Logo
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতির কারণে বড় ঝুঁকিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরে (২০২৫) পাঁচটি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির বিষয়টি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এছাড়া আরও চার ঝুঁকির বিষয়গুলো হলো- চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা।

সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হিসেবে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, বিশেষ করে বন্যা ও উচ্চ তাপমাত্রা এবং দূষণকে দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে দূষণকে শীর্ষ তিন ঝুঁকির একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। দেশ দুটিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনেক ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সবুজ অর্থনীতি রূপান্তরের ক্ষেত্রে দূষণ সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আরও দুটি বিষয় খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এর একটি হচ্ছে বেকারত্ব, অন্যটি হচ্ছে অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা। এ দুটি বিষয়ের কারণে বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতির গড়পড়তা হার ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তা ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবমতে, ২০২২ সালে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ুগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোর অন্যান্য উদ্বেগকে ছাপিয়ে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে রাষ্ট্রভিত্তিক সশস্ত্র সংঘাত।

দেশভিত্তিক প্রধান ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে নির্বাহী মতামত জরিপ (ইওএস) চালায় ডব্লিউইএফ। এটি মূলত ধারণাভিত্তিক জরিপ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আগামী দুই বছরে আপনার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনগুলো।’ অংশগ্রহণকারীদের ৩৪টি ঝুঁকির তালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করেন।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মির্জাগঞ্জে ভবন নির্মান না হওয়ায় বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কামরুজ্জামান বাঁধন, মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

ঠিকাদারের গাফলতির কারনে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ। নির্মান সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির অযুহাতে বছরের পর বছর পরে আছে ভবন নির্মানের কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার এমনই অভিযোগ। মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ করে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও ঠিকাদারের কাছে বারবার ধরনা দিলেও কাজ হচ্ছে না। শ্রেনীকক্ষের সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তাই বাধ্যে হয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মাঠে পাঠদান করাচ্ছেন। বেশি সমস্যায় পড়ের বৃষ্টির মৌসুমে। 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার ২০২১ সালে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বরাদ্ধের পরিমাণ ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ফাউন্ডেশন চারতলা থাকলেও এখন নির্মাণ করা হবে একতলা। তবে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদার বারবার কাজের সময় বাড়ানোর আবেদন করে সময় ক্ষেপন করেন। কাজে বিলম্ব হওয়াতে ভোগান্তিতে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে আরো জানা যায়, বিদ্যালয়ে একটি মাত্র পুরোনো পাঁকা ভবন রয়েছে। এতে তিনটি কক্ষ আছে, ওই সব কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ। পাঠদান চলার সময় গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দশম শ্রেনীর কক্ষে সিলিং ফ্যান পড়ে দু’জন শিক্ষার্থী আহত হয়। ক্লাস পরিচালনার জন্য শ্রেনী কক্ষের সংকট রয়েছে। 

শিক্ষার্থীর বলেন, ‘নবম ও দশম শ্রেনীর মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার ক্লাস করার সময় অতিরিক্ত কক্ষের প্রয়োজন হয়। তখন আমাদের বাধ্যে হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠেও ক্লাস করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’ 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এ এলাকার মধ্যে ঐতিহ্য বহন করেন। বিদ্যালয়ে শ্রেনীকক্ষ সংকটের কারনে নতুন ভবন নির্মানের কাজ শুরু হলে ঠিকাদার ভবনের ৬০ শতাংশ কাজ করে বন্ধ রেখেছেন বছরের পর বছর। আমি শ্রেনী কক্ষের সংকটের জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও ঠিকাদারকে বলা হলেও তিনি কাজ করছেন না। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাই যাতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয় এবং বিদ্যালয়ের শ্রেনী সংকট কেটে যায়। 

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে, সেই পরিমাণ বিল উত্তোলন করতে পারিনি। এখন যথাযথ বরাদ্ধ নেই। তবে কাজ ফেলে রাখলে ঠিকাদারেরই লস হয়। তবে অফিসে কাজের পে-অর্ডার দিয়ে রাখা হয়েছে। আমি দুই তিন দিনের নতুন ভবনের বাকী কাজ শুরু করবো।’

পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোশফিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হবে।


আরও খবর



কোন বিশেষ দল যেনো ক্ষমতার প্রভাব দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন বিষয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার প্রতিটি নাগরিকেরই আছে। তাদের মতাদর্শ তুলে ধরে জনগণের রায় চাইবেন, এটাতে আপত্তির কিছু নেই। নতুন প্রজন্মের যে তরণরা রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাচ্ছে, তাদের আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তারা সামনে এগিয়ে যাক, দেশ ও জাতি তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু পাবে, এটাই আমার প্রত্যাশা। 


আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন। 


এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন এবং ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটা দেশের জনগণ আর গ্রহণ করতে রাজি নন। এজন্যই নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ ব্যবস্থা, তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দরকার হয়। 


বর্তমান সরকারের বক্তব্যে এটা পরিস্কার যে, ছাত্র সমন্বয়কদের মনোনয়নে এ সরকার গঠিত হয়েছে। ছাত্রদের দল গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমর্থন আছে একথাও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। 


ফলে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বা দল গঠনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখবেন শুধুমাত্র সেসকল ব্যক্তিবর্গ সরকার ত্যাগ করলেই, সে দল সরকারী আনুকূল্য পাবে না, এটা কতটুকু বিশ^াসযোগ্য? 


একারণে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারবে, এমন দাবী করতে পারেন না বলে মনে করি। 


বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেদের নিরপেক্ষ দাবী করলেও রাজনৈতিক দলসমূহ ও জনগণের কাছে সেটা কতটুকু বিশ^াসযোগ্য হবে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। 


দেশের মানুষ চায় নির্বাচনের সময় যেনো লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড থাকে, সবার জন্য সমান সুযোগ থাকে; কোন বিশেষ দল যেনো সরকারী অর্থ ও সরকারের ক্ষমতার প্রভাব দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে, এ নিশ্চয়তা। 


এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জালাল উদ্দিন খান, আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী অপু চৌধুরী, কাজল আহমেদ, শিবলী খায়ের, আফরোজ আফগান তালুকদার, তৌহিদুল ইসলাম, প্রভাষক এসএম লুৎফর রহমান, গাজী মোঃ মিজবাহ উদ্দিন, শাহজাহান তালুকদার, আব্দুস সালাম মেম্বর, সোহেল আহমেদ রানা, ওস্তার মিয়া তালুকদার, এমএম হেলাল প্রমুখ। 


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্বমানের সেবা ও প্রিয় স্বজনদের কাছে পেয়ে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দ্রুতই উন্নতি হচ্ছে। তিনি এখন নিজে থেকে সামান্য হাঁটতেও পারছেন।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। তিনি আজ একা একা হাঁটতেও পেরেছেন।

এনামুল হক চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে থেকেও খালেদা জিয়া দেশের খোঁজখবর নিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, বর্তমান অবস্থা কী?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ম্যাডাম যথেষ্ট ভালো আছেন। আজ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি তাকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে আজ ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। বলতে পারি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।

এদিকে, অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে আসেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন।

এরপর যখন হুইল চেয়ারে করে মা খালেদা জিয়া ছেলের কাছে যান, তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান তারেক রহমান। মুহূর্তেই সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

পরে বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এর আগে, উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা তাকে বিদায় জানান।


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হোসাফ মিটারের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মারুফ হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান। সরকার পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ শুনানি করেন।

এর আগে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মো. সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী আগেই মারা যাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ মামলা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবীরা জানান, সব নিয়ম মেনেই দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধু রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আদালতকে প্রভাবিত করে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেয়। আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকে। যার কারণে দীর্ঘদিনেও মামলার অভিযোগ গঠন করতে পারেননি আদালত।


আরও খবর

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




হিলিতে কমেছে কাঁচামরিচ ও আদার দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দিনাজপুরের হিলিতে তিনদিনের ব্যবধানে কমেছে দেশি কাঁচামরিচ ও ভারত থেকে আমদানিকৃত আদার দাম। বর্তমানে দেশি কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ৪০ টাকা কমে ৩০ টাকায় এবং ভারতীয় আদা কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকামে সরবরাহ বেশি হওয়ার কারণে কমেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে কাঁচাবাজার নিতে আসা আশিকুল আলমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে হিলির বাজারে শীতকালীন সবজিসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ এতে করে কিছুটা স্বস্তির মধ্যেই রয়েছি। এই রকম বাজার পরিস্থিতি থাকলে আমাদের জন্য ভাল হয়।

হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, খুচার বাজারে সবজির দাম অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে বেগুন ৩০ টাকা, সিম ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা পিচ, ফুলকপি ১০ টাকা পিচ, শষা ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কমেছে কাঁচামরিচ ও আদার দাম। কাঁচামচির কেজি প্রতি ৩০ টাকায় এবং ভারতীয় আদা ১০০ টকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। আগের থেকে ক্রেতা অনেক বেশি।

হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের চার দিনে ভারতীয় পাঁচ ট্রাকে ১০৫ মেট্রিকটন আদা আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫