শাহ সাহেবের বিরিয়ানী।

১৪. মিরপুর-১০-এর শওকতের কাবাব।

১৫. নারিন্দার শাহ সাহেবের ঝুনার বিরিয়ানী।

১৬. ইংলিশ রোডের মানিকের নাস্তা।

১৭. গুলশানের কস্তুরির সরমা।

১৮. রয়্যালের বাদামের শরবত লালবাগ।

১৯. পুরান ঢাকার মদিনা হোটেলের লুচি-ডাল৷

২০. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানী।

২১. জেলখানা গেটের পাশে হোটেল নিরবের ব্রেন ফ্রাই।

২২. নয়া বাজারের করিমের বিরিয়ানী।

২৩. হাজি বিরিয়ানী এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানী।

২৪. লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন।

২৫. মোহাম্মদপুরে সেন্ট জোসেফ স্কুলের গেটে এক মামার চানাচুর মাখা।

২৬. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ী।

২৭. খিলগাঁও বাজারের উল্টো পাশে আল রহমানিয়ার গ্রীল চিকেন আর তেহারী।

২৮. মতিঝিল সিটি সেন্টারের পিছনের বালুর মাঠের পিছনের মামার খিচুড়ী।

২৯. চানখারপুলের নীরব হোটেলের ভুনা গরু আর ভর্তার সাথে ভাত।

৩০. ধানমন্ডী লায়লাতির খাসির ভুনা খিচুড়ী।

৩১. হোসনী দালান রোডে রাতের বেলার পরটা আর কলিজা ভাজি।

৩২. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার।

৩৩. পুরানা পল্টনে খানা-বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ।

৩৪. বনানীর বুমারস রেস্টুরেন্টের বুফে প্যাকেজ।

৩৫.  মিরপুর ১ ঝালমুড়ি মামার মুড়ি ভর্তা৷ (কান্ট্রি বয়ের সামনে৷)

৩৬. গুলশান ২ এর খাজানার মাটন দম বিরিয়ানী এবং হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানী।

৩৭. উত্তরার একুশে রেস্তোরার গ্রীল চিকেন।

৩৮. ধানমন্ডি/বনানীর স্টার হোটেলের কাচ্চি এবং কাবাব।

৩৯. মৌচাকের স্বাদ রেস্তোরার ভাতের সাথে ৩৬ রকমের ভর্তা।

৪০. সাইন্স ল্যাবে মালঞ্চ রেস্তোরার কাচ্চি বিরিয়ানী।

৪১. ফার্মগেটের ছোট সিঙ্গারা

৪২. বেইলী রোডে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সামনের গরু, খাশির চাপ+স্যুপ।

৪৩. চানখারপুলের মামুন হোটেলে'র স্পেশাল (প্রতি মাসের ১ম শুক্রবার) কাচ্চি।

৪৪. মালিবাগ সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে শীতলের গ্রিলের সাথের সস (কিনতে পাওয়া যায় অর্ডার দিলে, খুব বেশী জোশ)।

৪৫. ধানমন্ডি ৮ নম্বরের চাপের দোকান।

৪৬. সেগুন বাগিচার এনজইয় রেস্টুরেস্ট এর গরুর কাবাব আর নান; দই ফুচকা।

৪৭. পুরানা পল্টনের ভাই ভাই রেস্টুরেন্ট এর কাচ্চি।

৪৮. হোটেল আল কাদেরিয়ার গ্রীল ৷

৪৯. স্টারের লেগ রোস্ট।

৫০. গ্যান্ড নওয়াবের কাচ্চি বিরিয়ানী৷

৫১. নবাবী ঝালমুড়ি (রামপুরা)

৫২. নীলক্ষেত এ ইয়াসিন আর ঢাকা বিরিয়ানি এর গরুর কাচ্চি।

৫৩. চকের নুরানী লাচ্ছি।

৫৪. চকবাজারের আলাউদ্দিন এর ভাযি-পুরি।

৫৫. চকবাজারের Bombay এর আফ্লাতুন।

৫৬. চকবাজারের আমানিয়া-র খাসীর গ্লাশী।

৫৭. মধ্য বাড্ডায় (গুদারাঘাট) 'নয়ন বিরিয়ানি হাউজ'-এর কাচ্চি, মোরগ পোলাও, তেহেরি (স্পেশাল)।

৫৮. গুলশানের পিনক সিটিতে 'Baton Rouge' এর বুফে।

৫৯. মটকা চা এন্ড মমো ৷

৬০. ঠাটারীবাজার স্টার এর কাচ্চি বিরিয়ানি।

৬১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকসু ভবনের পিছনের ফুসকা মামার ফুসকা৷

৬২. মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের মুস্তাকিমের চাপ৷

৬৩. লক্ষীবাজার এর মাসহুরের লুচি, ভাজি আর ডাল

৬৪. সুলতান ডাইন মেন্যু সেট।

৬৫. ভূত এর কাকড়া, সিজলিং, সূপ

৬৬. শর্মা এন পিজ্জার বীফ শর্মা

৬৭. মিরপুর ঝুট পট্টির রাব্বানির চা

৬৮. চকের নূরানি ড্রিংস এর লাচ্ছি

৬৯. চকের বিসমিল্লাহ হোটেলের মোঘলাই পরটা

৭০. সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের সামনের মামার আলুর দম।

৭১. সোহরয়ার্দী কলেজের সামনে জসিমের চটপটি ও ফুচকা।

৭২. কলকাতা কাচ্চি ঘরের কাচ্চি বিরিয়ানী৷

৭৩. অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারের (শাঁখারীবাজার) হালুয়া, পরোটা, সন্দেশ।

৭৪. গোপীবাগের খাজা হালিম ও টিটির কাচ্চি

৭৫. বাসাবোর হোটেল রাসেলের "শিককাবাব"

৭৬. বায়তুল মোকাররমে অলিম্পিয়া কনফেকশনারীর "চকলেট পেস্টি"

৭৭. কর্নফুলি গার্ডেন সিটির চার তালার "ফুচকা" ৷

৭৮. কাঁটাবন ঢালে অষ্টব্যঞ্জনের বিফ খিচুড়ী ৷

৭৯. নারিন্দা/রায় সাহেব বাজারের সফর বিরিয়ানি (তেহারি)

৮০. ডিসেন্ট (মতিঝিল, হাতিরপুল, বনশ্রী, ধানমন্ডি, চক, নওয়াব---এদের প্রচুর শাখা) এর ডেজার্ট আইটেমগুলা ভালো।

৮১. ব্রাক ভার্সিটির কাছে নন্দনের বিফ আইটেম।

৮২. গুলশান ২ এর মোড়ে ঝালমুড়ি ওয়ালার টমেটো মাখানো।

৮৩. মহাখালি কন্টিনেন্টাল হোটেলের শর্মার সঙ্গে সস৷

৮৪. নিউমার্কেট এরিয়ায় পেয়ারা, আম মাখানো।

৮৫. নিমতলির বাদশাহ মিয়ার চা৷

৮৬. আগামাসিহ লেনের মাকসুদের খাসসির পায়ার নেহারী৷

৮৭. রায় সাহেব বাজারের বিউটি লাচ্ছি ৷

৮৮. ভিক্টোরিয়া পার্কের সুলতান ভাইয়ের দারুন মজার চা ৷

৮৯. ফকরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি।

৯০. বিহারি ক্যাম্পের গরুর মগজ ফ্রাই ৷

৯১. মিরপুর ১ এর মিজানের ঝাল ফুচকা।

৯২. আরমানিটোলা তারা মসজিদের পাশে জুম্মন মামার চটপটি ৷

৯৩. পলাশীর মোড়ের ফ্রেশ ফলের জুস ৷

৯৪. সুত্রাপুর বাজারের রহিম মিয়ার খাসির বিরিয়ানি ৷

৯৫. গেন্ডারিয়ার আল্লার দান বিরিয়ানি আর রহমান এর কাবাব৷

৯৬. কলতাবাজারের নাসির হোটেলের বিখ্যাত গরুর মাংশ আর পরাটা ৷

৯৭. সিদ্দিক বাজারের মাজাহার সুইটস ৷

৯৮. সোনা মিয়ার দই

৯৯. উর্দু রোড এর খেতাপুরি, বাখরখানি ৷

১০০. নর্থ ব্রুক হল রোডের চৌরঙ্গীর লুচি-ডাল ৷

[বিঃদ্রঃ ইহা অনেকগুলো পুরাতন পোষ্ট থেকে মিলিয়ে করা৷ এর অনেক কিছুই হয়তোবা এখন পরিবর্তন হয়েছে৷ আগের অনেক কিছুতেই আগের সেই টেষ্টটা এখন পাওয়া যায়না৷ আবার নতুন অনেক রেষ্টুরেন্টও হয়েছে যেগুলোর খাবারের মান অনেক ভালো৷ তাই সকলে কমেন্ট করে জানান কোন কোন জিনিসগুলো এই লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া উচিত আর কি কি এড করা উচিত৷]


আরও খবর

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় পুঁইশাক

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪