Logo
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল : মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রবিবার দুপুরে  উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের উত্তর কামারগাঁও এলাকার ভূঁইয়া বাড়িতে  বসতঘর হতে মরদেহ টি উদ্বার করা হয়। 

এলাকার সূত্র জানা যায় ঘরে আড়ালে  সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তরিকুল ইসলাম নাহিন (২১) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। একই এলাকার আসাদুর জামান বাবুর পুত্র। 

নাহিনের দাদী আলেয়া বেগম জানান রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরে। সকাল ৯টার দিকে নাহিনের কোন সারা শব্দ না পেয়ে দরজা খুলার চেষ্টা করি। পরে ঘরের পিছনের দিকের দরজার ফাক দিয়ে দেখতে পাই নাহিন ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। 

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর  জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে সংকটে মানুষ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে না পেয়ে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। প্রতি ডজন ডিমের দাম কয়েক মাসের ব্যবধানে ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ১২.৫০ টাকায় প্রতিটি ডিম পাওয়া গেলেও কদিন আগেই এটি ১৫ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে এক মাসের ব্যবধানেই ৪৫-৫০ টাকায় উঠেছে।

দিনমজুর হিসেবে ঢাকায় কাজ করেন ইব্রাহীম। তার একার রোজগারে চারজনের পরিবারের খরচ চলে। রান্নায় তার পরিবারে সবজির মধ্যে আলুর ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি। দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার পর থেকেই সপ্তাহে দুই কেজি আলুর জায়গায় এখন তিনি এক কেজি কিনছেন। তার বাড়িতে এখন আলু কম দিয়ে ঝোল বাড়িয়ে দিয়ে ডিমের তরকারি রান্না হয়।

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে ইব্রাহীমের মতো সীমিত আয়ের অনেকেই এখন সংসারের ব্যয় কাটছাঁটের চাপে পড়েছেন। কারণ ডিম, আলু, পাঙাশ মাছ, তেলাপিয়া, ব্রয়লার মুরগির মতো সবচেয়ে সস্তার খাবারগুলোও এখন উচ্চমূল্যে কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে


পণ্যমূল্য বৃদ্ধির উত্তাপ লেগেছে বেসরকারি চাকরিজীবী আফসার উদ্দিনের গায়েও। একটি সাবলেট বাসায় স্কুলপড়ুয়া এক ছেলেসহ তিনজনের সংসার তার। ডিমের দাম যখন কম ছিল, তখন সকালে প্রায় প্রতিদিন তিনজনে দুই-তিনটি ডিম সিদ্ধ করে খেতেন। এখন শুধু ছেলের জন্য একটি ডিমই সিদ্ধ হয়। ক্রমবর্ধমান খরচ তার মতো পরিবারগুলোর জন্য মানসম্মত জীবন যাপন কঠিন করে তুলেছে।


নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে না পেয়ে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা।

প্রতি ডজন ডিমের দাম কয়েক মাসের ব্যবধানে ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ১২.৫০ টাকায় প্রতিটি ডিম পাওয়া গেলেও কদিন আগেই এটি ১৫ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে এক মাসের ব্যবধানেই ৪৫-৫০ টাকায় উঠেছে।

প্রতি পিস ডিমের দাম যখন ১৫ টাকার বেশি হয়, তখন ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে ডিমের তরকারির দাম ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছিল। ডিমের দাম যখন কমে এবং আলুর দাম বেড়ে যায়, তখন ডিমের তরকারি অনেক জায়গায়ই ৩৫ টাকা হয়ে গেছে।

আর আলু ভর্তার দাম কোথাও কোথাও এখন ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকায় উঠেছে। কিন্তু যেসব বিক্রেতা দাম বাড়াননি, তারা ভর্তায় পরিমাণ কমিয়েছেন।

ঢাকার ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে দিনে ও রাতে অসংখ্য দিনমজুর, গাড়িচালক, চাকরিজীবী খাবার খান। কারণ এসব দোকানে কম খরচে খাবার খাওয়া যায়।

সরকার এক সপ্তাহ আগে আলু, ডিম ও পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে। প্রতিটি ডিম ১২ টাকা, আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। দাম বেঁধে দেওয়ার প্রায় সপ্তাহখানেক পার হতে চললেও একটি পণ্যও নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। ডিম এখনো প্রতিটি ১২.৫০ টাকা, আলু ৪৫-৫০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। 

এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে এবং আলু কিছু জায়গায় ৫ টাকা পর্যন্ত কমে মিলছে। আর ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার দুই দফায় ১০ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে।

এসব আমদানির ডিম আগামী সপ্তাহ থেকে দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন টাইগার ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী সাইফুর রহমান। এসব ডিম দেশে এলে ৯-১০ টাকায় বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



দশমিনায় এইচএসসি পরীক্ষায় পরিদর্শক প্রাথমিকের শিক্ষক

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নাঈম হোসাইন দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর  দশমিনায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শক প্রেরনে মানছেনা কোন নিয়মনীতি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল্লাহ। 

 জনা যায়, ২০২৩ সনের এইচএসসি ও কারীগরি পরীক্ষায়( বিজ্ঞান, মানবিক, অর্থনীতি)  মোট  অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা আনুমানিক ১৫শত জন। সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট দুটি বিদ্যালয়ে কেন্দ্র হিসাবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় মোট কলেজ চারটি,  এমপিও কলেজের সংখ্যা দুইটি। এমপিও কলেজের ইনডেক্সধারী শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকা সত্য তাদের নিয়মিত পরীক্ষায় বাদদিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমিক, মাদ্রাসার ও প্রাথমিক শিক্ষক- শিক্ষিকা নিয়ে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালনে ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে  পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় বিভিন্ন কমিটি করা হলেও তা সম্পর্কে অবহিত বা জানানো  হয়নি উপজেলার তিনটি কলেজের অধ্যাক্ষকে এবং তাদের এ সম্পর্কে দেয়া হয়নি কোন চিঠি। পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শক নিয়ে রয়েছে কলেজ গুলোর মধ্যে নানা অভিযোগ। গত ৩১ আগস্ট   ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের শিক্ষক কতৃক অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব এর অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজ নীরা বিষয়টি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা কমিটি ও বিভিন্ন কলেজের প্রভাষক ও শিক্ষকদের নিয়ে  তার কক্ষে বসেন। সেই সভায় অনিয়মের বিষয় আলোচনা হয় এবং সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। অদ্য ৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে কক্ষপরিদর্শক দায়িত্ব দানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের দিকনির্দেশনা অমান্য করে কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল্লাহ কলেজের ইনডেক্সধারী শিক্ষক -শিক্ষিকাদের কেন্দ্র কক্ষ পরিদর্শক না দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমিক,মাদ্রাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষকদের দিয়ে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়।


ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) আবদুল করিম বলেন, চলোমান এইচএসসি পরীক্ষার কোন কমিটির কাগজপত্র পাইনি। আমি সদস্য হিসাবে আছি। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে কারিগরি বিষয়ের মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ- ২ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২ শত ৮৮ জন অনুপস্থিত ২। পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে কলেজের ইনডেক্স ধারী শিক্ষক -শিক্ষিকা বাদ দিয়ে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কেন্দ্র সচিব সহ ২-৩ জন শিক্ষক তাদের ছক বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্র সচিবকে ব্যবহার করছে।

 এ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও আবুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে (ভারপ্রাপ্ত)  একাধিক বার মোবাইল করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজ নীরা বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবকে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে নীতিমালার প্রতি গুরত্ব দিয়ে ৩১ আগস্ট  দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অদ্য অর্থাৎ  রবিবার  পরীক্ষা কেন্দ্রে কলেজের ইনডেক্স ধারী শিক্ষক-শিক্ষিকা বাদ দিয়ে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক শিক্ষকদের কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি দেখবো।


আরও খবর



নতুন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান, বড় হামলার পরিকল্পনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী) নামে নতুন আরও একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। ২০২৪ সালে দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল সংগঠনটির।

১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট হেড কোয়ার্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানার পর সংগঠনটির শীর্ষ নেতা মো. জুয়েল মোল্লাসহ (২৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজন হলেন মো. রাহুল হোসেন (২১) ও মো. গাজিউল ইসলাম (৪০)।

ডিআইজি মোহা. আলীম মাহমুদ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করে জুয়েলকে বাগেরহাট থেকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। বাকি দুই জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সংগঠনটি ২-৩ মাস তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে খবর পাচ্ছিলাম কিছু উগ্রবাদী মানুষ একত্রিত হচ্ছে। যারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করে উগ্রবাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তারা একত্রিত হচ্ছিল। গ্রেপ্তাররা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল। কিন্তু তারা নতুন লক্ষ্য নিয়ে এক ব্যানারে সবাই নতুন করে একত্রিত হচ্ছিল।

তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নেতা হলেন জুয়েল। আমরা প্রথমে জুয়েলকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাকি দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের সময় নতুন সংগঠনের ৮টি ব্যানার জব্দ করা হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের কোনো হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে ডিআইজি মোহা. আলীম বলেন, এ বিষয়ে তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ২০২৪ সালে বড় একটি জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশনস্) ছানোয়ার হোসেন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনটির মূল পরিকল্পনাকারী জুয়েল মোল্লা নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। ৯ মাস কারাগারে ছিলেন। এই সময়ে কারাগারে বসেই নিজের একটি সংগঠন করার পরিকল্পনা করে। মাত্র ক্লাস সেভেন পাস জুয়েল মোল্লা পেশায় একটি বেকারি কর্মী ছিলেন। আর বাকি গ্রেপ্তার দুই জন হিজবুত তাওহীদের সদস্য ছিলেন।


আরও খবর



নির্বাচনী প্রস্তুতি জানতে আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়নের লক্ষ্যে যৌথভাবে বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল। আগামী ৮ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত থাকায় থাকেবেন তারা। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)।

ঢাকায় অবস্থানকালে যৌথ প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এনডিআই তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থসহ ছয়জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এই প্রতিনিধিদলে থাকবেন। দলে আরও থাকবেন, ইউএসএআইডি-এর প্রাক্তন ডেপুটি (প্রশাসক) বনি গ্লিক, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা জামিল জাফর, এনডিআই'র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং আইআরআই-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও।

এনডিআই জানিয়েছে, সফর শেষে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান এবং সুপারিশ সরবরাহ করবে তারা। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণা (ডিওপি) অনুযায়ী বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।


আরও খবর



ফেঁসে যাচ্ছেন সানজিদাসহ ৫ জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মারধরের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রথমে তদন্ত শেষ করতে না পারায় আমরা সময় নিয়েছিলাম। দায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনার তদন্তে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া সব কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্টতা ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কার কার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবো।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ওই দিন রাতে এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান তিনি। যেখানে তাদের পেটানো হয়। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সানজিদার ভাষ্যমতে তার বুকে ব্যথা হওয়ায় তিনি তার ঊর্ধ্বতন স্যার এডিসি হারুনকে ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। বারডেম হাসপাতালটি ওই এলাকায় হওয়ায় স্যার রমনা থানার ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল নেন। শনিবার সন্ধ্যায় সময় মতো চিকিৎসক না পেয়ে তিনি হারুন স্যারকে হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে তার স্বামী (মামুন) গিয়ে হারুন স্যারকে মারধর করেন। ওই সময় স্বামীর সঙ্গে আসা আরও দুইজন হামলায় অংশ নেয় এবং ঘটনার ভিডিও করতে থাকে। তখন তিনি ইটিটি কক্ষে ছিলেন।

ওই ঘটনার পর এডিসি হারুন ফোর্স নিয়ে মামুন ও ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকেও থানায় ডেকে নেন। এরপর ওই দুই ছাত্রনেতার উপর নির্যাতন চালানো হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) গোলাম মোস্তফাকে ডিএমপির সংরক্ষণ দপ্তরে বদলি করা হয়।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দফতরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

এই তদন্ত কমিটির ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তদন্ত শেষ করতে না পারায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও পাঁচ দিন সময় চায় কমিটি। পরে তাদের পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়। সোমবার পাঁচ দিন সময় শেষ হয়েছে।

ঘটনার আলামত পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি বলছে, বারডেম হাসপাতালে স্ত্রী সানজিদা গিয়েছে জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে হাসপাতালে যান মামুন। সেখানে গিয়ে দেখা হয় এডিসি হারুনের সঙ্গে। পরে হাতাহাতিতে জড়ায় দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে হারুন ও সানজিদা ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ইটিটি রুমে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করে হারুন ও তার সহযোগীরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেসন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে। আজ (মঙ্গলবার) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


আরও খবর