Logo
শিরোনাম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অক্ষত রাখা প্রসঙ্গে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী :

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, তাদের প্রজন্মের প্রতি সুস্থ সরকারের দায়, জনগণের দায় যুগ যুগ ধরেই থাকবে। এটা করুণা নয়, উচ্ছ্বাস কিংবা আতিশয্য নয়। দায় মুক্তির প্রচেষ্টা মাত্র। 

কোটা এই দায় মুক্তির সামান্য একটি অংশ মাত্র। এটা অনস্বীকার্য- কোটায় অনিয়ম হয়েছে, অবিবেচনা হয়েছে, এটির মিস ইউজ হয়েছে। সাংবিধানিক প্রক্রিয়াতেও ঘাটতি আছে।


 ১৯৭১  সালের পরে যারা বঙ্গবন্ধুর সরকারের উপর ভর করেছিল, রাজনীতির বিভাজন সৃষ্টি করেছিল। বিভাজনের কুফলকে সুফলে ভোগ করেছিল। আদালতের মাধ্যম দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সুযোগ সুবিধা নিয়েছিল। ছয় দফা আন্দোলন সময় দুনিয়ার মজদুর নিয়ে কথা বলেছিল। শেখ মুজিবুর রহমানকে সন্দেহ করেছিল। ছয় দফায় পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র খুঁজেছিল। তারাও পরবর্তীতে কোন না কোন ভাবে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে । পরবর্তীতে সহকারী, সহযোগী, মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এর বেনিফিট নেয়ার চেষ্টা করেছে। 

সময়ের সাথে অনেক কিছুর পরিবর্তন, সংযোজন, সংশ্লেষণ, বিশ্লেষণ, সংশোধন সময়েরই দাবি। বিশাল তারুণ্যের ইতিহাসের সংবেদনশীলতাকে পাশ কাটিয়ে, বৈশ্বিক নাগরিক হওয়ার প্রচেষ্টায় ইতিহাস বিমুখতা, ইতিহাসের নির্লিপ্ততা দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক। 

এটাও কমবেশি ভ্রান্ত, উদ্ভ্রান্ত কিংবা বহুধা বিভাজিত বিভিন্ন তান্ত্রিক রাজনীতির নিকট অতীত ও সমসাময়িক চরিত্র। এর প্রভাব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তাড়িত করেছে, করছে।

তরুণ প্রজন্মের আশা থাকবে, আকাঙ্ক্ষা থাকবে, দাবি-দাওয়া থাকবে। তারা দাবী দাওয়া উত্থাপন করবে, তার স্বপক্ষে নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন করবে, এটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। 

বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট অঙ্গন। 

দেশ স্বাধীনতার পরে ৫৩ বছর অতিক্রান্ত করেছে। অনেক কিছুই আধুনিক হয়েছে। রাজনীতি ও আন্দোলনের আধুনিকায়ন দরকার। তা কার্যত হয়নি।

দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অনুমোদন করে। 

আন্দোলনের বর্তমান প্রেক্ষিতে যে কোন নাগরিক বলতে পারে, 'আমার রাস্তা বন্ধ কেন?'

যোগাযোগ ব্যবস্থা, নাগরিক সুবিধা, ঘাট রাস্তাকে বন্ধ করে দিয়ে, জনগণের দুর্ভোগকে বাড়িয়ে দিয়ে সুযোগ-সুবিধার আন্দোলন, আন্দোলনের যৌক্তিকতাকে খাটো করে। 

এ আন্দোলন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনে ঘটতে পারে ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু তা যখন সাধারণের, জনগণের চলাচলে, জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটায়, তখন তা বিতর্কের জন্ম দেয়। 

বিতর্কের জন্ম দেয় যখন হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতার  ঐতিহাসিক স্লোগানকে অসম্মানজনক বক্তব্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়। লাখো শহীদের নির্যাতন, রক্তদান, রক্ত গঙ্গার প্রবাহের বিসর্জনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা তা কোন আন্দোলনের মাধ্যম দিয়েই উত্যক্ত কিংবা বিতর্কিত করার সুযোগ মুক্তিযুদ্ধের বিসর্জনের লাখো আত্মার প্রতি চরম অবমাননা।

'একজন একবার মুক্তিযোদ্ধা হলেই আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নন'- এটি হুমায়ুন আজাদের কথা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রেরণা, অহংকার, অনুভূতি অনুসঙ্গকে ধারণ করেই, সম্মানজনক চর্চা করেই একজনকে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সৈনিক হতে হয়।

 অন্যভাবে একজন একবার রাজাকার হলে বাস্তবে অথবা চেতনায় সে কিন্তু আজীবনই রাজাকার থেকে যায়। 'রাজাকার' একটি ভ্রান্ত চেতনার নাম। দেশপ্রেমহীন মুক্তিযুদ্ধের দূষকদের নাম। এদেশের সংহতি, সম্প্রীতি, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম ঘৃণা ও আঘাত করা একটি ভ্রান্ত ভাবনাগুচ্ছের নাম। 

 বিশেষ্য থেকে বিশেষণে রূপান্তরিত এই ভ্রান্ত অভিশপ্ত শব্দটি আন্দোলনের স্লোগান হতে পারেনা। তরুণ প্রজন্মের ভাবনা ও চেতনার উপকরণ, উপাদান হতে পারে না। 

মুক্তিযুদ্ধের অর্জনের মহাসড়কে অবস্থান করে, চেতনার বৈপরীতে উল্লাস, উদ্দীপনা, উন্মাদনার মাধ্যম দিয়ে আন্দোলনের নামে স্বাধীনতার অহংকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কোনভাবেই এদেশের যেকোনো আন্দোলনেরই অংশ অঙ্গ হতে পারে না। 

এতে অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়। অর্জনকে অস্বীকার করা হয়। লাখো শহীদের রক্তের প্রতি বিদ্বেষ এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। 


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের এই মুহূর্তে অনিবার্য অনুসন্ধান। যারা  স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুর সনদ ছিঁড়ে ফেলে উল্লাস করে বঙ্গবন্ধুকেই বিতর্কিত করে রাজনীতিতে ভ্রান্তির বিষ বাষ্প ছড়িয়েছিল মনে করা হয়, তারা ভিন্ন কথা বলে। যাদের সুবিধাজনক প্রভাবে ছাত্রলীগ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল। তারা সময়ের ব্যবধানে রাজনৈতিক অস্তিত্বকে তলানিতে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। নিশ্চিহ্ন তার দিকে ধাবিত হয়েছে, তাদের বক্তব্যে উস্কানি আছে। 

যারা ১৯ ৭১ সালে স্বাধীনতার সাথে সম্পর্ক না রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের নামে পাকিস্তানের সংহতির প্রতি সমর্থন যুগিয়েছে, দুর্ভাগ্য হলো,এই তারাই আমাদের ইতিহাসের , রাজনীতির, মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে।

 

আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা আছে। অজ্ঞতা ও নির্লিপ্ততা আছে।  মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চায় ঘাটতি আছে। সবগুলো একত্রিত করলে যে প্রজন্মের সৃষ্টি হয়, সেই প্রজন্মের থেকে 'আমরা তোমরা রাজাকার স্লোগান আসতেই পারে'। অনাকাঙ্ক্ষিত, অবাঞ্চিত এ বক্তব্যের দায় কিন্তু আমাদের সবার।


অতীতের একটি ছাত্র সংগঠনের স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে উস্কানি, উম্বাদনা সৃষ্টিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা তৎপরত থাকতো। এটি কারো অজানা নয়।

এটি এদেশের সচেতন মানুষদের অজানা নয়। সেই বিশেষ সংগঠনের দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পেশার সাথে সম্পৃক্ত আমাদের পরিচিত মানুষগুলো এখন কিন্তু খুব তৎপর।

একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার প্রচেষ্টা সবসময় ভালো ফল বয়ে আনেনি।

 বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমান বাংলাদেশের অর্জন ও অগ্রগতির অদম্য নেত্রী। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে তার যেমন সুবিধাবাদী সমর্থকগোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে বিদ্রোহী- বিদ্বেষী সুধীজনের(!) সংখ্যাও কম নয়। 

দীর্ঘদিন শিক্ষকতার সুবাদে যেসব ছাত্র কিংবা শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিন স্বাধীনতার বৈপরীত্যের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল বিশেষ বিশেষ প্রতিষ্ঠানে, এখন দেখা যায়, তারা যথেষ্ট সক্রিয়। 

রাজনীতির পোড় খাওয়া একজন কথিত জাতীয়তাবাদী নেতা (মুক্তিযুদ্ধের সময়ের শান্তি কমিটির চট্টগ্রাম শহরের আহ্বায়কের পুত্র) যখন কোটা নিয়ে মন্তব্য করে, তখন তা গ্রহণযোগ্য হয় না। এক্ষেত্রে এসব মানুষের মন্তব্য একদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের উসকে দেয়, অন্যদিকে কোটা বিরোধীদের উত্তপ্ত, উদ্ভ্রান্ত করে করে। 

সরলমনা আন্দোলনকারীদের বোধে ইতিহাসের এই অংশটুকু ধারণ করতে হবে। 


আর দীর্ঘ করার ইচ্ছা নেই। কোটা আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন আছে। সময়ের সাথে যেকোনো কিছুর ধারাবাহিক সংস্কারও একটি সংস্কৃতি। যে পথে, যেভাবে, যে প্রক্রিয়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার পায়তারা হচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রজন্ম কিংবা ইতিহাসকে আঘাত করা হচ্ছে, সেটা কখনোই যৌক্তিক আন্দোলনের পথ নয়। এতে সাময়িক সংকট হবে, লক্ষ্য অর্জন হবে না।

মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন এখানে থাকবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, এদেশে যুদ্ধাপরাধী ছিল। তাদের অনেকের বিচার হয়েছে। বড় অংশ নীরবে নিভৃতে সমাজের আনাচে কানাচে রয়ে গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা সীমিত হয়ে আসছে। এমন ভাবার কারণ নেই, একজন মুক্তিযোদ্ধার  দশটি সন্তান,  তারা যুগ যুগ ধরেই সুবিধা নিয়েই যাবে। 

সময় বলে দেবে রাষ্ট্র কখন এই সুবিধাকে সীমিত করবে। এটি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার অংশ।


এর জন্য প্রচলিত প্রক্রিয়ার উস্কানিমূলক আন্দোলন মহান মুক্তিযুদ্ধের, মুক্তিযোদ্ধার, স্বাধীনতাপ্রেমী জনগোষ্ঠীর সংহতি সম্প্রীতি কিংবা চেতনার প্রতি চরম তাচ্ছিলতা। চরম অবমাননা। উস্কানি কিংবা অনুপ্রেরণা তা যে উৎস থেকেই আসুক। তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি আশা করা যায় না।

 মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে সুরক্ষার জন্য, দীর্ঘজীবী করার জন্য তাদেরই কাজ করতে হবে। তাদের উপর যদি স্বাধীনতা বিরোধী সেই চক্রের প্রজন্ম ভর করে, তাহলে সেটা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। 


আমরা আশা করি, এক দফা, ৫ দফা এসব উস্কানিমূলক বক্তব্য বাদ দিয়ে প্রচলিত ধারায় সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে এবং আমাদের অহংকারের চেতনাকে অক্ষত রাখতে হবে। 

মনে রাখতে হবে, এখনো বাংলাদেশের অদম্য নেত্রী বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারাবাহিকতাকে পোষণ করে, চর্চা করে, লালন করে। 

যে নেত্রী তাঁর বাসার কাজের মানুষের সমালোচনা করে জনসমক্ষে তা তুলে ধরতে পারে। দুর্নীতিগ্রস্তদের এক বিন্দুও ছাড় দিচ্ছেন না হলে উন্মুক্ত কন্ঠে ঘোষণা দিতে পারে,তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ বহু গুণে বৃদ্ধি পাওয়া দরকার। 

তাঁর দেশপ্রেম, জনসম্পৃক্ততা, দৃঢ়তা, চেতনা ও সংহতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের নাগরিক দায়িত্বের অংশ। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, তাদের জন্য এ এক বিরল সুযোগ। বর্তমান বিশ্বের অনন্তকালের শ্রেষ্ঠ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের প্রবাহের ধারক শেখ হাসিনা।

আমাদের মা-বাবারা,দাদারা যে ভুলই করুক, মুক্তিযুদ্ধের যত বৈপরিত্যেই অবস্থান করুক, সেটি আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। 

কথিত 'এক দফা দাবি' জানিয়ে তাঁর প্রতি ইতিমধ্যে যে অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে, এর জন্য নিঃস্বার্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।

তখনই মুক্তিযোদ্ধারা, তাদের প্রজন্ম তা সমর্থন করবে। যে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফলতার দিকে যাবে। সকলের সফলতা কামনা করে সকলকেই ধন্যবাদ।

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী 

মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর- ১১ 

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ অধ্যায়ন কেন্দ্র চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক।


আরও খবর



এলপিজির দাম ১২ কেজিতে বাড়ল ৩৫ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন এ দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে

সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। তার আগের মাসে ছিল ১ হাজার ৩৭৭ টাকা

ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১২১ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে

এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৭ টাকায় ৪৯ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে

এছাড়া অটোগ্যাসের মূল্য প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা

এখন প্রতি মাসে এলপি গ্যাসের দাম বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এ দাম নির্ধারণ করে


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




দূর্গাপুরে ইট ভাটা লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী 

রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের আন্দুয়া এলাকার এ.এস.এম বিক্সিস ইট ভাটা অবৈধভাবে দখল করে প্রায় কোটি টাকার ইট লুটপাটের অভিযোগটি মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ইট ভাটার আরেক মালিক কবীর হোসেন।

 আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় নগরীর উপশহর এলাকার বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা এর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

এসময় মিথ্যা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে কবীর হোসেন বলেন, এ.এস.এম ইট ভাটার ৫০ শতাংশ মালিকানা আমার নামে রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে ইট ভাটায় ঢুকতে দিতো না আশরাফ। যার প্রেক্ষিতে মামলা করলে সে মামলারও আদেশ অমান্য করে আশরাফ। 

পরবর্তীতে দুর্গাপুর উপজেলার ইউএনও এর হস্তক্ষেপে আমার ৫০ শতাংশের কাগজ সহ আমাকে ফেরত দেওয়া হয় ও দুর্গাপুর উপজেলার চেয়্যারম্যান নজরুল ইসলামের কাছে সমঝোতার আদেশ দেন তিনি এবং এ বিষয়ে ২ দিন সমঝোতাই বসা হলেও সমাধান  করতে পারেননি।  ক্ষমতার জোরে আশরাফ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে  ভাটা দখল করে রাখেন।

তিনি বলেন, আশরাফ একাধিকবার আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে সে মামলাগুলোর রায় আমার পক্ষে আসে। তারপরও আশরাফ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি - ধামকি দিয়ে যাচ্ছে এবং আমাকে আমার ইট ভাটার কাজ করতে দিচ্ছে না। বরং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে গতকাল (০২রা অক্টোবর) একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হয়রানি করে পুনরায় ইটভাটা দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান কোবীর হোসেন।

আরও খবর



চাকুরী পুনর্বহালের দাবীতেমানিকগঞ্জে চাকুরিচ্যুত বিডিআরদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মোঃ আশরাফুল ইসলাম -মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি::


পিলখানায় হত্যাকান্ডের দায় চাপিয়ে দেওয়া চাকুরিচ্যুত বি.ডি.আরদের চাকুরী পুনবহাল ও কারাবন্দীদের মুক্তির দাবীতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন করেছে চাকুরিচ্যুত বি.ডি.আর সদস্যরা।


রোববার (২২শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে বি.ডি.আর কল্যাণ পরিষদের জেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।


মানববন্ধনে বক্তারা ২০০৯ সালে পিলখানায় পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকুরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকুরীতে পুনঃর্বহাল করে কারাবন্দীদের মুক্তির দাবী জানান।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের এখন আর বুঝতে বাকী নাই বিডিআর বিদ্রোহ সরকারের একটা সাজানো নাটক ছিল। যার কারনে এই বিডিয়ার বিদ্রোহের ঘটনায় যে সমস্ত বিডিয়ার ভাইদেরকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। আমরা ধরে নিতে পারি তাদের উপর জুলুম করা হয়েছে। কারন সরকারের এই দায়ি ধামা-চাপা দেয়ার জন্য এই নিরিহ মানুষদেরকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এই জন্য আমরা চাই বিডিআরদের বিদ্রোহের ঘটনাগুলো দেশ ও জাতির সামনে আসুক ও সত্য প্রকাশ পাক এবং এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।


আরও খবর



নওগাঁর মহাদেবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিলকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ মহাদেবপুর বাসষ্ট্যান্ড মাছের মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করেন। 

আটককৃত সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল নওগাঁ-৩, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের সাবেক এমপি ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিমের ভাগ্নে। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাশমত আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ৮শ' আম গাছ কেটে বাগান ধ্বংস করেছে প্রভাবশালীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নওগাঁর পত্নীতলায় জোরপূর্বক বাগান দখল করে আম গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ফল ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন। শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী প্যারিমোহন গ্রন্থাগারে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। আলহাজ্ব মোঃ আবুল হোসেন (৫০) ঢাকার সাভার জালেম্বর মহল্লার নিরাজ উদ্দীন দেওয়ানের ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন নওগাঁর পত্নীতলার ব্যবসায়ী আনিছুর মোল্লা তার বন্ধু। তার মাধ্যমে গত প্রায় ১২বছর আগে পত্নীতলার ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত-গোপেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে গৌতম ঘোষ ও মেয়ে মিতালী রাণী ঘোষের কাছ থেকে ৬০লাখ টাকায় পাটিচোরা ইউনিয়নের ছালিগ্রাম মৌজায় ৪ দশমিক ৩২ একর জমি ক্রয় করেন (যার হাল দাগ নং-১০১৮, সাবেক দাগ-৫৩ এবং জেএল নং-২২৬)। ওই জমিতে ১২শ' টি বারি-৪ জাতের আম গাছের চারা রোপণ করে ভোগ দখল করে আসছেন। আম গাছগুলো বড় হয়ে এখন ফল দেয়া শুরু করেছে। প্রতি বছর ওই জমি থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার আম বিক্রি করে সাংসারিক খরচ বহনের পাশাপাশি সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করেছেন ভুক্তভোগী।

তিনি আরো বলেন হঠাৎ করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব পাটিচোরা গ্রামের নাইম হোসেন এবং তার দুই ভাই লেমন হোসেন ও সেলিম হোসেনসহ আরো ২০/২৫জন হাসুয়া, দা, কুড়াল, লাঠি-সোঠা নিয়ে বাগানে অনাধিকার প্রবেশ ৮০০টির বেশী আম গাছ কেটে ফেলে। এতে প্রায় ১কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসময় বর্গাদার আব্দুস সামাদ তাদের বাঁধা প্রদান করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করা হয়। তিনি ঢাকার বাসিন্দা হওয়ায় ব্যবসায়ীক কাজে ব্যস্ত থাকায় এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাছিল করার পায়তারা করছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান এই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীর ছেলে শফিউল্লাহ দেওয়ান ও ভাতিজা শোভন শাহারিয়ার।

অভিযুক্ত নাইম হোসেন হোসেন বলেন, জমিটি ১৯৯১সালে তাদের নামে খারিজ ও পত্তনমূলে নামে হোল্ডিং আছে। তারাও ওই জমির মালিক। ওনাদের জমিরও দাগও আলাদা। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু বিবাদ চলছে এই বিবাবদটি নিষ্পত্তি করতে থানায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওনি না বসে টালবাহানা করছেন। জমির মালিক তো জমির দখল নিবেই।

নওগাঁর পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান, আবুল হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করেছিলেন অনেক দিন আগে আম বাগান মালিকানা সমস্যা নিয়ে। তবে কয়েক দিন থানায় এসে তিনি জানান তার বাগানের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। পুলিশকে পাঠিয়ে সেটা বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে যতটুকু জেনেছি তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। এখন আদালত থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর